বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের জীবনে অনেকটা প্রভাব ফেলেছে। মানুষ বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন কৌশল বের করেছে। যার ফলে তৈরি হয়েছে অনলাইনে আয় করার নানা পথ।
বর্তমানে ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাওয়া যায় যেখানে বলা থাকে যে এক দিনেই হাজার কিংবা ১০০০ টাকা ইনকাম করুন, মাসে লক্ষ টাকার উপরে আয় করুন ইত্যাদি সব থামনেল যুক্ত ভিডিও। আমি এখানে বলে রাখি এসব ভিডিওর অধিকাংশই হয় মিথ্যা। যেগুলোতে কোন কাজের কাজ থাকেনা, শুধুমাত্র সেই সব ভিডিও গুলো ইউটিউবারদের নিজের স্বার্থের জন্য তৈরি করা হয়। এখানে যে ভিডিওটি দেখে তার বেশি কিছু উপকার হয় না।
এসব ভিডিও গুলো সাধারণত মানুষ সবসময় মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ ভিডিও গুলো দেখে। যাতে করে কিন্তু তাদের ইউটিউব থেকে কিছু একটা হলেও আয় হয়। কিন্তু যে ভিডিওটি দেখছে তার কাজের কাজ কিছুই হয় না। অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে আপনি কোন পথ ধরে এবং কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। অযথা ভুল করে এমনি এক ভিডিও দেখে ভবিষ্যৎ নষ্ট করা উচিত নয়।
বর্তমানে অনলাইনে নানা উপায়ে আয় করার সুযোগ থাকলেও এ সেক্টরে অনেক প্রতারণার শিকার হতে হয়। ইউটিউবে যে রকম ভাবে ভিডিও দেখানো হয় যে, রাতারাতি কোটিপতি বা লাখোপতি হয়ে যাবার মত অবস্থা। যেটি কিন্তু বাস্তবে সম্ভব নয়। অনলাইনে আয় করার সুযোগ থাকলেও এখানে রাতারাতি কোটিপতি বা লাখোপতি হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই আপনি যদি অনলাইনে এমন কোন ভিডিও কিংবা অন্যান্য প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইটে এরকম কোন তথ্য দেখেন যে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবার উপায় এর ওপর কোন ভিডিও লেকচার তবে সেগুলো থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন। এসব ভিডিওর বেশিরভাগই হয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি।
যেখানে বেশিরভাগ ভিডিও থাকে শুধুমাত্র রেফার এর মাধ্যমে আয় করার প্রক্রিয়াটি। এখানে রেফার করার মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার আপনি আয় করতে পারবেন এরকম সব তথ্য। যা বাস্তবে আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমাদের ক্ষেত্রে এত পরিমাণে গ্রাহক জোগাড় করা সম্ভব নয় যে তাদেরকে রেফার করার মাধ্যমে এক দিনেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করব। যদিও এসব ওয়েবসাইট থেকে আয় করে সেসব টাকা উত্তোলন করার প্রক্রিয়াটি বেশিরভাগই দেখানো হয় না। এখানে শুধুমাত্র বলে দেওয়া হয় যে রেফার করার মাধ্যমে আপনি প্রতি জনে এত ডলার পাবেন।
তো এসব বিষয় বাদ দিচ্ছি। আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম কে ব্যবহার করে এবং যা কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এরকম কিছু বিষয় সম্পর্কে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে আয় করার বিষয়টি আসলে সবার প্রথমে মাথায় চলে আসে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা। ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা। যেটি অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে একটি সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম। অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইটে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। যে কেউই দক্ষতা অনুযায়ী এখানে কাজ করতে পারে। তবে এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে অবশ্যই নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হয়। প্রথমদিকে অল্প কাজ কাজ শিখে এসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একেবারেই প্রবেশ করা উচিত নয়।
বিশ্বের কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মধ্যে যেমন ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকম ইত্যাদি ওয়েবসাইট সমূহ। এসব ওয়েবসাইটে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তার কাজের ভিত্তিতে পেমেন্ট নিয়ে থাকে। কাজ পেতে হলে অবশ্যই এসব ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল কে সাজাতে হয় নিজের দক্ষতার ভিত্তিতে। কাজ পাবার জন্যে অবশ্যই এখানে আবেদন করতে হয়। একজন ক্রেতা আবেদনের ভিত্তিতে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারকে সেই কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে।
অনলাইন প্লাটফর্ম এ এসব কাজ করতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বড় একটি অ্যামাউন্ট নিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় 5 থেকে 100 ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকে। তবে অনেকে ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা এর থেকে বেশি আয় করতে পারে। এসব ওয়েবসাইটে কাজ জমা দেবার ক্ষেত্রেও নিজেকে সতর্ক থাকতে হয়, কেননা আপনি যে কাজটি করবেন সেটি ভালো হলে গ্রাহক আপনাকে ভালো রেটিং দিবে এবং খারাপ হলে খারাপ রেটিং দেবে। এজন্য অবশ্যই এসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভালোভাবে কাজ না শিখে নেমে পড়া একেবারেই উচিত হবে না। কেননা প্রথমদিকে এসব ওয়েবসাইটে কাজ করে যদি আপনার রেটিং খারাপ হয় তবে পরবর্তীতে আর কোন কাজ সহজে না পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তাই অবশ্যই ভালোভাবে কাজ শিখে তারপর ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। অনলাইনে আয় করতে চাইলে আপনি এসব এর মধ্যে যে কোন একটি করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার জন্য ইউটিউবে আপনি যেসব ভিডিও দেখছেন সেগুলো আপনার ভবিষ্যতে কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে এমন কোন কাজ শেখেন তবে ভবিষ্যতে সেটি দিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ার সাজাতে পারবেন।
তাই আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তবে অবশ্যই এমন একটি কাজ বেছে নিন যেটি আপনার জন্য ভালো হয় এবং আপনি যে কাজটি করতে পারবেন। মনে রাখবেন ভালো হবে কোন বিষয়ের ওপর কাজ শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নেমে পড়া একেবারেই উচিত নয়। কাজ শিখে তারপর আপনি কাজের খোঁজে বের হবেন। এতে করে আপনি ভবিষ্যতে অনেকের সফল হবেন ইনশাআল্লাহ। তাই অনলাইনে আয় করার জন্য কাজ শিখে নেমে পড়ুন মার্কেটপ্লেসে।
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার জন্য একটি ভালো উপায় হতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর একটি কাজ। যে কেউ চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে আয় করতে পারেন। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর চাহিদা অনেক। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। যদিও আমি উপরে এ বিষয়ে বলে দিয়েছি।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার অনলাইনে অনেক ভাবে আয় করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আয় করার পাশাপাশি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার অনলাইনে আরো অন্যান্য ওয়েবসাইটের তার ডিজাইন করা টেম্পলেট বিক্রি করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। এখানে সেই টেমপ্লেটটি একাধিকবার বিক্রি হতে পারে। তার ফলে কোন একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন বারবার বিক্রি হতে পারে। বারবার বিক্রির মাধ্যমে ও কিন্তু আনলিমিটেড আয় আসতে থাকে সেই টেমপ্লেটটি বিক্রির মাধ্যমে।
আপনি যদি একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং লোকাল মার্কেটে দাপটের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি লোকাল মার্কেটে ও বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা বেড়েই চলেছে। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন এ নিয়ে করা আমার আগের একটি টিউন রয়েছে। সে টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্যবস্থা। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রেতা এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার উভয়ই লাভবান হয়। বিক্রেতা তার নিজের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে এখান থেকে আয় করতে পারে, আর একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সেই পণ্যটিকে গ্রাহকের মাঝে পৌঁছে দেবার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পায়।
তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্র অনেক ব্যতিক্রম। আফিলিয়েট মারকেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে হলে অবশ্যই নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থাকতে হবে। এছাড়া এক্ষেত্রে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও থাকতে পারে। কোন পণ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সেই পণ্যটির অ্যাফিলিয়েটের লিংক আপনার ওয়েব সাইট অথবা ব্লগ সাইটে দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করে দিতে পারেন।
