ট্রেনিং সেন্টারে খরচ বাদ, এ টিউনটি পড়েই ডিজাইনার হোন এবং ইনকাম শুরু করুন

আপনি হয়ত কোর্স করেছেন, কিন্তু কাজ শুরুর ব্যপারে কনফিডেন্ট পাচ্ছেননা। আবার এমন হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে চাচ্ছেন, কিন্তু শিখার জন্য ট্রেনিং সেন্টারের যাওয়ার সুযোগ নাই। তাদের জন্য এ টিউনটি কাজ করবে। গ্রাফিক ডিজাইনের অল্প কয়েকটি স্কীল নিয়েই বিশাল ইনকাম শুরু করা যায়।
এ টিউনে ৫টি স্কীল তৈরির ব্যাপারে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। বাসাতে চেষ্টা করলে ৭দিনের মধ্যেই এ স্কীলগুলো ডেভেলপ করে অনলাইনে ইনকামের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। বলে রাখি, এটি মূলত লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রজেক্টের স্টুডেন্টদের ইনকামের গাইডলাইন হিসেবে তৈরি হয়েছে। আমি বর্তমানে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বরত আছি।
প্রথমে খুব মনোযোগ দিয়ে নিচের স্লাইডটি দেখে নিনঃ

৫টি ডিজাইন স্কীলের জন্য নিচের ৫টি টিউটোরিয়াল দেখুন। প্রত্যেকটা টিউটোরিয়াল দেখার পর প্রচুর প্রাকটিস কাজ করুন।

deis
টিউটোরিয়াল ১ (বিজনেস কার্ড)

টিউটোরিয়াল ২ (ওয়েব ব্যানার)

টিউটোরিয়াল ৩ (ফেসবুক কভার)

টিউটোরিয়াল ৪ (ভেক্টর পোট্রেইট)

টিউটোরিয়াল ৫ (অ্যানিমেটেড গিফ)

ডিজাইন করতে জানলেই হয়না, কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। কোয়ালিটি একদিনে তৈরি হয়না, নিয়মিত কাজ করার মাধ্যমেই কোয়ালিটি বাড়াতে হয়।
৩টি ধাপ অনুসরণ করলে পরিপূর্ণ গ্রাফিকস ডিজাইনার হওয়া যায়। ধাপ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • ১ম ধাপঃ অন্য কোন ভাল ডিজাইনকে হুবহু তৈরি করতে হবে এবং এরকম কমপক্ষে ৫০টি ডিজাইন তৈরি করতে হবে। এ ধাপে গ্রাফিক্স সফটওয়্যারের সকল টুলসের ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে।
  • ২য় ধাপঃ এ ধাপে অনেকগুলো ডিজাইন থেকে আইডিয়া নিয়ে নতুন ডিজাইন তৈরি করতে হবে। এরকম ২৫টা প্রজেক্ট করতে হবে। এধাপের পর ডিজাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে।
  • ৩য় ধাপঃ এবার আপনি নিজেই ডিজাইনার। সুতরাং এ ধাপে আপনি আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে ডিজাইন শুরু করতে পারেন।

ডিজাইন শিখেছেন, ডিজাইন কোয়ালিটি বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই নিচের ভিডিওগুলো দেখে নিবেন, বার বার দেখবেন।

বিজনেস কার্ড ডিজাইন শিখার পর শুরুতে অবশ্যই ডিজাইন কনটেস্টে নিয়মিত অংশগ্রহণ করবেন। কনটেস্টে না জিতলেও সমস্যা নাই, ডিজাইন কোয়ালিটি বাড়বে। সেটাই ডিজাইনার হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরিকল্পনা করেন, প্রতিদিন মিনিমাম ২টা কনটেস্টে ডিজাইন জমা দিবেন। একটা কনটেস্টে মিনিমাম ৫টা কনসেপ্টের ডিজাইন জমা দিবেন। কনটেস্টের পাশাপাশি ফাইভারের গিগটাও প্রস্তুত রাখবেন।

