ঘরে বসে আয় করুন টিউটোরিয়ালে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমরা সবাই জানি অনলাইন হতে আয় করার সম্পর্কে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা অনলাইন হতে আয় করার পদ্ধতিগুলো কি কি । অনলাইন হতে আয় করার যে সকল পদ্ধতি গুলোর রয়েছে তার মধ্যে অনতম পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগিং করে আয় করা। আমার মতে ঘরে বসে অনলাইন আয়ের সহজ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগিং। আমাদের আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমরা যে সকল বিষয় আলোচনা করব আসুন তা এক নজরে দেখে নেই:
১) ব্লগিং ও ব্লগার কি?
২) ব্লগিং করতে হলে আমাদের কি কি প্রয়োজন ও বিষয় জানতে হবে?
৩) ব্লগিং করে আয়ের উংস সমূহ?
৪) উপার্জিত অর্থ আপনি কিভাবে হাতে পাবেন?
৫) ডোমেইন ও সাব-ডোমেইন কি?
৬) হোস্টিং কি?
তাহলে আসুন আর দেরি না করে আমরা ধাপে ধাপে আজকের টিউটোরিয়ালটি শুরু করে দিই।
নিজের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সমূহকে নিয়ে বা কোন নির্দিষ্ট্য বিষয়ের উপর ধারাবাহিক ভাবে কোন লিখা অনলাইনে প্রকাশ করে তা সকলের সাথে শেয়ার করাকে ব্লগিং বলে। আর এই কাজ সমূহ আমার যে সাইটে করে থাকি তাকে বলা হয় ব্লগ বা ব্লগ সাইট। আর এই লেখা গুলো যে লিখে থাকে তাকে বলা হয় ব্লগার। আমি একদিন গুগলে সার্চ করে জেনেছিলাম ব্লগারদেরকে আন্তার্জিত ভাবে সাংবাদিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনি একটু ভেবে দেখুন একজন ব্লগার এর সম্মান কতটুকু। আর এই ব্লগিং হতে পারে যে কোন বিষয় নিয়ে। যেমন ধরুন: ইতিহাস, কম্পিউটার টিউটোরিয়াল, গ্রাফিক্স ডিজাইন, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। কোন বিষয়ের উপরে ব্লগিং করা হবে তা নির্ধারন করে থাকে ব্লগার নিজেই। আশা করি আপনাদের কাছে এই অংশ টুকু সম্পূর্ন পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
ব্লগিং করতে হলে আমাদের কি কি প্রয়োজন ও বিষয় জানতে হবে?
ব্লগিং করতে হবে অনলাইনে। ব্লগিং করার জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে একটি ব্লগ সাইটের। যেখানে আমার আমাদের লিখাগুলোকে পাবলিশ করবো ও আমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করব। অনলাইনে ব্লগিং করার জন্য বেশ কিছু সাইট আছে যারা ফ্রীতে ব্লগিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে ব্লগার ডট কম ও ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম। এই দুটি সাইটের মধ্যে আমি ওয়ার্ডপ্রেসকেই বেছে নিব। কারন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে একটি সাইট মনের মত করে সাজিয়ে তোলা যায়। কিন্তু ব্লগার দিয়ে করতে গেলে আপনাকে অনেক ঝামেলায পরতে হবে। যেহেতু আমরা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগিং করা শিখবো সেহেতু আমাদেরকে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যবহার জানতে হবে। তবে আপনার চিন্তার কোন বিশয় নেই। আমার আপনাকে আমাদের এই ধারাবাহিক টিউটোরিয়ালে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যবহার শিখিয়ে দিব।
ব্লগিং করে আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন। তাহলে আসুন উৎস সমুহ জেনে নেই।
১) এফিলিয়েট মার্কেটিং: বর্তমান বিশ্বে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বহুল পরিচিত বিষয়। এক কথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা। ধরুন আপনি যদি রোমানা কোম্পানির খ প্রোডাক্ট সেল করে দিতে পারেন তাহলে রোমানা কোম্পানি আপনাকে সেলের উপরে ১০% কমিশন দিবে। এই টোটাল বিষয়টি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আমি এইখানে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করে দিচ্ছি। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে ব্লগিংয়ের সাথে এফিলিয়েটের সম্পর্ক কোথায়। আপনি যখন আপনার ব্লগ সাইটে কোন প্রতিষ্ঠানের পন্যোর বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন বা তা নিয়ে কোন পোষ্ট করে থাকেন, তারপর যদি কোন ভিজিটর বা আপনার বন্ধুরা আপনার সাইটের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে গিয়ে পন্য ক্রয় করে থাকে তাহলে সেটা আপনার আয়। যা কিনা আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে তা বিক্রি করার জন্য কাস্টমার সংগ্রহ করেছেন। আশা করি বিষয়টি আপনার কাছে ক্লিয়া হয়ে গিয়েছে।
২) বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপন দিযে থাকে। তাদের মধ্যে নাম করা সবথেকে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গুগল এডসেন্স। যা কিনা গুগল ডট কমের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি একদিকে বিভিন্ন কোম্পনির বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে অপরদিকে বিভিন্ন ব্লগ সাইটে কমিশনের ভিত্তিতে এই বিজ্ঞাপন গুলো প্রকাশ করে থাকে। আপনি যখন আপনার ব্লগে এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রকাশ করবেন এবং আপনার সাইটের কোন ভিজিটর এই বিজ্ঞাপনগুলোকে ক্লিক করে সেই সাইটে যাবে তখন আপনার আয় হবে। পরবর্তীতে আমরা গুগল এডসেন্স নিযে সম্পূর্ন আলোচনা করব।
৩) নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করা: আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার নিজস্ব পন্য বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে আপনি আপনার প্রোডাক্টের সেলের পরিমান ও সাথে সাথে ভোক্তার পরিমান ও বাড়াতে পারবেন।
উপার্জিত অর্থ কিভাবে হাতে পাবেন?
অনলাইন হতে উপার্জিত অর্থ হাতে পাবার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন: পেপাল, লিবার্টি রিজার্ভ, মানি বৃকার্স, পেজা, ব্যংক চেক ইত্যাদি। আপনার হয়ত প্রশ্ন হতে পারে ব্যাংক চেক বাদে বাকি সিস্টেম গুলোর কাজ কি? বাকি যে সকল সাইট রয়েছে আপনি তাদেরকে অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকও বলতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোতে এই ব্যাংকের ডলার সাপোর্টকরে। তবে বর্তমানে পেজা বাংলাদেশে সাপোর্টকরে। ফলে আপনি যখন আপনার অর্জিত অর্থ আপনার পেজা এর একাউন্টে ট্রান্সফার করবেন তারপর আপনি সে অর্থ সরাসরি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন। আর যদি আপনি চেকে পে-মেন্ট নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঠিকানাতে আপনার চেকটি পৌছে যাবে। তরপর সেই চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে হবে।
ডোমেইন হচ্ছে ইন্টারনেটের দুনিয়াতে আপনার ঠিকানা। ব্রাউজারে আমরা যে নামটি টাইপ করে আমাদের কাঙ্খিত সাইটে প্রবেশ করি এটিই হচ্ছে ডোমেইন বা ডোমেইন নাম। আমরা যখন কোন ডোমেইন নিবার কথা চিন্তা ভাবনা করবে তখন আমাদেরকে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে ডোমেইনের নাম টাক যেন খুব সুন্দর ও সহজ স্পেলিং এর হয় ও সহজে যেন ভিজিটর মনে রাখতে পারে।
সাব-ডোমেইন হচ্ছে যখান কোন ডোমেইনের অভ্যন্তরে অন্যএকটি ডোমেইন খুলা হয় তখন তাকে সাব-ডোমেইন বলে থাকে। সাব ডোমেইনের স্ট্রকাচারটা দেখতে ঠিক এই রকম: http://www.blog.blogbd24.com বা blog.blogbd24.com
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের সাইটের সকল ফাইল সমূহ যে স্থানে সংরক্ষিত থাকে তাকে হোস্টিং বলে থাকে। হোস্টিং কে আমরা আমাদের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের সাথে তুলনা করতে পারি।
আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমি ব্লগিং ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। জানিনা কতটুকু আলোচনা করতে পেরেছি ও কতটুকু আপনাদের ভাল লেগেছে। এই সাইটে এর আগেও অনেকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। তারপরও আমি আমার মত আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ এই পোষ্টটি করেছি। কষ্ট করে পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই পোষ্টটি পূর্বে আমার ব্লগ বিডি ২৪ ডট কম ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। যদি সময় থাকে তাহলে একবার ঘুরে আসবেন।
আমি ব্লগ বিডি ২৪ ডট কম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 35 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Valo legece.