কোন ব্যক্তি যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থেকে সেই লিঙ্কে ক্লিক করে সেই পণ্যটি কেনে তবে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট হারে একটি কমিশন পাবেন। সেই কমিশনটি নির্ভর করবে সেই পণ্যটির ওপর এবং আপনি যে কোম্পানির হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন সেটির উপর। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দুই ভাবে করা যায়। একটি হলো ওয়েবসাইট এবং অন্যটি হল ইউটিউব এর মাধ্যমে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ব্লগ সাইট এবং ইউটিউব উভয় ক্ষেত্রেই সফল হওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সেই ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্লগ সাইটটি জনপ্রিয় হতে হবে। একটি ইউটিউব চ্যানেলে যদি কোন ট্রাফিক না আসে তবে সে ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব নয়। কেননা ইউটিউব থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করার জন্য অবশ্যই ইউটিউব এর ভিডিও ডেসক্রিপশন থেকে সেই পণ্যটির অ্যাফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করতে হবে। যদি কেউ সেই ভিডিওগুলো ই না দেখে তবে এখান থেকে কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব নয়।
তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য ইউটিউব একটি বড় মাধ্যম। অনেক বড় বড় ইউটিউবারেরা ইউটিউব থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের কয়েকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট গুলি বিক্রির সুযোগ দিয়ে থাকে। এরকম বাংলাদেশের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট হচ্ছে বিডিশপ ডটকম। এ ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তারাই সবচাইতে বেশি টাকা আয় করতে পারে যারা ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ ভিডিও তৈরি করে। সেসবের রিভিউ ভিডিও তৈরি করার এক পর্যায়ে সেই ভিডিও ডিস্ক্রিপশন থেকে সেটি ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করে। যা কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি সফলতা আনে।
তাই আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তবে আপনি অনলাইন থেকে আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল না থেকে থাকে তবে আপনি এখনই একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতার ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে আয় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি ইন্টারনেটে কিছুটা দক্ষ হয়ে থাকেন তবে আপনি ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজে আবেদন করতে পারেন। বর্তমানে অনেক কাজ অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় ভার্চুয়াল কাজের ক্ষেত্রও অনেক বেড়েছে। ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোন দোকান অথবা অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে একজনকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কাজ করে নেবার আগে সেসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে শর্ত দেওয়া থাকে যে কোন বিষয়ে তা জানা থাকতে হবে। এর মধ্যে যেমন ফোন কল, এডিটিং, রাইটিং, টেক সাপোর্ট, ব্লগ, গ্রাফিক্স, ইমেইলে যোগাযোগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপনার মত কাজ হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জন্য বিভিন্ন কাজ দেখা যায়।
আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এসবের কোন একটি কাজ খুঁজে দেখতে পারেন, যেখানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কোন কাজ দেওয়া রয়েছে। ভার্চুয়াল সহকারি হিসেবে কাজ করার মাধ্যমেও আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। তবে আপনি যে কাজ করবেন সেটিতে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
আপনার যদি একাধিক ভাষা জানা থাকে তবে অনুবাদ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। আপনার যদি ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা ও ভালোভাবে জানা থাকে তবে আপনি সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। এরকম অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্টস অনুবাদ করার মাধ্যমে আয় করা যায়।
এসবের মধ্যে যেমন স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি জার্মানি সহ অন্যান্য সকল ভাষা। আপনি যদি এসব ভাষা থেকে ইংরেজিতে অথবা ইংরেজি থেকে এসব ভাষার যেকোন একটিতে অনুবাদ করতে পারেন তবে সেটির ভিত্তিতে আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। ইংরেজি থেকে যদি আপনি এসব ভাষায় ভালোভাবে অনুবাদ করতে পারেন তবে একটি ভালো পরিমাণ টাকা এখান থেকে আয় করতে পারবেন।
তো এবার প্রশ্ন আসে যে কেউ ইচ্ছা করলেই তো এসব ভাষা গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করার মাধ্যমেই করতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটি বেশি সম্ভব হয় না। কেননা একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় সঠিক ভাবে লিখতে হলে অবশ্যই ব্যাকরণগত বিষয়গুলোকে জানতে হবে। যদি ব্যাকরণগত বিষয়গুলো না জানা থাকে তবে একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।
