কম্পিউটার স্লো? রকেট ফাস্ট করে নিন আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ এই টিউন মিস করলে, সারাজীবন পস্তাবেন

টিউন বিভাগ টিউটোরিয়াল
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

হ্যাল্লো টেকটিউনসবাসী,

কি অবস্থা আপনাদের? আশা করছি এবং আমি জানি আপনারা অনেক অনেক ভাল আছেন। ভাল থাকাটা একটা মাস্ট আর ভাল না থাকাটাই অস্বাভাবিক, কেননা আপনি আছেন বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় এবং প্রথম এবং সেরা প্রযুক্তি ব্লগ টেকটিউনসে। টেকটিউনসের সাথে থেকে খারাপ থাকার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর তাই আমিও আছি অনেক ভাল। মেতে আছি প্রযুক্তির সুরে। আর প্রযুক্তি দুনিয়ার বাসিন্দারা, আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি আরেকটি প্রয়োজনীয় টিউন। আমাদের আজকের টিউনের বিষয়, স্লো কম্পিউটার। তো চলুন শুরু করা যাক।

বেসিক বিষয় নিয়ে কথা বলার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। কেননা আপনারা ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। আর যদি টেকটিউনসে নতুন হয়ে থাকেন তাহলেও চিন্তা নেই কয়েকদিনের মাঝেই আপনি একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। সরাসরি মূল বিষয়ে চলে আসি।

কম্পিউটার কেন স্লো হয়?


আচ্ছা তো আমরা জানব কম্পিউটার কেন স্লো হয় কিন্তু তার আগে আমরা একটু কম্পিউটারের কাজের ধারা সম্পর্কে জেনে নেই।

কম্পিউটারের মূল অংশগুলোকে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি; ১)ইনপুট, ২)মেমোরি, ৩)প্রসেসিং, ৪)আউটপুট। দুনিয়ায় যত রকম কম্পিউটার আছে তার সবগুলোর কাজের মূলনীতিও এটা। প্রথমে কোন একটি কাজের নির্দেশ(ইনপুট) দিতে হয়। কম্পিউটার সেটা মেমোরিতে(সাময়িক ভাবে জমা রাখার মেমোরিকে 'র‍্যাম' বলা হয়) সাময়িক ভাবে জমা রাখে রাখে, কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তথ্যটি মেমোরিতে জমা থাকে। মেমোরি থেকে সেই তথ্যনুযায়ী প্রসেসিং বা কার্য সম্পাদন হয়(প্রসেসর নামক যন্ত্রটি মূলত এই কাজ করে থাকে)। তারপর কাজের ফলাফল বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়(আউটপুট)।

কম্পিউটারের স্পিড স্বাভাবিকভাবেই নির্ভর করে থাকে র‍্যাম আর প্রসেসরের উপর। র‍্যাম আর প্রসেসর যত ভাল আর উন্নত হবে কম্পিউটারের স্পিড এবং পারফর্মেন্স তত ভাল হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে র‍্যাম আর প্রসেসর দুইটিই হার্ডওয়্যার। অর্থাৎ আপগ্রেড করতে চাইলে নতুন র‍্যাম কিংবা প্রসেসর না কিনে উপায় নেই।

আসলেই কি উপায় নেই?
আছে, উপায় আছে। র‍্যাম আর প্রসেসর নতুন না কিনেই পারফর্মেন্স বাড়িয়ে নেয়ার উপায় আছে। র‍্যামের ক্ষেত্রে আছে অনেক রাস্তা(র‍্যাম সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করব) কিন্তু প্রসেসরের পারফর্মেন্স বাড়িয়ে নেবার রাস্তা আমার জানামতে একটিই। ওভারক্লকিং। হ্যাঁ ওভারক্লকিং করে বাড়িয়ে নেয়া যায় প্রসেসরের পারফর্মেন্স। কিন্তু পদ্ধতিটা অনেক ঝুকিপূর্ণ। ঠিকমত করতে না পারলে প্রসেসর ওভার হিট হয়ে জ্বলে যাওয়া কিংবা পুরো সিস্টেম জ্বলে যাওয়াও অপ্রত্যাশিত কিছু না। আর এছাড়া ওভারক্লকিং করলে গ্যারান্টি/ওয়ারেন্টি চলে যাওয়া তো আছেই। যাই হোক আমরা সেদিকে যাবো না। ওভারক্লকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গেমওয়ালা ভাইয়ের এই টিউনটি দেখে নিতে পারেন।

