বাংলাদেশে হ্যাকিং এর শুরু আসলে কবে তা বলা কিছুটা মুশকিল । ২০০৪ - ২০০৫ এ বাংলাদেশের এর কৌতূহলী কিছু ছেলেরা কম্পিটারের পাসওয়ার্ড হ্যাকিং করত । তারা বিদেশী বিভিন্ন ফোরাম , ইংরেজি বই টই ঘেটে বের করত হ্যাকিং এর নানা উপায় । এরপর তারা সন্ধান পায় ডার্ক ওয়েব এর , এর মাধ্যমে বিদেশী হ্যাকার দের সাথে তাদের পরিচয় ঘটে । এরপর অনেক দুর্ধর্ষ কাজকর্ম শুরু বাংলাদেশি ছেলেপেলেরা ।
২০০৮-২০০৯ এ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত এ হ্যাকিং বাংলাদেশ এ অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করে । বাংলাদেশ এর তরুনরা অনেক দারুন সব কাজ শুরু করে । যদিও তারা সেসময় অনেক বেশি অনভিজ্ঞ ছিল । ২০১০ এ বাংলাদেশ এ প্রথম হ্যাকিং টিম গড়ে ওঠে । ২০১১ তে ভারতবিরোধি চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিল হ্যাকাররা । এরপর থেকে বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস কে কারো হাত ধরতে হয়নি । বিশ্বমানের প্রোগ্রামার এর সাথে বাংলাদেশ তৈরি করে বিশ্বমানের হ্যাকার ।
এখন বাংলাদেশ এর হ্যাকার রা কি করছেনা ... হ্যাক করছে আপনার মোবাইল থেকে শুরু করে ক্রেডিট কার্ড , ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সার্ভার আরো কত কি !! এসব কাজ চরম আনন্দদায়ক , উত্তেজনাকর , বৈপ্লবিক কিন্তু ... ভালোভাবে ভেবে দেখেছেন এগুলো আসলে অপরাধ , সাইবার অপরাধ । যে কোন দেশের আইনেই আপনি অপরাধী । তাই আপনার হ্যাকিং দক্ষতাকে লাগানো উচিত কোন ভালো কাজে ।
এইসকল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা করে বিভিন্ন ডিগ্রি যেমন অর্জন করা সম্ভব , ঠিক তেমনি নিজেকে একজন সিকিউরিটি রিসার্চার বা সিকিউরিটি প্রফেশনাল হিসেবেও গড়ে তোলা সম্ভব ।বহিঃ বিশ্বে সিকিউরিটি প্রফেশনাল দের ব্যাপক চাহিদা । অথচ আমাদের বাংলাদেশ এর ছেলেরা এখনও ওয়েবসাইট ডিফেস শিখতে চায় , হ্যাকিং টিম তৈরি করে , ফেসবুক আইডি হ্যাকিং শিখতে উঠেপড়ে লাগে !!!
তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরন এর জন্য আমাদের আশা উচিত নিয়মের ভিতরে । বাংলাদেশ এ ভালো মানের সিকিউরিটি প্রফেশনাল সংখ্যা খুবই নগণ্য । বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ হল অফ ফেইম পেয়েছে এমন সংখ্যা হাতে গোনা ৮-১০ জন । অথচ এই ক্ষেত্রে অমিত সম্ভাবনা বিদ্যমান । সঠিক দিকনির্দেশনা আর চর্চা করলে এই ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে । ঠিক এখন যেমন আপনি একজন ফ্রি লান্সার হিসেবে পরিচিত হয়ে বাংলাদেশ এর নাম উজ্জ্বল করছেন । ঠিক তেমনি সিকিউরিটি প্রফেশনাল হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এর নাম উজ্জ্বল করবেন ।
সিকিউরিটি প্রফেশনাল / সিকিউরিটি রিসার্চার শব্দগুলো বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে বেশ নতুন । বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের নতুন নেশা তারা হ্যাকার হতে চায় , আমরা চাই বাংলাদেশ এ নতুন একঝাক সিকিউরিটি প্রফেশনাল গড়ে উঠুক , এই প্রত্যয় নিয়ে Cybertrendz Incorporated শুরু করছে , দেশের প্রথম ইথিকাল অনলাইন পেনেট্রেশন টেস্টার'স স্কোয়াড SQUAD ZERO
যারা বর্তমানে হ্যাকার বা প্রোগ্রামিং এ দক্ষ তারা যোগ দিতে পারেন এখানে । বিস্তারিত নিয়মাবলির জন্য
http://squad0.cybertrendzinc.com
এখানে আমরা বিদেশী / দেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইট পেনেট্রেট করব এবং রিপোর্ট তৈরি করব । আমরা বাগ বাউন্টির জন্যও বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর রিপোর্ট তৈরি করব । মূল কথা আমরা একটা ইথিকাল হ্যাকার দের কমিউনিটি তৈরি করতে বদ্ধপরিকর যারা ভবিষ্যৎ এ সিকিউরিটি প্রফেশনাল হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারবে ।
ফেইসবুক এ আমাদের অফিশিয়াল কমিউনিটিঃhttps://www.facebook.com/groups/CY133R
আমি সাইবারট্রেন্ডজ ইনকর্পোরেটেড। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Quality of Authenticity | Service With Integrity
ভালো উদ্যোগ,হ্যাকিং বলতে তো আমরা খালি ওয়েবসাইট দিফেসিং কেই বুঝি,তবে আপনেরা যদি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ফ্রি পেনিট্রেশন টিউটোরিয়াল[যদিও টি টাইম লাগবে] বানাতে পারেন তাহলে অনেক সারা পাবেন,কারণ হ্যাকিং র উপর সবার আগ্রহ আছে.and yeah nice step,go ahead……………….