হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। ভূমিকা পর্ব এবং প্রথম পর্ব টিউটোরিয়াল লেখার পর আপনাদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আশা করি ১২তম পর্ব পর্য়ন্ত আপনারা এভাবেই সাথে থাকবেন। তবে সাথে থাকুন আর নাই থাকুন, আমি এই ১২ পর্ব টিউটোরিয়াল লিখবোই ইনশাল্লাহ। গত পর্ব পাবলিশ হওয়ার পর থেকেই অনেকে জানতে চাচ্ছেন কবে আবার দ্বিতীয় পর্ব পাবলিশ করা হবে?
তাদের সুবিধার জন্য আজকে একটা তিনমাসব্যাপী সম্ভাব্য টিউটোরিয়াল প্রকাশের ডেটলাইন দিয়ে দিলাম নিম্নে। এতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। যেহেতু বলেছি ১২ পর্ব টিউটোরিয়াল আমি ৩ মাসে পাবলিশ করবো সুতরাং তারিখগুলো সেভাবেই সাজানো হয়েছে।
তাই দেখে নিন কীভাবে, কোনদিন কোন আর্টিক্যাল বা টিউটোরিয়াল পাবলিশ হবে:
তবে আগেই বলে রাখি- এই তারিখ অবশ্যই আমি মেনে চলার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। কিন্তু কোনো কারণে যদি লেট হয়ে যায় তাহলে ক্ষমা করবেন। যেমন পর্ব-০৪ এবং পর্ব-০৫ সম্ভবত আমি সময়মতো আপনাদের দিতে পারবো না। কারণ এই সময় আমি দেশের বাইরে থাকবো- বেড়াতে যাবো (দোয়া করবেন আমার জন্য), যদিও সাথে ল্যাপটপ থাকবে, এবং চেষ্টা করবো কোনো হোটেল রুম বা পাহাড়ের চূড়ায় বা কোনো কফিশপে বসে পর্ব দুটো লিখে ফেলার। কিন্তু বেড়াতে গিয়ে বেড়ানোর আনন্দ মাটি করে নয় অবশ্যই। সুতরাং আগেই আপনাদের জানিয়ে রেখে ক্ষমা চেয়ে রাখছি।
ভূমিকা পর্ব: আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ১০০০ ডলার আয় করার প্ল্যান [চেইন টিউন] – যারা সহজ রাস্তায় ইনকাম করার চিন্তা করছেন, দূরে থাকুন! [পাবলিশ ডেট: ২৫-১১-২০১৫]
পর্ব - ০১: আমাজন নিস সাইট প্ল্যানিং
পর্ব - ০২: কীওয়ার্ড রিসার্চ: আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর সবচেয়ে গুরুত্ব অংশ
পর্ব - ০৩: নিস সাইট কম্পিটিশন এনালাইসিস স্ট্রাটেজি
পর্ব - ০৪: নিস সাইটের জন্য পারফেক্ট ডোমেইন এবং বেস্ট হোস্টিং বাছাই
পর্ব - ০৫: পেইড ডোমেইন ও হোস্টিং-এর বিকল্প [যাদের ডোমেইন হোস্টিং কেনার সামর্থ নাই]
পর্ব - ০৬: সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস সাইট ডিজাইন [কোডিং জ্ঞান ছাড়াই]
পর্ব - ০৭: নিস সাইটের জন্য প্রয়োজনীয় কনটেন্ট লেখা/সংগ্রহ এবং সাজানো
পর্ব - ০৮: মাত্র একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস সাইটের অন-পেজ এসইও করুন পারফেক্টভাবে
পর্ব - ০৯: কীভাবে আমাজন এসোসিয়েটস একাউন্ট-এর জন্য এপ্লাই করবেন?