এখন প্রসেসর আর র‍্যামের মাঝে স্লো হয় কোনটি? অবশ্যই র‍্যাম। বিভিন্ন কারণে র‍্যাম স্লো হয়ে কম্পিউটারের স্পিড কমিয়ে দেয়, পারফর্মেন্সে বিগ্ন ঘটায়। আর তাই কম্পিউটার স্লো হওয়ার একটি কারণ হল এই র‍্যাম।

র‍্যাম কেন স্লো হয়?

আগেই বলা হয়েছে র‍্যাম হল এমন একটা মেমোরি সকল নির্দেশ যেখানে সাময়িক ভাবে জমা থাকে। র‍্যামে কোন একটি নির্দেশ ততক্ষণ পর্যন্ত জমা থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্দেশটি সঠিকভাবে পালিত হয়ে ফলাফল দেয়া হচ্ছে। কোন একটি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সকল তথ্য অটোম্যাটিকভাবে র‍্যাম থেকে মুছে যাওয়ার কথা। কিন্তু, কোন একটি প্রক্রিয়া বা প্রসেস শেষ হয়ে যাবার পরেও তার সকল তথ্য ও সাহায্যকারী তথ্য র‍্যাম থেকে মুছে যায় না। কিছু কিছু তথ্য র‍্যামে জমা হতে থাকে। এছাড়াও কোন একটি কম্পিউটার যখন অন থাকে তখন সারাক্ষণ ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা সফটওয়্যার এবং প্রসেস চলতে থাকে, এইসব সফটওয়্যার এবং প্রসেসের অনেক টেম্পোরারি এবং জাংক ফাইল র‍্যমের মেমোরি থেকে মুছে না গিয়ে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে র‍্যামের মেমোরি স্পেস কমে যায়। ফলে র‍্যাম একসাথে আগের মত বেশি তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে না। এইজন্যে দেখা যায় নতুন কম্পিউটারের স্পিড প্রথমে বেশি থাকে পরে ধীরে ধীরে কমে যায়। এছারা র‍্যাম স্লো হবার আরো অনেক কারণ আছে। যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি দুনিয়া ততই আপডেট হচ্ছে। নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং পুরনো সফটওয়্যারের নতুন আপডেট আসছে। কিন্তু আমাদের কম্পিউটার আপডেট করছিনা আমরা। আগের র‍্যাম এবং আগের র‍্যাম মেমোরিই রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন সফটওয়্যারগুলো অনেক বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে কাজ করতে গিয়ে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় র‍্যাম মেমোরি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফলে স্পিড কমে যাচ্ছে। আবার একসাথে অনেকগুলো সফটওয়্যার কিংবা প্রোগ্রাম চালালে র‍্যাম মেমোরি কমে গিয়ে র‍্যাম স্লো হয়ে যায়।

এর বাইরে র‍্যাম স্লো হবার অনেক বড় একটা কারণ হল ব্যবহারযোগ্য র‍্যামের পরিমাণ কম থাকা। অনেক সময় দেখা যায়, র‍্যাম ইন্সটল করা আছে ৮জিবি কিন্তু ইউজেবল বা ব্যবহারযোগ্য র‍্যাম দেখাচ্ছে মাত্র ৫জিবি কি ৬জিবি। এখানে অনেকটা র‍্যাম অব্যবহৃত থাকে। এর ফলে মাত্র কিছুটা র‍্যাম সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে বলে সিস্টেম স্লো হয়ে যায়।

