একটা জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে ইউনিক কন্টেন্ট মানে হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটকে শুধুমাত্র আপনার ঐ সব লেখা ই জনপ্রিয় করে তুলতে পারে যেগুলু একান্তই আপনার লেখা মানে কপি-পেস্ট মুক্ত। গুগল ও তার রিসেন্ট আপডেট গুলোতে বার বার ইউনিক আর্টিকেল এর উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এবং বেশ কিছু ওয়েবসাইট যেগুলো সার্চ এ ভাল অবস্থানে ছিল সেগুলো তাদের অবস্থান হারিয়েছে শুধুমাত্র ইউনিক কটেন্ট এর অভাব এর কারনে!
তাই সহজেই বুঝা যাচ্ছে এখন সময় হচ্ছে ইউনিক আর্টিকেল এর, কপি পেস্ট বা লেখা চুরির দিন শেষ। এখন লেখা চুরি মানে খাল কেটে কুমির আনা। তাই এখন মোটামুটি সবাই চেষ্টা করে নিজের মধ্যে থেকেই কিছু লেখার জন্য। কিন্তু তারপরও যে লেখা কপি মারা বন্ধ হয়ে যায়নি এমনটা নয়। এখন ও প্রচুর পরিমানে লেখা চুরি হচ্ছে। যারা লেখা চুরি করেন আমি তাদেরকে বলব আহাম্মক অথবা নুন্যতম জ্ঞ্যান বুদ্ধিহীন! কারন কপি করে পেস্ট করতে যে সময় লাগে সেই সময়ে একটু ভাল ভাবে চিন্তা করলেই নিজ থেকেই লেখার কিছু আইডিয়া বেরিয়ে আসতে পারে। আর কপি মারার ধান্দায় যারা ঘুরে তারাই ঐ সব দূষ্প্রাপ্য লোক যারা নিজের পায়ে ই কুড়াল মারেন।
তাই নিজ থেকে লেখার চেষ্টা করা ভাল। তাছাড়া যারা অন্যের লেখা কপি মারেন তাদের গ্রহনযোগ্যতা এমনিতেই কমে যায়।
ভাববেন না শুধুমাত্র নিজের পায়ে কুড়াল না মারতে অথবা গ্রহনযোগ্যতা না হারানোর জন্য নিজ থেকে কিছু লেখার চেষ্টা করা উচিত। আসুন দেখে নেই আরো কী কী কারনে আপনার ইউনিক আর্টিকেল তথা নিজ থেকে লেখার চেষ্টা করা উচিত।
১। সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থান পাওয়ার জন্য
আমি আগেই বলেছি গুগল খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছে ডুপ্লিকেট লেখার ব্যাপারে। ইউনিক আর্টিকেল এর অভাবে সার্চ ইঞ্জিনে আপনি কখনোই সুবিধা করতে পারবেন না। আর আপনি যার লেখা কপি মেরেছেন সে যদি কোনভাবে টের পেয়ে গুগল এর কাছে অভিযোগ করে তাহলে ত আপনাকে গুগল থেকেই ব্যান করে দিবে। আমাকে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। আপনি নিজ থেকেই একটু যাচাই করে দেখুন কেন রিসেন্টলি ভাল অবস্থানে থাকা ওয়েবসাইট গুলোর ভরাডুবি হয়েছে! তাই আপনার চিন্তা ভাবনা গুলোকে একত্রিত করুন আর লিখা আরম্ভ করুন ফ্রেশ আর্টিকেল।
২। ভাল ভিজিটর পাওয়ার জন্য
আচ্ছা আপনি কি কখনও ঐ সব ব্লগ গুলোতে এক মুহুর্তের জন্য ছিলেন যেগুলোতে ডুপ্লিকেট আর্টিকেল পেয়েছেন? আমার মনে হয় আপনার উত্তর হবে “না”। যদি আপনার উত্তর না হয় তাহলে আপনি কিভাবে চিন্তা করলেন আপনার ওয়েবসাইটে থাকা ডুপ্লিকেট আর্টিকেল গুলো আপনার জন্য ট্রাফিক নিয়ে আসবে? যদি ভিজিটর আপনার ব্লগটিকে কপি-পেস্ট মুক্ত পায় তাহলে তারা তাদের নিজেদের দরকারেই বার বার আপনার ওয়েবসাইট টি ভিজিট করবে। এভাবে একসময় আপনার ব্লগের বেশ কিছ রেগুলার ভিজিটর বা ফ্যান পেয়ে যেতে পারেন।
আমাকে বিশ্বাস হয় না? তাহলে আপনার প্রতীবেশি ব্লগার এর ব্লগটিকে দেখুন, যার একটি ফ্রেশ ব্লগ আছে!
৩। আপনার আয় বৃ্দ্ধি করার জন্য
আয় করাকেই ব্লগিং করার প্রধান কারন হিসেবে চিহ্নিত করা বোকামি। প্রথমে ব্লগ টি কে আস্তে আস্তে গড়ে তুলুন নিজের মত করে তবে ভিজিটরের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে। আর আপনার ব্লগটিকে ইউনিক আর্টিকেল এর সাগর না হোক নদী বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন যেখানে ভিজ়িটররা বেশ কিছু সময় সাতার কাটতে পারবে।যদি ভিজিটররা আপনার ব্লগকে তার জন্য দরকারী হিসেবে পায় তখন আপনার আয় করা পানির মত সহজ হয়ে যাবে। কারন তখন আপনি কোন জায়গায় এড দিলেন সেটা ভিজিটররা দেখবে না। আপনি যেখানেই এডস দেন না কেন ভিজিটররা একটা ক্লিক করে হলেও অথবা আমাজন থেকে একটা প্রোডাক্ট কিনে হলেও আপনার আয় বৃ্দ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই প্রথমেই আয়ের চিন্তা না করে মন দিয়ে ফ্রেশ ব্লগ লিখার চেষ্টা করুন।
আজকের মত এখানেই শেষ। আমার কন্সেপ্ট গুলো একান্তই আমার ব্যাক্তিগত। কার কেমন লাগল তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ।
আমি জিএমশুভ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি জিএমশুভ। পড়ালেখার পাশাপাশি লেখা লেখি করছি। ভালবাসি টেকনোলজিকে। নেট ব্রাউজ করা আর বই পড়া আমার প্রধান সখ।আর ভালবাসি নতুন কিছু জানতে এবং অন্যকে জানাতে। ফেসবুকে আমি: http://facebook.com/gms.me
apnar post er jonno onek dhonnobad