পর্ব - ১০: অফ-পেজ এসইও করুন সুনির্দিষ্টভাবে মাত্র তিন ধাপে
পর্ব - ১১: নিস সাইটে আমাজন এফিলিয়েট লিংক এড করুন আর শুরু করুন আর্নিং
পর্ব - ১২: নিস সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম
তো আজকে পাবলিশ হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব। কথা আর বেশি না বাড়িয়ে চলুন টিউটোরিয়াল সম্পর্কিত কথায় চলে যাই:
আজকের বিষয় হচ্ছে কীওয়ার্ড বাছাইকরণ বা কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আমাদের কাঙ্খিত নিস সাইটের জন্য একটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড সিলেক্ট করা।
কীওয়ার্ড বাছাই কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? কারণ কীওয়ার্ড বাছাইয়ের উপরই নির্ভর করছে আপনি নিস সাইটের মাধ্যমে সাকসিড হবেন কি হবেন না? প্রসংগত উল্লেখ্য, আমি আমার প্রথম তিনটি নিস প্রজেক্টে লস খেয়েছি ভুল কীওয়ার্ড নির্বাচন করার কারণে। আপনি যত পরিশ্রম আর যত টাকা ইনভেস্ট করেন না কেন, যদি আপনার কীয়ার্ড সিলেকশন ভুল হয় তাহলে কিছুতেই আপনি আপনার নিস সাইটটিকে র্যাংক করাতে পারবেন না। আর র্যাংক করাতে না পারলে আপনার ইনকাম জিরো এটাতো আর বলে দেয়া লাগে না, তাই না? সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই পর্বটি হলো আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।
কৗওয়ার্ড হচ্ছে এক বা একাধিক শব্দের সমষ্টি যা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করার সময় লেখা হয়। গুগলে সার্চ দিলে কীওয়ার্ডের ডেফিনিশন পাবেন সুতরাং বইয়ের ভাষায় বুঝিয়ে আমি সময় নষ্ট করবো না। আমি আমার ভাষায় বলে যাবো যেটা আপনাদের জন্য বুঝতে সহজ হবে।
মনে করুন আপনি গুগলে সার্চ দেবেন কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানার জন্য। তাহলে কী লিখবেন? আপনার লেখার নমুনা এরকম হতে পারে:
:: What is Keyword?
:: Definition of Keyword
:: Keyword
etc etc... তাই না? এই যে উপরে তিনটি শব্দ বা শব্দমালা লিখেছি তাদের প্রত্যেকটি একেকটি কীওয়ার্ড। আশা করি মূল ব্যাপারটি আপনারা ধরতে পেরেছেন।
যেহেতু আমি বারবার বলছি যে, কীওয়ার্ড বাছাই করতে হবে গুরুত্বসহকারে, না হলে নিস সাইট করায় আপনি ফেইল করবেন তাহলে নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে কীভাবে আমি পারফেক্ট কীওয়ার্ড পাবো? খোঁজার উপায়-ই বা কী? ওকে, ডোন্ট অরি। আমি আমার এই লেখায় বিষয়গুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। আমার বিশ্বাস, এই লেখা পড়ে শেষ করার পর থেকেই আপনি নিজেই হয়ে যাবেন কীওয়ার্ডের কারখানা। আপনার মাথায় শুধুই কীওয়ার্ড ঘুরতে থাকবে। কী বিশ্বাস হয় না? চলুন তবে হাতে-কলমে সেই প্রমাণ হয়ে যাক।
ভালো কীওয়ার্ড পাওয়ার অনেক ওয়ে আছে। সবচেয়ে বড় ওয়ে হচ্ছে আপনার মস্তিষ্ক। সুপার কম্পিউটারের চেয়ে হাজারগুণ বা তারও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন আপনার মস্তিষ্ককে যদি পারফেক্টলিভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আর আপনাকে কিছুর পেছনে ছুটতে হবে না। আমি আপনাকে বলছি আপনার “কমন সেন্স” বিষয়টার কথা। এই কীওয়ার্ড বাছাইয়ের জন্য যদি কমন সেন্স ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনিই হবেন সর্বেসর্বা। কীভাবে?
ধরুন আপনি অনলাইন থেকে কিছু কিনবেন। তো সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার তেমন জানা নেই। তাহলে কী করবেন? গুগলে সার্চ করবেন, তাই না? মনে করি আপনি গুগল থেকে একটি “Coffee Maker” কিনবেন। যা দিয়ে আপনি ঘরেই সুন্দর ও সুস্বাদু কফি বানিয়ে খেতে পারবেন। কিন্তু কফি মেকার সম্পর্কে আপনি ভালো জানেন না। তাই আশ্রয় নিলেন মহামতি গুগল সাহেবের। গুগলে কীভাবে আপনি সার্চ দেবেন? দেখুন নিচের পদ্ধতিগুলোই কিনা?
