আপনার ওয়েসাইটটি লোড হতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগার কারনগুলো জানতে পারলে খুব সহজেই আপনি সমাধান আনতে পারবেন। বেশ কিছু কারনে আপনার ডায়নামিক ওয়েবসাইটটি দ্রুত লোড হয় না। কয়েকটি বিষয় প্রথম আলোচনায় আনা যাক-
আপনার ওয়েব হোস্টিং সারভারের প্রসেসর, ক্যাশ মেমরী, র্যাম ও ইন্টারনেটগতির উপরে আপনার সাইটের লোডটাইম নির্ভর করে।
আর আপনি যদি শেয়ার হোস্টিং সারভার ব্যবহার করেন তাহলে সেই সারভারের সিপিইউ লোড বেশি হলে আপনার সাইট ধীরে লোড হবে। ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী আপনার ওয়েব হোস্টিং সারভার পছন্দ করে নিতে পারেন।
সারভারসাইড স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজে যে সব সাইটের ডিজাইন করা হয় যেমন- পিএইচপি, এএসপি ডটনেট ইত্যাদি পেজগুলো প্রথমে সারভারের সিপিউতে এক্সিকিউট করে। এবং তা এইচটিএমএল এ রুপান্তরিত রূপ ক্লাইটকে দেখানো হয়।
ওয়েবসাইটের কোন পেজএর প্রোসেস এর আকার যদি বড় হয় তাহলে সারভারে এটি প্রোসেস হয়ে আসতে বেশি সময় নিবে। অপ্রয়োজনীয় আনেক কোডই আপনার ওয়েবপেজে থাকতে পারে যা নিয়মিতভাবে প্রোসেস হচ্ছে এবং আপনার সাইটের গতি স্লথ করছে।
একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর প্রবেশ করলে কখনো ডাটাবেজ টাইমআউট দেখতে পারেন। অনেক বেশি সংখ্যক মাইটএসকিউএল কানেকশন এবং কলের কারনে কোয়েরীগুলো এক্সিকিউটে বেশি সময় নিতে পারে। ডায়নামিক ওয়েবসাইটে প্রথমে স্ক্রিপ্টিটি পেজ এক্সিকিউট হয় এবং কোয়েকরীর মাধ্যমে চাহিদামতো তথ্য ডাটাবেজ থেকে সংগ্রহ করে। একই সময় অনেকে তাদের চাহিদামতো তথ্যের জন্য কোয়েরী এক্সিকিউট করতে গিয়েও সারভারের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
অনেকসময় ওয়েবসাইটের প্রথম পাতাটি দ্রুত লোড হতে দেখা যায় কিন্তু ভেতরের পাতাগুলো লোড হতে বেশ সময় নেয়। তার একটি কারন হতে পারে এমন - প্রথম পাতাটি ক্যাশিং করা আছে এবং ভেতরের পাতাটি প্রদর্শনের জন্য ডাটাবেজ থেকে তথ্যটি টি এনে দিতে হয়েছে।
ওয়েবসাইটের কোন পেজে যতগুলো ফাইলকে কলকরা হবে ততগুলো ফাইল ডাউনলোডের রিকোয়েস্ট সারভারে যায় এবং প্রতিটি ফাইল আলাদাভাবে ডাউনলোড হয়ে একসাথে প্রদর্শিত হয়।
১০টি ১০ কিলোবাইটের ফাইল লোড হতে যে সময় প্রয়োজন হয় ১০০ কিলোবাইটের ১টি ফাইল তার চেয়ে কম সময়ে লোড হয়। তাই ওয়েবসাইটের কোন পেজ লোড হওয়ার জন্য কতগুলো ফাইল রিকোয়েস্ট করে তার উপরেও ঐ পেজের লোডিংটাইম নির্ভর করে।
ওয়েবসাইটের গতি স্লথ হওয়ার নিয়ামকগুলো বলা হলো এখন জেনে নিতে হবে কিভাবে এই বাধাগুলো দুর করবো। ওয়েবসাইটরে ধরন অনুযায়ী ভালমানের সারভার নিতে হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইনের সময় কি কি এক্সিকিউট হচ্ছে তা দেখতে হবে তথা অনেক বড় প্রোসেসকে ছোট ভাগে যাতে কাজ করিয়ে নেওয়া যায় সেইভাবে ডিজাইন করতে হবে। অথবা কিছু পেজ ক্যাশিং করে রাখা যেতে পারে যা বার বার প্রসেস হবে না।
মাইএসকিউএলের বেশি ব্যবহৃত কোয়েরীও ক্যাশিং করা যেতে পারে। অনেকগুলো ছবি, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি ফাইল মার্জ করতে হবে যাতে সারভার রিকোয়েস্ট কম হয়। এই পদ্ধতিগুলো আলাদাবাবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। সাথে থাকুন।
আমি টিউটোহোস্ট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 162 টি টিউন ও 69 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিউটোহোস্ট বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাস্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্রুতগতির বেশ কিছু ওয়েব সারভারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা এদেশে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন অনলাইন এবং ফোন সাপোর্টের ব্যবস্থা রেখেছি। বাংলেদশসহ অনেক দেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আমাদের সারভার ব্যবহার করছে।
ok