গত পর্বে কীওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে লিখেছিলাম। ঐ লেখাটারই পরিপূরক লেখা আজকেরটি- কীওয়ার্ড কম্পিটিশন এনালাইসিস নিয়ে। আপনার সাইটটি রেংক করানোর জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে, কতটা পরিশ্রম করতে হবে সেসব নিয়েই আজকের লেখাটি। চলুন তবে শুরু করা যাক।
একটি সতর্কবার্তা! কথাটা আমার কানে এসেছে তাই আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। অনুগ্রহ করে ভবিষ্যতে এরকম রিউমার ছড়াবেন না। কে একজন বিভিন্ন জায়গায় ছড়াচ্ছেন- "আমাকে তিনি চেনেন, আমার সাথে তার চলাফেরা আছে।" চমৎকার, এটা সে বলতেই পারে। কিন্তু পরবর্তী কথাটা যা বলছে, তা আমার মোটেও পছন্দ না। সে বলছে- আমি নাকি টেকটিউনস-এ ফ্রি টিউটোরিয়াল দিয়ে কমিউনিটি বিল্ডআপ করছি ভবিষ্যতে পেইড টিউটোরিয়াল সেল এবং ট্রেনিং করানোর জন্য। কথাটা শুনে বেশ দুঃখিত হয়েছি। যাইহোক, আপনাদের আবারও নিশ্চিত করছি- পেইড টিউটোরিয়াল বা ট্রেনিং করানোর কোনো প্ল্যান আমার নেই। ভবিষ্যতেও এসব করবো না। দয়া করে কেউ এরকম রিউমার ছড়াবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাজন নিস সাইট নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যে যারা এক্সপার্ট তারা বেশিরভাগই বলেন- এই এনালাইসিস ব্যাপারটা খুবই মজার যদি আপনি গুগলের মেইন ভিউ অব পয়েন্টগুলো বুঝতে পারেন।
সুতরাং এনালাইসিস-এ যাওয়ার আগে গুগলের কিছু মেট্রিক্স সম্পর্কে আমাদের ক্লিয়ার থাকা আবশ্যক। এই লেখায় সেগুলো আলোচনা করবো। চেষ্টা করবো লেখায় টেকনিক্যাল ভাষা ব্যবহার না করে সহজবোধ্য নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করার। যাতে করে আপনারা সহজে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। তাই কেউ পন্ডিতি করে আবার বলতে যাবেন না- বইয়ের সাথে তো আপনার সংজ্ঞা মিলছে না। তো আপনার কাছে যদি মনে হয়, আমার লেখা আপনার কাছে সমস্যা, আপনি প্রশ্ন করতে পারেন। আর আপনার যদি মনে হয়- বইয়ের ভাষা আপনার দরকার, তাহলে আমার টিউটোরিয়াল না পড়ে দয়া করে বই পড়ুন। সেটাই বরঞ্চ আপনার জন্য ভালো। আমার জন্যও। কী বলেন?
গুগলের এলগরিদম প্রায় নিয়মিতই আপডেট হয়। এবং কীওয়ার্ড এনালাইসিসে ভালো করার জন্য আপনাকে এসব আপডেট সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার থাকতে হবে। এই জন্য কিছু ওয়েবসাইট, ব্লগ আপনাকে নিয়মিত পড়তে হবে। যেমন: গুগল ওয়েবমাস্টার ব্লগ, গুগল ইনসাইড সার্চ, ময ব্লগ, ম্যাট কাটস ব্লগসহ আরও বেশ কয়েকটি। এবং পড়তে পারেন আমার নিজের ব্লগ- এজন স্টার। এখানে আমি লিখি আমার নিজস্ব কাজের ধরণ। যা করে আমি সফলতা পেয়েছি সেগুলো জানতে পারবেন এখানে। আজকের লেখায় এবং আমার অন্যান্য লেখায় এরকম যেসব ব্লগের নাম আসবে সেগুলো নিয়মিত ফলো করবেন। পারসোনালি আমি নিজেও এসব ব্লগ পড়ি। আপনারাও পড়াশোনা নিয়মিত করবেন। এটা বেশ মজার এবং ফলপ্রসু। পড়বেন এবং কিছু বঝতে সমস্যা হলে "টিউমেন্ট" করবেন ঐ সাইটগুলোতে। দেখবেন ব্লগ অউনারের সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মার্কেটিং-এ যা আপনার খুবই কাজে লাগবে ভবিষ্যতে।