ফাইভারে ইনকামের জন্য নিচের কয়েকটি পয়েন্ট মনে রাখুন এবং অনুসরণ করুন:

  • ফাইভারের অ্যাকাউন্টকে প্রফেশনালভাবে অপটিমাইজ করুন।
  • সার্চ ফ্রেন্ডলিভাবে অপটিমাইজ করে গিগ প্রস্তুত করুন।
  • গিগের ইমেজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই গিগ ইমেজটিকে অপটিমাইজ করুন।
  • গিগে ভিডিও যুক্ত করুন।
  • নিয়মিত বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠান।
  • প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করুন।
fiverr
ফাইভারে কাজ করার জন্য পুর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পেতে আমার সিরিজ ভিডিও দেখুন।

ফাইভারে সফল হতে অনেক চেষ্টা করার পরও কাজ পাচ্ছেননা। নিচের ৫টি পয়েন্ট খুব ভালভাবে লক্ষ্য করুন এবং দক্ষতা অর্জন করুন। তাহলেই সফলতা আসবে।

১) গিগ এবং গিগের ইমেজ অপটিমাইজ করা হয়নি। এ ব্যাপারে গাইডলাইন পেতে এ স্লাইডটি দেখুন:
২) ইনকামের জন্য গিগ মার্কেটিং করতে হয়। সফল হওয়ার জন্য ১৫দিনের সাকসেস মিশন প্লান সাজিয়ে দিয়েছি। সেটির পিডিএফ ডাউনলোড করে নিনঃ
৩) মার্কেটিং করছেন, তারপরও সফল হচ্ছেননা, তাহলে নিচের লিখাটি পড়ে নিজের মার্কেটিংয়ের ভুলগুলো জেনে নিনঃ
৪) প্রতিদিন ১০টি করে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকুন। কিভাবে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠালে সফলতার মুখ দেখবেন দ্রুত, সেটি নিচের টিউন থেকে পড়ে নিনঃ
বায়ার রিকোয়েষ্টের ধরন কেমন হবে সেই বিষয়টি আরো পরিস্কার ধারনার জন্য এ স্লাইডটি একবার দেখে নিনঃ
৫) ফাইভারের আপনার গিগ বিক্রির জন্য বায়ার খুজতে সুপার এক্সক্লুসিভ টিপস জানতে এ ভিডিওটি খুব ভালভাবে দেখুন এবং প্রাকটিস করুন।

পুরো গাইডলাইনটি PDF আকারে ডাউনলোড করতে লিংকঃ 
(PDF টি  অবশ্যই জরুরী)
মনে রাখা জরুরী, শুধু টিউটোরিয়াল পড়লেই ইনকাম করা যায়না। যা পড়ছি, সেই অনুযায়ি কাজে নামতে হয়। আর কাজে নামলেই অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হবে। আর তখনই মুলত স্কীল হওয়া যায়। কেউ জন্মগতভাবে দক্ষ হয়ে আসেনা। প্রাকটিস, পরিশ্রম আর বাধার সম্মুখীন হয়েই দক্ষ হতে হয়।
যাই হোক, বিদায়ের আগে শেষ কথা হচ্ছে, ইনকাম করার পর আমার গিফট দিতে ভুইলেননা। :p কারণ ্ ট্রেনিংয়ের খরচ বাচিয়ে দিলাম। আর টিউনটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন।  তাতে অন্যদেরও উপকার হবে। সম্ভব হলে টিউমেন্টে টিউনটি সম্পর্কে মতামত জানাবেন। আমাকে ফেসবুকে পেতে আমার পেজে লাইক দিন।
ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/ekram07/

Level 0

আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারন টিউন,,, গ্রাফিক্স সম্পকৃত অারও তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন ..ধন্যবাদ

Level 0

Thanks a lot for help.