কিভাবে গ্রাফিকরিভারের জন্য বিজনেস কার্ড ডিজাইন করবেন,তার পরিপূর্ণ গাইডলাইন

কেমন আছেন সবাই?

আশা করি সবাই ভাল আছেন,শাহাদাত ষ্টুডিও পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি স্বাগতম
আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে গ্রাফিকরিভারে জন্য বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে হয়। আমরা যারা গ্রাফিকরিভারে কাজ করতে চাই অথবা ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি কাজ করতে চাই, প্রিন্টিং রেডি ডিজাইন করতে চাই তাদের জন্য এই টিউটোরিয়ালটি অনেক বেশি হেল্প করবে আশা করি। আমি স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাটাই আপনাদেরকে আজকে দেখিয়ে দেব এভাবে কাজ করলে আপনারা প্রব্লেম ফিল করবেন না। চলুন শুরু করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল।

বিজনেস কার্ড ডিজাইন করার জন্য আমাদের প্রথমে কিছু বেসিক কাজ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যেমন : কার্ড এর প্রকৃত সাইজ কেমন হয়, কি কি বিষয় উল্লেখ করা থাকবে, লেখার ধরন কেমন হবে, লেখার সাইজ কেমন হবে ইত্যাদি।

আমি প্রথমে কিছু বেসিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো এবং পরবর্তীতে একটি বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে দেখাবো।

বিজনেস কার্ডটি ডিজাইন করতে আমাদের ব্যবহার করতে হতে পারে ইলাস্ট্রেটর এবং ফটোশপ সফটওয়্যার দুইটিকে। ইলাস্ট্রেটর দিয়ে মূল ফরম্যাট এবং লেখাগুলো হবে আর ফটোশপ দিয়ে কোন ছবি মডিফাই করার প্রয়োজন হলে সেটা করে নিতে হবে। এবং সবশেষে কাজটি ইলাস্ট্রেটরে সেইভ করে নিতে পারি, তাহলে কোয়ালিটি ভালো পাওয়া যাবে।

১. সঠিক সাইজ নির্বাচন করতে হবে

আমরা অনেকেই কার্ড ডিজাইন করে থাকি কিন্তু প্রিন্টের কথা মাথায় রাখি না। এই কারণে কার্ডটি প্রিন্ট করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। যেমন : কার্ডটির কিছু অংশ কাঁটা পড়ে এবং সাইজ ঠিক না থাকায় কার্ডটির গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়।

একটি স্ট্যান্ডার্ড মানের বিজনেস কার্ডের সাইজ হয়ে থাকে, দৈর্ঘ্যে ৩.২৫ ইঞ্চি বা ৩.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ২ ইঞ্চি।

বিজনেস কার্ড প্রধানত দুই ধরনের হতে পারে, পোট্রেইট এবং ল্যান্ডস্ক্যাপ। যদি ল্যান্ডস্ক্যাপ হয় তাহলে দৈর্ঘ্য ৩.২৫ বা ৩.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ইঞ্চি হবে আর যদি পোট্রেইট হয় তাহলে উল্টা হবে অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ২ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৩.২৫ বা ৩.৫ ইঞ্চি হবে।

এই তো গেলো একটি বিজনেস কার্ড এর প্রকৃত সাইজ কেমন হয় সেই সম্পর্কে ধারনা। এখন যদি এটি প্রিন্ট করতে গিয়ে কোন অংশ কেটে ফেলি তখন কি হবে ! এই জন্য আসল ডিজাইন থেকে কিছু অংশ বাড়তি নেয়া হয়। একে Bleed Size বলে। যেমন : আমাদের বিজনেস কার্ডটির প্রকৃত সাইজ নেয়া হয়েছে দৈর্ঘ্যে ৩.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ২ ইঞ্চি। আমরা এক্ষেত্রে Bleed Size নেবো ০.২৫ ইঞ্চি উভয় দিকে। তাহলে আমাদের কার্ডটির মোট সাইজ গিয়ে দাঁড়াবে, দৈর্ঘ্যে ৩.৫ ইঞ্চি +০.২৫ ইঞ্চি = ৩.৭৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ২ ইঞ্চি + ০.২৫ ইঞ্চি = ২.২৫ ইঞ্চি।

সম্পূর্ন ডিজাইনটি করা থাকে একটি আলাদা বক্সের ভিতরে এবং সেই বক্সটি থাকে Bleed Size এর ভিতরে, ঐ বক্সটিকে বলে ‘Safe Area’। প্রিন্ট করার পর কার্ডটি নিরাপদে কেটে নিতে হবে এবং সেইফ এরিয়ার বাইরের অংশ ফেলে দিতে হবে।

২. রেজ্যুলেশান এবং কালার-মোড

রেজ্যুলেশান হচ্ছে কার্ডটির কোয়ালিটি। কার্ডটি প্রিন্ট করার পর কেমন হবে সেটার অনেকটি অংশ এই রেজ্যুলেশানের উপরেও নির্ভর করবে। এখানে রেজ্যুলেশান প্রিন্টের কথা কল্পনা করে ৩০০ পিপিআই দিতে হবে।

রেজ্যুলেশানের পর এইবার কালার-মোড নির্ধারণ করে নিতে হবে। বেশি পরিচিত কালারমোডের ভিতরে রয়েছে RGB কালার মোড এবং CMYK কালার মোড। ওয়েবের দুনিয়াতে RGB (Red, Green, Blue) কালার-মোডটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সব ধরনের রঙকে এই মোডটি শুধুমাত্র তিনটি বেসিক রঙ দিয়েই প্রকাশ করে থাকে। এবং প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে CMYK (Cyan, Magenta, Yellow, Black) কালার-মোডটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একে চারকালারের প্রিন্টিং সিস্টেম বলে থাকে অনেকে।

আমাদের বিজনেস কার্ডটি যেহেতু প্রিন্ট করা হবে তাই আমাদের অবশ্যই CMYK কালার-মোডটি ব্যবহার করতে হবে।

টিউটোরিয়ালটি দেখুন:

অবশ্যই টিউটোরিয়ালটি যখন দেখবেন তার সাথে সাথেই ফটোশপে প্রাক্টিস করবেন। একটু দেখবেন আর ট্রাই করবেন।কারন সম্পূর্ণ ভিডিও একবার দেখে হয়তো মনে রখাতে পারবেন না, তাই দেখুন আর চেস্টা করতে থাকুন যতক্ষণ আপনার মনের মত না হয়।

আবার দেখা হবে নতুন কোন টিউটোরিয়ালে, সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। আর টেকটিউনস এবং শাহাদাত ষ্টুডিও এর সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

Level 0

আমি প্রত্যয় ব্যক্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস