হ্যাকিং নিয়ে একটা টিউন করার ইচ্ছা ছিল…

হ্যাকিং শিখতে চান কে কে?

আমি

কেন?

কেউ বলবেন আমি হ্যাকারদের থেকে বাচতে চাই। তাই হ্যাকিং সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে, তাহলে কিভাবে তাদের প্রতিরোধ করব (সত্য কথা)। কেউ বলবেন এই বিষয়টা অনেক মজার (আসলেই মজার)।

তো এখন আপনি বলবেন, হ্যাকিং শিখব। তাহলে আমি বলব হ্যাকিং শেখার কোন জিনিস না। এটা অনেক বেশি বিস্তৃত একটা শব্দ। এটা শুধু শেখার শুরু মাত্র। কেউ যদি আপনাকে বলে যে সে আবিস্কার করা শিখতে চাই। তাহলে আপনি তাকে কি বলবেন। আপনি কি মুখ লুকিয়ে হাসবেন না। আপনি সর্বোচ্চ যা বলতে পারবেন তা হল বেশি বেশি পড়। একই কথা হ্যাকিং এর বেলায়ও প্রযোজ্য।

তালা যে বানায় তার জন্য সে তালার চাবি বানানোও সহজ। কিন্তু অন্য কেউ যদি সে তালার চাবি বানাতে চাই তাকে আগে তালাটা সম্পর্কে জানতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই। তবে হ্যা যারা প্রতিরোধের জন্য শিখবেন মনে রাখতে হবে তাদের আরো বেশি শিখতে হয়। তো আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি আপনার সুরক্ষার জন্য যা করছেন তা পর্যাপ্ত কিনা। কথায় আছে হ্যাকাররা নাকি ঘুমায় না(এটাও সত্য কথা)। তাহলে চিন্তা করে দেখেন। তাদের কাছ থেকে বাচার জন্য আপনাকে কতক্ষন সময় দিতে হবে। বেশ কয়েকদিন ধরে টিটিতে একের পর এক হ্যাকিং নিয়ে টিউন হওয়াতে আশা করি মূল জিনিসটা সবাই ধরতে পেরেছেন।

প্রথমে ভেবেছিলাম খালি লেকচার দিয়ে যাব। পরে দেখলাম কেমন হয় যদি একটা গাইডলাইন তৈরি করে ফেলি।

কিছু সংজ্ঞা পড়ে নিন আগেঃ

হ্যাকারঃ সবচেয়ে সহজ বাংলা চোর। এদের কাজ শুধুই বন্ধ দুয়ার খোলা। সামান্য একটা ক্যালকুলেটর খোলা থেকে শুরু করে কম্পিউটার, কোন সফটওয়্যার এর সোর্স কোড, সাইটের Admin Power। মোট কথা যে কোন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি সেটা সফটওয়্যার হোক কিংবা হার্ডওয়্যার সম্পর্কে এদের ধারণা সবচেয়ে বেশি। অনেকে এদের দু'ভাগে ভাগ করেঃ সাদা টুপি ওয়ালা, কালো টুপিওয়ালা।( হ্যাকিং কি? হ্যাকার কে? কত প্রকার ও কি কি? সাধারণ ব্যবহারকারীও সহজে বুঝতে পারবে পড়ে দেখেন মজা পাবেন,অনেক কিছু জানতেও পারবেন)

ভাইরাসঃ নিজে থেকে বংশবিস্তার করতে পারে এমন সফটয়্যার বা কোডই হল ভাইরাস। কোনটা উপকার করে কোনটা অপকার।

এন্টিভাইরাসঃ ভাইরাস সনাক্ত করে মারাই এর কাজ।

কি-লগারঃ আপনি যা টাইপ করবেন তা এই সফটওয়্যারটি মনে রাখবে। এবং আপনার শত্রুর হাতে সেই তত্ত্য ফাস করে দিবে।

এন্টি কি লগারঃ কি-লগার কে ফাকি দেয়া, বোকা বানানো, ধরা, মারা প্রবৃত্তি এর কাজ।

পাসওয়ার্ডঃ বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় বানানো ডিজিটাল চাবি।

ফিসিং: এর বানান নিয়া এত ঝগড়া কেন আমি বুঝি না। যাই হোক এটা আপনাকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর একটা পথ। ধরেন আপনার প্রিয় একটা সাইটের নাম মাখন.কম এখন হ্যাকার সাহেব মাখন.বেশি নামের একটা সাইট বানালো হুবুহু মাখন.কম এর মত। পার্থক্য শুধু একটা এটাতে পার্সওয়ার্ড দিলে তা হ্যাকার মশায়ের কাছে চলে যাবে। তারপর সুন্দর মত আপনাকে লগিন না করিয়ে মাখন.কম/পার্সওয়ারড ভুল হয়চে আবার ট্রাই করুন এ পাঠিয়ে দিবে।

বিস্কিট চুরিঃ(Cookie Steal): আপনি যখন কোন সাইটে লগইন করেন তখন আপনার ব্রাউজার সাময়িক সময়ের জন্য আপনার পার্সওয়্যার্ড কুকি হিসেবে মনে রাখে। তা নাহলে ঐ সাইটের প্রতি পেজের জন্য আপনাকে বারবার লগিন করতে হবে। তো চোর মশাই আপনাকে একটা ফাদে ফেলে(সবচেয়ে কমন পদ্বতি হল আপনাকে একটা ভুয়া লিঙ্ক দিবে) আপনার সেই কুকি চুরি করে ফেলবে। এরফলে হ্যাকার আপনার পার্সওয়্যার্ড না জেনেও আপনার একাউন্টটা ব্যাবহার করতে পারবে।

এবার আসি আসল কথায়(গাইডলাইন):

১ম ধাপঃ ইলেক্ট্রনিক্সের বিভিন্ন জিনিস খুলে আবার লাগান। সামনে যা পানঃ ক্যালকুলেটর, কম্পিউটার। এতে আপনার একটা সাধারণ ধারনা জন্মাবে। আপনার খোলাখুলির অভ্যাস তৈরি হবে যা হ্যাকারের প্রধান গুণ।

২য় ধাপঃ কম্পিউটার নিয়ে বাজারে যত বাংলা বই আছে সংগ্রহে রাখুন(যত পারেন)। আর সব নিয়মিত পড়তে থাকুন।

৩য় ধাপঃ এবার ধীরে ধীরে কয়েকটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে ফেলুন। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর উপর আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে। আপনি তত ভাল হ্যাকার হতে পারবেন কোন সন্দেহ নেই। কোনটা শিখবেন? সি প্রোগ্রামিং দিয়ে যাত্রা শুরু করে দেন(জাকির ভাইয়ের সাথে) > এইচ.টি.এম.এল(HTML) >জাভাস্ক্রিপ্ট( javascript) >পার্ল( perl) >পাইথন( python) > . . .> এই যাত্রা শেষ করবেন না। যত দিন নিজেকে হ্যাকার হিসেবে দেখতে চাইবেন ততদিনই শিখে যাবেন। যত পারেন, যত ভালো পারেন, যত বেশি পারেন।

৪র্থ ধাপঃ উইনডোজ পরিত্যাগ করুন, লিনাক্স গ্রহণ করুন। হ্যাকারদের জন্য লিনাক্সের চেয়ে ভাল কোন অপারেটিং সিস্টেম নাই। একটা বাড়তি সুবিধা হল আপনি চাইলেই এটি নিজের মত করে পাল্টাতে পারবেন। কারণ এর সোর্স কোড সম্পূর্ণ উন্মূক্ত।

৫ম ধাপঃ ইন্টারনেটের কানেকশন নিন। আনলিমিটেড হলে ভাল হয়। কারণ প্রথম প্রথম আপনাকে প্রচুর বই, ভিডিও,সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে। তারপর গুগলে খুজে কয়েকটা হ্যাক ফোরামস এ রেজিষ্ট্রেশন করেন।

৬ষ্ঠ ধাপঃ ঘর থেকে পালিয়ে যান। একমাসের জন্য। সাথে বেশ কিছু টাকা ল্যাপটপ আর মডেম টা নিন। একটা ব্যাচলর বাসা বাড়া নিন। তারপর ঘড়ি দেখা ভুলে যান। রাতদিন এক করে শুধু এটা নিয়ে পড়ে থাকুন। আমি কথা দিচ্ছি আপনার প্রতিদিনের উন্নতি তুলনা করে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

৭ম ধাপঃ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। হ্যাকার হিসেবে নতুন জীবন শুরু করুন। নিজের আলাদা একটা কোড নাম সিলেক্ট করুন। পুরোপুরি আলাদা জীবন(ভার্চুয়াল জগতে) তৈরি করুন। তারপর............................................................ হ্যাপি হ্যাকিং

পুনশ্চঃ এগুলো সম্পূর্ন অবৈজ্ঞানিক এবং শুধুমাত্র আমার এলোমেলো চিন্তার ফসল। এই গাইডলাইনের এক লাইনও আমি নিজে মেনে চলি নি। আমি কোন পর্যায়ের হ্যাকারই না।

Level 0

আমি মাখন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 37 টি টিউন ও 961 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি একটা ফাজিল। সবসময় ফাজলামো করতে ভালোবাসি। আর আমি প্রায় সবসময় হাসিখুশি থাকি। আমাদের সমাজে সবার এত বেশি দুঃখ যে কাওকে একটু হাসতে দেখলেই মনে করে তার মাথার স্ক্রু কয়েকটা পড়ে গেছে। আমি তাদের সাথে একমত, আমার শরীরের যে অংশ আমাকে হাসতে দেবে না, আমার তার দরকারও নাই।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাল লেগেছে।

৬ষ্ঠ ধাপঃ ঘর থেকে পালিয়ে যান। একমাসের জন্য। সাথে বেশ কিছু টাকা ল্যাপটপ আর মডেম টা নিন। একটা ব্যাচলর বাসা বাড়া নিন। তারপর ঘড়ি দেখা ভুলে যান। রাতদিন এক করে শুধু এটা নিয়ে পড়ে থাকুন। আমি কথা দিচ্ছি আপনার প্রতিদিনের উন্নতি তুলনা করে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
“ঘর থেকে পালিয়ে না গিয়ে আপনার রোমে রাতদিন এক করে শুধু এটা নিয়ে পড়ে থাকুন” এটা হলে ভালো হবে আমার মতে।আপনি কি বলেন?
জটিল লিখেছেন।

    আরে ভাই, আপনার মা আপনাকে রাত-দিন কম্পিউটার নিয়ে পরে থাকতে দেবে ভেবেছেন। পালানো ছাড়া আর কোন পথ ই নাই। হা হা হা।

    আর পালিয়ে গেলে তো মা পাগল হয়ে যাবে।

মজা লাগলো। 🙂 Thank you Mr.

ওরে বাবারে, ও মাখন ভাই, এ দেখি পুরাই পাঙ্খা।

    শীতকালে পাংখা দিয়ে কি হবে বলেন। 😀

    না মাখন ভাই, আসলেই খুব ভালো হয়েছে, সবচে বড় কথা কথার মধ্যে কোন প্যাচ গোচ নাই, সুন্দর এবং সাবলিল সবাই বুঝতে পারবে।
    এরকম আরো টিউন চাই নইলে জবাই।

দারুণ তো! আমি ৩ এর খ তে (পিএইচপি) আছি। আমার জন্য দোয়া করেন 😀

    ওরে বাবা, আমি নিজে এখনো দুই নাম্বারে আটকে আছি। 🙁

Eto pura makhon…

Level 0

আমি।

    ধারুন তো, আপনি শুধুই আপনার। আসেন এইবারের ভালবাসা দিবসে নিজেকে একটা লাল গোলাপ দিয়ে বলি ভালবাসি আমায়।

ওলে ওলে >>>>>!!!!!!!!!!!!>>>>>>>>>
জটিল !!
tanko tanko

খুব ভাল হয়ছে…একে বারে সাবলিল ভাবে বলেছেন…আর ঘর থেকে না পালালে এটা করা যাবে না 😀 কারন মা ত পিসির সামনে বসা পছন্দই করে না।:D

