বিভিন্ন প্রকার চটকদার বিজ্ঞাপন, বিশাল স্পিড, ৪জি নেটওয়ার্ক এবং কাস্টমার কেয়ারের ললনাদের দিয়ে মন ভূলিয়ে বাংলালায়নের যাত্রা শুরু করে। তাদের ভাব খানা দেখে মনে হত বারাক ওবামা ও এত সুন্দর সার্ভিস ব্যবহার করার সুযোগ পায় না। প্রথম দিকে সার্ভিস টা খুবই ভাল লাগত কারন সবে মাত্র গ্রামীনের নড়বড়ে নেটওয়ার্ক থেকে একটু ভাল কিছু পাচ্ছি বলে। তাদের সার্ভিসে প্রথম দিকে মোটামুটি সবাই সন্তেষ্ট ছিল। তাদের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকল, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের গ্রাহকের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে গেল।
গ্রাহক বাড়তে থাকলেও তাদের সার্ভিসে নতুন কোন কিছু সংযোগ করা হয়নি। তাদের নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সার্ভারের ক্যাপাবিলিটি তুলনায় বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি। যে কারনে আমরা যে প্যাকেজ ব্যাবহার করি ( ৫১২ কেবিপিএস, ২৫৬ কেবিপিএস ইত্যাদি) তা পরিপূর্ণ পায় না, প্রায় বিনা কারনে ডিসকানেক্ট হয়ে যায়, ডাউনলোড স্পিড - আপলোড স্পিড জিরো হয়ে যায়।
বর্তমানে সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা। বাংলালায়নের নেট ব্যবহারকারীরা তাদের সার্ভিসে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সোসাল মিডিয়াগুলতে গেলে ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগের কথা জানা যায়।
খুলনাতে বাংলালায়নের অন্য কোন প্রতিদন্ধী না থাকায় সব থেকে বেশি সমস্যা এখানে। এই মাসে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা তাদের ছিল। তাছাড়া ৩/৪ দিন ১২ ঘন্টা + ধরে তাদের নেটওয়ার্ক ছিল না। এতদিন কোন সমস্যা হলেই বলত সাবমেরিনে কাজ চলছে, এই অজুহাতে তারা অনেক দিন চালিয়েছে। যখন সাবমেরিন ক্যাবল ঠিক হয়ে যায় তখন তাদের শুরু হলো টেকনিক্যাল প্রবলেম। সপ্তাহে ৩/৪ দিন তাদের টেকনিক্যাল প্রবলেম থাকে, কোনটা দু এক ঘন্টার জন্য আবার কখনো ৫/৬ ঘন্টার জন্য। মাঝ রাতে তাদের নেট চলে যাওয়া নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার। রাতে একবার নেট চলে গেলে পরদিন সকালে ছাড়া আর ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়া যায় না। সব মিলেয়ে চরম দূর্ভোগে আছে বাংলাবিলাই ( বাংলালায়ন ) ইউজাররা। বিশেষ করে যারা অপারেটর চেঞ্জ করতে পারছে না।
খুলনাতে আগে ব্যাক আপ হিসাবে বাংলালিংকের সার্ভার ব্যবহার করত। এতে তাদের প্রায় মাসে ৬,০০,০০০ টাকা দিতে হত। যে কারনে ঐ সময়ে এদের কোন টেকনিক্যাল প্রবলেম হলেও তা ব্যাকআপ সার্ভারে মাধ্যমে সমাধান করতে পারত কিন্তু অতিরিক্ত টাকা খরচ বাচাতে তারা সেটাও বন্ধ করে দেয়। খুলনা বাংলালায়ন কাস্টমার কেয়ারে দুইটা মেয়ে আছে যাদের কানের মধ্যে সব সময় হেড ফোন দেয়া থাকে। (যে কোন সময় গিয়ে দেখে আসতে পারেন) বিল নেয়া আর সংযোগ বিচ্ছিন করা ছাড়া তাদরে কাছে অন্য কোন সমস্যার সমাধান নেই। কিছু বললেই বলে “কি বলল বলেন, আমাদের করার কিছু নেই”।
এভাবে দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। সব সময় অপেক্ষায় থাকি হয়তো কিছু দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে। তাদের সার্ভিসের কোন উন্নতি তো নেই বংর দিন দিন বেশি অবনতি হচ্ছে এবং বর্তমানে সহ্যের সীমানা পার হয়ে গেছে। তাদের কিছু না বলতে বলতে তাদরে গায়ে তেল জমে গেছে। তাই এখনই কিছু করার পালা। গ্রাহক বাড়ার সাথে সাথে তাদের সার্ভিস কেন উন্নতি করা হচ্ছে না সেই বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জবাব চাইতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সংঘবদ্ধ হওয়া।
আমার যদি কোন পদক্ষেপ না নেই তাহলে ওরা এমন করেই যাবে এবং একটা টেকনিক্যাল প্রবলেমের ম্যেসেজ দিয়েই যাবে আর আমার বসে বসে অঙ্গুল চুসতে থাকব। টাকা নেয়ার ব্যপারে ঠিকই মাস হলে টাকা নিচ্ছে কিন্তু সার্ভিস দেবার বেলাই তাদের খুজে পাওয়া যায় না।
এখনই যদি মনে করেন কিছু করা উচিত তাহলে কমেন্টর মাধ্যমে জানান আমরা কি কি করতে পারি বা করা উচিত। বাংলালায়নের অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই।।।
আমি এস এম মিশকাত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি গত ২দিন প্রবলেম পাইছি। এর আগে ৯মাস ইউজ করছি কোন প্রবলেম পাই নাই। রাতে ১১টার পর স্পিড ২৫৬ করে দিত আগে। তবে এখন ৫১২ ই পাই সারারাত।