কীওয়ার্ড কম্পিটিশন এনালাইসিস সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলার আগে আপনাদের জন্য একটা প্রশ্ন- আপনারা কি জানেন কেন আমরা কম্পিটিশন এনালাইজ করবো? যদি জানেন তাহলে সেটা খুবই ভালো। আর যদি না জানেন তাহলে আমি আমার মতো বলছি, আপনার জানার সাথে মিলিয়ে নিন- কীওয়ার্ড কম্পিটিশন এনালাইজ করে আমরা দেখবো এই কীওয়ার্ডটা নিয়ে কাজ করে আমরা সফলতা পাবো কিনা? পেলে কতদিন লাগবে? এবং কীভাবে কাজ করলে সফলতা পাবো। সফলতা পাওয়া মানে এই কীওয়ার্ডটা গুগলে রেংক করাতে পারবো কিনা? রেংক করানোর অর্থ হচ্ছে- এই কীওয়ার্ডটা দিয়ে যে ওয়েবসাইট তৈরি করবো সেটা আমরা গুগলের প্রথম পেজে আনতে পারবো কিনা? পারলে কীভাবে আনবো?
অর্থাৎ আমাদের নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ দিলে প্রথম পেজে যে দশটা ওয়েবসাইটের লিংক আসবে সেগুলো এনালাইজ করে আমরা ডিসিশন নেবো আমরা যদি ঐ কীওয়ার্ড দিয়ে একটা সাইট বানাই তাহলে সহজে সে সাইটটা এই ১০ টা সাইটকে টপকে সবার উপরে আনতে পারবো কিনা?
ব্যাপারটা ক্লিয়ার? ক্লিয়ার হলে ভালো। না হলেও অসুবিধা নেই। কারণ লেখটা এখনও শেষ হয়নি। এই লেখাটা শেষ হলে পুরো ব্যাপারটা আপনার কাছে আরও ক্লিয়ার হয়ে যাবে আশা রাখি।
কীওয়ার্ড বা নিস সাইট কম্পিটিশন এনালাইসিস কী সেটা উপরের প্যারাতে মোটামুটি বলেছি। এবার আরেকটু ক্লিয়ার হোন। ধরুন, আমি যদি “Best Coffee Maker” লিখে গুগলে সার্চ দিই, তাহলে গুগলের প্রথম পেজে ১০ টি লিংক শো করবে, রাইট? ঐ ১০ টা ওয়েবসাইট কি কারণে প্রথম পেজে আসছে সেগুলো আমরা খোঁজে দেখবো। এবং ঐ সাইটগুলোর দুর্বল দিক আছে কিনা সেগুলো খুঁজে নিয়ে আমরা এনালাইজ করে সিদ্ধান্ত নেবো আসলেই এই কীওয়ার্ডটা (“Best Coffee Maker”) নিয়ে আমরা কাজ করতে পারবো কিনা? আর কাজ করলে, কীভাবে কাজ করলে আমরা আমাদের সাইটটা প্রথমে নিয়ে আসতে পারবো? এবং নিয়ে আসাটা আমাদের জন্য হার্ড হবে নাকি সহজ হবে? এই সবই আমরা জানতে পারবো এনালাইসিসের ফলাফল থেকে। ঠিকাছে?
আমাদের কম্পিটিটর খুব শক্ত নাকি সহজ সেটা বুঝতে পারা যায় কিছু সুনির্দিষ্ট মেট্রিকস ফলো করলে, হিসাব-নিকাশ করলে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা এই অধ্যায়ে আলাপ করবো। একটা ব্যাপার- মেট্রিকস অনেক আছে। কিন্তু শুরুতেই যদি আমি সবগুলো নিয়ে বলতে যাই তাহলে আপনারা সমস্যায় পড়বেন বলেই আমি মনে করি। ন্যুনতম যে মেট্রিকসগুলো না হলেই চলে না, এবং যেগুলো খুবই দরকারি সেগুলো নিয়েই আমরা ডিসকাস করবো। নিস সাইট শুরু করার জন্য এই কয়েকটা মেট্রিকসই যথেষ্ট। গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিকসগুলো হচ্ছে:
১. টাইটেলে কীওয়ার্ড
২. ব্যাকলিংক সংখ্যা
৩. পেজ অথোরিটি (পিএ)
৪. ডোমেইন অথোরিটি (ডিএ)
৫. ট্রাস্ট ফ্লো (টিএফ)
৬. সিটাশন ফ্লো (সিএফ)
৭. মেটা ডেসক্রিপশন এবং
৮. সাইটের বয়স
এই কয়েকটা জানাই যথেষ্ট। এই কয়েকটা মেট্রিকস প্রোপারলি এনালাইজ করতে পারলে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলেই আমি মনে করি। আমিও এগুলোই সাধারণত দেখি। চলুন এই মেট্রিকসগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। তার আগে আপনাদের জন্য একটা গিফট...
যে কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো সুন্দর করে লিপিবদ্ধ করে এনালাইজ করে সিদ্ধান্তে আসার জন্য আপনাদের জন্য একটা এক্সেল এনালাইসিস শীট গিফট করা হলো। এই এক্সেল শীটটি আমি আমার কাজে ব্যবহার করি। নিচের লিংক-এ অথবা ছবিতে ক্লিক করলে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে। সেখানে নিচের ছবির মতো অংশে গিয়ে টুইটার, ফেসবুক বা গুগল প্লাসে ক্লিক করে শেয়ার দিলে এক্সেল শীটটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
এনালাইসিস শীটটি আমি গিফট পেতে চাই
আপনার ব্রাউজারে http://www.google.com-এ যান। http://www.google.com.bd নয় অবশ্যই। http://www.google.com-এ গিয়ে সার্চ বারে লিখুন “Best Coffee Maker” তারপর এন্টার চাপুন। প্রথম পেজের ১০ টি লিংক দেখুন:
এভাবে আপনি যখন একটা কীওয়ার্ড লিখে সার্চ দেবেন তখন খেয়াল করুন প্রথম পেজে থাকা ১০ টি লিংকের টাইটেলে কীওয়ার্ডটা হুবহু দেয়া আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে বুঝা গেলো ঐ সাইটের ভ্যালু বেশি। আর যদি না থাকে তাহলে ঐ সাইটের ভ্যালু কম, মানে ঐ সাইটের একটা দুর্বল দিক আছে। আপনি যদি ঐ কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করেন তাহলে টাইটেলে অবশ্যই কীওয়ার্ড দেবেন। এভাবে ১০ টা সাইটের টাইটেলই চেক করবেন। এবং যে শীটটা দিয়েছি ঐ সাইটে লিপিবদ্ধ করবে হ্যাঁ অথবা না লিখে। হ্যাঁ মানে টাইটেলে কীওয়ার্ড আছে আর না মানে নেই। ওকে?
আশা করি ব্যাকলিংক সম্পর্কে আপনাদের ভালো ধারণা আছে। ব্যাকলিংক হলো- আপনার সাইটের লিংক অন্য সাইটে থাকা। তবে আপনি যদি এসইও সম্পর্কে আপডেট থাকেন তাহলে জানতে পারবেন- ব্যাকলিংকের ব্যাপারটা এখন আর আগের মতো নেই। গুগল এখন রিলেটেড ব্যাকলিংককেই কাউন্ট করে। অর্থাৎ আপনার সাইট যদি হয় কফি মেকার নিয়ে তাহলে এই রিলেটেড সাইট থেকেই আপনার সাইটের ব্যাকলিংক হতে হবে। কিন্তু আপনার সাইটের ব্যাকলিংক যদি হয় কম্পিউটার রিলেটেড সাইট থেকে তাহলে গুগল সেটাকে নেগেটিভ হিসেবে ধরে নেবে। এতে আপনার সাইটের উপকারতো হবেই না, বরং আরও ক্ষতি হবে।
তো আপনার কম্পিটিটর সাইটগুলোর ব্যাকলিংখগুলো চেক করে দেখুন। প্রতিটার ব্যাকলিংক প্রোফাইল কেমন? যদি অনেক বেশি ব্যাকলিংক হয় তাহলে এই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করাই ভালো। একটা সাইটের ব্যাকলিংখ, ডোমেইন অথোরিটি এবং পেজ অথোরিটি দেখার জন্য ওপেনসাইট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করুন। এটি যদিও পেইড টুল, তবে ফ্রি সাইন আপ করে নিলে প্রতিদিন কয়েকটি সাইটের ব্যাকলিংক চেক করতে পারবেন। এছাড়াও আরও সাইট আছে যেগুলো দিয়ে একটা সাইটের ব্যাকলিংক চেক করা যায়।
