প্রফোশন বললেই সবার আগে টাকার কথাটা চলে আসে; হ্যাকিং হতে টাকা যদি না আসে তাহলে কিসের এতো গ্লামার আর কিসের তাতে গ্লোরিয়াস?
একজন প্রফোশনাল হ্যাকার তার ক্যারিয়ার দুইভাবে বেছে নিতে পারেন (১) সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট এবং (২) ব্ল্যাক হ্যাটস হ্যাকার হিসেবে.অন্যথায় হোয়াইট হ্যাটস আর গ্রে হ্যাটস হ্যাকিং জগতে খেয়ালী নয়তো উদারতাই প্রাধান্য পায় টাকা নয়!
একজন প্রফোশনাল হ্যাকার বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন। একজন প্রকৃত প্রফোশনাল হ্যাকার বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ভার্নাবল দিক খুঁজে সেটি হ্যাক করে ডাটাবেজ হতে বিভিন্ন তথ্য এবং স্পর্শকাতর উপাত্ত সংগ্রহ করেন এবং ব্ল্যাক মার্কেটে তা উচ্চ দামে বিক্রি করেন(ব্ল্যাক মানি বলে কিচ্ছু নেই; হাতে আসলে সব টাকারই সমান মূল্য বলে কথা)! হ্যাকারেরা শুধু ওয়েবসাইট নয় বরং বিভিন্ন একাউন্ট যেমন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ফেসবুক একাউন্ট, ইমেইল, স্কাইপি সহ ইন্টারনেটের সকল দুয়ারেই কড়াল থাবা বসাতে পারে.তাদের জন্য হ্যাকিং ফ্যাশন নয় বরং প্রফোশনাল প্যাশন!
হ্যাকারেরা ক্রেডিট কার্ড সহ ভার্চুয়াল ব্যাংকিং সেক্টরে হ্যাকিং হতে একরাতে রাতারাতি বড়লোক বনে যেতে পারে;কার্ডিং করে অন্যোর ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কতো হ্যাকার এতোদিনে কতো বড়লোক হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই.
ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং এর সবচেয়ে সহজ উপায় হিসবে সেইসব অপেক্ষাকৃত মাথামোটা মানুষেরাই টার্গেট থাকে যারা সেন্সিটিভ তথ্যগুলো সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনিরাপদ জায়গাতে ঝুকির ভেতর রাখেন আর সহজেই ভিক্টম বনে যান। এছাড়াও স্পেশাল সফটওয়ার, আনসেইফ ওপেন পাবলিক নেটওয়ার্ক, স্পাই ক্যামেরা, টাচিং কিপ্যাড পার কানেকশন ডিভাইস, স্পাইয়িং ম্যাগনেটিক ফিল্টার বাগ ইত্যাদি ব্যবহার করে হ্যাকার সহজেই কার্ডিং করে কোটিপতি হতে পারেন।
আর ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের জগতে সিস্টমে ট্রোজান ভাইরাস চালিয়ে হিডেন ইনফরমেশন হাতিয়েও ব্যাংক লুট করার কথা তো সবাই জানেন যার প্রকৃষ্টা এবং নিকৃষ্ট উদাহরন হলো ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারি!
এখানকার দিনে হ্যাকিং জগতে সবচেয়ে সহজসাধ্য এবং জনপ্রিয় হলো ডস/ডিডস এট্যাক।
একজন হ্যাকার নিজের কম্পিউটারে বসে ডাটা প্যাকেট জেনারেটর কিংবা লো অরবিটার আয়ন ক্যানোনের মতোন বিশেষ সফটওয়ার চালিয়ে স্রেফ এই ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস হতেই নিমিষেই ধষিয়ে দিতে পারে ওয়েবসাইট'টি!
সোস্যাল মার্কেটিং এর প্রতিযোগিতার যুগে আজকাল এক ওয়েবসাইট মালিক অন্য ওয়েবসাইটের ব্যাবসা মার দিতেও এমন ডিডস এট্যাকার(হ্যাকার) কে উচ্চ দরে হায়ার করতে পারে।
এছাড়াও হ্যাকারেরা কল স্ফুপিং, ইমেইল স্ফুপিং, ইমেইল বোম্বিং, কল স্পাইয়িং(যেমন টেলিফোনে আড়িপাতা ইত্যাদি), সাইবার ওয়্যার সহ বিভিন্ন কাজে দক্ষ হয়ো থাকে।
একজন প্রফোশনাল হ্যাকার অবশ্যই ব্ল্যাক হ্যাটস হ্যাকার(এই অর্থে→কেননা একজন হ্যাকার হ্যাকিং শিখে তার ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে হয় তিনি সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন নয়তো হ্যাকিংটাকে হাতিয়ার করে ইলিগাল পথ হতে টাকা ইনকাম করবেন। আর হোয়াইট হ্যাটস আর গ্রে হ্যাটস হ্যাকিং জগতে টাকা নয় বরং আবেগ নয়তো উদারতা কিংবা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের পথচলা)।
একজন ব্ল্যাক হ্যাটস হ্যাকার যতোই অ্যানোনিমাস হউন না কেন(পেইড ভিপিএন অর্থে) তার মুখোশ যেদিন খুলবে সেদিন সবাই থুথু দিবে আর তার জন্য ধিক্কারই অপেক্ষমাণ.
অতএব হ্যাকিং নিয়ে ক্যারিয়ার করতে চাইলে আগে নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন.একজন সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারলে কেবল টাকা নয় বরং সম্মান আর শ্রদ্ধাতে পরিপূর্ণ হবে আপনার জীবনটা; এইবার আপনিই ভাবুন আপনার ভাবনা.
শেষকথাতে এটাই বলবো বাংলাদেশে তথাকথিত হ্যাকিং শিখতে প্রতারক চক্র হতে দূরে থাকুন কেননা তারা আপনাকে হ্যাকিং শেখাবে না বরং আপনার পকেট হ্যাকিং করেই টাকা কাটবে অতঃপর নিজেরাই কেটে পড়বে!
হ্যাকিং শিখতে আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং ইন্টারনেট জগতে নিঃস্বার্থ সেইসব বাতিকওয়ালা আছেন যারা আপনাকে বিনামূল্যেই সবকিছু শেখাবে.আর নয়তো অন্তত পথের শেষে বাতি হাতে অন্তত আমাকে পাবেন।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইলো।
ফেসবুকে আমাকে পেতে পারেন→ Anonymous Hacker https://www.facebook.com/Anonymous-Hacker-1469263676534641
আমি অ্যানোনিমাস হ্যাকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 27 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আলোচনা দিয়ে শেষ করলেন শুধু?