:: Best Coffee Maker
:: Cheap Coffee Maker
:: Cheap Best Coffee Maker
:: Coffee Maker for Home
:: Best Coffee Maker for Home
:: Cheap Coffee Maker for Home
:: Coffee Maker Review
:: Best Coffee Maker Review
:: Top Rated Coffee Maker
:: Family Coffee Maker
:: Best Family Coffee Maker… ইত্যাদি ইত্যাদি।
উপরের সবগুলোই কিন্তু এক একটি কীওয়ার্ড। দেখুন একটি বিষয় “Coffee Maker” থেকে কতগুলো পাওয়ারফুল কীওয়ার্ড বেরিয়ে আসলো। এখন আপনি আপনার মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে অন্তত ১০ টি কীওয়ার্ডের জন্য উপরের লিস্টটি তৈরি করুন। তাহলে আপনার কীওয়ার্ড সংখ্যা হবে: ১০X১১ = ১১০টি।
১১০টি কীওয়ার্ড নিয়ে যখন আপনার মস্তিষ্ক ভাববে তখন দেখবেন আপনার চিন্তার জগত কতটা সুদূরপ্রসারী হয়ে যায়। আপনি নিজেই নিজের ক্ষমতা দেখে অবাক হবেন।
কিংবা এমন হচ্ছে যে, আপনি আপনার মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করতে পারছেন না? প্রোডাক্টের নাম মনে করতে পারছেন না? বা আপনার মস্তিষ্ক থেকে প্রোডাক্টের নাম মাথায় আসছে না? কোনো আইডিয়া আসছে না? নো প্রোবলেম! পরের ধাপে চলুন।
কী, আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু এ কথা যে সত্যি তা আপনাকে এখুনি হাতে-কলমে দেখিয়ে দিচ্ছি। আপনি নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন:
:: টিভি দেখেন? দেখুন টিভিতে কত কত প্রোডাক্টের বাহার। সেগুলো নিয়ে ভেবেছন?
:: খেলাধুলা করেন? খেলাধুলার সমাগ্রিগুলো যে অনলাইনে বিক্রি হয় সে খবর তো আপনার অজানা নয়। অজানা?
:: আপনার শখ কি? অন্যদের শখ বা আপনার শখের বস্তুগুলো নিয়ে ভেবেছেন?
:: কীসের প্রতি আপনার আকর্ষণ? ভাবুন, ভেবে ভেবে দেখুন...
:: ফ্রি টাইমে কী করেন? জিমে যান? নাকি অন্য কোনো কাজে ব্যয় করেন? জিমে দেখুন কত কত জিনিস। ভিয়েতনামি এক আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটার জিম করার মাত্র একটা প্রোডাক্ট নিয়ে একটা নিস সাইট বানিয়ে মাত্র তিন মাস কাজ করে সেই সাইট বিক্রি করেছেন দশ হাজার ডলার। ভাবা যায়? কিন্তু এটা সত্যি।
:: আপনি পত্রিকা পড়েন? পত্রিকায় দেখুন কত কত বিজ্ঞাপন। সেখানে কিছু না কিছু বিক্রি করারই চেষ্টা। সেগুলো কিন্তু অনলাইনেও বিক্রি হয়। হয় না? সেগুলো নিয়ে কেন ভাবছেন না?
:: বই পড়েন? কিন্ডল বুক, ই-বুক ইত্যাদি বিক্রি করেও এখন অনেকে কোটিপতি। আপনি কেন দেরি করছেন?
:: আপনি কী ধরণের প্রোডাক্ট ইউজ করেন? জুতা-শার্ট-প্যান্ট-পারফিউম.... আরও কত কত! আরও একটু খোঁজে কেন দেখেন না?
