আচ্ছা বিশ্বের সবথেকে বড় কোম্পানি গুলো অর্থাৎ বিশ্বের বড় সবথেকে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো কি প্রথমের দিকে শুধুমাত্র মার্কেটিং যেমন ফেসবুক মার্কেটিং, টিভি চ্যানেল মার্কেটিং ইত্যাদি করেই তাদের কাস্টমারগুলো অর্জন করতে পেরেছিল? না এর পেছনে তারা কিছু টেকনিক অবলম্বন করেছিল? প্রশ্ন দুটি হলেও এর উত্তর কিন্তু একটি হবে আর সেটি হলো, অবশ্যই তারা একটি টেকনিক অবলম্বন করেছিল!
আর এই টেকনিকটি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই আমার এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে হবে। যদিও টাইটেল দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আমি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। হ্যাঁ! আপনি ঠিকই ধরেছেন আমি আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি একটি ই-কমার্স সাইটের জন্য আর্টিকেল বা ব্লগের প্রয়োজনীয়তা।
এই টেকনিকটি জানার আগে চলুন আপনাকে ব্যাসিক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনার মনের খিতখিতে ভাব গুলো দূর করি!
ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি?
অনলাইনের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে মূলত ই-কমার্স বলা হয়। ই-কমার্স মানে হল ইলেকট্রনিক কমার্স। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন ই-কমার্সের চাহিদা এবং দিন দিন সেটা বেড়ে চলছে যেটা পরিসংখ্যানে হিসাব করলে হয়তো সামনে 10 বছর পর ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি একটি বড় আকার ধারণ করবে।
ব্লগ বা আর্টিকেল কি?
যেকোনো বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখালেখি করাকেই মূলত ব্লগ বা আর্টিকেল বলা হয়। যদিও আমার সংজ্ঞাটি আরেকজনের মুখ থেকে শুনলে অন্যরকম হতে পারে কিন্তু দিনশেষে এর উত্তরটি একি হবে।
ব্লগ বা আর্টিকেল একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
মনে করুন আপনার একটি ইলেকট্রনিক দোকান রয়েছে। এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার সেই দোকানের নামে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে এবং অনলাইনের মাধ্যমে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাপী বিক্রি করতে। তাহলে আপনাকে কি করা লাগবে? আপনাকে যদি আপনার সেই প্রোডাক্টগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে হয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনার সেই ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করা লাগবে।
হয়তো হতে পারে সেটা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে, আবার হয়তো হতে পারে সেটা ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু আপনি যদি চান আপনার প্রোডাক্ট গুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করবেন কোন মার্কেটিং ছাড়া তাহলে আপনাকে একটি টেকনিক অবলম্বন করতে হবে আর সেই টেকনিক অবলম্বন করার পদ্ধতিকে আমি এখানে মূলত ব্লগ বা আর্টিকলকে সম্বোধন করছি।
ব্লগ বা আর্টিকেল ই কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য কিভাবে ফ্রিতে মার্কেটিং এর উপায় হতে পারে?
আমি তো আগেই বলেছি আপনাকে মনে করে নিতে হবে আপনার একটি ইলেকট্রনিক দোকান রয়েছে বা এখন সেটা বর্তমানে একটি ই-কমার্স ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এবার আরেকটু কষ্ট করে মনে করুন আপনি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রি করেন যেমন টেলিভিশন, ফ্রিজ ইত্যাদি।
এবার আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ অপশনে বা আর্টিকেল লেখার অপশনে প্রতিনিয়ত আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে লেখালেখি করেন, যেমন উদাহরণস্বরূপ আপনি লিখলেন এই একটি বিষয় নিয়ে {“পাঁচটি সেরা ফ্রিজ 2019 সালের জন্য”} এখন আপনি এই টিউনের মধ্যে পাঁচটি সেরা ফ্রিজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন যেমন কোন ফ্রিজটি ভালো, কোন ফ্রিজের দাম কেমন, কোন ফ্রিজ সার্ভিস ভালো দেয় ইত্যাদি।
এখন বাংলাদেশের যে কোন মানুষ অথবা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থেকেই কেও যখন গুগলে এটা লিখে সার্চ দেবে যে {“পাঁচটি সেরা ফ্রিজ 2019 সালের জন্য”} তখন আপনার ওয়েবসাইটটি তারা খুঁজে পাবে এবং আপনার সেই আর্টিকেল পড়বে যার ফলস্বরূপ আপনি সেখান থেকে ফ্রিতে কাস্টমার পাবেন।
যদিও আপনি আমার এ কথাটি শুনে একটু হাসতে পারেন কিন্তু আসলে আপনার হাসা উচিত না কারণ বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো এই টেকনিক ফলো করেছিল তাদের কোম্পানির শুরুর দিকে।
আজকের টিউন মূলত এই পর্যন্তই আশা করি একটি ই-কমার্স সাইটের জন্য ব্লগ/আর্টিকেল এর গুরুত্ব আপনি বুঝতে পেরেছেন। তাই শুরু করে দিন আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখালেখি।
শুভ হোক আপনার দিন। পরের কোন পর্বে আপনার সাথে আবার দেখা হবে সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
আমি সাজিদুর রহমান। CEO & Co-Founder, DakPakhi LTD., Meherpur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 7 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি রিলেটেড যত কিছু এ পর্যন্ত শিখেছি চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের মধ্যে সেগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার। নিজের সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই তবুও একটা কিছু আছে বলে মনে হয় ! বর্তমানে লেখাপড়া করছি কম্পিউটার ডিপ্লোমায়।