বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজ আলোচনা করবো ব্লগিং এবং ইউটিউবিং দুইটি বিষয় নিয়ে। কোন বিষয়টি আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হবে এবং এর সুবিধা অসুবিধা সহ কোনটিতে আয় বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।
আপনি ইউটিউবিং নাকি ব্লগিং করে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই টিউনে। বন্ধুরা এই জন্য সম্পূর্ণ টিউনটি ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আপনি ব্লগিং করে সবচাইতে আগে ক্যারিয়ার সাজাতে পারবেন নাকি ইউটিউবিং করে সাজাতে পারবেন এ সম্পর্কে এই টিউনে বলা হবে।
ব্লগিং এবং ইউটিউব দুইটি বিষয় কিন্তু একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। এই দুইটি ক্যাটাগরিতে আপনি আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। কারো কাছে হয়তবা লেখালেখি করতে ভালো লাগে আবার কারো কাছে হয়তোবা ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করতে ভালো লাগে। এক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং করুন অথবা ইউটিউবিং করুন, দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু দর্শকের কাছে আপনার কন্টেন্ট পৌঁছে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এখানে বিষয়টি হচ্ছে এসব জিনিস সবার জন্য নয়। কারো জন্য ব্লগিং করার জন্য ইউটিউবিং।
তো ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে আপনার যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং আপনি কোনটি সহজে করতে পারবেন সেটি সম্পূর্ণ টিউনটি পড়লেই হয়তোবা বুঝতে পারবেন। আপনি ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন এ বিষয় সম্পর্কে আপনাকে আলাদা করে বলতে হবে না।
ব্লগিং শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার তেমন কিছু লাগবেনা। ব্লগিং হচ্ছে ইন্টারনেটে কোন বিষয়ের উপর কোন কিছু লেখা। ইন্টারনেটে কোনো ব্যক্তি সেই লেখাগুলো পড়বে এবং সেখান থেকে সে কোন কিছু গ্রহণ করবে। ব্লগ সাইটে আপনি আপনার অভিজ্ঞতার উপর কোন বিষয় সম্পর্কে লিখতে পারেন সেখানে কিছু শেখাতে পারেন এবং সেই লেখাগুলো আপনার কোন দর্শক দেখবে এবং সেখানে তার মতামত জানাবে এবং আপনি তার মতামতের উত্তর দেবেন এভাবেই মূলত ব্লগিং কাজ করে।
নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কোন কিছু ব্লগ সাইটে ছাড়ার জন্য একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা কিন্তু বর্তমানে কোন কঠিন কাজ নয়। গুগলের ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার কিছুই লাগবে না, আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া ব্লগিং করতে আপনার তেমন কোনো কিছুর দরকার পড়বে না যেমন ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার। আপনি আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনটি দিয়েই ব্লগিং করতে পারবেন।
তবে আপনার ব্লগ সাইটে আপনার লেখাতে ম্যাজিক থাকতে হবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে যেন কোন ব্যক্তি কিছু জানতে পারে বা সেখান থেকে কিছু শিখতে পারে এবং আপনার ব্লগ সাইট থেকে কোন উপদেশ নিয়ে সেটি যেন তার জীবনে সে কাজে লাগাতে পারে।
ব্লগ সাইট থেকে আপনি অনেক ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। ব্লগ সাইটে আপনি বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন এবং আপনার যদি নিজের কোনো পণ্য থাকে তবে সেটা আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।
ব্লগ সাইট থেকে আয় করার প্রধান মাধ্যম বিজ্ঞাপণ। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং নিজের পণ্য আপনার ব্লগ সাইটে বিক্রি করতেন না চান তবে আপনি গুগলের বিজ্ঞাপণ থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে গুগল বাংলা ওয়েবসাইট গুলোতেও তাদের বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করার ব্যবস্থা রেখেছে। তাই আপনার ওয়েবসাইট যদি বাংলা কনটেন্ট দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে তবে আপনি গুগলের এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপণ দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে একটি ব্লগ সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পেতে হলে সেই সাইটে 20 থেকে 30 টি কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগ দিতে হয় এবং সেগুলো অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত হতে হয়। তারপর