গতকাল আমার একটা টিউন এ টেকটিউনস এর কমেন্ট দেখে আমি অনুপ্রানিত হয়েছি তাঁর কথা মত আমি যতটা পেরেছি টিউনটাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে , সুন্দর ভাবে , ফরম্যাট করে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি ।
আজ আমি আপনাদের জন্য উইন্ডোজ এক্সপি , ৭ আর ৮ নিয়ে এর বিস্তারিত আলোচনা করব সাথে রইল ডাউনলোড লিঙ্ক আর অ্যাকটিভেটর .
মাইক্রোসফট এর অপারেটিং সিস্টেম গুলির মধ্যে সর্বপ্রথম যেটা জনপ্রিয় ছিল সেটা হল উইন্ডোজ এক্সপি । মাইক্রোসফট এটি প্রথম পাবলিশ করে ২১ শে আগস্ট , ২০০১ এ । উইন্ডোজ এক্সপি সারা বিশ্বের জন্য রিলিজ হয়েছিল ২৫ শে অক্টোবর ২০০১ এ । অবাক করা ব্যাপার এটা হল যে জানুয়ারী ২০০৬ এর মধ্যে এটির ৪০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে যায় ।
১) এটাতে রয়েছে DirectX 8.1 যেটাকে আপনি অবশ্য DirectX 9.0c তে আপগ্রেড করতে পারবেন ।
২) এটার Windows Explorer এ আপনি অনেক কিছু নতুন পাচ্ছেন যেমন বিলট ইন CD burning , সিডি অটো প্লে , ডকুমেন্ট গুলো ক্যাটাগরি দ্বারা পাবেন , উন্নত মানের গ্রুপইং (grouping) প্রভৃতি ।
৩) উন্নত মানের Windows Picture and Fax Viewer রয়েছে ।
৪) উইন্ডোজ এক্সপি উইন্ডোজ এর আগের এডিশন গুলোর থেকে অনেক বেশি দ্রত চালু হয় । তাছাড়া আপনি এতে পাচ্ছেন লগঅন , লগঅফ এবং Hibernation এর সুবিধা ।
৫) এতে বিভিন্ন নতুন জিনিস সংযোজিত হয়েছে যেমন System Restore, Automated System Recovery, Windows Error Reporting প্রভৃতি ।
৬) এটার ইন্টারফেস নতুন এবং আরও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি । এতে আপনি বিভিন্ন থিম এর ব্যবহার করতে পারবেন তাছাড়া রয়েছে উন্নত মানের আইকন alpha transparency সাথে ।
৭) এটা USB 2.0, Windows Image Acquisition, Media Transfer Protocol, DualView সাপোর্ট করে ।
৮) উইন্ডোজ এক্সপি তে আপনি দ্রুত ইউজার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন ।
৯) উইন্ডোজ এক্সপি বিশেষত এলসিডি(LCD) মনিটর এর জন্য ডিজাইন করা ।
১০) Remote Assistance এবং Remote Desktop সুবিধার মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজ এক্সপি সমৃদ্ধ অন্য কম্পিউটার এর অ্যাপ্লিকেশান , ফাইল দেখতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে ।
১১) এটাতে নেটওয়রকিং এর দিক দিয়ে বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে যেমন Windows Firewall, Internet Connection Sharing , Background Intelligent Transfer Service , Bluetooth প্রভৃতি সংযুক্ত হয়েছে ।
১২) উইন্ডোজ এক্সপি তে মিডিয়ার দিক দিয়েও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে । Windows Media Player, Windows Movie Maker, TV/video capture এবং playback technologies আরও উন্নত হয়েছে ।
১৩) এতে Handwriting recognition, speech recognition প্রভৃতি সংযুক্ত হয়েছে ।
