আপনি কি আপনার উইন্ডোজ স্ক্রিনটি আপনার বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করতে চান? আমরা আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের উইন্ডোজ স্ক্রিন টিকে শেয়ার করতে চাই। এছাড়াও, আমাদের নিজেদের জন্য ও অনেক সময় আমাদের উইন্ডোজ স্ক্রিনটি শেয়ার করার প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে, আপনি যখন ট্যাবলেট থেকে আপনার উইন্ডোজ ডেক্সটপ স্ক্রিন টিকে অ্যাক্সেস করতে চান।
যাইহোক, নিজের কাজের জন্য কিংবা অন্য কোন কারণে, আপনি যখন নিজের ডেস্কটপ স্ক্রিন টিকে শেয়ার করতে চান, তখন আপনার এই কাজটিকে সহজ করে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে। আর আজকের এই টিউনে আমি এরকম সেরা কিছু রিমোট স্ক্রিন শেয়ারিং টুল নিয়ে আলোচনা করেছি, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি দূরবর্তী কোনো কম্পিউটারের অ্যাক্সেস পেতে পারেন।
তাহলে চলুন, আজকের এই ১৩ টি Remote Screen-sharing Tools বা Software গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
যদিও অনেক আগে থেকেই ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার হিসেবে Zoom অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল এবং একটি রিমোট স্ক্রিন শেয়ারিং টুল হিসেবে এটি বহুল ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার। তবে, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর, বিশ্বজুড়ে মানুষ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা, স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে আরো যাবতীয় কাজে এটি ব্যবহার করত।
Zoom সফটওয়্যারটি প্রধান ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, এটিতে Screen Sharing এবং Remote Access এর সাপোর্ট রয়েছে। এটি দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় অন্যান্য ডেক্সটপ ব্যবহারকারীদের জন্য একে অপরের স্ক্রিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
আর, জুমে অন্য কারো স্ক্রিন কন্ট্রোল করার জন্য মিটিংয়ে থাকা অবস্থায় “View Options > Request Remote Control > Request” অপশনে যান এবং পরবর্তীতে রিকোয়েস্ট করার পর তা অন্য ব্যক্তির Accept করার জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার কম্পিউটার থেকে অন্য কোন ব্যক্তির কম্পিউটার স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ করতে কিংবা তার স্ক্রিন শেয়ার করতে আপনি এই জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
Zoom এর ভিডিও কনফারেন্সে বিনামূল্যে সর্বোচ্চ ১০০ জন ব্যবহারকারী মিটিং এ থাকতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Zoom
থার্ড পার্টি টুলগুলোর মধ্য থেকে সম্ভবত TeamViewer হল সবচেয়ে সুপরিচিত একটি সফটওয়্যার। এটি ১০ বছরেরও বেশি পুরনো এবং এটি সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের মাঝে একটি বিশ্বস্ত ভিত্তি রয়েছে। এটি শুধুমাত্র স্ক্রিন শেয়ারিং এবং রিমোট অ্যাক্সেস এর জন্য ডিজাইন করা হয়নি। বরং, এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীদেরকে Connected PC গুলোর মধ্যে ফাইল ট্রান্সফার করতে, ওয়েব কনফারেন্স পরিচালনা করতে এবং অনলাইন প্রেজেন্টেশন ও করতে দেয়।
ডিফল্টভাবে, এটি ব্যবহার করে অন্য কারো সাথে কানেক্ট হওয়ার জন্য আপনাকে একটি পিন কোড এখানে এন্টার করতে হবে। তার মানে হল যে, এখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই আপনার কম্পিউটারে অ্যাক্সেস করতে পারবে। কিন্তু, আপনি যদি প্রায়ই একই ব্যক্তি বা কম্পিউটারগুলোর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেন, তাহলে আপনি চাইলে আপনার একাউন্টে তাদের জন্য একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। যার ফলে, পরবর্তীতে আপনি এক ক্লিকের মাধ্যমেই সেই কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন, যা প্রতিবার পিন প্রবেশ করার চেয়ে অনেক দ্রুত।
