আপনি বিভিন্ন সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করার কথা শুনে থাকবেন। বিশেষ করে, আপনি যখন একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাবেন, যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম Allow করেনা। আর অনেক অ্যাপ ইন্সটল করে কাজ করার জন্য, ফোনকে Root করতে হয়।
বহু আগে থেকেই Android ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের কোন সমস্যার সমাধান করতে, নতুন কোন ফিচার যোগ করতে কিংবা ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য ফোনটিকে রুট করার পরামর্শ দেন। কিন্তু, বর্তমান সময়ের Android ফোন গুলো পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং এগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো পারফর্ম করছে। তাই, এখন আপনার মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, আপনার ডিভাইস কি এখনো রুট করা উচিত হবে?
আর, বর্তমানে আপনি একটি ফোন রুট করলে কী কী অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন এবং কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বর্তমান সময়ে এসেও আধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে বিভিন্ন কাজ করার জন্য আপনার ফোনটিকে Root করা উচিত কিনা, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই টিউনে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেমে এক্সেস পাওয়ার জন্য মূলত ফোনকে রুট করা হয়। Android ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের ব্যাপক কাস্টমাইজেশন এবং নতুন ফিচার যোগ করার জন্য কিংবা ফোনটির আরো বৃহত্তর কন্ট্রোল পাওয়ার জন্য ফোনটিকে Root করে থাকেন। তাহলে চলুন এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন সাধারণত কি কারণে রুট করা হয় এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন Root করলে আপনি কী কী সুবিধা পেতে পারেন।
অনেকেই তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন কিংবা নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন যোগ করার জন্য ফোনটিকে রুট করতে চাইতে পারেন। কাস্টম রম হলো, কোন ফোনে ইচ্ছামত অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ইন্সটল করা। Android যেহেতু একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, তাই অনেকেই এটির অনেক কাস্টম ভার্সন তৈরি করেন। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এসব কাস্টম ভার্সনগুলো আপনার ব্যবহৃত বর্তমান ফোনটির ফিচারের চেয়ে বেশি হতে পারে।
অতীতের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন গুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফিচার ও সুবিধা যোগ করার জন্য কাস্টম রম ইন্সটল করা অপরিহার্য ছিল। কিন্তু, আজকাল Android স্মার্টফোন গুলো এই বিষয়ে যথেষ্ট উন্নতি করেছে এবং বেশিরভাগ Android স্টক রম এর ফোনগুলোতে ফিচারের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায় না।
তবে, এখনো পর্যন্ত অনেকের কাছে বিদ্যমান স্টক রম ভালো নাও লাগতে পারে এবং যে কারণে তারা নতুন ভার্সন ইন্সটল করতে চান। ব্যবহারকারীরা নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহার করতে, ফোনটিকে রুট করতে চাইতে পারেন। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোন মেনুফ্যাকচারারেরা ও এই বিষয়টির যথেষ্ট উন্নতি করেছেন। Samsung তাদের মেইন ডিভাইস গুলোতে চারটি এবং Pixel ও তাদের ফোনে সাতটি OS Update এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে, আপনার কাছে যদি এই মুহূর্তে একটি কম দামি বাজেট ফোন বা ট্যাবলেট থাকে, অথবা আপনি একটি কম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ফোনটিতে নতুন বা পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই কাস্টম রম ইন্সটল করতে হবে। এ ধরনের ফোনগুলোতে কাস্টম রম ইন্সটল করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে নতুন নতুন ফিচার এবং সিকিউরিটি আপডেট পেতে পারেন।
Bloatware হল কোন ডিভাইসে Pre-installed Software। এটি ব্যবহারকারীদেরকে যতই সমস্যার কারণ হোক না কেন, স্মার্টফোন নির্মাতারা তাদের ফোনে এসব অতিরিক্ত অ্যাপ ইন্সটল করে দেন। যদিও এসব অ্যাপসের মধ্যে কিছু অ্যাপস আনইন্সটল করা যায় এবং কিছু অ্যাপ Disable করে রাখা যায়। কিন্তু, Pre-installed অ্যাপস গুলোর মধ্য থেকে বেশিরভাগই আনইন্সটল করা যায় না এবং যা আপনার ফোনের পারফরম্যান্স খারাপ করতে পারে।