১৪) Windows Installer, Windows Script Host, Disk Defragmenter, Windows Task Manager, Group Policy, CHKDSK, NTBackup, Microsoft Management Console, Shadow Copy, Registry Editor, Sysprep প্রভৃতি যুক্ত হয়েছে ।
১৫) এতে application এর compatibility আরও বেড়েছে এবং বিভিন্ন accessories ও games এর আপডেট করা হয়েছে ।
Windows XP Download Preactivated
মাইক্রোসফট এর অপর একটা অপারেটিং সিস্টেম হল উইন্ডোজ ৭ । ২২ শে জুলাই ২০০৯ এ তৈরি হয় এবং এটির বিক্রি সারা বিশ্বে শুরু হয় ২২ শে অক্টোবর ২০০৯ থেকে ।
১) উইন্ডোজ ৭ ভার্চুয়াল হার্ড ডিস্ক সাপোর্ট করে । এছারা এতে মাল্টি কোর প্রসেসর এর performance আরও উন্নত হয়েছে । উইন্ডোজ ৭ বুট হতেও বেশ কম সময় লাগে ।
২) উইন্ডোজ ৭ এ বিভিন্ন নতুন সুবিধা যোগ করা হয়েছে এবং কিছু সুবিধা আরও উন্নত করা হয়েছে যেমন Windows Media Center , Gadgets , XPS Essentials Pack , Windows PowerShell , Handwriting Recognition প্রভৃতি । উইন্ডোজ ৭ এর ক্যালকুলেটরটাও ভিন্ন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে ।
৩) উইন্ডোজ ৭ এর টাস্কবার এ বিভিন্ন সফটওয়্যার এর শর্টকাট পিন করার সুবিধা যুক্ত হয়েছে । টাস্কবার এর একদম ডানদিকে একটা চারকোনা ঘর রয়েছে যেটাতে ক্লিক করলে সম কিছু মিনিমাইজ হয়ে গিয়ে direct ডেক্সটপ দেখা যায় ।
৪) উইন্ডোজ ৭ এর Control Panel এ বিভিন্ন নতুন জিনিস সংযোজিত হয়েছে যেমন ClearType Text Tuner, Display Color Calibration Wizard, Gadgets, Recovery, Troubleshooting, Workspaces Center, Location and Other Sensors, Credential Manager, Biometric Devices, System Icons, এবং Display । এটাতে উইন্ডোজ এক্সপি আর ভিস্তার Security Center এর বদলে Action Center যুক্ত হয়েছে ।
৫) এই অপারেটিং সিস্টেমটাতে Ready Boost এর সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে যার সাহায্যে 32-bit এর এডিশন গুলো ২৫৬ জিবির এক্সট্রা allocation সাপোর্ট করে ।
৬) উইন্ডোজ ৭ এ User Account Control এর মাধ্যমে Untrusted সফটওয়্যার গুলি চলবার আগের একবার prompt করে ।
৭) উইন্ডোজ ৭ এ Internet Explorer 8 আর Windows Media Player 12 রয়েছে ।
৮) উইন্ডোজ ৭ এর স্টার্ট মেনু তে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে । এর স্টার্ট মেনু তে সার্চ অপশন যুক্ত হয়েছে যার ফলে উইন্ডোজ এর বিভিন্ন প্রোগ্রাম গুলো খুব সহজেই আর খুব দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় ।
৯) উইন্ডোজ ৭ এ ১৩ অতিরিক্ত সাউন্ড যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হল Afternoon, Calligraphy, Characters, Cityscape, Delta, Festival, Garden, Heritage, Landscape, Quirky, Raga, Savanna এবং Sonata ।
১০) এটিতে ভার্চুয়াল হার্ড ডিস্ক মাউন্ট করার সুবিধা যুক্ত হয়েছে ।
১১) এটি DirectX 10 সাপোর্ট করে । যার ফলে আপনি 3D গেমও খেলতে পারবেন । এছাড়া এটিতে Windows Experience Index যুক্ত হয়েছে ।
