হোস্টিং কি জিনিস আজ সেটা কম বেশি অনেকেই জানেন। তার পরও বলতে হয় তাই বলা। আমরা আজকাল এই শব্দটিকে ওয়েবের সাথেই বেশি ব্যবহার করি এবং সে ক্ষেত্রে এর ডেফিনেশন দিতে গেলে বলতে হয় - হোস্টিং এমন একটি যায়গা যেখানে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফাইল, ডাটাবেস, ইমেজ ইত্যাদি রাখা হয়। এটি ওয়েব সার্ভারে থাকে এবং যখন কোন ওয়েবসাইট আমরা ব্রাউজ করি, ওয়েব সাইটের তথ্য গুল সেই ওয়েবসাইটের জন্য সার্ভারে থাকা হোস্টিং থেকে লোড হয়।
আজকাল আমরা অনেকেই ওয়েব সাইটে কাজ করি এবং এবং ওয়েব সাইটকে রান করার জন্য ডোমেইনের সাথে হোস্টিং ও কিনে থাকেন(অবশ্য অনেকেই ফ্রিও ব্যবহার করেন)। তো হোস্টিং আপনি যেখানেই কেনেন, কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তো এবার আলোচনা করা যাক হোস্টিং কেনার সময় যা যা দেখা একান্ত প্রয়োজন।
প্রথমেই বলছি হোস্টিং স্পেস নিয়ে : আপনার সাইটটি কেমন ধরনের হবে তার উপর ঠিক করবের আপনার কতো খানি জায়গা দরকার । নিজের ব্লগ 20MB দিয়েও শুরু করা যায়, তবে 50MB বা তার বেশি হলে ভাল হয় । যদি আপনার সাইটে ভারি ভারি ফাইল যেমন, সফ্টওয়ার বা মুভী রাখেন তবে স্পেস আনলিমিটেট নেওয়াই ভাল কারন এগুলো অনেক বেশি জায়গা নেয় । যদি কোন মোবাইলের সাইট করতে চান সেক্ষেত্রে 1GB বা তার বেশি নেওযা উচিৎ কারন মোবাইলের সাইট গুলোতে অনেক ওয়ালপেপার, মোবাইল সফ্টওয়ার রিংটোন ইত্যাদি রাখতে হয় । আসলে আপনারাই ঠিক করতে পারবেন আপনার কতোখানি হোস্টিং স্পেস দরকার কারন আপনিই জানেন আপনার সাইটটি কি ধরনের এবং সেখানে কি কি থাকবে ।
এবার Bandwidth: Bandwidth সাধারনত মাসিক আকারে দেয়া হয়। আর এর উপরই নির্ভর করে আপনার সাইট মাসে কতোবার দেখা যাবে। যদি আপনার সাইটের ভিজিটর বেশি হয় তবে Bandwidth ও বেশি লাগবে । আজকাল আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের অনেক প্যাকেজ ব্যবহার করি । কেউ হয়তো 1GB কেউবা 3 আবার অনেকে আনলিমিটেট। ঘটনাটা কি ঘটে? লিমিটেডের ক্ষেত্রে লিমিট ওভার হলেই লাইন অফ সে মাসের জন্য (যদিও আজকাল কিছু অতিরিক্ত ফির বিনিময়ে এটিকে চালু রাখাযায় আবার অনেকের লিমিটেড দিয়েই কাজ চলে )। আসলে আমরা কিন্তু নেট ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেটের Bandwidth কিনছি বিভিন্ন কম্পানির কাছ থেকে। হোস্টিং এর ক্ষেত্রেএ একই ঘটনা ঘটে। কোন মাসের Bandwidth শেষ হলে সাইট মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি।
Email & Database: আজকাল অনেক সাইট ই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন CMS দিয়ে এবং এ ক্ষেত্রে ডাটাবেইস বাধ্যতামুলক। আর নিজের ডোমেইনের ইমেইল খুলতে চাইলে ইমেইল সাপর্ট অবশ্যই থাকেতে হবে হোস্টিং-এ।
FTP Accounts: FTP হচ্ছে File Transfer Protocol যেই প্রোটকল ইউজ করে হোস্টিং এ ফাইল আপলোড, ডাউনলোড ইত্যাদি করা যায়। একাধিক FTP Account করার সুযোগ থাকলে একই হোস্টিং একাধিক ইউজার ব্যবহারের সুযোগ থাকে। এ বিষয়ে হয়তো পরে আরও আলোচনা করা যাবে ।
cPanel: cPanel হচ্ছে Control Panel. এটি থাকা বাধ্যতামুলক না, আর সব হোস্টিং-এ এটি থাকেও না। আবার থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে এর সাহায্যে সহজেই হোস্টিং কন্ট্রল করা যায় এবং এতে অনেক সুবিধা থাকে। যেমন ধরুন , ইমেইল একাউন্ট তৈরি, সাবডোমেইন তৈরি, ফাইল ম্যানেজার, কোড এডিটর আরও অনেক কিছু।
Price: এটা আসলে বলা মুশকিল, একেক কম্পানি একেক রকম দামে তাদের প্রডাক্ট বিক্রি করে। আপনারা বিভিন্ন ডোমেইট হোস্টিং কমপানির সাইট ঘাটলেই বুঝতে পারবেন এ বিষয়টি। আমার Hosting Plans ঘুরে আসতে পারেন চাইলে। আলোচনার বিষয়টি অনেক বড়। চেষ্টা করেছি আপনাদের কিছু অংশ জানাতে। আশা করছি সামনে আরও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব । ভাল খাকবেন ...
আমি শাহরিয়ার সরকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জানতে ও জানাতে চলে আসুন আমার সাইট কিভাবে,কম ( https://kivabe.com ) এ
খুব ভাল লাগল।