গ্রুপ সেশন এর মত অতিরিক্ত ফিচারের কারণে TeamViewer অন্যান্য সব প্রতিযোগী সফটওয়্যার গুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এর মানে হলো, একাধিক লোক একই সময়ে একটি কম্পিউটারের সাথে একই সময় কানেক্ট হতে পারবে এবং এমনকি প্রয়োজনে তারা এটি কন্ট্রোল ও করতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ TeamViewer
আপনি যদি ক্রোম ব্যবহার করেন এবং আপনি যদি সহজে সেটআপ করা যায় এমন কোন একটি রিমোট অ্যাক্সেস টুল চান, তাহলে আপনার জন্য Chrome Remote Desktop অন্যতম সেরা একটি টুল হতে পারে।
যদিও Chrome Remote Desktop ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তা হল, এটি ব্যবহার করার জন্য উভয় কম্পিউটারেই ক্রোম ব্রাউজার ইন্সটল থাকার প্রয়োজন হয়। তবে, আপনি যদি একটি বিকল্প ব্রাউজার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার এই তালিকার মধ্যে অন্যান্য বিকল্প অপশন গুলো দেখা উচিত।
যাইহোক, Google এই সফটওয়্যারটিকে এমন সব ব্যবহারকারীদের জন্য লক্ষ্য করে তৈরি করেছে, যাদের কোন কিছুর জন্য দ্রুত সমাধান লাগবে কিংবা ফাইল অ্যাক্সেসের জন্য কম্পিউটারের স্ক্রিন শেয়ার করতে হবে। তবে, এটি দিয়ে দ্রুত স্ক্রিন শেয়ার করা গেলেও, এই তালিকার অন্যান্য বিকল্প সফটওয়্যার গুলোর তুলনায় এটিতে অ্যাডভান্স ফিচার গুলোর অভাব রয়েছে।
এটি ব্যবহার করার জন্য Chrome Web Store থেকে এক্সটেনশনটি ইন্সটল করুন। আর তারপর, অটোমেটিক্যালি তৈরী হওয়া Access Code ব্যবহার করে দুটি পিসি কানেক্ট করুন। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি চালু হয়ে যাবে। আর আপনার যদি কোন দুইটি কম্পিউটার নিয়মিত অ্যাক্সেসের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি স্থায়ীভাবে দুটি কম্পিউটারকে একসাথে লিঙ্ক করতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি এই রিমোট অ্যাক্সেস টুলটি ব্যবহার করার জন্য সরাসরি “remotedesktop.google.com” ওয়েবসাইটে যেতে পারেন এবং ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে ও দুইটি কম্পিউটারকে কানেক্ট করতে পারেন। তবে, ক্রোম এক্সটেনশনে কিছুটা বেশি ফিচার রয়েছে, যার ফলে আপনি এটি ব্যবহার করে উইন্ডোজ স্ক্রিন শেয়ারিং এবং রিমোট অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Chrome Remote Desktop
Microsoft Remote Desktop হলো আরো একটি অন্যতম সেরা উইন্ডোজ স্ক্রিন শেয়ারিং সলিউশন। নতুনদের জন্য এই অ্যাপসটি সেটআপ করা কঠিন মনে হতে পারে। আপনি যদি এটি ব্যবহার করে দুইটি কম্পিউটার কে কানেক্ট করতে চান বা অন্য কম্পিউটারের অ্যাক্সেস নিতে চান, তাহলে আপনাকে তার আইপি অ্যাড্রেস জানতে হবে।
সবশেষে বলতে গেলে, মাইক্রোসফট রিমোট ডেক্সটপ টুলটি মূলত অফিস ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তাই, সাধারণ ব্যবহারকারী কিংবা পরিবারের সদস্যদের পিসির সমস্যার সমাধান করতে চান এমন ব্যবহারকারীদের অন্য কোন বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Microsoft Remote Desktop
AeroAdmin এর ডেভেলপার দল মনে হয় TeamViewer সফটওয়্যারটি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিল এবং এটি দেখেই কাজ করেছে। কারণ, এই অ্যাপসটি যেভাবে কাজ করে এবং এর অন স্ক্রিন ভিজুয়াল গুলো ও ঠিক TeamViewer এর মতই।
