(এই টিপসগুলো হয়ত অনেকের জানা থাকতে পারে। যারা জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট)
আজকাল দেখা যায়, বেশিরভাগ ফেইসবুক ব্যাবহারকারিরা একটি কমন অভিযোগ করেন আর তা হচ্ছে "আমার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে, কিভাবে এটি রিকভার করব?" সমস্যাটি ইদানিং চরম আকার ধারন করেছে।
আজকে আমি ফেইসবুক ইউজারদের জন্য তেমনই একটি পোস্ট করব যাতে পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, হ্যাকিং এর পিছনের অজ্ঞাত কারণগুলো।
সত্যি বলতে কি, ফেইসবুক একটি সিকিউর ওয়েবসাইট এবং অন্যদের থেকে অনেকাংশেই ভাল। ফেইসবুকের সিকুরিটি সিস্টেম ব্রেক ডাউন করা কিন্তু চারটিখানি কথা না।
তার আগে বলে রাখি, ফেইসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যার নামে অ্যাকচুয়ালি কোন সফটওয়্যার নেই। ইন্টারনেটে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফেইসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যার পাবেন যেমন, 007 Facebook Hack Software, Facebook ID Hack Software ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে, এই সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে ম্যালঅয়্যার বহনকারী এক ধরনের হ্যাকিং টুল অর্থাৎ এগুলো আপনার সেনসেটিভ ডাটা যেমন, ইমেইল, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ফোন নাম্বার ইত্যাদি যেগুলো মার্কেটিং এর কাজে ইউজ হয় সেগুলো হ্যাক করতে ব্যাবহার করা হয়।
যাক, একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে হলে প্রথমেই একজন হ্যাকারকে ক্রিমিনাল মাইন্ডের অধিকারি হতে হবে। ব্যাপারটা কি এতই সহজ? চলুন আমরা আরও ভেতরে প্রবেশ করি।
নিচে হ্যাকিং এর ৭টি কমন পদ্ধতি সম্পর্কে আলচনা করা হলঃ
উপরের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে ১ ও ২ নং পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিকটিমের অরিজিনাল পাসওয়ার্ড দেখতে পারবেন ও হ্যাক করতে পারবেন। বাকি পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করে আপনি ভিকটিমের পাসওয়ার্ড রিসেট করে হ্যাক করতে পারবেন। সুতরাং, "কিলগার ইজ দ্যা বেস্ট"।
কিলগার হচ্ছে ফেইসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকিং এর একটি অতি সাধারন ও ফলপ্রসূ পদ্ধতি। এটি ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে খুব একটা দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান আছে এমন যেকেউই এটি ব্যাবহার করতে পারে।
সাধারনত একজন ইউজার কিবোর্ডে যা টাইপ করে কিলগার তা রেকর্ড করে। সুতরাং, ভিকটিম যদি এটি ইন্সটল থাকা অবস্থায় তার কম্পিউটারে তার ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড টাইপ করে, তাহলে কিলগার তা রেকর্ড করবে এবং এভাবেই হ্যাক হয় একজনের অ্যাকাউন্ট।
সফটওয়্যার কিলগার হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম, যা একজন ইউজারের প্রত্যেকটি কিস্ট্রোকের তথ্য ইউজারের অজান্তেই অটোমেটিক্যালি রেকর্ড করে। যখন একজন হ্যাকার এটি তার টার্গেট কম্পিউটারে ইন্সটল করে তখন থেকেই এটি তার কাজ শুরু করে। এটি কম্পিউটারের স্টার্টআপ থেকে শাটডাউন পর্যন্ত উক্ত কম্পিউটারের কিবোর্ডে যতগুলো বাটন প্রেস করা হয়, তার একটি রেকর্ড ইউজারের অজান্তেই অটোম্যাটিক্যালি সেইভ করে। কিলগার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিটেক্ট করা অসম্ভব হয়ে থাকে।
সফটওয়্যার কিলগার ব্যাবহার করতে আপনাকে হ্যাকিং এর উপর খুব একটা দক্ষ না হলেও চলবে। সফটওয়্যার কিলগার এর একটি বেস্ট উদাহারন হচ্ছে "Winspy Pro"।
সফটওয়্যার কিলগারের মত হার্ডওয়্যার কিলগারও একটি কিবোর্ডের কিস্ট্রোক ক্যাপচারিং টুল তবে এটি ব্যাবহার করতে হলে ভিকটিমের কম্পিউটার হাতের নাগালের মধ্যে থাকতে হবে। ইন্টারনাল মেমরিযুক্ত হার্ডওয়্যার কিলগার হচ্ছে ইউএসবি পেনড্রাইভের মত একটি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ। PS2 কিলগারগুলো কিবোর্ড ও কম্পিউটার এর সংযোগস্থলে স্থাপন করা হয় (ছবিতে দেখুন)।
ক্ষুদ্র হলে কি হবে, এটি পিসি স্টার্টআপ থেকে শাটডাউন পর্যন্ত কীবোর্ডের সকল অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করার ক্ষমতা রাখে।
বাকিটুকু পরের পর্বে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
টেকটিউনসের টিউটোরিয়াল ও অনুপ্রেরণায় গত ১লা ডিসেম্বর আমি ব্লগারে একটি ব্লগ খুলেছি। আপনাদের সবার কাছে আমার আকুল আবেদন, একবার হলেও আমার ব্লগটি ঘুরে এসে আপনাদের মতামত জানাবেন। আমি আপনাদের মতামতের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকব। এই পোস্টটি সর্বপ্রথম আমার ব্লগেই প্রকাশিত।
আমার ব্লগঃ http://becontech.blogspot.com/
ব্লগটি ভাল লাগলে ব্লগটির ফেইসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি বিকন এভারগ্রীন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 141 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট
bah, apnar blog a to khub sweet hoyeche. just bampasher menu ta mone hoy aro kom wide hole majher column (blog) er jonno besi space pawa jeto.
ami amar blog e apnar lekha ta share korlam (sutro soho), I hope you don’t mind…