মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! নিজের মায়ের ভাষা কার না প্রিয়। সবারই তো চায় নিজের ভাষায় সাবলীল ভাবে বলতে এবং লিখতে। সাধারন ভাবে সমস্যা না হলে কম্পিউটারে বাংলা লেখাটা এখনো অনেকের কাছেই দুরুহ বটে।সত্যি কথা বলতে গেলে জিনিসটাকে দুরুহ বানিয়ে রাখা হয়েছে। বাস্তবে বাংলা টাইপিং অনেক সহজ একটা জিনিস। বাংলা লেখা শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে কিছু জিনিস জানতে হবে। জানতে হবে মানে এটা নয় যে না জানলে হবে না। আমি সাধারনত এই জিনিসগুলি রিকোমেন্ড করে থাকি।
১. ইংরেজী টাইপিং পারতে হবে – বিশ্বাস করুন আপনি যদি ইংরেজী ২৬টা অক্ষর না দেখে টাইপ করতে পারেন তবে আপনার জন্য বাংলা লেখাটা পানির মতো সহজ। কয়দিন লাগবে বড়জোড় ২ বা ৩ দিন। অনেকেই এখানে ভুলটা করে থাকেন। প্রথমে বাংলা শিখতে চান। কিবোর্ডে বাংলার বিশাল বর্ণমালাটা আয়ত্ব করাটা সত্যি জটিল একটা কাজ। তারচেয়ে ভাল নয়কি প্রথমে ইংরেজীর মাত্র ২৬ অক্ষর শিখে সহজে বাংলাটা শিখে নেওয়া। সহজে ইংরেজী টাইপিং শিখার এর উপর আমার একটা টিউন আছে। আপনি চাইলে সেটি ফলো করতে পারেন- গল্পে গল্পে টাইপিং শিখি – ইংরেজী
২. বাংলা বর্ণমালা মুখস্ত থাকতে হবে – আপনি যে জিনিসটা শিখতে যাচ্ছেন বা যাবেন সেটা নিয়ে যদি আপনার সঠিক ধারনা না তাকে তবে কেমনে শিখবেন বলুন। আমি বললাম লিখতে অ আর আপনি লিখে দিলেন ও। কিছু কি হবে। আর তাই প্রথমে বাংলা বর্ণমালাগুলো আরেকটিবার পড়ে নিন।
কম্পিউটারে বিজয় সফটওয়্যার ইনষ্টল করা থাকতে হবে – বিজয় হচ্ছে বাংলা লেখার একটি সফটওয়্যার। এটি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। দাম ১০০ টাকা মাত্র। যদিও বিতর্ক আছে যে ফ্রি অভ্র (আরেকটি বাংলা লেখার সফটওয়্যার) রেখে আমরা কেন টাকা দিয়ে বিজয় ব্যবহার করবো। আমি মনে করি এটি আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনার যেটি ভাল লাগবে সেটি ব্যবহার করুন।
তো স্বাগতম বাংলা লেখায়। এবার আপনাকে এম.এস ওয়ার্ডের একটি ফাইল অপেন করতে হবে
অপেন করার পর প্রথমে Ctrl+Alt+B এক সাথে চাপতে হবে। উল্লেখ্য যে, ctrl+Alt+B মানে কন্ট্রোল এর পর + ধরে অল্টার ধরা নয়। একসাথে কন্ট্রোল অল্টার এবং বি চাপতে হবে। অভিনন্দন আপনাকে বিজয় কিবোর্ড সিলেক্ট করার জন্য।
এবার ফন্ট বদলানোর পালা। বাংলা ফন্ট হিসাবে যেকোন ফন্ট যার শেষে MJ আছে সেটা সিলেক্ট করতে হবে। কমন একটি বাংলা ফন্ট হচ্ছে SutonnyMJ আমরা না হয় সেটি সিলেক্ট করলাম। উল্লেখ্য যে আপনার কম্পিউটারে যদি বাংলা ফন্ট না থাকে তবে Control Panel এ গিয়ে Font নামক একটি ফোল্ডার পাবেন সেখানে যেকোন বাংলা ফন্ট রেখে দিলেই কেল্লা ফতে।
নিচের কিবোর্ডের লে আউটটির দিকে লক্ষ্য করুন। এটি বিজয়ের লে আউট। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ইংরেজী টাইপ জানেন। এক্ষেত্রে পুনরায় কিবোর্ডের কোন অক্ষরে কোন আঙ্গুল যাবে সেটা রিপিট করছিনা। আপনি ইংরেজীর জন্য যেভাবে কিবোর্ড হাত রাখতেন ঠিক একই ভাবে বাংলার জন্যও রাখুন।
তো হাত রাখলে কি আর হবে। টাইপ তো করতে হবে। টাইপ করার আগে জেনে নিন দুটো ফ্যাক্ট।
এখানে একটা জিনিস লক্ষনীয় যে, প্রতিটি কি এর জন্য বাংলা দুটি বর্ণমালা বরাদ্দ রয়েছে। এই যেমন F এর কথাই ধরুন। F এর মধ্যে রয়েছে দুইটি বাংলা অক্ষর। উপরে রয়েছে অ এবং নিচে। (আকার)। আপনি যখন শুধু F চাপবেন তখন আসবে আকার। আর Shift এ ধরে F প্রেস করে দেখুন তো। আরে বাহ অ লিখে ফেলছেন যে আপনি। হুমম এটাই হচ্ছে নিয়ম। উপরেরগুলো লিখতে হলে শিফটে চেপে লিখতে হবে।
বাংলায় যুক্তাক্ষর লেখাটা আসলে বেশ ঝামেলার যদি আপনি নিয়ম না জানেন। জি হ্যাঁ আপনাকে বলছি এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা জি। জি? আরে ভাই আমি ইংরেজী G এর কথা বলছি। ধরুন লিখবো যুক্ত। যু ক এবং ত = যুক্ত। এক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের চাপতে হবে w= য s=ু j=ক g= জয়েন্ট k=ত। লেখাটা জটিল হয়ে গেল তাইনা? সহজ করে বলি। ক এর সাথে ত যুক্ত হবে আর তাই ক লিখে G তে একবার চাপলাম তারপর আবার ত লিখলাম। ব্যাস কাহিনী খতম ক এবং ত এক হয়ে গেল। মোটকথা যেকোন দুইটা অক্ষর যুক্ত করতে হলে প্রথমে একটা অক্ষর তারপর G এবং শেষে পরের অক্ষর। আশা করছি বিষয়টা ক্লিয়ার।
আমি Abdullah Al Amran। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।