তবে, TeamViewer এর বিপরীতে AeroAdmin টুলটি ব্যবহার করে Windows Screen শেয়ারিং এর জন্য এটি ইন্সটলেশন এর কোন প্রয়োজন নেই। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র 2MB এর একটি Exe ফাইল রান করতে হবে এবং তারপর অন স্ক্রিন ইন্সট্রাকশন গুলো অনুসরণ করতে হবে। তার মানে হল যে, আপনি চাইলে একটি ইউএসবি ড্রাইভে এই ফাইলটি রাখতে পারেন এবং যেকোনো কম্পিউটারে প্রবেশ করে খুব দ্রুত ফাইলটিকে রান করে অন্য কোন ডিভাইসের সাথে সেই কম্পিউটারটিকে কানেক্ট করতে পারবেন।
আপনি আপনার কম্পিউটারের আইপি এড্রেস ব্যবহার করে কিংবা Automatically-generated Passcode ব্যবহার করেও দুইটি ডিভাইস কানেক্ট করতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ AeroAdmin
Lite Manager হল আরো একটি অন্যতম স্ক্রিন শেয়ারিং প্রোগ্রাম, যা কিছু এক্সপেন্সিভ পেইড টুল গুলোর মত একই ফিচারগুলো অফার করে। এই সফটওয়্যারটিতে সাধারণ ফিচারগুলো থাকার পাশাপাশি আরো কিছু অতিরিক্ত অ্যাডভান্স ফিচার রয়েছে।
এসব অ্যাডভান্স ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
যদিও এটির পেইড ভার্সন রয়েছে এবং তার জন্য ব্যবহারকারীদের ১০ ডলার প্রদান করতে হয়, কিন্তু এটি বেশিরভাগ লোকের জন্য অপ্রয়োজনীয়।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Lite Manager
AnyDesk হলো এমন একটি সহজ প্রোগ্রাম, যা ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে দুইটি কম্পিউটারে কানেক্ট করা অনেক সহজ। অন্য কম্পিউটারের অ্যাক্সেস নেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করার সময় শুধুমাত্র Host AnyDesk Address বা Alias এর প্রয়োজন।
আপনি যদি আপনার ফাইলগুলোকে Remotely Access করতে চান, তাহলে AnyDesk আপনার অন্যতম একটি বিকল্প অপশন হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ AnyDesk
Remote Utilities হলো উইন্ডোজের জন্য আরেকটি সেরা রিমোট ডেক্সটপ শেয়ারিং অ্যাপ। এটি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদেরকে এককালীন ২৯ ডলার ফি খরচ করতে হবে।
এই সফটওয়্যার এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি Firewalls এবং NAT Devices ডিভাইস গুলোকে বাইপাস করতে পারে এবং একই সময়ে অনেক কম্পিউটারের সাথে কানেকশন সাপোর্ট করে। আর এটির নেতিবাচক দিক হল, এটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ কম্পিউটার ডিভাইসের সাপোর্ট করে।
এই সার্ভিসটির জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও রয়েছে। তবে, মোবাইল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা রিমোট অ্যাক্সেসের সুবিধা পান না।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Remote Utilities
অন্যান্য স্ক্রিন শেয়ারিং সফটওয়্যার গুলোর মত Mikogo ও আপনার ডেক্সটপ স্ক্রিন শেয়ার করতে এবং অন্য পিসি ইউজারদের স্ক্রিন Remotely Access করতে দেয়।
এটিতে একটি লাইভ চ্যাট উইন্ডো রয়েছে এবং ফাইল ট্রান্সফারের সাপোর্ট রয়েছে। এছাড়াও, এটিতে একটি দুর্দান্ত ফিচার রয়েছে, যা নির্দিষ্ট অ্যাপ গুলোকে তাদের কন্টেন্ট শেয়ার করতে বাধা দেয়। যার ফলে, এটি আপনাকে দুর্ঘটনাক্রমে সমস্ত ব্যবহারকারীদের কাছে আপনার সংবেদনশীল তথ্যগুলো প্রদর্শন করা থেকে বিরত রাখবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Mikogo
ShowMyPC মূলত স্ক্রিন শেয়ারিং এর উপর বেশি ফোকাস করে। আপনি যদি শুধুমাত্র স্ক্রিন শেয়ারিং করতে চান, তাহলে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্যই। কারণ, এটির ইউজার ইন্টারফেস অনেক সহজ এবং এটি Windows, Mac ও Linux এর জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই অ্যাপটির ফ্রি ভার্সন এবং পেইড ভার্সন রয়েছে। তবে, এই অ্যাপসটির ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করেই আপনি উইন্ডোজ কম্পিউটার স্ক্রিন শেয়ারিং এর কাজ করতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে এখানে কোন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে ও হবে না এবং এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কম্পিউটারে এটি ইন্সটল করার ও প্রয়োজন নেই।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ ShowMyPC
