আসসালামু আরাইকুম। বর্তমানে আমাদের সকলের হাতে অ্যান্ড্রয়েড কম বেশী আছে। আসুন জেনে নেই অ্যান্ড্রয়েড এর কিছূ নিরাপত্তা টিপস। আশা করি সকলের কাজে লাগবে। অনেকগুলোই আপনি নিজে জানতে পারেন। হযতো পুরো পোষ্ট এ ২/৩ টি আপনার জন্য নতুন। তাতেই বা কম কি ? এই টিপসগুলোর অধিকাংশই সংগৃহীত।
১) স্ক্রিন লক: ডিভাইসের স্ক্রিন অবশ্যই লক রাখবেন। এন্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে স্ক্রিন লক হচ্ছে প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এটি আপনার কাস্টামাইজ করে রাখা সেটিংস পরিবর্তন বা তথ্য পাচারের হাত থেকে রক্ষা করবে।
২) এন্ড্রয়েড ডিভাইস রুট: অনেকেই বিভিন্ন কারনে ডিভাইস রুট করে থাকেন। এতে অনেক অ্যাপ ইন্সটল বা ব্যবহার করা গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান করবেনা। বিভিন্ন ক্ষতিকর অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে ডিভাইসটি ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় পড়তে পারে। রুট করা ডিভাইসের চেয়ে রুট না করা ডিভাইস অনেক বেশি নিরাপদ। সুতরাং ঝোঁকের বশে ডিভাইস রুট করার আগে অবশ্যই ভেবে জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
৩) প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যক্তিগত ডিভাইসের ব্যবহার: অনেকেই ব্যক্তিগত ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ন। ব্যক্তিগত ডিভাইস দিয়ে যদি অফিশিয়াল একাউন্ট বা অন্য কোন বিষয়ে এক্সেস করতে চান, তবে অবশ্যই ভেবে চিন্তে করবেন। কারণ আপনার ডিভাইসে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য পাচার অথবা আপনার ডিভাইস থেকে প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাচারের সম্ভাবনাও তৈরী হতে পারে।
৪) অপরিচিত সোর্স: অ্যাপ যেমনই হোকনা কেনো কখনোই অপরচিত সোর্স থেকে কোন অ্যাপ ইন্সটল বা ডাউনলোড করবেন না। এতে আপনার ডিভাইসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অপরিচিত সোর্স থেকে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে ডিভাইসে। বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য ভয়ংকর সব ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে আছে চারদিকে।
৫) অ্যাপ লকার: গুগল প্লে স্টোরে আপনি অনেক অ্যাপ লকার পাবেন, যা দিয়ে সহজেই আপনি আপনার ডিভাইসে থাকা অ্যাপগুলো লক করে রাখতে পারবেন। এতে কেউ চাইলেই আপনার অগোচরে আপনার ব্যবহার করা অ্যাপগুলো চালু করতে পারবেনা। এতে আপনার তথ্য নিরাপদ থাকবে।
৬) গুগলের এন্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার: আপনি যদি গুগল ডিভাইস ম্যানেজার এক্টিভ করেন তবে, আপনি আপনার ডিভাইস হারিয়ে গেলে একে খুব সহজেই খুঁজে পেতে পারেন গুগল ম্যাপ এর সাহায্য নিয়ে। একই সাথে আপনার ডিভাইসে থাকা সকল তথ্য মুছে দিতে পারবেন দুষ্টলোকের হাতে যাওয়ার আগেই। এন্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার এক্টিভ করতে পারবেন ডিভাইস এডমিনিস্ট্রেটর সেটিংসে গিয়ে।
৭) এসডি কার্ডে ব্যক্তিগত তথ্য রাখবেন না: আপনি আপনার ব্যক্তিগত কোন তথ্য এসডি মেমোরি কার্ডে রাখবেন না। এতে আপনার ডিভাইস হারিয়ে গেলে ঐ সব তথ্য অন্য কারো হাতে চলে যাবে। ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনাল মেমোরিতে রাখতে পারেন। এন্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার দিয়ে পরে তা মুছে দিতে পারবেন।
৮) ডিভাইস এনক্রিপশন: স্মার্টফোনটিকে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে বাঁচাতে সবচেয়ে সহজ উপায়টি হলো এনক্রিপশন চালু করে নেওয়া। ডিভাইস কেনার আগেই দেখে নেওয়া উচিত তাতে শক্তিশালী এনক্রিপশন সফটওয়্যার রয়েছে কিনা। তবে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে সাধারণত এমন সফটওয়্যারগুলো থাকে না। তাই অ্যাপ নিতে হবে। পাশাপাশি ডিভাইসের মেমোরি কার্ডের নিরাপত্তা দেয় এমন সফটওয়্যারও নেওয়া উচিত। আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইস এনক্রিপট করে রাখলে প্রতিবার লগ অফ থেকে লগ অন হওয়ার সময় একটি পাসওয়ার্ড চাইবে যা আপনি ছাড়া অন্য কারো কাছেই থাকবেনা। এতে আপনার মূল্যবান তথ্য নিরাপদ থাকবে। ডিভাইস হারিয়ে গেলে যে পাবে সে ডিভাইস অন-অফ করলে এটি নিজে থেকেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড চাইবে। ফলে কেউ আপনার ডিভাইস থেকে আপনার গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবেনা।
৯) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলুন: যে ব্র্যান্ডের ডিভাইস কিনছেন তাদের কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু সফটওয়্যার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
১০) অটো-সেভ ফিচার বন্ধ করুন: হ্যাকারদের লক্ষ্য যখন আপনার ডিভাইস, তখন অটো-সেভ অপশনটি বন্ধ করে রাখা ভালো। এই অপশনটির সুবিধা নিয়ে সাইবার অপরাধীরা আপনার ডিভাইস থেকে সহজেই পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য তথ্য চুরি করতে পারবে।
১১) পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার: পাবলিক ওয়াই-ফাই আসলে কিন্তু নিরাপদ নয়। এসব স্থান হ্যাকারদের বড় লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল বা যেকোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই সচেতন হয়ে ব্যবহার করবেন।
১২) ব্রাউজার হিস্ট্রি মুছে ফেলুন: খুব সহজ একটি কাজ কিন্তু ব্যাপক নিরাপত্তা দেবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করা শেষে হিস্ট্রি মুছে ফেলুন। আপনার তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
১৩) ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার: সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর একটি ট্র্যাকিং অ্যাপ ইনস্টল করুন। ডিভাইস হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ ডিভাইস হারিয়ে গেলে এই অ্যাপের মাধ্যমে তা ফেরত পাওয়ার আশা রয়েছে।
আজকে এই পর্যন্তই। ভাল থাকবেন। ভাল লাগলে আমার সাইটের লিংক প্রোফাইলে দেওয়া আছে। ঘূরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমি তানিয়া লাবনী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
double tune hoye gese. edit korun