আশা করি সবাই ভালো আসেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট নিয়ে আজকের এই টিউন শুরু করলাম।
* কেন ডিভাইস রুট করব?
ডিভাইস রুট করার কারণ একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ ডিভাইসের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করার জন্য রুট করে থাকেন, কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর জন্য রুট করেন, কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য, কেউ বা আবার রুট করার জন্য রুট করে থাকেন। আমি নিজেও প্রথম রুট করেছিলাম কোনো কারণ ছাড়াই। লিনাক্স ব্যবহার করি বলে বিভিন্ন সময় রুট হিসেবে অনেক কাজ করেছি কম্পিউটারে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রুট পারমিশন না থাকায় একটু কেমন যেন লাগছিল। তাই রুট হওয়ার জন্য রুট করেছিলাম।
পরে অবশ্য পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে শুরু করেছি যেগুলো রুট করা ডিভাইস ছাড়া কাজ করে না। তবে সেসব নিয়ে পড়ে কথা হবে। চলুন আগে এক নজর দেখে নিই রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা।
রুট করার সুবিধাগুলোঃ
পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।
ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।
রুট করার অসুবিধাগুলোঃ
ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।
যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য নিচের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন
Download iRoot 2.2.1
সময় পেলে আমার ব্লগটি ভিজিট করে আসতে পারেন।
আমি হাবলু উসামা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি হাবলু উসামা। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে: এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ!
ভাই এইটা দিয়ে কি আমার Samsung Galaxy ace NxT সেট টি রুট করতে পারব……।?