র‍্যাম এর বাইরেও কম্পিউটার স্লো হবার অনেক কারণ আছে। এর মাঝে অন্যতম একটি হল সিস্টেম সমস্যা। আমরা কম্পিউটারে অনেক কাজ করে থাকি। অনেক ধরনের সফটওয়্যার ইন্সটল করি আবার আনইন্সটল করে দেই। অনেক কিছু ডাউনলোড করি। এই সব কিছু করতে গিয়ে মাঝে মাঝে সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না। এর কারণ হল সিস্টেমের সমস্যা। আমাদের আনইন্সটল করা সফটওয়্যারের কিছু রেখে যাওয়া রেজিস্ট্রি সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি করে। রেজিস্ট্রিতে থাকা আনইন্সটল করে দেয়া সফটওয়্যারের রেজিস্ট্রি ফাইল কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। আবার কখনো থাকে শর্টকাট সমস্যা। আনইন্সটল করা সফটওয়্যারটির ডেস্কটপ শর্টকাট থাকলে সেটা অনেকসময় ডিলেট হয় না। এটা সিস্টেমে সমস্যা তৈরি করে। ডাউনলোড করা কোন কিছুর ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে যার ফলে সিস্টেমে সমস্যা হয় এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

কম্পিউটার স্লো হবার আরও একটি কারণ হল ব্যাকডেটেড ড্রাইভার। একটা কম্পিউটারে অনেকরকম হার্ডওয়্যার থাকে। এই হার্ডওয়্যারগুলো সিস্টেমে চালানোর জন্য লাগে ড্রাইভার। গাড়ির ড্রাইভার যেমন গাড়ি চালায় তেমনি হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার হার্ডওয়্যার চালায়। ড্রাইভার মূলত হার্ডওয়্যারের সাথে অপারেটিং সিস্টেমের সেতুবন্ধন। অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা দেয় ড্রাইভার। আর অপারেটিং সিস্টেমের নির্দেশ অনুযায়ী(পরোক্ষভাবে কম্পিউটার অপারেটরের নির্দেশনানুযায়ী) কোন হার্ডওয়্যারকে কখন কি করতে হবে সেটা ড্রাইভার ঠিক করে দেয়। এই ড্রাইভার তাই সিস্টেমের ঠিকঠাক কাজ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় ড্রাইভার এর ভার্সন অনেক বেশি পুরনো হলে সেগুলো ঠিকমত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কাজ করে যেতে পারে না। নির্দেশ হার্ডওয়্যার পর্যন্ত পৌছাতে দেরী করে। ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

কম্পিউটার স্লো হবার আরেকটি কারণ হল হার্ডডিস্কে সমস্যা এবং হার্ডডিস্ক ৯০% এর বেশি পূর্ণ হয়ে যাওয়া। হার্ডডিস্ক হলে কম্পিউটারের মস্তিষ্কের মত। মস্তিষ্কে কোন সমস্যা হলে যেমন কোন মানুষ পাগল হয়ে যায় তেমনি হার্ডডিস্কে কোন সমস্যা হলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়াও অবাক হওয়ার মত কিছু না। আর হার্ডডিস্ক ছাড়াও C ড্রাইভ কিংবা যেখানে উইন্ডোস ইন্সটল করা আছে সেই ড্রাইভে জায়গা কম থাকলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার এর এট্যাক। ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সবসময়ই আমাদের কাছে ভয়ের শব্দ। আমরা ভাবি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার এট্যাক করলেই বোধহয় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যাবে, আর অন করা যাবে না কিংবা বারবার রিস্টার্ট নিবে, ডাটা চুরি করে নেবে, র‍্যানসামওয়্যার সব ডাটা আটকে দিবে! হ্যাঁ, এগুলো সত্যি। কিন্তু সব ভাইরাস আর ম্যালওয়্যার তো আর একরকম না। কোন ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আছে শুধুমাত্র মেসেজ শো করাবে, কোনটা আবার অযথা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে ঢুকে পরবে, কোনটা সিস্টেমে সমস্যা করবে। আর কমক্ষতিকারক এই ম্যালওয়্যারগুলোর আক্রমণ আপনি সহজে ধরতে পারবেন না। কিন্তু এগুলোর ফলে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে।

কিভাবে কম্পিউটারকে রকেট ফাস্ট করবেন?


