সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি, আমি মোঃ হাবিবুর রাহমান দিপু । এই টিউটোরিয়েলে আমি আপনাদের বোঝাবো ও দেখাবো, কিভাবে একটি ভিডিও চ্যানেল হতে পারে আপনার সারাজীবনের আয়ের পথ । এই জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু জানতে হবে না...।।
শুধু আপনার মেধা ও আমার টিউটোরিয়েলকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তুলতে পারেন, আপনার জীবনের অব্যর্থ আয়ের পথ ।
অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, “অনলাইন আরনিং শুরু হবে আজ থেকেই” এর দ্বিতীয় অংশে কেমন ধরণের টিউটোরিয়েল হবে ???? তাদের উত্তর হিসাবে আজ আমি আপনাদের “অনলাইন আরনিং শুরু হবে আজ থেকেই” এর দ্বিতীয় অংশের একটি টিউটোরিয়েল দিলাম !!!
আর হ্যাঁ, দ্বিতীয় অংশের প্রত্যেকটি টিউটোরিয়েলগুলো হবে, এক একটি লাইফটাইম আরনিং !!
গত পর্বে “অনলাইনআরনিংশুরুহবেআজথেকেই”–এর প্রথম ১৮ পর্বের প্রথম পর্ব ছিল । ঐ পর্বে ফাইভার, ফ্রী ব্লগিং প্লাটফম ব্যবহার, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং প্লাটফম ব্যবহার, একটা সার্ভে নেটওয়ার্কের ব্যবহার, একটা ইউ আর এল শর্টের ব্যবহার, ওয়েব রিসার্চ ও কিছু টিপস এবং এই সবকিছু সমন্বয় করে আরনিং তৈরির প্লান এবং এই সবকিছুর ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
গত পর্বের টিউন দেখুন এখানেঃ http://genesisblogs.com/tutorial-2/15843
গত পর্বের টিউটোরিয়াল দেখুন এখানেঃ https://www.youtube.com/watch?v=VPt2GK-Cvjg
১। এই টিউটোরিয়ালটি আসলে কি ও কাদের জন্য
২। ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির আইডিয়া কিভাবে বের করবেন
৩। ভিডিও কন্টেন্ট কিভাবে তৈরি করবেন
৪। ইউটিউব চ্যানেল তৈরির এ টু জেড টিউটোরিয়াল
৫। ভিডিও মার্কেটিং কিভাবে করবেন
৬। আয়ের উৎস ও পেমেন্ট মেথড
৭। আমার কিছু কথা ও কিছু পরামর্শ
আর সাথে থাকছে ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের এই পূর্ণাঙ্গ কোর্সের ভিডিও টিউটোরিয়াল !!!
অনলাইন ভিডিও যে ভাবে তার আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এটিকে নিয়ে আমাদের ভালোভাবে ভাবার সময় এসেছে। আমেরিকার নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন Cisco–এর মতে, ২০১৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বের ৬৯% ইন্টার্নেট ট্রাফিক আসবে ভিডিও মার্কেটিং থেকে। পরিসংখ্যান দেখে তারা আরও বলেছে, তারা অনুসন্ধান করে আরও জানতে পেরেছে, যেভাবে ভিডিও মার্কেটিং-এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে, সেইভাবে অন্য কোন কিছুর জনপ্রিয়তা এই ভাবে বাড়ে নি । কারণ, বিষয় বস্তুকে গ্রাহকদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে ভিডিও মাধ্যম তুলনাহীন।
এই টিউটোরিয়ালটিতে মূলত কিভাবে ভিডিও তৈরি, ভিডিও চ্যানেল তৈরি এবং ভিডিও মার্কেটিং করে আয় করা যায় তা শিখানো হবে । কিন্তু তাই বলে আপনাদের ভিডিও এডিটর মাস্টার হতে হবে না...।। বা অন্য কারো ভিডিও চুরি করতে হবে না...।। তবে হ্যাঁ, লাইফটাইম আরনিং এর জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা আমি পুরো টিউটোরিয়ালে বুঝিয়ে দিয়েছি ...।।
এখান আসা যাক, এই টিউটোরিয়ালটি আসলে কাদের জন্য ??? আমার মতে, ষষ্ঠ বা সত্তম শ্রেণীর ছাত্র থেকে শুরু করে ৪৫ বছরের মানুষও চাইলে কাজটি শুরু করতে পারবেন ।
মানে আমাদের দেশের গৃহিণী, কর্মজীবী, ...... যে কেউ কাজটি শুরু করতে পারবেন । কারণ, আমি আপনাদের জন্য সেভাবেই টিউটোরিয়ালটি তৈরি করে দিয়েছি, যাতে আপনারা জিরো থেকেই শুরু করতে পারেন ।
ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য আইডিয়া বের করা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আবার কারো কাছে অনেক কঠিন বিষয় । কারণ, তা না হলে, কি করে, মানুষ অন্য কারো ভিডিও নিজের নামে চালিয়ে দেয়......... মানে চুরি করেন ।
আর বিশ্বের সামনে নিজের সাথে সাথে দেশকেও চোর উপাধিতে ভূষিত করেন ।
তাই আজ আমি আপনাদের হেল্প করব, কিভাবে ভিডিও কন্টেন্টের জন্য আইডিয়া বের করবেন । আমি আপনাদের সাথে আইডিয়া বের করার দুইটা পদ্ধতি শেয়ার করব । একটা হল, যেটা ৮০% ইন্টারনেট মার্কেটার ব্যবহার করে থাকে । নিছ সিলেকশন, মার্কেট রিসার্স, কম্পেটিটর অ্যানালাইস...... ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ভঁয় পাবেন না ভিডিও টিউটোরিয়ালটি খুব ভালভাবে বিষয়গুলো বুঝাতে চেষ্টা করেছি ।।
আরেক পদ্ধতি হল, আমার । মানে, ইমেইল মার্কেটার হাবিবুর রাহমান দিপুর পদ্ধতি । আপনি যা করেন, মানে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, সেই বিষয়ে আপনি ভিডিও করতে পারেন । ধরেন আপনি, ভাল রান্না করতে পারেন, মানুষকে হাসাতে পারেন, আপনি গান গাইতে পারেন, আপনি ভাল মাছ ধরতে পারেন, আপনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়্যার, উকিল বা কোন কর্মজীবী হতে পারেন, শিক্ষক বা ছাত্র হতে পারেন বা এমন একটা কাজ বা যা আপনি সবচেয়ে ভাল পারেন ।
মানে ঐ কাজটা, যে কাজটার জন্য আপনার কাছের মানুষরা প্রায়ই আপনাকে বলে, তুমি এই বিষয়টা খুবভাল জানো !
সেই বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে মার্কেটিং করেন......। দেখেবেন, আপনি তো ম্যাগার, পুরাই হিট !!
আরেকটা ভুল ধারণা আপনাদের মাঝ থেকে দূর করে দেই । আমার মত অনেকের এই ভুল ধারনাটা আছে বা ছিল যে, অনলাইনে আয় করতে হলে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যানিমেশন ......... ইত্যাদি ইত্যাদির যে কোন একটি সেকশনের কাজ শিখে কাজে বা অনেকের কাছে মার্কেটপ্লেসে ঝাঁপিয়ে পড়া ।
কিন্তু, আমি যা বুঝি অনলাইন বা ইন্টারনেট হল একটা প্রযুক্তি । আর, এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা আমাদের কাজের বিনিময়ে বৈদেশিক অর্থ আয় করতে পাড়ছি । যেহেতু, আমরা অনলাইন বা ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আয় করতে পাড়ছি তাহলে, কেন আমাকে ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন, কেনই বা আমাকে এসইও, ইমেইল মার্কেটিং ......... শিখতে হবে ???
আমি যে বিষয়ে জানি সেই বিষয়ে কাজ করলেই তো হয় । মানে, ধরেন, আপনি ফাইনেন্সের ছাত্র বা চাকুরিজীবী । আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফাইনেন্সের কাজগুলো করুন । কেন আপনি, বেচারা ওয়েব ডিজাইনার বা গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ভাত মারবেন !!!
আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, সেই বিষয়ের কাজ করেন । তাহলে ভাল ফল পাবেন । বিশ্বাস করেন, মন থেকে একটা কথা বলছি, প্রথম থেকেই যদি এই বিষয়টা ভালভাবে বুঝতাম তাহলে, আজ ইমেইল মার্কেটার না হয়ে, টেক্সটাইল স্পেস্যালিস্ট হাবিবুর রাহমান দিপু নামে পরিচিত হতাম । কি তাই তো !!!
দিন দিন আমার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ত, আর সাথে সাথে বাড়ত আমার কাজের বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল, পরামর্শ টিউটোরিয়াল, টেক্সটাইল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারতাম, মানুষের ভালোবাসা পেতাম ...... অনেক পুরুস্কার পেতে পারতাম !! এখান আপনি বলতে পারেন আপনার কাজের ডিম্যান্ড নাই, কিন্তু অন্য কাজের ডিম্যান্ড আছে । অন্য কাজটা হল ঐ যে, মানে ঐ যে, ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও বা ইমেইল মার্কেটিং......... আর না হয় যেটাই বর্তমানে বেশি আয় করা যায় !!!