গুগলে এরকম সঠিকভাবে একেবারে অনুবাদ করা যায় না। গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি লেখার সঠিক এবং সে দেশের মানুষের গ্রহণ উপযোগী করে তোলা সম্ভব নয়। এছাড়াও অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা সময়ের অভাবে অনেক ডকুমেন্ট অনুবাদ করতে পারে না। যারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে সেসব তথ্যসমূহ অনুবাদ করিয়ে নেয়। তাই আপনি যদি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় সঠিকভাবে অনুবাদ করতে জানেন, তবে আজই এই কাজটি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।
আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে অনলাইনে শিক্ষা দেওয়া হতে পারে আপনার জন্য আয় করার প্রধান মাধ্যম। বর্তমানে অনলাইন টিউটরদের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সব বয়সী মানুষদের কে আপনি শিক্ষা দিতে পারেন। এ ব্যবস্থাপনায় দেশের বাইরের মানুষদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
শুধু অনলাইনে ক্লাস নেওয়াই নয়। আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সেই বিষয়ের ওপর ভিডিও কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন কাজের ওপর ভিডিও টিউটোরিয়াল বিক্রি করে থাকে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের শুধু কোন প্রতিষ্ঠান নয় আপনি চাইলে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী নিজের জন্য ও একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন।
ধরুন, আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করার পাশাপাশি আপনারা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কোন ভিডিও তৈরি করে সেটি অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রির জন্য কাউকে অফার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মতো প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আপনার সেসব ভিডিওগুলোকে প্রমোট করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি এসব প্লাটফর্মের জন্য কিছু ফ্রি ভিডিও তৈরি করেন যেগুলো দর্শকের কাছে ভালো লাগবে, তখন সেসব দর্শক গুলো পছন্দ অনুযায়ী আপনার ভিডিও গুলো কিনে নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে। এক্ষেত্রে শুধু ভিডিওই নয়, আপনি যদি ইচ্ছা করেন যে কাউকে অনলাইনে সরাসরি শেখাবেন সেটিও করতে পারবেন।
মোটকথা, অনলাইনে আপনি টিউটর হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে ও আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকে তবেই। তাই আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এখনি লেগে পড়ুন অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করার জন্য।
বর্তমানে আমরা কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্নাপচাট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করি আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগ এবং বিনোদনের জন্য। তবে এগুলোকে শুধু বিনোদনের জন্যই তৈরি করা হয়নি। এ প্লাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে কেউ না কেউ টাকা আয় করে থাকে, যদিও আমরা সেটি ব্যবহার করি শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য। আপনিও এসব প্লাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারেন।
বর্তমানে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ও কিন্তু আয় করা যায়। তাই আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন যে কিভাবে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করা যায়, তবে এখনই সে বিষয়ে ভালোভাবে দেখে নিবেন। আমরা যখন ফেসবুকে যাই তখন বিভিন্ন বিজ্ঞাপণ আমাদের সামনে আসে। এসব বিজ্ঞাপনগুলোর জন্য সেই ব্র্যান্ডগুলোকে ফেসবুককে অর্থ প্রদান করতে হয়। এই বিজ্ঞাপণের অর্থ থেকে ফেসবুক কিছু অর্থ নিজে নিয়ে থাকে এবং কিছুটা সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে দিয়ে থাকে।
ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই একটি গ্রুপ অথবা পেজ থাকতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ফেসবুক কোন অর্থ দিয়ে থাকে না। ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই নিজের একটি ফেসবুক পেজ থাকা আবশ্যক। একটি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই সেই পেজে কপিরাইটমুক্ত ভিডিও বা কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। শুধুমাত্র কপিরাইট ফ্রি ভিডিও গুলো তৈরি করলে হবে না এক্ষেত্রে অবশ্যই ফেসবুক মনিটাইজেশন এর নিয়ম অনুসারে সেই পেজের ফলোয়ার এবং ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার প্রক্রিয়াটি ও ঠিক একই রকম শর্ত জুড়ে দেয়া রয়েছে। সব শর্তগুলো পূরণ করা অনেকটা ধৈর্যের ব্যাপার। কিভাবে ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ থেকে আয় করা যায় সে নিয়ে আমি পরবর্তীতে কোন টিউনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সেই টিউনটি সবার আগে পেতে অবশ্যই আমাকে ফলো করে রাখবেন। যাতে করে আমার কোন টিউন প্রকাশিত হলে সবার আগে আপনার হোমপেজে চলে আসে।