এতক্ষণ তো কম্পিউটার কেন স্লো হয় তা নিয়ে অনেক আলোচনা করলাম, এর মধ্যে অনেকে হয়ত রেগে গিয়েছেন, কেউবা আবার আমাকে গালি দিচ্ছেন যে কম্পিউটারকে রকেট ফাস্ট করার কথা বলে এনে এসব কি শুরু করলাম আমি?! কিন্তু কথা হল কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া তো একটা সমস্যা আর রকেট ফাস্ট করা হল তার সমাধান। এখন, কোন একটি সমস্যা না জেনেই কি তা সমাধান করা যায়? অবশ্যই না। আর তাই প্রথমে আমরা কম্পিউটার স্লো হবার কারণগুলো জেনেছি আর এখন এর প্রতিকার সম্পর্কে জানব। ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আমরা সমাধান জেনে নেবো।

র‍্যামে টেম্পোরারি তথ্যগুলো মুছে না গিয়ে জমা হয়ে থাকার কারণেই মূলত র‍্যাম মেমোরি কমে যায় এবং র‍্যাম স্লো হয়ে যায়। তো এটা থেকে বাঁচার উপায় কি?
সাধারণ যুক্তিতেই বুঝা যায় এই ফাইলগুলো ডিলেট করে দিলেই র‍্যাম মেমোরি মুক্ত করা সম্ভব আর স্পিড বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু কিভাবে ডিলেট করবেন? ইন্টারনেট ঘাটলে দেখবেন ম্যানুয়ালি এই ফাইলগুলো ডিলেট করা কতটা ঝামেলার! একবার রান মেনু থেকে এটা টাইপ করে এখানে যাও আরেকবার ওখানে যাও আরো কত কী! আমি সাজেস্ট করব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে।

এখানে কিছু কথা বলে নেই, আপনি র‍্যাম সমস্যার সমাধান করতে একটা সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, তারপর রেজিস্ট্রি সমস্যার সমাধান করতে আরেকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, ড্রাইভার আপডেট করার জন্য আরেকটি সফটওয়্যার(ম্যানুয়ালি আপডেত করার কথা স্বপ্নেও ভাববেন না, মাথা ঘুরে যাবে), শর্টকাট এবং সিস্টেম ঠিক করার আর সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন(ম্যানুয়ালি করতে গেলে মাথা ঘুরে যাবে ভাই); তাহলে তো সফটওয়্যারের বাজার বানিয়ে ফেলবেন আপনার কম্পিউটারকে। তখন আবার অনেক সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটার সেই স্লো ই হয়ে যাবে। এমনকি আগের চেয়েও স্লো হয়ে যেতে পারে।

কিন্তু যদি এক সফটওয়্যার দিয়েই এই সবকিছু করতে পারেন তাহলে কেমন হয়। অবশ্যই অবিশ্বাস্য এবং অসাধারণ। আমার মতে এবং বিভিন্ন সাইটের রিভিউ অনুসারে বর্ণিত সব্ধরনের সমস্যার জন্য সেরা সফটওয়্যার হল IOBit এর Advance System Care। এর ফ্রি এবং প্রো দুটি ভার্সন রয়েছে। প্রো ভার্সনের দাম প্রায় ৬০ডলার। কিন্তু আপনি যদি ডাউনলোড করেন এবং এর ফ্রি কী নিতে চান তাহলে শুধু একটা টিউমেন্ট করবেন।

