শুরুতেই সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম জানাচ্ছি আশাকরি সবাই ভালোই আছেন। আর হ্যা উপরে ঠিকই পরেছেন, কেমন হয় যদি আপনার স্মার্টফোন থেকেই Android app develop করতে পারেন তাও আবার কোন প্রকার ইন্টারনেট কানেকশন বা পিসি ছাড়াই; হ্যা আমি আজ থেকে আপনাদের সারা পেলে Step by Step শিখাবো কিভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র Programming এর মাধ্যমে ছোট-খাট Android App Develop করা যায়। 🙂
আগেই বলে নিচ্ছিঃ AIDE ভিত্তিক Android app development এর এটি তৃতীয় টিউন, সুতরাং আপনি যদি প্রথম টিউনটি বা দ্বিতীয় টিউনটি না দেখে থাকেন তাহলে, এই টিউনটির ঘোড়ার ডিমও বুঝবেন নাহ। সুতরাং প্রথম টিউনটি এখনি এখান থেকে দেখে নিন।
আমি আবার বলছি, আমার আমাদের মধ্যে যে সকল ছোটরা আছে, প্রোগ্রামিং বা Web Developer হবার মতো বিশাল বড় স্বপ্ন নিয়ে টিটির মতো বড় ব্লগে ঘুরাঘুরি করে কিন্তু কোন কাজ হয় নাহ। হবেই বা ক্যামনে? কারন বাপের কাছে সেই কবে একটা কম্পিঊটার চাইয়া বইসা আছে তার খবর নাই। বাপেও বা দিবে ক্যামনে অভাবের সংসার। তাই পিসি নেই বলে হতাশায় দিন গুনতে থাকি, পিসি কেনার জন্য। কিন্তু ব্যাপারটা হলো সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে নাহ, আর আমার মতো গরিব ঘড়ের সন্তান হলে তো কথাই নেই, আস্তে আস্তে যখন হতাশার দিকটা ভারি হতে থাকে তখন দেখা যায় আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা গুলোও সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে থাকে, হারিয়ে যেতে থাকে আমাদের সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন গুলো, শুধুমাত্র প্রয়োজনিও জিনিস গুলোর অভাবে। তাই আমরা অনেকেই এই অবস্থায় হাল ছেরে দেই, তবে একটা কথা মনে রাখবেন, যে হাল ছেঁড়ে দেয় সে-ই পরাজিত বাদ বাকি সবাই বিজয়ী; তাই বলতেছিলাম আমরা যারা এই ক্যাটাগরির কিন্তু স্বপ্নটা দেখে-ফেলেছেন Android App Developer হওয়ার মতো বিশাল। তারা পিসি না কেনা পর্যন্ত হাত গুটিয়ে বসে না থেকে আমার ধারাবাহিক পর্ব গুলো নিয়মিত ফলো করুন এবং প্রাকষ্টিস করে যান ইনশাআল্লাহ আগামী দিন গুলোতে অনেক কাজে আসবে...
গতোপর্বে আমারা দেখেছিলাম simply book app layout গুলো কিভাবে ডিজাইন করা হয় এবং আমরা পর্বের শেষের দিকে একটা ছোট খাট অ্যাপ develop ও করেছিলাম। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আমরা যে বিষয় গুলো দেখে ছিলাম। তাহলোঃ
তো আজ আমি নতুন কোন অ্যাপ develop করবো নাহ, তবে আমাদের পূর্বের projecter অ্যাপটি আমরা use করে নতুন কিছু বিষয় শিখবো, তাহলোঃ
#আচ্ছা এবার ২য় পর্বের source folder থেকে নিচের মতো করে ফাইল গুলো open করুন :
শেষ করার আগে, আসলে একটা কথা না বললেই নয়, আপনারা যারা আগের টিঊটোরিয়াল টি দেখেছেন, তারা হয়তো দেখে থাকবেন যে আমার আগের টিঊটোরিয়াল টা রাত্র (03:40am) প্রায় সারে তিনটায় দিকে করা, এই শীতের রাত্রে আপনাদের জন্য শুধু আমি বলে বলছি নাহ। আমার এটা তো মাত্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, আরো যারা আপনাদের জন্য সাড়াদিন পরিশ্রম করেও রাতে এভাবে বিনা স্বার্থে টিঊটোরিয়াল বানায় বা সুন্দর সুন্দর সৃজনশীল উপহার দেন, রাত্র ৩/৪ টা পর্যন্ত জেগে থেকে শুধু মাত্র প্রযুক্তির আলো ছরিয়ে দিতে, অথচ সেই টিঊটোরিয়াল ই আপনি- আমি সকাল ১০টায় উঠে ব্রাশ করে নাস্তা করে আপনার-আমার সুবিধা মতো দেখি, আসলে আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে, আমরা এতো কৃপন হয়ে গেছি যে, ওই বেটায় টিঊটোরিয়াল টা করলো বিনা মুল্যে বা বিনা স্বার্থে, অথচ আপনি just তিনটা সেকেন্ট সময় নিয়ে just #like #share অথবা #subcribe button e click করে ছরিয়ে দিবেন।তাই আপনি পারেন নাহ। তাতেই আপনাদের কৃপন্তা দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে। অসম্ভব খারাপ লাগে, যাইহোক, কেউ মনে কষ্ট নিবেন নাহ।সেদিন এক ভাইয়ের web desing এর উপরে টিউটোরিয়াল দেখতেছিলাম, তো তিনি এক পর্যায়ে বলতেছেন, যে, তার রুমের লাইট নিভানো তাই টাইপে mistake হচ্ছে, আর তার তার পাশেই রুম মেট ঘুমানো তাই তিনি, চাইলেও জোরে কথা বলতে পারতেছেন নাহ। তাহলে বুঝুন সে নিজের খাইয়া আর কতোটুকু করতে পারে?? আমি just বলতে চেয়েছি আসুন আমরা সবাই মিলে প্রযুক্তির আলো ছরিয়ে দেই। এবং কৃপনতা বর্জন করি। যারা টি,টি সহ, বিভিন্ন সাইটে মান-সম্মত সৃজনশীল টিঊন করেন, তাদের কে উৎসাহ দেই, যাতে তারা আরো সুন্দর সুন্দর টিঊটোরিয়াল উপহার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রযুক্তি আলো ছরিয়ে পরুক আমাদের সুবার মাঝে। সেই প্রত্যশা নিয়েই আজকের টিউন শেষ করছি।
আমি Programmer Rasel। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অসাধারন বুদ্ধিমান এই পৃথিবীতে অতি সাধারন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। তা ছাড়াও আমি ভালোবাসি প্রযুক্তিকে। যদিও খুব বেশি কিছু জানিনা। তবুও যা জানি তাই সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। এই লক্ষ্য থেকেই আমার পথ চলা...
Thanks Rasal vai