বন্ধুরা আপনারা জানেন কি, বাঁশের বাঁশি সুর শোনার জন্য যেমন শ্রোতা আছে, তেমনি আবার সেক্সওফোনের সুর শোনার শ্রোতাও আছে ।
আব্দুল আলীম, ফরিদা পারভিনের গান শোনার জন্য যেমন শ্রোতা আছে, তেমনি আবার হৃদয়খান, আরিফিন রুমি বা মমতাজের গান শোনার শ্রোতাও আছে । মানে যার যার মার্কেট তার তার কাছে......।।
তাই আপনার কাজেরও কেউ না কেউ ক্লাইন্ড ।। বুঝতে পেরেছেন ।।
মানে আপনারও মার্কেট আছে ......।। ঠিক আছে ।। তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন ।
সাধারণত দুইভাবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করা যায় । এক, আপনার একটা ভাল মানের ভিডিও ক্যামেরা এবং মোটামুটি একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের কাজ জানলেই হল । আপনি চাইলে শুরুটা আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়েও শুরু করতে পারেন । কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ।
দুই, আপনি একটি স্ক্রীনক্যাপচার সফটওয়্যার দিয়ে আপনার কম্পিউটারের স্ক্রীন রেকর্ড করে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানাতে পারেন ।
ভঁয় পাবেন না ভিডিও টিউটোরিয়ালটিতে আমি আপনাদের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও স্ক্রীনক্যাপচার সফটওয়্যার দুইটারই ব্যবহার ভালভাবে দেখিয়ে দিয়েছি । অনেক বলতে পারেন আমি তো কম্পিউটারের বিশেষ কোন কাজ পারি না, তাহলে আমি স্ক্রীন রেকর্ড করে কিভাবে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানাবো ??
আপনি যে কাজ জানেন সেই কাজের তথ্য দিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্টে স্লাইড তৈরি করে এবং তার সাথে আপনার কথা রেকর্ড করে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়ে নিন । ইংলিশে কথা দিতে চাইলে ইংরেজী ভাষার ওপর একটা স্পোকেন ও ফনেটিক্সের কোর্স করে ফেলতে পারেন ।
আর যারা ইংরেজী জানেন না বা এই মুহূর্তে শিখতে পারছেন না, তারা বাংলাতেই প্রথমে শুরু করে এবং সাথে সাথে পরিশ্রম ছাড়া একটা ইংরেজী শেখার একটা টিপস দিতে পারি !!!
আর তা হল, আপনি যখনি ফ্রী টাইম পাবেন, তখনই হেডফোন দিয়ে শুধু ইংরেজী শুনবেন । হতে পারে টিউটোরিয়েল, মুভি, নিউজ বা যা আপনার ভাল লাগে শুনতে ...।
আর সাথে আপনার ভাইবোন, বন্ধু বা প্রিয় মানুষের সাথে একটা সময় ইংরেজীতে দুজনে কথা বলবেন । কিন্তু এমন কোন বন্ধুকে আপনার ইংরেজীতে কথোপকথনের জন্য পার্টনার বানাবেন না, যে আপনাকে এই বিষয়ের জন্য উপহাস করবেন......মনে থাকবে ।
একটা বিষয় আপনি কখনও চিন্তা করেছেন, আপনি কিভাবে বাংলায় কথা বলেন, জাপানিরা কিভাবে জাপানি ভাষায় কথা বলে, চাইনারা কিভাবে চাইনিজ ভাষায় কথা বলে...।। মানে সে আগে ভাষা শিখেছে তারপর কথা বলছে ???
না ।
সে জন্মের পর থেকে তার আসে-পাশের মানুষের কথা শুনে শুনে কথা বলা শিখে যাই । ঠিক তেমনি আজ থেকেই আপনি শুরু করে দিন কোন কিছু বা যা আপনার ভাল লাগে এমন কোন ইংরেজীতে মুভি, নিউজ বা টিউটোরিয়েল শুনতে এবং কথোপকথন করুন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে ।
এক মাস পর থেকেই দেখবেন আপনিও ইংরেজীতে কথা বলতে শুরু করবেন ইনশাল্লাহ ।
ভিডিও চ্যানেলের জন্য আপনি ইউটিউব, ভিমিও, ডেইলি মোশন বা এই জাতীয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ব্যবহার করতে পারেন । তার মধ্য থেকে আমি এই টিউটোরিয়ালের শুধু ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করেছি । কারণ, ইউটিউবে প্রতি মাসে প্রায় ১ (এক) বিলিয়নের বেশি ইউনিক ভিজিটর আসে !!!