:: পোষা প্রাণী আছে আপনার? যেমন বিড়াল, কুকুর, পাখি... ইত্যাদি। সেগুলোর খাবার, লালন-পালন পদ্ধতি, সরঞ্জাম, ওষুধপত্র, বিছানা-বালিশ, আসবাবপত্র, গিফট... কত কত আইটেম। আমেরিকানদের কাছে এগুলো হট আইটেম। অনলাইন থেকেই কেনা হয় সব।
... .. .এরকম আরও কত কত বিষয়-আশয়... খালি চোখ-কান একটু খুলে দিয়ে দেখুন আর ভাবুন। আপনি নিজেই কৗওয়ার্ডের রিসোর্স সেন্টার হয়ে যাবেন, গ্যারান্টি! দেখুন কয়েকদিন প্রাকটিস করে।
যেহেতু আমরা আমাজনের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করবো সুতরাং আমাদের কীওয়ার্ড রিসোর্স সেন্টার হতে পারে আমাজন। আমাদের নিস সাইটটি এমনভাবে সাজানো হবে যে, কেউ যদি আমাজনের কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে সার্চ দেয় আর সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে যদি আমাদের নিস সাইটে কিছু লেখা থাকে তাহলে আমাজন সাইট না দেখিয়ে আমাদের সাইটটি-ই দেখাবে গুগল। ভাবছেন হয়তো, এটা কি সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। কীভাবে সম্ভব তা ধাপে-ধাপে জানতে পারবেন, আমিই জানাবো। শুধু এটুকু ভাবুন- সম্ভব না হলে নিস সাইট পরিকল্পনা হতো না, এটা থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকামের রাস্তাও বের হতো না।
আচ্ছা, আপনি কি জানেন আমাজনে কি কি প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়? সম্ভবত এর উত্তর আপনি দিতে পারবেন না। কারণ এটা বলা মুশকিল। তারচেয়ে বলা সহজ কি কি বিক্রি হয় না- যেহেতু দুনিয়ার প্রায় সব জিনিসই আমাজনে বিক্রি হয়। বিশ্বাস হয় না? একটু খোঁজ নিয়েই দেখুন। আপনি যা-ই কিনতে চান তা-ই আছে আমাজনে। সুতরাং আমাজন থেকেই আমরা কীওয়ার্ডের আইডিয়া নিতে পারি।
প্রথমেই আমাজনে কি কি ক্যাটেগরি আছে দেখে নিন এখানে: আমাজনের ক্যাটেগরিগুলো দেখুন। এই লিংকটিতে ক্লিক করলে নিচের মতো দেখতে পাবেন:
এখান থেকে প্রতিটি ক্যাটাগরি, সাব-ক্যাটাগরি, সাব-সাব-ক্যাটাগরি দেখুন এক এক করে। যখন-ই নেটে বসবেন, ২০/৩০ মিনিট শুধু এই ক্যাটেগরিগুলো নিয়েই ঘাটাঘাটি করবেন। অনেক অনেক ক্যাটাগরি থেকে হয়তো এমন কোনো ক্যাটাগরির এমন কোনো প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন যেটা খুব পপুলার কিন্তু ঐ প্রোডাক্টের প্রচারণা তেমন করা হয়নি। ব্যাস! আপনি-ই শুরু করুন। দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার আর্নিং শুরু হবে। জ্বি, হ্যা, এটাই সত্যি।
যেহেতু কিছু প্রয়োজন হলেই আমরা আরও বিস্তারিত জানতে গুগলে সার্চ দিই। সুতরাং গুগল অবশ্যই বড় একটা রিসোর্স সেন্টার। আর রিসোর্স সেন্টার মানেই আইডিয়া পাওয়ার বিশাল ভাণ্ডার। আমার পদ্ধতিটা দেখুন। ব্রাউজার ওপেন করে লিখুন: http://www.google.com তারপর এন্টার চাপুন। সার্চবারে লিখুন “Coffee Maker” আবার এন্টার চাপুন। যে পেজটি আসবে তার একেবারে নিচে দেখুন। দেখবেন “Coffee Maker”-এর রিলেটেড আরও বেশ কিছু কীওয়ার্ড এসেছে। হ্যাঁ, এগুলো এসেছে কারণ এগুলো লিখেও গুগলে অনেক সার্চ করা হয়। সুতরাং এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রিনশটটা দেখুন:
এতোক্ষণ আমরা দেখলাম কীভাবে এবং কোথায় থেকে কীওয়ার্ডের আইডিয়া পাবো সে সম্পর্কে। তো আশা করি ইতোমধ্যে আপনাদের মাথা একটি কীওয়ার্ড রিসোর্স খনিতে পরিণত হয়েছে। যদি না হয়ে থাকে তাহলে উপরের লেখাটা আবার পড়ুন... আবারও পড়ুন। ইনশাল্লাহ হবেই। আর যদি ইতোমধ্যেই হয়ে থাকে তাহলে চলুন পরবর্তী ধাপে যাই।