ফেসবুক পেজে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করা যায় না। এছাড়া ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম কে আপনি ব্যবহার করে নিজের কোন পণ্য বিক্রি করেও আয় করতে পারেন। তো বন্ধুরা আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তবে আপনি ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কে ব্যবহার করে আয় করতে পারেন।
বর্তমান সময়ের সবচাইতে চাহিদাসম্পন্ন পেশা এটি। একজন ডিজাইনারের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। কেননা বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সময়ে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে গেলে অথবা নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একটি ওয়েবসাইট অপরিহার্য। আর এই চাহিদা কে কাজে লাগিয়ে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার তার অর্থ আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারে।
বর্তমান সময়ে একজন ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে খুব সহজেই যেকোনো কাজ খুঁজে নিতে পারে। যারা ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে করতে পারে তারা চাইলে নিজের জন্য ও ওয়েবসাইট তৈরী করে সেখান থেকেও আয় করতে পারে। একজন ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভেলপার শুধুমাত্র কোন ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং তৈরীর ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে না। কোন ওয়েবসাইটকে ব্যবস্থাপনার জন্য ও একজন ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জানা লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আপনি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভলপমেন্ট কেন শিখবেন এ নিয়ে আমার আগের একটি টিউন রয়েছে।
যাইহোক, আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট করার মাধ্যমে আয় করতে চান তবে আজই শেখা শুরু করে দিন। তবে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে অবশ্যই আপনার ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। কেননা আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটের জন্য প্রোগ্রামিং করবেন তখন অবশ্যই সেখানে ইংরেজিতে অনেক কোডিং আপনাকে মনে রাখতে হবে। এছাড়া সরাসরি ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলতেও আপনার ইংরেজি দক্ষতার প্রয়োজন হবে। তবে আপনার যদি ইংরেজিতে দক্ষতা থেকে থাকে তবে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট শেখার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।
যারা লেখালেখি করতে ভালবাসে এবং লেখালেখি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাদের জন্য এ কাজটি হবে অনেক সহায়ক। আপনি যদি কোন বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে আপনাকে আর বসে থাকতে হবে না, যদি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করেন।
কোন দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে অথবা লিখে নিজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কন্টেট রাইটারদের ও অনেক চাহিদা রয়েছে। একজন কনটেন্ট রাইটার প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য 5 থেকে 50 ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। এখানে কাজদাতা নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তাকে লিখতে বলে। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো পারেন এবং কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তবে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি আজই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস এর পাশাপাশি একজন কনটেন্ট রাইটার নিজের জন্যও লিখতে পারে। একজন কনটেন্ট রাইটার নিজের ব্লগ সাইটে ও তার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে অনেক আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে পারে। তো বন্ধুরা আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তবে কনটেন্ট রাইটিং হতে পারে আপনার জন্য একটি আয়ের মাধ্যম। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার সময় আপনার দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার আয়ও বাড়তে থাকবে।