MingleView হলো একটি উইন্ডোজ ভিত্তিক ফ্রি স্ক্রিন শেয়ারিং সফটওয়্যার প্রোগ্রাম, যার কোন প্রিমিয়াম প্যাকেজ নেই। যদিও এই অ্যাপসটির বড় ডেভেলপমেন্ট বাজেট ঘাটতির কারণে আপনি এটিতে অনেক ফিচারের ঘাটতি দেখতে পেতে পারেন। কিন্তু তবুও, এটি ফ্রি ডেক্সটপ শেয়ারিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে থেকে এমন একটি অ্যাপ, যেখানে ভিডিও কনফারেন্সিং এ আনলিমিটেড অংশগ্রহণকারী এবং আনলিমিটেড মিটিং হোস্টিং এর অনুমতি দেয়।
আপনি যদি MingleView এর ডেক্সটপ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে না চান, তাহলে আপনি চাইলে ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে ও অন্য ব্যক্তির স্ক্রিন দেখতে পাবেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনি অন্য ব্যক্তির স্ক্রিন কন্ট্রোল করতে পারবেন না। অপর ব্যক্তির কম্পিউটার স্ক্রিন কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে অবশ্যই MingleView এর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ MingleView
ScreenLeap হলো একটি সম্পূর্ণ ওয়েবভিত্তিক টুল, যা Screen Sharing এবং Remote Screen Access এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই সফটওয়্যারটি খুব বেশি ফিচারে পরিপূর্ণ নয়। তবে, এখানে যেসব ফিচার রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করা সহজ এবং সিম্পল। এটির উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আপনি আপনার সম্পূর্ণ স্ক্রিন বা শুধুমাত্র একটি উইন্ডো শেয়ার করতে পারবেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ ScreenLeap
SkyFex হলো একটি অনলাইন রিমোট অ্যাক্সেস সার্ভিস। তার মানে হল যে, এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার এটি ডাউনলোড করার প্রয়োজন নেই, যা সম্পূর্ণ ব্রাউজার ভিত্তিক। অর্থাৎ, SkyFex সমস্ত প্লাটফর্মের জন্য Accessable। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য একটি ভালো পছন্দ হতে পারে, যারা ক্লায়েন্ট কিংবা শুধুমাত্র বন্ধুদের সাহায্য করার জন্য একটি সহজ টুল খুঁজছেন।
তবে, দুঃখজনকভাবে বলতে হয় যে, আপনি বিনামূল্যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি শুধুমাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ SkyFex
বর্তমানে দূরবর্তী কাজ এবং অনলাইন এক্টিভিটি গুলো অনেক বেড়েছে। আর সেই সাথে, স্ক্রিন শেয়ারিং এবং রিমোট এক্সেস সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে কানেক্টেড থাকা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আর একারণে Available থাকা বিভিন্ন অপশনের মধ্য থেকে, সঠিকটি বেছে নেওয়া আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।
আপনি আপনার ব্যবহারের সহজতা, শক্তিশালী ফিচার, নিরাপত্তা, এবং বিদ্যমান প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টিগ্রেশন কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের আলোচনা করা সফটওয়্যার গুলোর মধ্য থেকে যেকোন একটি Windows Screen Sharing Application বেছে নিতে পারেন। আর উল্লেখিত সফটওয়্যার গুলো ছাড়াও এরকম অনেক সফটওয়্যার Available রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে এই টিউনে আলোচনা করা হয়নি। আপনার যদি এরকম কোন প্রিয় স্ক্রিন শেয়ারিং বা রিমোট অ্যাক্সেস টুল সম্পর্কে জানা থাকে, যা এই টিউনে আলোচনা করা হয়নি, তাহলে আপনি সেটি টিউনমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)