কখনো ভেবে দেখেছেন Google কেন আপনাকে চ্যানেল মনেটাইজ করার জন্য কঠিন ৩টা শর্ত দিয়ে রেখেছে?
কেন অনেকেই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম নিয়েও ১ নম্বর শর্ত পূরণ করতে না পেরে দীর্ঘদিনের কষ্টে করা ইউটিউব চ্যানেলকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে?
নতুন ইউটিউবাররা অনেকেই এটা ভেবে হয়রান হয়ে যাচ্ছে যে কিভাবে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম জোগাড় করবে? ১০০% সোজা পথে সেটা করতে গেলে তো বছরের পর বছর পার হয়ে যাবে। আবার ২ নাম্বারি করলে চ্যানেল মনেটাইজেশন অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যাবে না।
নতুন ইউটিউবারদের জন্য চ্যানেল মনেটাইজ করার জন্য গুগল ৩টা শর্ত দিয়ে রেখেছেঃ
১. দৃশ্যমান সকল শর্তাবলী ও নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। (গুগলের চিপায়-চাপায় এমন অন্তত ১০০ শর্তাবলী ও নিয়ম আছে)। - সবচেয়ে কঠিন শর্ত
২. ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হতে হবে। - তুলনামূলক সহজ শর্ত
৩. গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে। - আপাতদৃষ্টিতে কঠিন শর্ত
এই ৩টি শর্ত সহজে পূর্ণ করার সবচেয়ে সোজা পথ হচ্ছে ১০০ ভাগ সততা আর পাহাড়সম ধৈর্যের সাথে, চাহিদাপূর্ণ ভাল মানের ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে। সাথে লাগবে ইউটিউব SEO করার এক্কেবারে বেসিক জ্ঞানটুকু। এভাবে আগালে সময় লাগবে অনেক। কিন্তু আখেরে আপনি হতে পারবেন একজন সফল ইউটিউবার। পথটা যেহেতু লম্বা, স্বাভাবিকভাবেই শতকরা ৯৫ ভাগ লোক এ পথে আগাতে পারে না।
শতকরা ৭০-৮০ ভাগ ইউটিউবার আছেন যারা যথেষ্ট পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট অথবা SEO অভিজ্ঞতা অথবা থার্ড পার্টির হেল্প নিয়ে ১ম পদ্ধতির চেয়ে কম সময়ে চ্যানেল মনেটাইজ করে ফেলে। এ পথ ব্যবসায়ী আর বুদ্ধিজীবিদের জন্য।
বাকি থাকল ১০-১৫% লোক যারা একটু ব্যতিক্রম। এরা চায় অল্প সময়ে চ্যানেল মনেটাইজ করতে। কিন্তু খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট করতে চায় না। খুব বেশি SEO-ও করতে চায় না। আবার গুগলের নিয়মনীতি ১০০ভাগ মানেও না বা জানে না। এ ধরনের ইউটিউবারদের সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে এরা আলসে। এবং অবধারিতভাবেই সকল আলসে লোকের মত যে কোন কাজ অল্প আয়াসে করে ফেলার কোন না কোন পথ তারা বের করেই ফেলে।
আপনি কোন পথে হাটবেন সেটা আপনার ব্যাপার। তবে যেহেতু এ ধরনের একটি লাইক, ভিউ, সাবস্ক্রাইব শেয়ার গ্রুপের মধ্যে আছেন, ধরে নেয়া যায়- আপনিও আমার মতই শেষ দলের লোক। আমাদের মত ইউটিউবারদের জন্য শেয়ারিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে এ ধরনের শেয়ারিং এ অনেকগুলো রিস্ক আছেঃ
১. বেশিরভাগ সাবস্ক্রাইবগুলো হয় ভুয়া জিমেইল আইডি থেকে। গুগল কে কি বোকা পাইছেন? আপনি কোন কালারের আন্ডারওয়্যার পড়েন সেটা পর্যন্ত সে জানে, আর এটা ধরতে পারবে না?
২. অরিজিনাল সাবস্ক্রাইবার যারা, তারাও চ্যানেলের সংখ্যা বেশি হয়ে যাবার কারণে একসময় অনেক চ্যানেল থেকে আনসাবস্ক্রাইব করে ফেলে। এখানে মনে রাখবেন- আপনি চাইলেও প্রাথমিক অবস্থায় ২০০০ এর বেশি চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন না। গুগল আপনাকে সেটা করতে দিবে না।
৩. সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- ওয়াচটাইম জোগাড় করা। টাকার বিনিময়ে হোক আর অন্য যেভাবেই হোক - কে কতক্ষণ আপনার ভিডিও দেখতেছে সেটা বের করা অনেক কঠিন। তাই কারো উপরে ১০০ ভাগ ভরসা করাও যায় না। আবার গুগল এ ধরনের ওয়াচটাইমকে অনেক সময় বিভিন্ন চিপা-চাপার শর্তের মধ্যে ফেলে রিমুভ করে দেয়, এমনকী চ্যানেল পর্যন্ত ব্যান করে দেয়।
৪. এ লাইনে বাটপারের সংখ্যা অগণিত। ভিউ, লাইক, সাবস্ক্রিপশন, ওয়াচটাইম কেনাবেচা যে কি ঝক্কি তা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন।
উপরের ৪টা সমস্যারই সমাধান করে ও কোন টাকা খরচ না করেই কিভাবে সবচেয়ে সহজ উপায়ে আপনার চ্যানেল মনেটাইজ করবেন সেটা জানতে চাইলে যোগ দিন দেশের প্রথম ইউটিউব কম্যিউনিটিতে। বিস্তারিত জানতে ও কম্যিউনিটিতে যোগ দিতে নিচের লিংকে যানঃ
আমি শামীম আল মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি অন্তর্মুখী মানুষ। কম কথা বলার প্রবণতা থেকে তৈরি হয়েছে লিখে নিজেকে প্রকাশ করার অভ্যাস। নিজের ব্লগ দ্য হিডেন ট্যাবলেট এ মাঝে মাঝে লিখি। আপনাদেরও ভাল কিছু দেয়ার চেষ্টা থাকবে সবসময়।