সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন! যাই হোক চলে যাই মুল টিউনে, টিউন শুরুর আগে কিছু কথা, এই লিখাটি (টিউন) এর আসল লেখক Kashim Uddin Masum ভাই, আমি ওনার অনুমতি নিয়ে ওনার ব্লগ থেকে আরো কিছু এড করে আপনাদের সামনে তুলে ধরতাছি 🙂
ফেসবুক হ্যাকিং এখন এত সুজা নয় বা কোন হ্যাকার নেই ফেসবুক ডাইরেক্টলি হ্যাক করবে। কারণ ফেসবুকের কোন দুর্বলতা দেখিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরুস্কার ঘোষণা করেছেন ফেসবুকের সি ই ও Mark Zuckerberg সো যদি কেও যদি ডাইরকেটলি ফেসবুক হ্যাক করতে পারে তাইলে সেই প্রথম ১০ লক্ষ টাকার মালিক হবে আপনাকে আমাকে বলবে না। তাই এইস সব প্রশ্ন থেকে বিরত থাকবেন । "ভাই আমি ফেসবুক হ্যাকিং শিখব, আমায় একটা আইডি হ্যাক করে দেন আমি আপনায় প্রয়জনে টাকা দিব কত দিবেন বর জুরে ১০ হাজার? আর হ্যাক করতে পারলে ১০ লক্ষ :p 😛 এখন বুজলেন। তাই এই সব প্রশ্ন থেকে বিরত থাকবেন, আর কাওকে টাকা দিবেন ও না। নাইলে আম সহ আম গাছ যাবে। 😀 তাহলে এখনতো ক্লিয়ার হলেন আসলেই কি হ্যাক করা যায়! ফেসবুক হ্যাকিং বা তখনি হয় যখন একজন কোন ভুল করে, একজন ইউজার যখন ভুল করবে তখনি আপনি তার আইডি হ্যাক করতে সফল হবেন!
তবে কি ফেসবুক আইডি হ্যাক করা যায় না? যায় তবে তা ইউজার কে বুকা বানানো বা ইউজার এর ভুল এর সুযোগ নেওয়া। আর আমি আপনাদের সাথে আজ আলোচনা করব ফেসবুক হ্যাকিং সেরা ৫ উপায় গুলা।
ফেসবুক হ্যাকিং এর অন্যতম আর সব চেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ফিশিং। ফিশিঙে একজন হ্যাকার ফেসবুকের লগ ইন পেজ এর মত দেখতে একটি পেজ তৈরি করে, যা একটি নখল লগইন পেজ। এই ফেইক লগ ইন পেজ কে ভিক্টিম আসল ফেসবুক পেজ মনে করে লগ ইন করে এবং লগ ইন এর সাথে সাথে ভিক্টিম এর ইমেইল পাসওয়ার্ড চলে যায় হ্যাকার এর কাছে। 😀
ফিশিং পেইজ দেখতে এই রকম হয় ➡
ফিশিং সম্পর্কে আর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
কিলগিং (keylogging)-
ফেসবুক হ্যাকিং এর আরেকটি জনপ্রিয় এবং অন্যতম পদ্ধতি কি লগিং :D। কি লগিং (keylogging) হচ্ছে খুবই বিপজ্জনক পদ্ধতি, অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটার সম্পর্কে দক্ষ মানুষ ও কি লাগার দ্বারা আক্রান্ত হন। 😀
এ ক্ষেত্রে হ্যাকার যে কোন ফাইল বা কোন একটি ছবি বাইন্ডিং করে ভিক্টিম এর কম্পিউটারে সেন্ড করে দেয়, keylogging ভিক্টিম এর কম্পিউটারে সকল ধরনের অ্যাক্টিভিটি রেকর্ড করে। যেমন, {ফেসবুক ইমেইল, ইমেইল পাসওয়ার্ড সহ কম্পিউটার এর যাবতীয় কিছু} তারপর FTP- র দ্বারা বা সরাসরি হ্যাকারের ইমেইল ঠিকানায় যাবতীয় রেকর্ড সেন্ড করে।
কি লগিং থেকে রক্ষা পেতে হলে আপনার কম্পিউটারে সবসময় একটি ভাল এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। এবং Untrusted ফাইল ব্যবহার পরিহার করার চেষ্টা করুন।
আর জানতে এখানে
মোবাইল ফোন হ্যাকিং (mobile phone hacking)-
বিশ্বের প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করে। আর মোবাইল দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার কারির মোবাইল যদি হ্যকার ভিক্টিমের মোবাইল হ্যাক করতে পারে তাহলে হ্যাকার খুব সহজেই সে ভিক্টিম এর ফেসবুক access নিতে পারবে। যদি ভিক্টিম এবং হ্যাকার একই Network এ থাকে তাহলে হ্যাকার সহজেই DNS Spoofing
ব্যবহার করে Facebook.com অরজিনাল পেজ কে চেঞ্জ করে ফিশিং পেজে রুপান্তর করতে পারবে।
DNS Spoofing ডাউনলোড করতে এখানে কিল্ক করুন DNS Spoofing নিয়ে ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
৪নাম্বার
(ইউ এস বি হ্যাকিং) USB Hacking-
এটা প্রায় কিলগিং এর মত। এ ক্ষেতে হ্যাকার তার পেনড্রাইভে এমন একটি প্রোগ্রাম করে রাখে যা ভিক্টিম তার কম্পিউটারে লাগানো মাত্রই আটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায় এবং keyloggingএর মত কাজ করে। তার ফলে ই এস বি এর জন্য হ্যাকার ভিক্টিম এর সকল রেকর্ড পেয়ে যায়।
ভাল এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। এবং ইউ এস বি ডুকালে নিয়মিত স্কেন করুন
৫ম
Stealers ➡
প্রায় 59% শতাংশ মানুষ, তাদের ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখেন। কিন্ব্যতু অনেক সময় এই Stealers বিপজ্জনক হয়ে উটে :D।Stealers সফটওয়্যার বিশেষভাবে ভিক্টিমের ব্রাউজারেসংরক্ষিত পাসওয়ার্ডগুলি ক্যাপচার করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে করা হয়েছে।
তাছাড়া, আরো অনেক পদ্ধতি আছে হ্যাকিং এর যেমন, সেশন ছিনতাই, Sidejacking With Firesheep, . Man In the Middle Attacks, Botnets ইত্যাদি।
আর কিছু জানতে চাইলে আমায় পাবেন ।
কোন সমস্যা হলে আমায় পাবেন ফেসবুকে
ক্রেডীট- কাশিম উদ্দিন মাছুম
প্রথম প্রকাশিতঃ- জানতে ও জানাতে ডট কম ওয়েবসাইটে
আমি আমি একজন ভাল ছেলে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কিছু নাই
Onekk valo laglo. notun kicu sikhlam. thanks