ওয়েব হোষ্ট কেনার সময় ডিস্ক স্পেস ও ব্যান্ডউইথকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যতই প্রবনা থাকুক না কেন, সাপোর্ট সিস্টেমটি কি তা সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা না করে কিনে নিলে ঝামেলায় পড়তে হতে পারেন। আর এই বিষয়ে যারা নতুন তাদের জন্য কয়েকটা কথা বলতে হবে, যাতে পরবর্তিতে সমস্যায় না পরেন।
বেশিভাগ ভাল মানের হোষ্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বেশ ভাল সাপোর্ট সিষ্টেম থাকে। সব সময় অনেকগুলো যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করবেন। হোষ্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাপোর্ট সিস্টেমকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
যে সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব টিকেটিং সিস্টেম আছে সেখানে ওয়েব হোষ্ট বিষয়ক আপনার সমস্যার কথা লিখে দিলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জবাব দেয়। মেডিয়াটেম্পলে সাপোর্টে যোগাযোগের ৫ মিনিটের মাথায় জবাব পেয়েছিলাম। হোষ্টগেটরে ১০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছিল। বাংলাদেশি প্রভাইডার (যারা মূলতঃ ডেডিকেটেড সারবার বা ভিপিএস বা রিসেলার একাউন্ট কিনে ব্যবসা করছে) তাদের অনেকের সাপোর্ট সিষ্টেম বেশ দুর্বল হয়। অধিকাংশেরই নিজস্বটিকেটিং সিষ্টেম নেই আর তাই অনেককে সমস্যায় পড়তে শুনেছি।
সব ধরনের সার্ভিসের সাথেই ই-মেইলে যোগাযোগের পদ্ধতিটি রয়েছে। তবে কতসময় পরে ই-মেইলের জবাব দেয় সেটাই দেখার বেপার। হোষ্টিং প্রভাইডারের একাধিক ই-মেইল ঠিকানা থাকলে টুকে রাখুন। কখনো হোষ্টিং এ সমস্যা দেখা গেলে ই-মেইলে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
খুব বড় হোষ্টিং প্রতিষ্ঠান না থাকলে সাধারনত সরাসরি চ্যাটিং এর ব্যবস্থা করে না । তবে সরাসরি চ্যাটিং এর মাধ্যমে সাথে সাথে ফিডব্যাক পাওয়া যায়। আর তাই সরাসরি চ্যাটিং প্রক্রিয়াটি কতটা সক্রিয় তা দেখে নিবেন। হোষ্টিং কেনার সময় সার্ভিসের বেপারটা ভাল ভাবে দেখে না কিনলে নিজের সাইটে সমস্যা হলে বিপদে পরবেন।
অনেকে অবশ্য তাদের নিজস্ব সাইটে চ্যাটিং এর ব্যবস্থা করেন না। ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, গুগল টক বা ফেসবুক এর মাধ্যমে তাদের সাথে চ্যাটি করতে পারেন।
ছোট ছোট সমস্যা সমাধানের জন্য যেমন-ওয়েবসাইট ট্রান্সফার, ডিএনএস পরিবর্তন, নিজস্ব ডেডিকেটেড আইপি নেওয়া ইত্যাদি কাজে আপনি এক্সপার্ট না হলেও অনেক সময় সাপোর্টের লোকজন আপনার হয়ে অনেক কাজই করে দিতে পারে। আর তাই যোগাযোগের বেপারটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ।
যদি এমন হয় যে বাংলাদেশ থেকে আপনার সাইট দেখা যাচ্ছে না। এমন কি আপনার একাইন্টেও ঢোকা যাচ্ছে না। অথবা হোষ্টিং একাউন্টসহ হ্যাকারের হাতে চলে গেছে। তখন কি করবেন? সরাসরি ফোনে যোগাযোগ করেও অনেক কিছুই জানতে পারবেন। অনেক প্রভাইডারররা টোলফ্রি মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে আপনি ফোন করবেন অথচ আপনার মোবাইল থেকে কোন টাকা কাটবে না। তাদের সেই ধরনের ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশের কোন রিসেলারের কাছ থেকে হোষ্টিং কেনার পরে তার অফিসের ফোন ও মোবাইল নম্বরটি সংরক্ষন করে রাখুন। সাইট ডাউন হলে সরাসরি জানিয়ে দিন। সমাধানের বেপারে আলাপ আলোচনা করুন। প্রভাইডারদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন, যতক্ষন তাদের সার্ভিস ব্যবহার করবেন ততক্ষন আপনি তাদের কাছে দায় বদ্ধ। তারাও তাদের ব্যবসর সুনামের জন্য চেষ্টা করবে ভাল সার্ভিস দিতে, সার্ভিসের বেপারে বড় ধরনের সমস্যা বা প্রতারনা করলে ব্লগে তাদের সমালোচনা করুন। সবাই হোষ্টিং প্রোভাইডার সম্পর্কে জানতে ও সচেতন হতে পারবেন।
ইদানিং অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের সাপোর্ট সিষ্টেমকে ফেসবুকে অন্তর্ভূক্ত করে ফেলেছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানের একটি পাতা বা দল থাকে যেখানে সব সময় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। হোষ্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা লাইক করে নিন। জেনে নিন তাদের বিভিন্ন সময়ের অফার ও সমস্যা, সমাধান ও বর্তমান অবস্থান।
অনেক সময় সারভারে মেইনট্যানেন্সের কাজ চলাকালিন সময়ে আপনাকে তার খবর জানিয়ে দিতে পারে- এই নেটওয়ার্কে।
আশা করা যায় ওয়েব হোষ্টিং কেনার আগে ও পরে এই বেপারগুলো খেয়াল রাখলে সারভার বিষয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারবেন সহজেই।
আপনি কোন হোষ্টিং সার্ভিস গ্রহণ করার আগে গুগলে সার্চ দিয়ে তাদের হোষ্টিং এর নামের সাথে bad, poor support, problem ইত্যাদি শব্দ যোগ করে সার্চ দিন। তাদের কোন সাপোর্টের সমস্যার কথাটা বেড়িয়ে আসতে পারে বিভিন্ন ব্লগ ও ফোরাম থেকে।
আর একই হোষ্টিং যারা ব্যবহার করছেন তাদের কাছেও সরাসরি জানতে পারেন।
আশা করা যায় এই লেখাটি নতুনদের কাজে লাগবে। আমার হোষ্টিং বিষয়ক অন্যন্য লেখা পড়ার আমন্ত্রন রাইলো এবং এবং টিউটোরিয়ালবিডির হোষ্টিং সার্ভিস গ্রহণ করে আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ওয়েব হোষ্টিং এর ভূমিকা
ক্লাউড হোস্টিং কি? এর সুবিধা এবং অসুবিধা
ভিপিএস হোস্টিং বিষয়ক তথ্যভান্ডার
ধারাবাহিক সি-প্যানেল টিউটোরিয়াল
আমি টিউটোহোস্ট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 162 টি টিউন ও 69 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিউটোহোস্ট বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাস্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্রুতগতির বেশ কিছু ওয়েব সারভারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা এদেশে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন অনলাইন এবং ফোন সাপোর্টের ব্যবস্থা রেখেছি। বাংলেদশসহ অনেক দেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আমাদের সারভার ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশে এখন বিশ্ব মানের কোম্পানি আছে এবং দ্রুত সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। হোস্টিং এর ক্ষেত্রে দ্রুত সাপোর্ট অনেক গুরুত্বপুর্ণ। হোস্টিং কেনার আগে এ বিষয়টা ভেবে দেখা দরকার। শুধু দাম দেখে হোস্টিং কেনা উচিত না।