কোন ব্যবহারকারী যদি তাদের Android ফোনের Pre-installed অ্যাপসগুলো রিমুভ করতে চান, তাহলে তাকে ফোনটিকে রুট করতে হয়। তবে, আধুনিক স্মার্টফোনগুলো Ram/Rom অনেক বেশি হওয়ার কারণে, এটি তেমন জটিল সমস্যা নয়। তাই, এই সমস্যার জন্য ফোনকে রুট করা উচিত নয়।
একটি Android ফোন Root করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর মাধ্যমে ফোনটির ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়। একটি ফোনকে রুট করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন অ্যাপের পারমিশন বন্ধ করা যায় এবং কোন অ্যাপকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রান হওয়া থেকে আটকানো যায়। এছাড়াও, কোন অ্যাপ বেশি ব্যাটারি ইউজ করলে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যদিও সর্বশেষ কিছু ভার্সনে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস পার্মিশনের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে। বর্তমানে ব্যবহারকারীরা অ্যাপস গুলোর পারমিশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, এই বিষয়টি ও আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মানে হলো যে, অ্যান্ড্রয়েডে ইন্সটল থাকা অ্যাপস গুলোর পারমিশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে আর Greenify এর মত রুট অ্যাপস গুলি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
তবে, আপনি যদি ফোনটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান, তাহলে এখনো Root করা যেতে পারে। ফোন রুট করলে, আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম লেভেলের সব নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবেন এবং এক্ষেত্রে যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার করে এটির আরো ব্যাপক কন্ট্রোল করা সম্ভব। এখনো পর্যন্ত এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মিসিং রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার ডিভাইসে কোন অ্যাপ গুলো কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য Firewall Apps হিসেবে AFWall+ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ গুলোকে শুধুমাত্র ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে চলবে এমনটি সেট করতে পারেন এবং সেগুলোর জন্য মোবাইল ডাটা ব্যবহার বন্ধ করতে পারেন। এমনকি, যেসব অ্যাপগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, সেগুলোর জন্য একেবারে ইন্টারনেট এক্সেস বন্ধ করে দিতে পারেন, যা আপনার প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটির জন্য সেরা একটি সমাধান।
তবে, আপনি গুগল প্লে স্টোরে এরকম আরো অনেক ফায়ারওয়াল অ্যাপ পেতে পারেন, যেগুলো আপনার ফোন রুট ছাড়াই কাজ করবে। যাইহোক, এগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে ভিপিএন কানেকশন ব্যবহার করতে হবে, যা সবার জন্য সুবিধাজনক নয়। যেখানে, Root অপশনটি অনেক বেশি পাওয়ারফুল। কেননা, এখানে অপারেটিং সিস্টেম লেভেল থেকেই এ ধরনের কাজগুলো করা যায়।
আমরা বিভিন্ন কারণে আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে রুট করতে পারি। এটি হতে পারে, আমরা Android ফোনটি আরো অনেক বেশি কন্ট্রোল করতে চাই, কাস্টম কার্নেল বা কাস্টম রুম ইন্সটল করতে চাই অথবা নতুন কোন ফিচার ফোন টিতে যোগ করতে চাই।
যদিও ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে সেটিতে অনেক ফিচার যোগ করা যায় এবং সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি লেভেল বাড়িয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু, অ্যান্ড্রয়েড ফোন Root করার মাধ্যমে আপনি সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে ও পড়তে পারেন। রুট করার মানে হলো, এই প্রক্রিয়াটি আপনার সিস্টেমের এমন সব পার্টগুলোতে এক্সেস ওপেন করে দেয়, যা সাধারণত সিকিউরিটির কারণে পূর্বে ব্লক করা ছিল। আর এর ফলস্বরূপ, একটি খারাপ কোডযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড কার্নেল বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনার ফোনটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে যেতে পারে।
আপনার ফোনটি Root করার পর সেটা দিয়ে কী কাজ করছেন এবং কোন অ্যাপকে রুট অ্যাক্সেস দিচ্ছেন, তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
