আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হলাম উইন্ডোজ 10 বা 11 এর যে 4টি ভার্সন রয়েছে Home, Pro, Enterprise, Education এই চারটি ভার্সন এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে এই বিষয় টি অলরেডি অনেকই জানেন। আবার অনেকই আছেন যারা হয়ত এখনও এই ভার্সন গুলোর পার্থক্য টি জানেন না। যাঁরা জানেন না তারা এই টিউনে জেনে নিন। আমি সিরিয়াল অনুযায়ী প্রত্যেকটি পার্থকের বিষয় উল্লেখ করে দিচ্ছি।
হোম ভার্সন ছাড়া বাকি তিনটা ভার্সন এ সর্বোচ্চ ২ টেরাবাইট Ram ব্যবহার করতে পারবেন। যদিও এত পরিমাণ Ram এখন কোনো পিসিতে দরকার হয়না।
২. ডোমেইন জয়েন
ডোমেইন জয়েন সিস্টেম টি হচ্ছে যারা ইন্টার প্রাইজ ইউজার তারা তাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন (ডোমেইন হচ্ছে ওয়েব সাইট এর নাম। Techtunes হচ্ছে একটি ওয়েসাইট। আর techtunes.com নাম টি হচ্ছে এই ওয়েব সাইট এর। ) কে আপনার পিসির সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন। এই ফিচার টি শুধুমাত্র প্রo, Enterprise, ও Education ভার্সন এ রয়েছে।
৩. Group policy management
তৃতীয় বিষয় টি হচ্ছে গ্রুপ পলিসি ম্যানেজমেন্ট। মনে করুন কোনো এক রুমে বা প্রতিষ্ঠান এ অনেকে গুলো পিসি রাখা আছে। এবং চাচ্ছেন একটি সেটিং পরিবর্তন করতে। এক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে কি প্রত্যেকটা পিসি ওপেন করে সেটিং টি পরিবর্তন করা। কিন্ত এমন টা আসলে করতে হবে না।
আপনি চাইলে একটি পিসি তেই আপনার পছন্দের সেটিং টি পরিবর্তন করে করে অন্য সকল পিসির সাথে সংযোগ করে সমস্ত পিসিতে এক সাথে সেটিং টি পরিবর্তন করতে পারবেন এই Group Policy Management এর মাধ্যমে। এই ফিচার টিও শুধুমাএ Pro, Enterprise ও Education ভার্সন এ রয়েছে।
৪. BitLocker
৪র্থ পার্থক্য টি হচ্ছে BitLocker. ইহার মাধ্যম এ আপনি কোনো অ্যাপস বা ডেটাকে Lock করে রাখতে পারবেন। এটাও শুধুমাত্র Pro, Enterprise ও Education এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫. Enterprise Mode Explorer
এই ফীচারটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। আপনারা অনেকেই আছেন যাঁরা ওল্ড ভার্সন এর ব্রাউজার ও Software ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
তাদের জন্যই রয়েছে এই Enterprise Mode Internet Explorer. ইহা সম্পুর্ন ওল্ড ভার্সন। এই ফিচার টিও Pro, Enterprise ও Education মোড এর জন্যে ব্যাবহৃত হয়।
৬. Assigned Access
আপনি যদি চান কোনো একটি Specific অ্যাপ আপনার পিসিতে রান করবে এবং বাকি সমস্ত অ্যাপ বন্ধ থাকবে। এবং রান হাওয়া অ্যাপটি থেকে বের হতে পারবেন না। তাহলে আপনি এই ফীচারটি ইউজ করতে পারেন।
৭. Remote Desktop Connection
এটা মূলত TeamViewer (TeamViewer হচ্ছে এমন একটি Software যার মাধ্যমে একটি পিসি থেকে অন্য পিসি তে অ্যাকসেস নেওয়া যায়। অর্থাৎ মনে করুন আপনার পিসিতে একটি সমস্যা হয়েছে যা আপনি ঠিক করতে পারছেন না। আপনি ব্যাপার টি আমাকে জানালেন। আমি আপনাকে TeamViewer অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বললাম। আপনি বাসায় যেয়ে অ্যাপ টি আপনার পিসিতে Download করলেন ইন্সটল করলেন। এরপর সেই অ্যাপ এ আপনার একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেখাবে সেটি আপনি আমাকে জানিয়ে দিবেন ফোন কল বা মেসেজ এর মাধ্যমে। তারপর আমি পিসিতে বসে ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে আপনার পিসি চালাতে পারবো। আর যেই সেটিং টি তে আপনার সমস্যা হচ্ছে সেটি আমি আমার ঘরে বসেই সমাধান করে দিতে পারব। ইহা মোটেই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সম্পুর্ন লিগ্যাল Process. আপনি দেখতে পারবেন আমি কিভাবে আপনার পিসি চালাচ্ছি। ) সটওয়্যারটির মত।
Remote Desktop Connection এও TeamViewer এর মতো একজন আর একজন এর পিসি চালাতে পারে ঘরে বসে শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে। এই ফিচার টি Home ভার্সন এ শুধুমাত্র একপাশ আছে। বাকী ভার্সন গুলোতে দুইপাশ আছে। অর্থাৎ আপনি অন্য ভার্সন থেকে হোম ভার্সন কে কন্ট্রোল করতে পারেন। কিন্তু হোম ভার্সন দিয়ে কোনো পিসি কে কন্ট্রোল করতে পারবেন না।
৮. Windows To Go
মনে করুন আপনার পিসিতে আপনি অনেক গুলো সেটিং নিজের মত করে রেখেছেন। এবং অনেকগুলো সটওয়্যার ইন্সটল করে রেখেছেন মানে আপনার নিজেরমত করে সাজিয়ে রেখেছেন। ফলে আপনার পিসিটি আপনি সুবিধা মত ব্যবহার করতে পারছেন। কিন্তু আপনি শুধুমাত্র এই সুবিধা টি আপনার পিসি তেই ব্যবহার করছেন। আপনি তো সেটা অন্য কারো পিসিতে ব্যবহার করতে পারছেন না।
Windows To Go নামের এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি আপনার উইন্ডোজ কে পেনড্রাইভ এর ভিতর লাইভে বুট করে পরে সেটা যে কারো পিসিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং তখন অন্য পিসিতেও আপনার উইন্ডোজের মত করে রাখা সমস্ত সেটিং ও সটওয়্যার দেখতে পাবেন। এই ট্রিক টি Pro ভার্সন এও ব্যবহার করা যায়না। শুধুমাত্র Education ও Enterprise ভার্সন এ ব্যবহার করা যায়।
৯. App Lock
পরবর্তি ফীচারটি হচ্ছে অ্যাপলক। আপনারা সকলেই জানেন অ্যাপলক এর কাজ কি। তাই এটা আমি আর বলছি না। এই ফিচার টিও শুধুমাত্র Enterprise ও Education Mode এ রয়েছে।
তাছাড়া আমি নীচে যেই পিক টি দিয়েছি সেটির মাধ্যমে আপনি আরো ভালোমত বুঝতে পারবেন এই তিনটি ভার্সন এর পার্থক্য কি। আর হ্যা, উইন্ডোজ 10 ও 11 এ Enterprise ও Education Version এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। Enterprise হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান এর জন্য। Education ভার্সন ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যবহার করার জন্য।
আমি মো মারুফ শেখ। ৪র্থ সেমিস্টার, শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।