আইপি এড্রেস(IP Address) এর সম্পূর্ন ইংরেজী রূপ হচ্ছে Internet Protocol Address. ভার্চুয়াল জগৎ থেকে আপনি যে তথ্য নিচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে আইপি এড্রেস হচ্ছে একটি অদ্বিতীয় এড্রেস। অর্থাৎ আপনি যে আইপি এড্রেসটির মালিক তা আর কারও কাছে নেই। আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই অবগত থাকেন, তিনি আপনার কাছে যে তথ্য পাঠাচ্ছেন এবং আপনি তা যথাযথভাবে পাচ্ছেন।
দ্বিতীয় নিয়ম : আপনার ব্রাউজারের এড্রেস বারে লিখুন http://www.whatismyip.com
একটি ওয়েবসাইট খুলবে। সেখানেই বড় অক্ষরে আপনি আপনার বর্তমান আইপি দেখতে পাবেন। নিচের লিস্টটি মনে রাখুন। পরবর্তীতে কাজে লাগবে।
ftp—->21
smtp—>25
dns—->53
http—>80
https—->81
pop3—->110
telnet—>23
নাম্বারগুলো হচ্ছে পোর্ট নাম্বার। এ সম্পর্কে পরে কোন এক সময় আলোচনা করা হবে।
যদি আপনি কোন ওয়েবসাইট বা কোন ব্যক্তির একাউন্ট বা তার পিসি হ্যাক করবেন তাহলে সবর্প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে তার আইপি এড্রেস সংগ্রহ করা। যতক্ষন পযর্ন্ত না আপনি তার আইপি এড্রেস বের করতে পারছেন ততক্ষন পযর্ন্ত আপনি তার কি ই বা করতে পারবেন? এখন আপনাদের দেখাচ্ছি যেভাবে কোন ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস বের করবেন।
আপনি সেখানে নীল রংয়ের কিছু লেখা দেখতে পাবেন। আপনি সেখানেই আপনার কাঙ্খিত আইপি এড্রেসিট দেখতে পাবেন। নীল লেখাগুলোর প্রথম লাইনেই আপনি আইপিটি দেখতে পাবেন। দ্বিতীয় লাইন সহ এভাবে সবোর্চ্চ ৩০টি হুপ দেখতে পাবেন।
যখন আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্ঠা করেন তখন আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু তথ্য সেই ওয়েবসাইটের কাছে প্রেরন করেন যার প্রতিউত্তরে সেই ওয়েবসাইটটিও আপনার কাছে কিছু তথ্য প্রেরন করে (যার ফলাফল স্বরূপ আপনি ওয়েবসাইটটিকে দেখতে পান)।এই প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকে। মনে করুন আপনি কমান্ড এরিয়ায় লিখলেন tracert yahoo.com
তখন আপনার এই তথ্যের প্যাকেজটি গুগলের সার্ভারে (যেখানে তথ্য জমা থাকে) যাবে।গুগলও আপনাকে এর প্রতিউত্তর পাঠাবে। যেহেতু গুগল একটি বড় সাইট সেহেতু এর অনেকগুলো সার্ভার রয়েছে। সুতরাং প্রতিউত্তরগুলো সেসকল সার্ভার থেকেই আসে। এবার আপনি আপনার কমান্ড এরিয়ায় লক্ষ করুন সেখানে সবোর্চ্চ ৩০টির মত আইপি হুপ রয়েছে। এতগুলো আসার মানে হচ্ছে, গুগল তার যতগুলো সার্ভার থেকে আপনার কাছে তথ্য প্রেরন করছে সেই সার্ভারগুলোর আইপি হুপই আপনি দেখতে পাচ্ছেন।
কমান্ড এরিয়ায় আপনি * ধরনের কিছু চিন্হ দেখতে পাবেন। এর মানে হচ্ছে এই যে সে স্থানগুলোতে ফায়ারওয়াল স্থাপন করা রয়েছে যাতে করে যে কেউ সহজে আক্রমন করতে না পারে।
অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে ইন্টারনেট থেকে কোন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্পশর্কাতর তথ্য বা তথ্যাদি দেখা বা জানা যায় না। আসলে এটি ভূল ধারনা। মনে করুন ইন্টারনেটে অনেকেই হটফাইল বা রেপিডশেয়ারের প্রিমিয়াম একাউন্ট দেয়, যা থেকে আপনি উপকৃত হন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি জানেন না এই একাউন্ট কোথা থেকে দেয়া হয়েছে? আপনি ইচ্ছে করলেই এসব তথ্য জানতে পারেন।
যখন আপনি কমান্ড এরিয়ায় কোন ওয়েবসাইটের বিপরীতে nslookup লিখে এন্টার দিবেন তখন হয়ত এরকম লেখাও আসতে পারে যে You are now authentized to this route.
এ রকম কিছু লেখা দেখলেই আপনি বুঝে নেবেন যে, ওই ওয়েবসাইটে স্পশর্কাতর তথ্য রয়েছে। ওই ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি নিচের ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ঐ সকল ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটটির নাম দিয়েই আপনি এর আইপি, স্থান, মালিকের নাম, কবে কেনা হয়েছে, মেয়াদ কত দিনের, দৈনিক ভিজিটর সংখ্যা, নেম সার্ভার ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তথ্য জোগাড় করা একজন হ্যাকারের প্রাথমিক কাজ। এটি না করলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আশা করছি আপনারা কোন ওয়েবসাইটের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তের কাজটি যথাযথভাবে করতে পারবেন। এতক্ষন আপনারা যা শিখলেন তা হচ্ছে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট কেন্দ্রিক। পরবর্তী অধ্যায়ে আপনাদেরকে জানাব কিভাবে কোন ব্যাক্তিকে ট্রেস করবেন। সে পযর্ন্ত ভালো থাকুন।
আমি M4H3D1 H454N। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 283 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষের কল্যানে ভালো কিছু করার ইচ্ছে আছে জীবনে।
মাহিদি ভাই,
IP হ্যাকিং করে লাভ কি?
IP হ্যাকিং করে কি করব?
আমার কাছে অনেক IP আছে এগুলো কি করব?
যদি IP হ্যাকিং করে কোন কিছু করা যায়, তাহলে কি ভাবে করতে হয়?
জানালে খুশি হব।