অনেকেই শখ করে লিখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই শখের বিষয়টিও আপনাকে অর্থ আয়ের এর পথ করে দিতে পারে। আপনার ব্লগ সাইটে লেখার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। বর্তমানে ব্লগ সাইট থেকে বাংলাতে লিখে আয় করা যায়। তাই এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ না পেলেও আপনি বাংলাতে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনার ব্লগ সাইটে লিখতে পারেন। একটি ব্লগ সাইট তৈরিতে বেশি কিছু টাকা খরচ হয় না।
আপনি চাইলে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটি ব্লগ সাইট সঠিকভাবে তৈরি করতে এবং সাজাতে আপনাকে প্রথমে কিছুটা পরিশ্রম করতে হবে এবং সামান্য কিছু টাকা এখানে বিনিয়োগ করতে হবে। নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ডোমেইন এবং ব্লগ সাইট এর জন্য হোস্টিং কিনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কয়েক হাজার টাকা যেতে পারে। তবে বর্তমানে অনেক কম দামে ডোমেইন এবং হোস্টিং পাওয়া যায়।
আপনি যদি ব্লগিং করার জন্য সবকিছুই ফ্রিতে করতে চান তবে আপনি সেটিও করতে পারেন। এজন্য আপনি গুগলের ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করতে পারেন। গুগলের ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট এবং ফ্রী ডোমেইন পেয়ে যাবেন। যদি আপনি প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করতে চান তবে অবশ্যই আপনার একটি ডোমেইন নেম এর প্রয়োজন পড়বে। আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর লিখতে পছন্দ করেন তবে এক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি ব্লগ থাকা অনেক ভালো। কেননা এতে করে আপনি নিজের ইচ্ছামত কোন বিষয়কে পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।
তবে ব্লগ থেকে আয় কিন্তু দ্রুত আসবেনা। এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। আপনার হাতে যদি অনেক সময় থাকে তবে আপনি ব্লগিং কে বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে বাংলা ব্লগ সাইটে গুগলের এডসেন্স সাপোর্ট করায় আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টা থেকে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়া একটি ব্লগ সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যারা কোন প্রোডাক্টের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে তারা সব চাইতে বেশি পরিমানে ট্রাফিক পেতে পারে সেই এফিলিয়েট লিংক থেকে।
ব্লগ সাইটে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে নিয়মিত কনটেন্ট দিতে হবে। আপনার ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপণ, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, কোন পণ্যের পর্যালোচনা বা রিভিউ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রভূতি নানা উপায়ে আয় করা যায়। তাই আপনি যদি কোন বিষয়ের ওপর দক্ষ হয়ে থাকেন এবং আপনার হাতে যদি প্রচুর সময় থাকে তবে এখনি আপনার একটি ব্লগ সাইট খুলে সেখানে লেখার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করা শুরু করে দিন।
ব্লগ সাইট থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে হবে। যদি সেই ওয়েবসাইট গুগল সার্চের মাধ্যমে কারো কাছে না আসে তবে আপনার ওয়েবসাইটের কোন ট্রাফিক আসবে না। এতে করে আপনার আয়ের হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। একটি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আনার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জানা থাকতে হবে। এসইও কি এবং এসইও কেন করবেন এ নিয়ে করা আমার আগের একটি টিউন রয়েছে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত সেই টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ ইউটিউব এর নাম শোনেননি এমন কাউকে হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যাবে না। যাদের ক্ষেত্রে লেখালেখি অতটা পছন্দ নয় তারা ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে পারে। যে কেউ ইচ্ছা করলে ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করে সেখান থেকে আয় করতে পারে।