সেই ব্লগ সাইট থেকে গুগলের অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ পাবার জন্য আবেদন করতে হয়। তারপর সেই সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ দিয়ে দিলে সেখান থেকে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় আসা শুরু করে। গুগল এডসেন্স ছাড়া আরো অনেক অ্যাড নেটওয়ার্ক আছে যেখান থেকে আপনি আপনার ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপণ আনতে পারেন। গুগল এডসেন্স থেকে আয় নির্ভর করবে আপনার ব্লগ সাইটের ভিজিটর এর ওপর। আপনার ব্লগ সাইটে কিরকম অ্যাড ইম্প্রেশন হচ্ছে, বিজ্ঞাপণে কি রকম ক্লিক করছে, সেই সঙ্গে সেই বিজ্ঞাপনটি কোন এলাকার মানুষদের দেখানো হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ের উপর।
একটি ব্লগ সাইট থেকে আয় করার প্রধান মাধ্যম বিজ্ঞাপণ হলেও একটি ব্লগ সাইটে বড় একটি অংশ আয় হয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেওয়া এবং তার বিনিময়ে একটি কমিশন নেওয়া। আপনার বিক্রি করা প্রোডাক্টটি হতে পারে কোন ডিজিটাল কোন প্রোডাক্ট অথবা বস্তুগত কোন প্রোডাক্ট। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় কোন অনলাইন শপ এর কোন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক নিয়ে নিজের ব্লগ সাইটে দেবার মাধ্যমে।
কোন ব্যক্তি যদি আপনার ব্লগ সাইট থেকে সেই এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে সেই পণ্যটিকে কেনে, তবে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন সেই প্রতিষ্ঠানের সেই পণ্যটির অ্যাফিলিয়েট কমিশনের ওপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগ সাইটে যদি ট্রাফিক অনেক বেশি হয় তবে আপনি এই সাইট থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে।
প্রত্যেকটি কাজের একটি সমস্যা রয়েছে। একটি ব্লগ সাইটের সব চাইতে যে সমস্যাটি হয়ে থাকে তা হলো সেই সাইটে ভিজিটর না আসা। আপনি যদি ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ধারনা না থাকে তবে আপনি ব্লগিং করার ক্ষেত্রে বেশি সফল হবেন না। আপনি সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক পেতে পারবেন না, আর ওয়েবসাইটের ট্রাফিক না আসলে কোন ইনকাম হবে না এবং এতে আপনার ব্লগিং সফল হবে না।
তো আপনাকে ব্লগিং করার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিষয়টি জানতে হবে, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না শিখলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে এগিয়ে নিতে পারবেন না। আপনার ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এই সমস্যাটির ছাড়া আর কোন সমস্যা বেশি সম্মুখীন হতে হবে না। তাই ব্লগিং করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনি কেন শিখবেন এ নিয়ে আমার পূর্ণাঙ্গ একটি টিউন রয়েছে। এসইও সম্পর্কিত সেই টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি যদি ব্লগার হতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভালো কিছু বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগ সাইটে লিখতে হবে এবং সেগুলো কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। কিন্তু ইউটিউব এর ক্ষেত্রে এসব বিষয়গুলো নেই। আপনার কাছে যদি একটি ক্যামেরাযুক্ত ফোন থাকে তবেই আপনি ইউটিউবিং শুরু করতে পারবেন।
ইউটিউবে যে কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করা যায়। কিন্তু ব্লগ সাইটে সেটি সম্ভব নয়। কেননা একটি ব্লগ সাইটে যদি তথ্যবহুল কোন কিছু না থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সেটিকে অপটিমাইজ করেনা, যে কারণে সেই ব্লগ সাইটের সেই ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আসেনা এবং সেখান থেকে কোন ট্রাফিক পাওয়া যায় না। কিন্তু ইউটিউব এর ক্ষেত্রে আপনি ক্যামেরা চালু করে এবং ভিডিও শুট করে ইউটিউবে আপলোড করলেই চলে।
আপনি যে বিষয় সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করতে চান সেটি তৈরি করে ইউটিউবে পাবলিস্ট করলেই সেটি ইউটিউব সবার কাছে পৌঁছে দেয়। কারো কাছে যদি সেই ভিডিওটি দেখার মত হয় তবে সে ভিডিওটি দেখবে এবং যার দেখার মতো মনে হবে না সে ভিডিও তে ক্লিক করবে না। এক্ষেত্রে আপনার ভিডিওতে অবশ্যই কম বেশী ভিউজ আসবে। যেটি কিন্তু ব্লগিং করার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