বেশ জটিল টিউন মজা পেলুম।এমন ব্যাতিক্রমী টিউন মাঝে মধ্যে আবার করবেন।
”তালা যে বানায় তার জন্য সে তালার চাবি বানানোও সহজ। কিন্তু অন্য কেউ যদি সে তালার চাবি বানাতে চাই তাকে আগে তালাটা সম্পর্কে জানতে হবে।”–সহমত।একেবার ঠিক কথা বলছেন।

কিন্ত আমরা ফিশিং স্ক্রীপ্ট দিয়া ফেইসবুক হ্যাকিং (পাশের বাসার নিজের বন্দ্বু) আর কীজেন,প্যাচ (গুগল সার্চ করে মাউসের বাটন এর বারটা বাজিয়ে) সফটওয়ার ক্রাক করিয়া নিজেকে হ্যাকার এর তালিকায় দেখতে চাই।হাহাহা।

    ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ। 😀

Level New

আভে মাখন ইয়েহ তুনে কেয়া কিয়া ? ইতনি জাবার দাস্ত পোস্ট কারদি, হারামি 😛

অনেক ভালো পোস্ট হয়েছে। পড়ে ভালো লাগলো।

    ভাইয়া হিন্দিতে গালি দিলেন বলে মাইন্ড করলাম না। আমি হিন্দি একটু বেশি অপছন্দ করি তো। মাইনাসে মাইনাসে কাটাকাটি। 😉
    এটা অনেকটা ইচ্ছা হইল আর করে ফেললাম ব্যাপার হয়ে গেল। তবুও ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগল। 😉

হা হা
হ্যাকার মাখন ভাই জটিল হয়েছে।

    মাখন সবসময়ই ফাজিল। হ্যাকার হওয়া এখনো বহু দূর।

হ্যাকিং এর টিউন হলেই সবাই খুব উতসাহ দেখায়। হা হা হা।
ইচ্ছে করছে আমার করা কয়েকটি হেকিং এর বর্ননা ধারাবাহিক আকারে টিউন করি।
আপনারা কি বলেন?
ধন্যবাদ ” মাখন ভাই”।

    অসুবিধা নাই চালায়া যান।

মাখন দেখি এখন সবাইকে চন্ন ছাড়া বানিয়ে ছাড়বে। আসলেই মাখন এর মজাই আলাদা।ধন্যবাদ সুন্দর মজার টিউনের জন্য।

Really very Funny 😀 😀 😀

হা হা। পড়ে মজা পাইলাম।
তবে ২য় ধাপে মনে হয় ইংলিশ বই পড়লে বেশি ভাল হয়।
“জ্ঞানের কোন শেষ নাই, জ্ঞানের চেষ্টা বৃথা তাই” – হীরক রাজার দেশে মুভির একটি মজার ডায়ালগ এবং আমার পছন্দের 😀

Level 0

Shob e thik silo, jodi na Hacker k chor bole shommodhon kora nahoto, hacker ra chor hobe naki bhalo habe sheta nirvor korbe hacker er opor. R hacker der hat theke rokkha pete gele hacker der theke bhalo hacker hote hobe eta k bollo?? jemon phishing er kotha boli jodio eta backdated hoye gese notun ekta method ber houar por, j phishing theke rokkha pete gele phisher houra ki dorkar?? just link er dike takalei to bojha jabe j oita phishing link naki original link. Phishing shomporke to kono details janar dorkar nei jodi kina keu hacker der hat theke bachte chai!!. R Bhalo ekta full protection security jemon Kaspersky Internet Security, Bidefender Internet Security, othoba Norton er Internet security er je kono ekta thakle onek onek rokom hacking theke bacha shombhob. R aro ekta point holo j hacker hote gele rater ghum haram kora lage na, bhalo guidance, dhorjo r shomoi niye dhap e dhap e shikhle rater ghum haram korar kono dorkar e pore na.

Level 0

Butter মিঞা not bad…

Level 0

best tune in the hahing world…………………………………………………………………………….supper
Goru,,,,,,,,,,,,,,,hacking bosssss,,,,,,,,,,,u r bossssssssssssssssss….thank u ……”’.

Level 0

bhai moja lon???/