১২) এতে Sticky Notes, Snipping Tools, Math Input Panel প্রভৃতি যুক্ত করা হয়েছে । এছারা এতে তিনটি গেম (Internet Spades, Internet Backgammon আর Internet Checkers) সংযুক্ত করা হয়েছে যে তিনটি গেম উইন্ডোজ ভিস্তা থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল ।
Windows 7 Ultimate 32 bit & Windows 7 Ultimate 64 bit
মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ এর সর্বশেষ ভার্সন হল উইন্ডোজ ৮ । ২৬ শে অক্টোবর , ২০১২ তে এটি সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্তও হয় ।
অবাক করা ব্যাপার হল জানুয়ারী ২০১২ পর্যন্ত এটার ৬০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে যায় ।
১) উইন্ডোজ ৮ এ ডেক্সটপ নেই এটাকে হোম স্ক্রীন দ্বারা প্রতিস্থাপন (replace) করা হয়েছে । এটাতে কোন আইকনও নেই । হোম স্ক্রীন এ আপনি বিভিন্ন tiles পাবেন যেগুলো তে ক্লিক করে আপনি বিভিন্ন প্রোগ্রাম রান করতে পারবেন । আপনার পিসির রেজোলিউশান অনুযায়ী হোম স্ক্রীন এ ২০ থেকে ২৫ টা tiles ধরবে ।
২) উইন্ডোজ ৮ এ ডেক্সটপটা অ্যাপ্লিকেশান এ পরিবর্তিত হয়েছে । উইন্ডোজ ৮ এ সবথেকে বড় যে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেটা হল এতে কোন স্টার্ট বাটন নেই । যদি ইউজার কোন প্রোগ্রাম রান করতে চায় তাহলে তাকে ডেক্সটপ অ্যাপ এ ফিরে আসতে হবে । ডেক্সটপ অ্যাপ আর হোম স্ক্রীন এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে চান তাহলে আপনি উইন্ডোজ বাটন এর ব্যবহার করতে পারেন ।
৩) উইন্ডোজ ৮ এর সুরক্ষা উইন্ডোজ ৭ এর থেকে অনেক ভালো । এতে রয়েছে বিলট ইন Windows Defender। উইন্ডোজ ৮ সিকিউর বুট সাপোর্ট করে ।
৪) উইন্ডোজ ৮ এর লক স্ক্রীন টা একটু ভিন্ন ধরনের । এটাতে আপনি ব্যাটারি , না পড়া ইমেইল , ফেসবুক আপডেট প্রভৃতি খুব সহজেই দেখতে পারবেন । এটার লক স্ক্রীনটা অনেক টা ipad অথবা android এর লক স্ক্রীন এর মত দেখতে ।
৫) উইন্ডোজ ৮ সবথেকে ভালো কাজ করে যখন এটা ইন্টারনেট এর সঙ্গে কানেক্ট করা থাকে । SkyDrive এর মাধ্যমে ইউজার তার ফাইল গুলোর ব্যাকআপ করে রাখতে পারে ।
৬) এটাতে সেটিংস্ গুলো অনেক সহজ করে দেওয়া হয়েছে । এটাতে Control Panel এর বদলে Settings Panel রয়েছে এবং এটাতে Factory Reset এর অপশনও যোগ করা হয়েছে ।
৭) উইন্ডোজ ৮ এ Multitask এর দুটো উপায় রয়েছে । একটা হল টাস্ক বার থেকে আপনি সব রান করা প্রোগ্রাম গুলো চালাতে পারবেন , তবে এটা কেবল Desktop Mode এ কাজ করে । আপনি যদি Mordern UI Mode এ Multitask করতে চান তাহলে তাহলে আপনি দুটো উইন্ডো একই সময়ে দেখতে পাবেন । একটা স্ক্রীন এর ৮০% দখল করবে আর একটা ২০% ।
এটা অ্যাকটিভেট করা আছে তাই কোন অ্যাকটিভেটর দিলাম না ।
জানিনা কেমন লাগবে টিউনটা আপনাদের । ভালো বা খারাপ যেমনই লাগুক না কেন কমেন্ট করে জানাবেন । আজ এ পর্যন্ত লিখে বিদায় নিচ্ছি । ভালো থাকবেন । ||| খোদা হাফেজ |||
আমি Raja Banerjee। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 41 টি টিউন ও 264 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Thanks bro…will download windows 8 & will comment accordingly.