ব্লগ সাইটে আপনি কিছু শেয়ার করলে সেটি যদি তথ্যবহুল হয় তবে সেটি সার্চ ইঞ্জিন কারো কাছে দেবে। আর যদি কোন তথ্যবহুল ব্লগ না হয় তবে সেটি থেকে কোন ট্রাফিক আসবে না। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ইউটিউবিং করাই আমাদের জন্য সবচাইতে ভালো হবে।
ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি ক্যামেরাই যথেষ্ট। এছাড়া বর্তমান সময়ের মোবাইলের ক্যামেরা অনেক ভাল হওয়ায় এটি দিয়েই আপনি ভিডিও শুট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার আলাদা করে ক্যামেরার কেনারও দরকার পড়বে না। এছাড়া ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনার বেসিক কিছু জ্ঞান থাকলেই চলে, আপনার প্রথমেই ভিডিও এডিটিং করার কাজে বেশি কিছু জানার প্রয়োজন পড়বে না। ধীরে ধীরে আপনি এডিটিং করার বিষয় গুলো শিখে নিতে পারবেন। এসব বিষয়গুলো কিন্তু আপনি ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারেন।
তো আপনার ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে একটি ভালো মানের ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল থাকলেই চলবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমে কোন ডেক্সটপ প্রয়োজন হবে না। তবে আপনি যদি অনেক ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে চান তবে আপনাকে আলাদা করে একটি ক্যামেরা এবং ভিডিও এডিটিং এর জন্য ডেক্সটপ কিনতে হবে। যেটা কিন্তু ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে বড় একটি বিনিয়োগের মত। ইউটিউব এর মত এত বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্লগ সাইটের জন্য প্রয়োজন পড়বে না। সেখানে কয়েক হাজার টাকার মধ্যে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে সেই ওয়েবসাইটটিকে ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার দিয়ে সাজানো যায়।
ইউটিউবে অনেক ভাবেই আয় করা যায়। ইউটিউবে আপনি অনেক মাধ্যম দিয়ে আয় করতে পারবেন। ইউটিউবে টাকা আয় করার চাইতেও সবচেয়ে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, খুব সহজেই নিজে জনপ্রিয় হওয়া যায়। ইউটিউবে খুব সহজেই আপনার ভিডিওর লাখ লাখ মানুষের সামনে চলে যায় এবং যেখানে আপনার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ইউটিউব একটি প্লাটফর্ম যেখানে অনেক ভিজিটর রয়েছে যারা নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকে। এখানে আপনি ইউটিউব এর ভেতরে গিয়ে ভিডিও তৈরি করেছেন যেখানে ইতিমধ্যেই অনেক ভিজিটর রয়েছে যাদের মধ্যে কেউ না কেউ আপনার ভিডিও গুলো দেখবে।
ইউটিউবে আয় করা ক্ষেত্র সম্পর্কে যদি আপনাদেরকে বলি, তাহলে ইউটিউবে আয় করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে গুগলের বিজ্ঞাপণ। ব্লগ সাইটের গুগলের এডসেন্স এবং ইউটিউবের যে এডসেন্স সেটি একই। ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে মূলত আয় হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি চাইলে ইউটিউব এর মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যেটির ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যেই ব্লগের মধ্যে বলেছি। আপনি ইউটিউব ভিডিওতে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
আপনি কোন একটি প্রোডাক্ট এর রিভিউ ভিডিও তৈরি করে এবং সেটির এফিলিয়েট লিংক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
এছাড়া ইউটিউব এর ক্ষেত্রে আরও একটি আয় করার মাধ্যম রয়েছে, সেটি হলো আপনার চ্যানেল যদি খুব বেশি বড় হয়ে যায় তবে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনাকে প্রোডাক্ট এর রিভিউ এর জন্য পাঠানো হতে পারে অথবা কোন পণ্যের স্পন্সর এর জন্য বলতে পারে। গুগলের বিজ্ঞাপণ থেকে আয় করার চাইতে এ পদ্ধতিতে ইউটিউবারদের আয় অনেক বেশি হয়ে থাকে। ইউটিউবিং নিয়ে আমার একটি পূর্ণাঙ্গ টিউনে রয়েছে। ইউটিউবিং আপনি কেন করবেন সে টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। আপনি যদি ইউটিউবে প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করতে চান তবে আপনার একটি ভালো মানের ক্যামেরা প্রয়োজন পড়বে, যেখানে আপনারা লক্ষ টাকার মতো খরচ পড়তে পারে। এছাড়া আপনার একটি ভালো স্টুডিও সেটআপ লাগবে এবং আপনার ভিডিও গুলোতে এডিটিং করার ক্ষেত্রে ও একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর প্রয়োজন পড়বে।