পেজ অথোরিটি এবং ডোমেইন অথোরিটি ময.কম-এর দু'টি মেট্রিকস। একটা সাইটের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে ময ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটা নাম্বার দেয়। আপনার কম্পিটিটর সাইটগুলোর পেজ অথোরিটি এবং ডোমেইন অথোরিটি যতো কম হবে ততই ভালো। প্রথম পেজে থাকা অন্তত ৩ টি সাইটের পেজ অথোরিটি এবং ডোমেইন অথোরিটি যেন ৩০-এর কম থাকে। যদি না থাকে এরকম, তাহলে ওই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করাই শ্রেয়। কারণ রেংক করাতে আপনার কষ্ট হবে। ডোমেইন অথোরিটি এবং পেজ অথোরিটি এবং অন্যান্য আরও কিছু মেট্রিকস চেক করার জন্য আপনার ফায়ারফক্স বা ক্রোম ব্রাউজারে মযবার এডন/এক্সটেনশন ইউজ করতে পারেন।
ট্রাস্ট ফ্লো এবং সিটাশন ফ্লো হচ্ছে ম্যাজেস্টিক নামক একটি সাইটের দু'টি মেট্রিকস। একটা সাইটের ভ্যালু যতো বেশি হয় সেই সাইটের ট্রাস্ট ফ্লো এবং সিটাশন ফ্লো তত বেশি হয়। আপনার কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিয়ে গুগলের প্রথম পেজে যে ১০ টি লিংক পেয়েছেন, খেয়াল করুন অন্তত ৩ টি সাইটের ট্রাস্ট ফ্লো এবং সিটাশন ফ্লো যেন ৩০-এর নিচে আছে কিনা? আর যদি ২০-এর নিচে থাকা ৩টি পান তাহলেতো খুবই ভালো। ট্রাস্ট ফ্লো এবং সিটাশন ফ্লো চেক করার জন্য ম্যাজেস্টিক এসইও সাইটটি ব্যবহার করুন। এটিও পেইড টুল। তবে ফ্রিতে সাইনআপ করে নিলে কয়েকটি সাইট ফ্রি চেক করতে পারবেন।
এছাড়াও মেটা ডেসক্রিপশন এবং সাইটের বয়স একটা ফ্যাক্টর। লিংকগুলোর হুইজ চেক করলে সাইটের বয়স সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরকাইভস থেকে সাইটের হিস্টোরি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন। আর মেটা ডেসক্রিপশন হচ্ছে- গুগলে সার্চ দেয়ার পর যে ১০ টি সাইট আমরা পেয়েছি, সেগুলোর টাইটেলের নিচে দেখুন ছোট্ট একটা প্যারা আছে- সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এটাই মেটা ডেসক্রিপশন। এখানে কীওয়ার্ড ব্যবহৃত হয়েছে কিনা দেখুন। যে সাইটে না হয়েছে সেটা মার্ক করুন এক্সেল শিটটিতে। যখন আমরা সাইট বানিয়ে অন-পেজ এসইও করবো, তখন দেখিয়ে দেবো কীভাবে মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করতে হয়।
আপনারা জানেন- লং টেইল প্রো একটি পেইড টুল। কীওয়ার্ড রিসার্চ অধ্যায়ে এই টুলটি সম্পর্কে আপনাদের বলেছি। এখানে আরও কিছু জানতে পারবেন। এটি আসলেই খুবই মজার একটি টুল। যা আপনার কাজকে সহজসাধ্য করে দেবে। তবু আমি শুরুতে আপনাদেরকে এই টুলটি কিনতে অনুৎসাহিত করছি। কারণ টুলটি বেশ ব্যয়বহুল এবং শুরুতে গুগল এডওয়ার্ডস এবং ম্যানুয়ালি কাজগুলো করলে আপনার জন্য ভালো হবে। যদিও পারসোনালি আমি কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং এবং এনালাইসিসের জন্য এই টুলটি ব্যবহার করি এবং পছন্দ করি। কেন করি? কারণ এটা আমার সময় বাঁচিয়ে দেয় এবং কাজটি সহজ করে দেয়। শুরুতে একটা স্ক্রিনশট দেখুন। খেয়াল করুন- স্ক্রিনশটে আমি কিছু রেডমার্ক করে দিয়েছি। এগুলো আবার বিস্তারতি বর্ণনা করেছি নিচে। আগে স্ক্রিনশটটি দেখুন:
Keywords – Best Coffee Maker: খেয়াল করুন- হলুদ “Find Keywords” বাটনের নিচে যে বক্স আছে ওখানে "Best Coffee Maker" লিখে আমি এন্টার চেপেছি। তাই এখানে কিছু হিসাব-নিকাশ দেখাচ্ছে। Keywords-এর নিচে Best Coffee Maker তাই শো করছে। এবং এই কীওয়ার্ড গুগলে সার্চ দিলে যে ১০ টা লিংক প্রথম পেজে দেখাতো, সেই ১০ টাই Title and URL-এ দেখাচ্ছে।
Local Searches – 27,100: অর্থাৎ “Best Coffee Maker” কীওয়ার্ডটি ইউএসএ থেকে গুগলে ২৭,১০০ বার সার্চ হয়। এটাই এখানে দেখাচ্ছে। মনে আছে- গুগল এডওয়ার্ডসে আমরা এই বিষয়টা ডিটেইলস দেখেছিলাম? এখানে এটা কতো সহজে দেখে নিতে পারলেন। তাই না?
Average Keyword Competitiveness – 45: এভারেজ কম্পিটিটিভনেস বা কেসি (KC) হচ্ছে লং টেইল প্রো সফটওয়্যারের একটা হিসাব। একটা কীওয়ার্ডের কম্পিটিটর এনালাইজ করে লং টেইল প্রো ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটা মার্ক দেয়। শুধুমাত্র এই কেসি দেখেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন কি করবেন না? আমরা দেখছিলাম “Best Coffee Maker” কীওয়ার্ডটি। এই কীওয়ার্ডের কেসি দেখাচ্ছে ৪৫। অর্থাৎ এটি মোটামুটি একটা হার্ড কীওয়ার্ড। নিচের ছবিটি দেখে কেসি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারবেন:
সার্বিকভাবে নতুনদের জন্য কেসি ৩০ বা এর নিচে হলেই কাজ করতে সুবিধা। তবে ৩৫ পর্যন্ত নিতে পারেন যদি আপনার কাজ করার এভিলিটি থাকে। কিন্তু শুরুতে তার বেশি না নেয়াই ভালো।
আরও কয়েকটা বিষয়ে আমি রেডমার্ক করেছি। যেগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি। ডোমেইন অথোরিটি, পেজ অথোরিটি, সাইট এজ ইত্যাদি না বুঝতে পারলে উপরের অংশটা আবারও পড়ে নিন।
আজকের মতো এই পর্যন্তই থাকলো। বুঝতে সমস্যা হলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। অবশ্যই উত্তর দেবো। গত পর্ব আর এই পর্ব যদি আপনি ভালো করে বুঝে থাকেন তাহলে নিস সাইট সম্পর্কে আপনার কাজ ৭০% কমপ্লিট হয়ে গেছে ধরে নিন। সুতরাং এই পর্ব এবং কীওয়ার্ড রিসার্চ পর্ব বারবার পড়ার জন্য সাজেস্ট করবো আমি।
ভালো থাকুন, সাথেই থাকুন।
...
বি:দ্র: আগামী পর্ব বিদেশ থেকে বেড়িয়ে এসে তারপর লিখবো ইনশাল্লাহ। বেড়ানোর আনন্দ ১০০% উপভোগ করার জন্য সাথে ল্যাপটপ নিচ্ছি না। সুতরাং পরবর্তী পর্ব বিদেশ থেকে ফিরে লিখবো ইনশাল্লাহ। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই, যেন সুস্থ্য দেহে ফিরে এসে আবার কাজে যোগ দিতে পারি এবং আপনাদের জন্য পরবর্তী পর্বগুলো সময়মতো লিখতে পারি। সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি এজন স্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 149 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
tune tar jonno gotokal theke khub wait kortesilam
thanks vai