ব্লগ কি ?
আমরা কম বেশি সবাই ব্লগ বা ওয়েব ব্লগ শব্দটির সাথে পরিচিত। যারা ভাবছেন “ব্লগ” এটা আবার কি? তাদের জন্য ব্লগ হচ্ছে বিশেষ ধরনের ওয়েব সাইট্, অনেকে একে ব্যক্তিগত ডায়রীও বলে থাকে। তবে সময়ের সাথে ব্লগিং এর ধারাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন ব্যক্তিগত ডায়রীর পরিবর্তে ব্লগ একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ওয়েব সাইট থেকে ব্লগের মূল পার্থক্য হল ওয়েব সাইট আপডেট করা হয় অনিয়মিত ভাবে অপরদিকে ব্লগ আপডেট করা হয় নিয়মিত ভাবে। এমনকি কিছু কিছু ব্লগ প্রতি মিনিটে আপডেট করা হয়।
বাংলা ভাষায় ব্লগ
২০০৬ সালের প্রথম মাস থেকে শুর হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস। প্রথমে একটি বাংলা ব্লগিংসাইট তার যাত্র শুরু করার পরপরই আরও একাধিক সাইট অনলাইনে বাংলা ব্লগিং এর সুবিধা নিয়ে উপস্থিত হয়। এখন বেশ কয়েকটি ব্লগিং সাইট বাংলাভাষী অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর পার হবার পরও এদের কেউ কেউ তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি, কেউ জনপ্রিয় হবার চেষ্টা করছে, আবার কেউবা নতুন শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জনের লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রণ করছে। স¤প্রতি বেশ কিছু সামাজিক ব্লগ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নিচে কয়েকটি প্রসিদ্ধ সামাজিক ব্লগ সাইটের ঠিকানা দেয়া হল
কি বিষয়ের উপর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন ?
আপনি যে কোন বিষয়ের উপর আপনার ব্লগ খুলতে পারেন। এটার জন্য কোন বাধা নিসেদ নাই। সব চাইতে বেশি জনপ্রিয়য় যে বিষয় গুলা আছে জেগুলার উপর আপনি ব্লগিং করতে পারবেন তা হল...
ব্লগের প্রকারভেদ
কোন ব্লগে কি ধরনের টিউন দেওয়া হয় তার উপর ভিত্তি করে ব্লগকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হল:
১. ব্যক্তিগত ব্লগ
এখানে ব্যক্তি কোন একটি বিষয়ের উপর তার মতামত টিউন আকারে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সাথে এর উপর মতামত আদান প্রদান করেন। এই ধরনের ব্লগে সাধারনত কোন ব্যক্তি তার প্রতিদিনের জীবন যাত্রা এবং তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত ব্লগ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ ধরণের ব্লগ ব্লগার তার নিজের শখ থেকে করে থাকে। তাদের ব্লগ কেউ পড়ুক বা না পড়–ক এতে তাদের কোন আসে যায় না। নিজের আনন্দ লাভ করা এ ধরণের ব্লগের মূল উদ্দেশ্য।
২. সামাজিক ব্লগ
সামাজিক ব্লগ হল এমন ব্লগ সাইট যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের মতামত বা মুক্ত চিন্তা তুলে ধরতে পারে। একজন ব্যক্তি একটি টিউন দেবার পর উক্ত ব্লগের অন্যান্য ব্লগাররা তার টিউনর উপর টিউমেন্ট করতে পারে। যেমন- সামহয়্যারইন ব্লগ, আমার ব্লগ ইত্যাদি সামাজিক ব্লগের অন্তর্ভূক্ত।
৩. ব্যবসায়িক ব্লগঃ
কোম্পানী/ প্রতিষ্ঠান তাদের কোন পন্য বা সেবার উপর নতুন নতুন তথ্য প্রদান করেন এবং পাঠক তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন। এ ধরনের ব্লগ সাধারণত কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের পন্যের প্রচার বা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে করে থাকে। যেমন- গুগল ব্লগ, অপেরা ডেস্কটপ টিম ইত্যাদি।
৪. প্রশ্ন ব্লগ
প্রশ্ন ব্লগে ব্লগার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। এই প্রশ্ন কোন ফর্ম বা ই-মেইলের মাধম্যে ব্লগাদের কাছে পৌছান হয়। যেমন: ইয়াহু এনসার হল প্রশ্ন ব্লগ।
৫. খবর ব্লগ:
যে সকল ব্লগে বিভিন্ন সা¤প্রতিক খবরের উপর বিশ্লেষন স্থান পায় তাদেরকে খবর ব্লগ বা News Blog বলে।
আরো কয়েক ধরনের ব্লগ বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যেমন মাইক্রো ব্লগ, টুইটার এমন একটি ব্লগ। এটি ব্যক্তিগত ব্লগের ভেতরেও পরে। এখানে কোন ব্লগার এখন কি করছেন বা ভাবছেন তা অতি সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে থাকেন। যেমন: আমার টুইটার ব্লগ।
টিউন করা ব্লগের ধরন অনুযায়ী ব্লগকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হল:
১) ফটোলগ: এ ধরনের ব্লগে ব্লগার তাদের ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা
বা স্ক্যান করা ছবি আদান প্রদান করে থাকে।
২) ভিলগ: যে ব্লগে ব্লগার ভিডিও শেয়ার করা হয় তাকে ভিলগ বলে।
৩) লিংকলগ: বিভিন্ন ওয়েব সাইটের ঠিকানা দ্বারা গঠিত ব্লগ হল লিংকলগ
ব্লগকে আরো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। কিন্তু আমরা সেদিকে যাবো না। এখানে আমরা প্রধানত সামাজিক ব্লগিংয়ের নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করব।
ব্লগিং করতে যা যা প্রয়োজন
১.ব্লগিং করতে আপনার অবশ্যই যা প্রয়োজন তা হল আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন।
২.একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
৩.নির্দিষ্ট ব্লগের সাইটে আপনার একটা ব্লগ অ্যাকাউন্ট।
৬.ব্লগ সাইটের কিছু শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ব্লগের নীতিমালা গুলো জানা থাকতে হবে।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন
ব্লগিং করার জন্য অনেক প্লাটফ্রম আছে যেমন ব্লজ্ঞার, ওয়ারডপ্রেস, ইত্তাদি। আমি মনে করি আপনার জন্য ভাল প্লাটফ্রম হবে blogger.com। আপনি ব্লগার দিয়ে একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এখন ব্লগার এর জন্য অনেক থিম পাওয়া জাই ফ্রি তে জার ফলে আপনি আপনার মনের মতো করে আপনার ব্লগ কে সাজিয়ে নিতে পারেবেন ব্লগ ডিজাইন শেষ হলে আপনার ব্লগে একটি ডোমেইন লাগাতে পারেন তখন আপনার ব্লগ হয়ে উঠবে একটি আদর্শ মানের ওয়েবসাইট কিন্তু তার জন্য আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে...।
ব্লগস্পট প্লাটফরম কিকি দিবে আপনাকে ?কি কি সুভিদা পাবেন আপনি
ব্লগস্পট দিয়ে ব্লল্গ খুলতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রি তে
আপনি একটি সাবডোমাইন পাবেন যেমন Yourblogurl.blogspot.com
আপনি চাইলে নিজস্ব ডমেইন বেভহার করতে পারবেন যেমন Yourblogurl.com Etc
আপনি সম্পুন্ন কাস্টমাইজেশন সুভিধা পাবেন। আপানর মনের মত করে সাজিয়ে নিতে পারবেন আপনার ব্লগ কে। ইন্টার নেটে হাজার হাজার টেম্পলেট পাবেন সেখান থেকে আপানার মনের মত টেম্পলেট বা থিম বেবহার করুন তাতে কোন বাধা নাই
আপনি পর্যাপ্ত জাইগা পাবেন আপনার ব্লগ পরিচালনা করার জন্য
যে কুনো ভাসাই ব্লগিং করতে পারবেন (ইংসাল্লাহ বাংলা ভাসায় করবেন)
আলাদা আলাদা কেটা গরি করার জন্য বিভিন্ন লেবেল অনুযায়ী টিউন করতে পারবেন
আর অনেক কিছু আছে যা আপনি বেভার করতে করতে জানতে পারবেন...
চলুন এখন ব্লগ কিভাবে বানাবেন বানানোর পর কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন সার্চ ইঙ্গিন সাবমিট কিভাবে করবে সব সিখুন স্টেপ বাই স্টেপ
কিভাবে কিভাবে ব্লগস্পট দিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলবেনদিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলবেন ?
প্রথম কথা আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। আপনি একটি জিমেইল আকাউন্ট দারা ব্লগের সকল ধরনের কাজ করতে পারেন। জিমেইল আকাউন্ট মুটামুটি সবাই খুলতে পারে যদি আপনি না জানেন তা হলে প্রথমে আপনাকে http://Gmail.com জেতে হবে সেখানে সাইনাপ করার একটি অপশন থাকবে সেই অপশন এ গিয়ে একটি ফ্রম পাবেন ফ্রম টি পুরন করে আপনার জিমেইল আকাউন্ট তৈরি করুন
আজকে আর লিখতে পারছি না...। দ্বিতীয় পরবে আপনি সিখতে পারবেন কিবাবে একটি ব্লগ তইরী করবেন...
আগে প্রকাশিত আমার ব্লগ এ : কিভাবে ব্লগস্পট দিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলবেন। শুরু থেকে শেষ প্রজন্ত (JazaBorBlog)
আমি ব্লগার তাজমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।