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের মাথায় এখন কীওয়ার্ড আইডিয়া গিজ গিজ করছে। তো এখন কথা হলো- হাজারো কীওয়ার্ড থেকে কীভাবে আমাদের পারফেক্ট এবং প্রযোজনীয় নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডটি খুঁজে বের করবো? এ ব্যাপারে আমি আপনাদের আগের পর্বগুলোতে বলেছি। এখন আবার বলছি। দু’ভাবে আপনাদের বিষয়টা দেখানো হবে:
১. ফ্রি মেথডে পারফেক্ট কীওয়ার্ড বাছাইকরণ
২. পেইড মেথডে পারফেক্ট কীওয়ার্ড বাছাইকরণ
আপনি জেনে আনন্দিত হবেন এবং সেই সাথে শংকিতও বোধ করবেন যে, অনেক অনেক ফ্রি মেথড আপনি পাবেন কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং সিলেক্ট করার জন্য। কিন্তু আমি মাত্র একটি পদ্ধতি দেখাবো। যেটি পেইড মেথডের চেয়েও সেরা। এবং মজার ব্যাপার হলো- পেইড মেথডও এপিআই ইউজ করে এই ফ্রি মেথড থেকেই ডাটা নিয়ে শো করে। সুতরাং আপনি যদি এই ফ্রি মেথডটি ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর কিছু নিয়েই ভাবতে হবে না। আমার দেখানো এই ফ্রি মেথডটির নাম হচ্ছে- গুগল এডওয়ার্ডস।
আর যে পেইড মেথডটি দেখাবো সেটিও সেরাদের সেরা। এটি এমন একটি টুল যেটি দিয়ে কীওয়ার্ড কম্পিটিটর এনালাইসিসও সহজে করতে পারবেন। জাস্ট কীওয়ার্ডটি এখানে দিয়ে এন্টার চাপবেন- অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন এই কীওয়ার্ডের ভ্যালু, সার্চ ভলিউম, কম্পিটিটর অবস্থান ইত্যাদি। সেই সাথে সবকিছু হিসেব করে এই টুলটি আপনাকে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে, আপনার উল্লেখিত কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে আপনি সাকসেস হবেন কি হবেন না? কী, আগ্রহ বোধ করছেন? ব্যাপারটি আপনাদের আমি বিস্তারিত লিখবো। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে- এই পেইড টুলটি আপনি দশদিনের জন্য ট্রায়াল হিসেবে ইউজ করতে পারবেন। পেইড টুলটির নাম: লং টেইল প্রো। ১০ দিনের ট্রায়াল ভার্সন ইউজ করার জন্য এখানে দেখুন: লং টেইল প্রো ট্রায়াল ভার্সন।
চলুন দু’টি মেথড সম্পর্কেই আপনাদের সম্যক ধারণা ও কাজ করার প্রণালী দেখানো যাক। আশা করি দু’টি পদ্ধতিই আপনাদের ভালো লাগবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই দু’টি পদ্ধতি ব্যবহার করে আমার নিস সাইটের জন্য কীওয়ার্ড বাছাইয়ের কাজ করি।
কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে এই প্যারাগ্রাফে। সুতরাং আশা করবো মনোযোগ দিয়ে বিষয়টা বুঝতে চেষ্টা করবেন। গুগল এডওয়ার্ডসে কাজ করার জন্য আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। যদি জিমেইল একাউন্ট আপনার না থাকে তাহলে এখুনি ওপেন করে নিন। কারণ আমাদের কাজের বিভিন্ন জায়গায় এটা লাগবে। তো কাজ শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনার জিমেইলে লগিন করুন। তারপর গুগল এডওয়ার্ডসে যাওয়ার জন্য ক্লিক করুন: গুগল এডওয়ার্ডস লগিন। জিমেইলে লগিন থাকলে নতুন করে আর গুগল এডওয়ার্ডসে লগিন করতে হবে না। তবে প্রথমবার গুগল এডওয়ার্ডসে যাওয়ার সময় এক্সেস এনাবল করতে বলবে।
তাহলে আপনার কাজ হচ্ছে-
:: জিমেইল একাউন্টে লগিন করা এবং
:: এখানে যাওয়া: https://adwords.google.com/ তারপর পেজটি ওপেন হলে Tools মেনুর আন্ডারে থাকা Keyword Planner -এ ক্লিক করা। স্ক্রিনশটটি দেখুন ভালো করে:
উপরে নির্দেশিতভাবে ক্লিক করলে আপনি পরবর্তী পেজে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন এরকম:
:: Search for new keywords using a phrase, website or category
:: Get search volume data and trends
:: Multiply keyword lists to get new keywords
ভালোভাবে বুঝতে স্ক্রিনশটটি দেখুন:
উপরের তিনটি অপশন থেকে প্রথমটি, অর্থাৎ “Search for new keywords using a phrase, website or category”-এ ক্লিক করুন। আমি রেডমার্ক করে দেখিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী উইন্ডোতে যা দেখবেন তা নিম্নরূপ:
১. প্রথম যেখানে তীর চিহ্ন দিয়ে মার্ক করেছি, সেখানে আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড বা ওয়ার্ড লিখবেন। আমি লিখেছি “Coffee Maker”। আপনি বিভিন্ন কীওয়ার্ড বা কীফ্রেজ দিয়ে দেখবেন। কীভাবে দেখবেন তা লেখাটি পড়তে পড়তেই শিখে যাবেন ইনশাল্লাহ।
২. টার্গেটিং-এ ‘‘United States” লিখবেন। কারণ আমাদের টার্গেটেড কান্ট্রি আমেরিকা। উল্লেখ্য, এখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট দেশ > শহর > এলাকার নামও উল্লেখ করে দিতে পারেন।
৩. পরের অংশটি হচ্ছে- কোন ভাষার লোকদের জন্য আপনার সাইট? অবশ্যই ইংরেজি। কারণ আমাদের নিস সাইট ইংরেজিতে করা হবে।
৪. পরবর্তী ধাপে গুগল নির্বাচন করুন। কারণ গুগলকে টার্গেট করেই আমাদের কাজ।
৫. পরের ধাপটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ- একটি হিসেবের ব্যাপার। আমরা উপরে যে কীওয়ার্ডটি লিখেছি সেটি সর্বশেষ কয়েক মাসের প্রতি মাসে কতবার করে গুগলে সার্চ হয়েছে তার হিসেব দেখার জন্য। এখানে সর্বনিম্ন এক মাস এবং সর্বোচ্চ ২৪ মাসের তথ্য দেখা যায়। সাধারণত ১২ মাসের তথ্য দেখলেই বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যায়। তাই এখানে সর্বশেষ ১২ মাস অপশনটি সিলেক্ট করা হয়।
৬. উপরের ৫টি তথ্য ঠিকভাবে দেয়ার পর আসে Ge Ideas অপশন। এটিতে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হয়।
সুতরাং এখন আমরা Ge Ideas বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যাবো। পরর্বতী পেজটি নিম্নের স্ক্রিনশটের মতো:
উপরের স্ক্রিনশটে আপনাদের আমি তিনটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছি। তিনটি বিষয়ের ব্যাখ্যা ভালো করে খেয়াল করুন:
১. আমরা সর্বশেষ ১২ মাসের তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের কীওয়ার্ড “Coffee Maker” এবং এর রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো সর্বশেষ ১২ মাসে গুগলে কতবার সার্চ হয়েছে তার তথ্য গ্রাফ আকারে এখানে দেখানো হয়েছে। প্রতিটি বারের নিচে মাসের নাম এবং সাল লেখা আছে। বারগুলোর উপরে মাউস পয়েন্টার নিলে হোভারে দেখতে পাবেন ঐ মাসের এভারেজ সার্চের পরিমাণ।
২. এই অপশনটি বেশ মজার যদি ভালো করে বুঝতে পারেন তাহলে এই একটি অপশনের কারণেই কীওয়ার্ড আপনার কাছে “জলবৎ তরলং” হয়ে যাওয়ার কথা। আমাদের কাঙ্খিত কীওয়ার্ড “Coffee Maker”-এর রিলেটেড ব্যাপারগুলো আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন। এমন এমন কীওয়ার্ড আপনি পাবেন যা হয়তো আগে কখনও ভাবেনইনি। গুগল এডওয়ার্ডসের ভাষায় এগুলোকে বলে “এড গ্রুপ”। যেমন প্রথম এড গ্রুপের নাম “Maker Best (27)”, তারপর Maker Cuisinart (25), তারপর Krups Coffee (10)। এখানে ব্রাকেটের ব্যাপারটি হচ্ছে- এই প্রতিটি এড গ্রুপে এতসংখ্যক কীওয়ার্ড বিদ্যমান।
৩. এখানে যে নাম্বারগুলো মার্ক করে দেখানো হয়েছে তা দিয়ে বুঝানো হচ্ছে- ঐ এড গ্রুপে বিদ্যমান কীওয়ার্ডগুলোর মোট গড় সার্চ। এটা প্রতিমাসের হিসেব।
এখন আমরা যেকোনো একটি এড গ্রুপে ক্লিক করবো। এতে করে ঐ গ্রুপে থাকা কীওয়ার্ডগুলোর প্রতিটির সার্চ ভলিউম দেখতে পাবো। এক্সামপল হিসেবে আমরা “Maker Best (27)” এড গ্রুপে ক্লিক করবো এবং এই গ্রুপে থাকা ২৭টি কীওয়ার্ড দেখবো। “Maker Best (27)”-এ ক্লিক করার ফলে নিম্নোক্ত স্ক্রিনশটটি দেখতে পাবো:
এখানে আপনাদের ৪টি বিষয় আমি দেখাচ্ছি:
১. এড গ্রুপ: আমরা যে এড গ্রুপে ক্লিক করেছিলাম সেটি দেখানো হচ্ছে এখানে। আমরা ক্লিক করেছিলাম “Maker Best” এড গ্রুপে, তাই না?