অন্যদিকে ব্লগিং করার ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের কিছুই প্রয়োজন পড়বে না। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ব্লগার ও হয়ে থাকেন তবে আপনার ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ হলেই চলবে। কিন্তু আপনি যদি ইউটিউবার হন এক্ষেত্রে আপনার ভাল ক্যামেরা লাগবে, ভাল স্টুডিও সেটআপ লাগবে এবং সেই ভিডিওটি ভালোভাবে এডিট করতে হবে। ভালো মানের একটি ভিডিও এডিট করা কিন্তু মোটেও কোনো সহজ কাজ নয়। তবে ধীরে ধীরে আপনি যখন শিখবেন তখন পরবর্তীতে আপনার কোন সমস্যাই হবে না।
আপনি ইউটিউবিং করবেন নাকি ব্লগিং করবেন এ বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার উপর। এক্ষেত্রে আপনি কোনটি করতে ভালোবাসেন, আপনার কোন কাজটি করতে বেশি ভালো লাগে এসব বিষয়ের উপর। আপনি ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন সেটির উত্তর আপনার কাছেই রয়েছে। আপনি যদি ক্যামেরার সামনে এসে আপনার তথ্যটি মানুষের কাছে শেয়ার করতে চান তবে আপনার ক্ষেত্রে ইউটিউবিং করাই ভালো হতে পারে। ইউটিউবে আপনার জনপ্রিয়তা খুব সহজেই বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি যদি ক্যামেরার সামনে এসে কথা বলতে না পারেন অথবা কথা বলতে না চান তবে আপনার জন্য ব্লগিং করাই ভালো হতে পারে। বিশেষ করে আপনার যদি লিখতে ভাল লাগে তবে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। অনেকেই রয়েছে যাদের লিখতে ভাল লাগে, ভিডিও তৈরি করতে ভালো লাগে না তারা চাইলে ব্লগিং করতে পারে।
অপরদিকে আপনি যদি ভাল লিখতে না পারেন কিন্তু ইউটিউব এর জন্য ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন তবে আপনি ইউটিউব কে বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি ব্লগিং করার ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর বিষয়গুলো না জানেন এবং কোন তথ্য বহুল ব্লগ না লিখতে পারেন তবে আপনি ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করুন। আর যদি এতো সব সমস্যার ভিড়েও লেখালেখি করা আপনার পছন্দ হয় তবে ব্লগিং করুন।
আপনি ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন এ বিষয় সম্পর্কে আমি হয়তোবা আপনাদেরকে কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি। এর মধ্যে আপনি কোনটি করবেন সেটির উত্তর আপনার কাছেই রয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো না। তো বন্ধুরা আজ এখানেই, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে আরো নতুন কিছু নিয়ে ইনশাআল্লাহ। সে সময় পর্যন্ত টেকটিউনস এর সঙ্গেই থাকুন এবং সেইসঙ্গে টেকটিউনস এ আমাকে ফলো করে রাখুন, যাতে করে আমার নতুন কোন টিউন প্রকাশিত হলে সবার আগে আপনার হোমপেজে চলে আসে। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
আপনার প্রকাশিত ‘ব্লগিং ও ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে যেটি করা ভালো হবে এবং এসব কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ’ টিউনের টিউন থাম্বনেইলের এর Rectangle Element এর কালার স্কিম ও আপনার ‘অনলাইনে আয় করার ১২টি দারুণ উপায়’ টিউনের টিউন থাম্বনেইলের এর Rectangle Element এর কালার স্কিম, হুবহু একই কালার স্কিম বা কাছাকিছি কালার স্কিম করা হয়েছে।
টিউন থাম্বনেইল টেমপ্লেট গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতিটি টিউনের জন্য স্বতন্ত্র টিউন থাম্বনেইল তৈরি করতে হয়। প্রতিটি টিউন টিউন থাম্বনেইলের কালার স্ক্রিম যেন এক না হয়ে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়। প্রতি টিউনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কালার স্ক্রিমের টিউন থাম্বনেইল তৈরি করতে হয়। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হয় পর পর প্রকাশিত ৫টি টিউনের টিউন থাম্বনেইলের কালার স্ক্রিম যেন কখনই এক বা কাছাকাছি কালার স্কিমের না হয়।
করণীয়:
আপনার প্রকাশিত ‘ব্লগিং ও ইউটিউবিং করার ক্ষেত্রে যেটি করা ভালো হবে এবং এসব কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ’ টিউনের টিউন থাম্বনেইলের এর Rectangle Element এর কালার স্কিম টিউন থাম্বনেইল টেমপ্লেট গাইডলাইন অনুযায়ী সংশোধন করুন।
প্রতিটি টিউনের জন্য স্বতন্ত্র টিউন থাম্বনেইল তৈরি করুন। প্রতিটি টিউন টিউন থাম্বনেইলের কালার স্ক্রিম যেন এক না হয়ে যায় সে দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতি টিউনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কালার স্ক্রিমের টিউন থাম্বনেইল তৈরি করুন। বিশেষ করে খেয়াল রাখুন পর পর প্রকাশিত ৫টি টিউনের টিউন থাম্বনেইলের কালার স্ক্রিম যেন কখনই এক বা কাছাকাছি কালার স্কিমের না হয়।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।