আপনার ডিভাইসটি রুট করার অর্থ হলো, আপনার ডিভাইস থেকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলছেন। রুট করার পর আপনি আপনার ডিভাইসটিকে ম্যালওয়্যার, ভাইরাস এবং অন্যান্য দূষিত সফটওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত করতে পারেন।
ফোনকে রুট করা হলে, আপনার ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যায়। এর মানে হল যে, Root করার পর যদি কোন ভুল হয় এবং পরবর্তীতে এটি মেরামত করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সেই ফোন ম্যানুফ্যাকচাররা আপনাকে ওয়ারেন্টি দিবে না।
একবার আপনি আপনার ডিভাইসটি রুট করলে, আপনি ম্যানুফ্যাকচার থেকে আর Over-The-Air (OTA) আপডেট পাবেন না। এক্ষেত্রে, আপনি গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি এবং সফটওয়্যার আপডেটগুলো মিস করবেন।
ফোনটি রুট করার পর সিস্টেম লেভেলের কোন ফাইল পরিবর্তনের ফলে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সম্পন্ন ভাবে অচল হয়ে যেতে পারে।
একটি Android ডিভাইস Root করার পর অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি আপনি App Compatibility ও হারাতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েডের SafetyNet নামে একটি ফিচার রয়েছে, যা এটি ডিটারমাইন্ড করে যে, আপনার ডিভাইসটি রুট করা বা Bootloader আনলক করা হয়েছে কিনা। ডেভলপারেরা SafetyNet ব্যবহার করার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, তারা যেসব ডিভাইস গুলোকে অনিরাপদ মনে করে, সেসব ডিভাইসে এটি কাজ করবে কিনা।
অনেক ব্যাংকিং এবং ফাইনান্সিয়াল অ্যাপ গুলো Rooted ফোনে কাজ করে না। তাদের এমনটি করার কারণ হলো, রুট করা ডিভাইস সম্ভাব্য অনিরাপদ ডিভাইস হতে পারে। তাই যেকোনো অ্যাপের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের ডিভাইস গুলোতে অ্যাপ ব্যবহারের লিমিট করে দেওয়া হতে পারে।
আমরা একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করা এবং না করা, উভয় ক্ষেত্রেই ভালো কারণ দেখছি। কিন্তু, এ পর্যায়ে এসে আমি বলব যে, আপনার Android ফোনটি Root না করাই ভালো। এর কারণ হলো, অ্যান্ড্রয়েড এখন যথেষ্ট ভালো এবং এটি রুট করা ছাড়াই প্রয়োজনীয় অনেক ফিচার ও সুবিধা অফার করে।
গত এক দশকে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সব দিক থেকে যথেষ্ট পরিমার্জন করা হয়েছে। এখন, অ্যান্ড্রয়েড এর UI অনেক উৎকৃষ্ট এবং মর্ডান লুক রয়েছে। বর্তমানে আপনি রুট করা ছাড়াই অ্যাপস এর পারমিশন কন্ট্রোল করতে পারবেন, ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ চলা বন্ধ করতে পারেন, এবং বিভিন্ন ইন্সটল করে ফোনের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় ফিচার যোগ করতে পারবেন।
যেহেতু রুট করা যথেষ্ট কঠিন এবং কোন সমস্যায় পড়লে এর সমাধানের প্রক্রিয়াটি আরো জটিল হয়ে ওঠে। তাই, আপনি Root করে যে সুবিধাটি নিতে চাচ্ছেন, সেই সুবিধার চেয়ে পরবর্তীতে অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে আপনার কোনটি সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে যাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকতে পারে।
সবশেষে বলতে গেলে, বর্তমানের আধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে যথেষ্ট কাস্টমাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি বর্তমানের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন বা স্টক রম ভালো না লাগে, তাহলে কাস্টম রম ইন্সটল করে অন্য কোন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের স্যুইচ করার জন্য চাইলে ফোনটি রুট করতে পারেন। এছাড়াও, কিছু অতি প্রয়োজনীয় Apps অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কাজ করানোর জন্য ফোনটিকে Root করা যেতে পারে।
তবে, রুট করলে ফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যায়, সেই বিষয়ে আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। এছাড়াও, ভুলবশত আপনার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কোন ফাইল পরিবর্তন করতে গিয়ে যেন পুরো অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে অচল করে না ফেলেন, এই বিষয়ে ও লক্ষ্য রাখা উচিত। তাই, এই বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে আপনার অবশ্যই Android ফোন Root করা উচিত নয়।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)