২. আমরা মূল যে কীওয়ার্ডটি সার্চে দিয়েছিলাম সেটি মনে আছে? হ্যাঁ, সেটি ছিলো “Coffee Maker”। এই কীওয়ার্ড “Coffee Maker”-এর রিলেটেড এড গ্রুপ আছে ৫৪টি। সেই ৫৪টির একটি হচ্ছে- “Maker Best”, যার অধিনে থাকা ২৭টি কীওয়ার্ডস আমরা দেখছি এই পেজে। ব্যাপারটি ক্লিয়ার?
৩. best coffee maker কীওয়ার্ডটি মার্ক করেছি আমি। এর নিচে ক্রমান্বয়ে আছে- best coffee makers, best home coffee maker, the best coffee maker… ইত্যাদি। এগুলো প্রত্যেকটি এক একটি কীওয়ার্ড।
৪. মাসিক সার্চ ভলিউম মার্ক করেছি এখানে। প্রতিটি কীওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম ডান পাশে দেখানো হয়েছে। যেমন best coffee maker-এর মাসিক গড় সার্চ হচ্ছে ২৭,১০০। এভাবে অন্যান্য কীওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম দেখে নিন। আর যদি সার্চ ভলিউম সংখ্যাটির বাম পাশের বার সাইনটির উপর মাউস পয়েন্টার রাখেন তাহলে সর্বশেষ ১২ মাসের কোন মাসে কত সার্চ হয়েছে তা দেখতে পারবেন।
মোটামুটি এই হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডস ব্যবহার করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কীওয়ার্ড বের করার সিস্টেম। এছাড়াও কমন সেন্স এবং অভিজ্ঞতা থেকে কীওয়ার্ড বের করার একটি পদ্ধতি এরকম:
ব্যক্তিগতভাবে আমি এখানের প্রথম ৩টি সিস্টেম ব্যবহার করি। এবং এখনও পর্য়ন্ত এই ৩টাই শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়।
কীওয়ার্ড রিসার্চ একটি সুদূরপ্রসারী অভিজ্ঞতালব্ধ পদ্ধতি। দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে নিজেই নিজের মতো করে একটা বেস্ট ওয়ে আপনি খুঁজে পাবেন। আর সেটাই হচ্ছে আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি। সুতরাং রাতারাতি কীওয়ার্ড বাছাই করে নিজের এফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলবেন না। অন্তত ৩০ দিন এবং প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করুন এই কীওয়ার্ড রিসার্চের কাজে। কীওয়ার্ড রিসার্চে আপনার অবস্থান যতোটা দৃঢ় করবেন, আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার ততোটাই মজবুত হবে।
লং টেইল প্রো দিয়ে শুধু কীওয়ার্ড-ই খোঁজে বের করা হয় না, সেই সাথে কীওয়ার্ডসের এনালাইসিও দেখানো হয়। সুতরাং লং টেইল প্রো সম্পর্কে পরবর্তী টিউটোরিয়ালে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখানে শুধুমাত্র কীওয়ার্ড রিসার্চ অধ্যায়টি আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছি আমার নিজস্ব পদ্ধতিতে।
যেহেতু এটি একটি পেইড টুল তাই এটি ব্যবহারের সুন্দর ও সহজবোধ্য টিউটোরিয়াল আছে টুলটির অউনারের। আপনি যদি লংটেইল প্রো কিনেন তাহলে সেই টিউটোরিয়ালও পাবেন। আপাতত আমি আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি সহজ একটি পদ্ধতি। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণই আমার মতো করে দেখাবো। শর্টকাট ওয়েতে আমি এভাবে কীওয়ার্ড দেখে থাকি। এতে আমার সময় অনেক কম ব্যয় হয় এই খাতে। প্রথমেই লং টেইল প্রো-এর চেহারা একটু দেখে নিন:
লং টেইল প্রো দিয়ে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার পদ্ধতিটি হচ্ছে- একটি সীড-কীওয়ার্ড থেকে এই রিলেটেড সবগুলো কীওয়ার্ড খোঁজে বের করা। এবং এটা খুবই সহজ পদ্ধতি। গুগল এডওয়ার্ডসে আমরা যেমন “Coffee Maker” ব্যবহার করেছিলাম এটার রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো বের করার জন্য, এখানে এমন জটিল নয়। জাস্ট দু’টি স্টেপের মাধ্যমেই এটা করা হয়। যেমন:
:: লং টেইল প্রো ওপেন করা এবং
:: সীড-কীওয়ার্ডটি কীওয়ার্ড রিসার্চ অপশনে বসিয়ে এন্টার চাপা
বাকী কাজ লংটেইল প্রো অটোমেটিক করে ফেলে। আমি আমার ইংরেজি আর্টিক্যালে আর একটু বিশদ লিখেছি। কিন্তু এখানে লিখছি না এই কারণে যে, এই মুহূর্তে আমি আপনাদেরকে পেইড মেথডে উৎসাহী করতে আগ্রহী নই। ইভেন আপনারা টাকা খরচ করে পেইড টুল কিনুন, তাও আমি আপাতত চাই না। আপনাদের টাকা থাকলেও আমি বলবো এই মুহূর্তে পেইড টুল কিনবেন না।
আমি অনুরোধ করবো- অন্তত এক মাস গুগল এডওয়ার্ডস টুল নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। তারপর যদি সময় বাঁচাতে চান এবং সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে চান কোনোরকম টেনশনবিহীন, তখন না হয় পেইড টুল কিনবেন। আমিও মাসখানিক পর লং টেইল প্রো-এর উপর একটি টিউটোরিয়াল লিখে ব্যাপারটা আপনাদের জন্য আরও সহজ করে দেবো। ঠিক আছে? আর এখন যদি একান্তই লংটেইল প্রো ঘেটে দেখতে মন চায় তাহলে ১০ দিনের ট্রায়াল ভার্সনটা দেখে নিন। যদিও সব অপশন ট্রায়াল ভার্সনে পাবেন না।
লেখা শেষ করার আগের আপনাদের প্রতি আমার তিনটি অনুরোধ:
১. কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে এখানে টিউমেন্ট করে জানতে চান। আপনাকে উত্তর দেয়া হলে আপনি জানবেন এবং আপনার পাশাপাশি অন্যরাও জানবেন। এতে দু’টো লাভ নয় কি?
২. আপনারা অনেকেই আমাকে মেইল করেছেন পারসোনালি দেখা করে আমার কাছ থেকে কাজ শিখতে চান, আমার কাছে ট্রেনিং নিতে চান ইত্যাদি লিখে। তাদের দু’একজনকে আমি রিপ্লাইও করেছি। সবার জ্ঞাতার্থে এবং আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই জানাচ্ছি- ব্যক্তিগতভাবে আলাদা করে আমি কাউকে শেখাবো না। আর টাকার বিনিময়ে ট্রেনিং তো অবশ্যই অবশ্যই নয়। এমনকি “পেইড টিউটোরিয়াল”ও আমি কখনো তৈরি করবো না। সুতরাং অনুরোধ হচ্ছে- এরকম বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে কেউ লিখবেন না।
৩. অনেকেই আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় হতে চেয়েছেন। দেখা করতে চাচ্ছেন। আমি মনে করি না এটার আদৌ কোনো দরকার আছে। আমার ব্যক্তিগত পরিচয়ের চেয়ে আমার কাজের সাথে পরিচয় হোন, আপনাদের লাভ আর আমারও লাভ। আপনাদের লাভ- আপনারা যে জন্য পরিশ্রম করছেন তা সার্থক হবে- আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ সাকসেস হবেন এবং আমার লাভ- কষ্ট করে আপনাদের শেখাচ্ছি, আমার কষ্টটার মূল্যায়ণ হবে।
দেখা হওয়া, ব্যক্তিগত পরিচয় আদৌ কোনো জরুরি নয়, বন্ধুগণ। তবে একদিন যে তা হবেই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। হবেই হবে দেখা!
জ্বি, কীওয়ার্ড রিসার্চ আজকে এই পর্য়ন্তই। তবে এই বিষয়ে আরও লেখার ইচ্ছে আছে। আরও কয়েকটি টিউটোরিয়াল লেখা শেষ হলে কীওয়ার্ড নিয়ে আবারও লিখবো। তাছাড়া লং টেইল প্রো নিয়ে বিস্তারিত লেখার সময়ও কীওয়ার্ড নিয়ে আরও কিছু সিক্রেটস আপনাদের দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।
তো আজ এই পর্য়ন্তই। লেখাটা অন্তত তিন বার পড়ুন।
ভালো থাকুন, সাথে থাকুন।
আমি এজন স্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 149 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
পড়ার আগেই ধন্যবাদ। তিন দিন ধরে আপনার টিটি প্রোফাইল ভিজিট করতেছি 🙂