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই নিজের একটি চ্যানেল থাকতে হবে এবং সেখানে কপিরাইটমুক্ত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। একটি ইউটিউব চ্যানেলের আপনি আপনার সৃজনশীল কোন কাজ অথবা যেকোনো অভিজ্ঞতার ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের উপর ইউটিউব এর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার প্রধান উৎস হচ্ছে গুগল এডসেন্স। যেখানে একটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপণ প্রদানের মাধ্যমে আয় হয়ে থাকে। তবে একটি চ্যানেলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় আসার জন্য সেই চ্যানেলে অবশ্যই মনিটাইজেশন চালু থাকতে হয়। একটি চ্যানেলে বর্তমানে ইউটিউব এর শর্ত অনুযায়ী সেই চ্যানেলে এক বছরের মধ্যে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হয়। এই দুইটি শর্ত পূরণ করার পরই একটি চ্যানেল থেকে মনিটাইজেশন পাবার জন্য আবেদন করার অপশনটি চালু হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ইউটিউব চ্যানেলে আবেদনের ভিত্তিতে মনিটাইজেশন চালু করে দেয়।
ইউটিউব চ্যানেলে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করা যায় না। ইউটিউব চ্যানেলে কোন পণ্যের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে সেই পণ্যটির এফিলিয়েট লিংক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়েও অায় করা যায়। এছাড়াও যারা ইউটিউবে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে তাদের ক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে বিভিন্ন জিনিস পাঠানো হয় রিভিউ করার জন্য। সেই সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে তারা স্পন্সর পায় কোন পণ্যের প্রচার এর জন্য।
ও বন্ধুরা আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তবে আপনি চাইলেই ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলোর দিয়েই ইউটিউবিং করা সম্ভব। বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা অনেক উন্নত। যে কারণে আপনাকে আলাদা করে কোন ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে হবে না। আপনি মোবাইলে ভিডিও শুট করে তারপর সেটি মোবাইলেই এডিটিং করে ইউটিউব এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে পারবেন। তো বন্ধুরা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করার জন্য আপনি ইউটিউবকেও বেছে নিতে পারেন।
বর্তমানে অনলাইনে এরকম অনেক কাজ পাওয়া যায়। যদিও এসব কাজের ক্ষেত্র অনেকটা কম। বর্তমান সময়ের সবকিছু অটমেশন হওয়ার কারণে এসব কাজ খুব কম পাওয়া যায়। তবুও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে অটোমেটিক ভাবে করা সম্ভব নয়। এসব কাজগুলোতে কোন একজন মানুষের দরকার পড়ে।
ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো সাধারনত বিগেনার লেভেলের মানুষেরা করে থাকে। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং দ্রুতগতির টাইপিং এর দক্ষতা রয়েছে তারা খুব সহজে এসব কাজগুলো করতে পারেন। এছাড়াও যারা কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক শর্টকাট টেকনিক এর প্রয়োগ জানে তারা ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো করে থাকে। ডাটা এন্ট্রি করার কাজে কারো বেশি দক্ষতা থাকলে খুব সহজেই সে তার আয় অনেক বাড়াতে পারে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে এমন অনেক কাজ পাওয়া যায়। যদিও ডাটা এন্ট্রি এর কাজ গুলো অনেক সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে যার তুলনায় পারিশ্রমিক কম পাওয়া যায়। কেননা বর্তমান সময়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেস তৈরি হওয়ার কারণে অনেকেই কমদামে কাজগুলো করে দেয়, যা সেই কাজটির জন্য যোগ্য পারিশ্রমিক নয়।
তবে বন্ধুরা আপনি যদি কম্পিউটার ইন্টারনেট এবং মাইক্রোসফট অফিস, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এ কিছুটা দক্ষ হয়ে থাকেন তবে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো খুঁজে দেখতে পারেন। সেখানে প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে তার শর্ত এবং সংক্ষিপ্ত নির্দেশনাবলী জুড়ে দেওয়া থাকে।
বন্ধুরা এই ছিল অনলাইনে আয় করার জন্য কয়েকটি উপায়। বন্ধুরা নিত্যনতুন টিউন সবার আগে আপনার হোমপেজে পেতে উপরের ফলো বাটন এ ক্লিক করে আমাকে ফলো করুন। সেই সঙ্গে এই টিউনটি আপনাদের কাছে ভাল লাগলে জোসস করুন। দেখা হবে তবে পরবর্তী টিউনে আরো নতুন কিছু নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
টিউনের শিরোনাম টিউনের সাথে প্রাসঙ্গিক, আকর্ষণীয়, ইউনিক, ইউজার এনগেজিং ও Catchy হয়নি।
করণীয়:
টিউনের বর্তমান শিরোনামটি পরিবর্তন করে টিউনের শিরোনাম ও টিউনের থাম্বনেইলের শিরোনাম হিসেবে নিচে উল্লেখিত শিরোনামটি সেট করুন:
‘অনলাইনে আয় করার ১২টি দারুণ উপায়’
টেকটিউনস টিউনার হিসেবে গতানুগতিক টিউনের শিরোনাম বা টাইটেল দেওয়া যায় না। টিউনের শিরোনাম অবশ্যই আকর্ষণীয়, ইউনিক ও Catchy টিউনের শিরোনাম বা টাইটেল তৈরি করতে হয়।
আপনার পরবর্তি টিউন গুলোতে যেন এই একই ভুল না হয় সে দিক পূর্ণ সতর্ক থাকুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।