শুধুমাত্র এই একটি সফটওয়্যার দিয়েই আপনি র‍্যাম এর সকল সমস্যা, রেজিস্ট্রি, শর্টকাট এবং সিস্টেম সমস্যা, জাংক ফাইলস, টেম্পোরারি ফাইল এর মত সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আর আপনার কম্পিউটারকে করে নিতে পারবেন রকেট ফাস্ট। কিন্তু আপনার যদি সফটওয়্যার মেথড ভাল না লাগে তাহলে ম্যানুয়ালিই করে নিতে হবে সব কিছু, এর জন্য ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করবেন দয়া করে আমি সাহায্য করতে পারছিনা বলে দুঃখিত।

ইউজেবল র‍্যাম যদি কম থাকে তাহলে কি করবেন। ইউজেবল র‍্যাম যদি কোন কারণে কম থাকে তবে সেটা ঠিক করে নেয়ার পদ্ধতি আছে। কিন্তু এখানে লিখলে টিউটোরিয়াল যে কত বড় হয়ে যাবে সেটা চিন্তাও করতে চাচ্ছি না। আপনারা নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

মনে রাখবেন হার্ডডিস্কের অবশ্যই ৯০% এর ফুল করবেন না। আর বিশেষ করে C ড্রাইভ বা আপনি যে ড্রাইভে উইন্ডোস ইন্সটল করেছেন সেখানে সবসময় কমপক্ষে ১০জিবি ফাকা রাখবেন। তা না হলে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে এমনিতেই কোন সমস্যা ছাড়া।

ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের হাত থেকে বাঁচতে সবসময় এন্টিভাইরাস এবং এন্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করুন। কোন কারণে কেউ যদি এন্টি ভাইরাস ব্যবহার না করতে চান তাহলে কোন একটা এন্টি ম্যালওয়্যার ইঞ্জিন অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

আপনার যদি ডেস্কটপ হয় তবে অবশ্যই সপ্তাহে একদিন করে পরিষ্কার করুন। আর ল্যাপটপ হলে মাসে অন্তত একবার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে পরিষ্কার করিয়ে নিয়ে আসুন কিন্তু আপনি নিজে পারলে তো কথাই নেই।

তো এই ছিল আজকের টিউন। আপনার কম্পিউটার যদি স্লো থাকে তাহলে এই টিউনটি ফলো করলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারকে করে নিতে পারবেন রকেট ফাস্ট। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কেমন লাগল টিউনটি জানাতে ভুলবেন না। সেই সাথে যে কোন মতামত জানান টিউমেন্টে।

-ধন্যবাদ

Level 2

আমি হাসিবুর ইসলাম নাসিফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

বিষাদময় পৃথিবীতে আমি আনন্দ খুঁজে নিই সবকিছু থেকে। আর স্বপ্ন দেখি মহাকাশ ভেদ করে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবার। স্বপ্নচারী আমার স্বপ্নগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে আমাকে। হাত ধরে চলো স্বপ্ন দেখি একসাথে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

antivirus download link ta den

ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট করছেন,ধন্যবাদ।প্রো কী টা দিলে ভাল হত।জিমেইল[email protected]

প্রো কি টা দিবেন প্লিজ? আমার মেইল- [email protected] .. Thanks in advance..

প্রো কি টা দিবেন প্লিজ? আমার মেইল[email protected] .. Thanks in advance..

ধন্যবাদ সবাইকে।
অনেকেই প্রো কী এর জন্য কমেন্ট করছেন… সবার মেইলে আমার পক্ষে প্রো কী দেয়া সম্ভব নয়….
আপনাদের জন্য এখানেই Advance System Care 10 এর প্রো কী দিয়ে দিচ্ছি…
Advance System Care 10 Pro Version Key : 5F90C-4A11F-1BD01-DAC74
টেকটিউনসের সাথেই থাকুন।

ccleaner pro কেমন?

    CCleaner Pro এর ফাংশনালিটি অনেক কম। এমনিতে কাজ করে ভালই। আর তাই কম ফাংশনালিটিরর জন্য CCleaner ব্যবহার না করার পরামর্শ দেব।

ভাই প্রো ভার্সন টা প্রয়োজন