ইউটিউব চ্যানেল তৈরির জন্য আপনার একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট হলেই হবে । আশা করি, আপনাদের সবার কাছে জিমেইল অ্যাকাউন্ট আছে । প্রথমে আপনি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউবে লগইন করুন এবং creator studio ক্লিক করুন । তারপর যে পাইজ আসবে সেখান থেকে create your youtube channel এ ক্লিক করুন এবং আপনার পছন্দের নাম মানে ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিন ।
তৈরি হয়ে গেল আপনার ইউটিউব চ্যানেল ।
এবার আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্রোফাইল ও কভার পিকচার দিন । প্রোফাইল পিকচারে আপনি আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করবেন (আপনি নিজে লোগো বানাতে না পারলে কাউকে দিয়ে তৈরি করিয়ে নিন)এবং আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা যে বিষয়ে আপনার ভিডিও থাকবে তার বিভিন্ন feature দিয়ে সুন্দর একটি কভার পিকচার তৈরি করে নিন ।
আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে feature ভিডিও, ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারবেন । এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিডিও এর জন্য আলাদা প্লেলিস্ট ব্যবহার করতে পারবেন । আরও অনেক কিছুই করতে পারবেন ...... সে সব বিষয় ভিডিওটা দেখলেই বুঝতে পারেন ।
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তা মার্কেটিং করা । কারণ, আপনি আপনার ভিডিও মার্কেটিং না করলে আপনার ভিডিও কনটেন্টগুলো কে দেখবে বা কিভাবে জানবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এত সুন্দর সুন্দর ভিডিও কনটেন্ট আছে ?
কথায় আছে, প্রচারেই প্রসার । যা ১০০% সত্যি ।।
যেমন ধরুন, আপনি আমাকে ইমেইল মার্কেটার হাবিবুর রাহমান দিপু হিসাবে জানেন । কারণ, আমি ইমেইল মার্কেটিং এর টিউটোরিয়েল প্রকাশ করেছি এবং তার প্রচার করেছি আপনাদের কাছে । আমি অনলাইনে অনেক ধরনের কাজ করি, আপনারা কিন্তু আমাকে শুধু ইমেইল মার্কেটার হিসাবে জানেন । হয়ত বা আজকের টিউটোরিয়েলের জন্য আমাকে অনেকে ভিডিও মার্কেটার হাবিবুর রাহমান দিপু হিসাবে জানবেন ।
কারণ, এই যে প্রচার করলাম......।
তাহলে বুঝতে পেরেছেন , ভিডিও মার্কেটিং বা আপনার ভিডিও এর প্রচার কতটা জরুরি !! আপনার ভিডিও প্রচারের জন্য আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি)।
কারণ, আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরা তা দেখতে পারবেন এবং তা ভাল লাগলে সেও শেয়ার করবে......... এভাবে আপনার ভিডিও এবং ভিডিও চ্যানেল দিন দিন পপুলার হয়ে যাবে ।
এখান অনেকেই বলবেন, এতই সহজ । শেয়ার করলাম আর শেয়ারের বন্যা বইয়ে গেলে......!!!
কথাটা ১০০% সত্যি ।
কখনই বন্যা বইবে না যে পর্যন্ত আপনি আপনার লাভের কথা চিন্তা করে ভিডিও বানাবেন ও তা প্রচার করবেন । তবে, সেইদিন আপনার ভিডিও শেয়ারের বন্যা বইবেই, যেদিন থেকে আপনি অন্যের উপকারের জন্য বা কোন প্রকার সেবা প্রদানের জন্য বা আনন্দদায়ক কিছু ভিডিও তৈরি করে সবাইকে উপহার দেওয়া শুরু করেবেন......।। তখন অটো শেয়ারিং হতে থাকবে ।
বুঝা গেল কি ?
একটা উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি......। ধরুন, যদি আমি ‘দিপু বিস্কুট’ নামে বিস্কুট তৈরি করে বাজারে বের করি । তাহলে শুরু দিকে আমার অনেক মার্কেটিং করতে করতে পাগল হয়ে যেতে হবে ......।। তারপর হয়ত এক সময় (যদি সঠিক পরিকল্পনামত কাজ করা হয়) দেখা যাবে সাফল্যের মুখ !! আর কাল যদি ইউনিলিভার কোম্পানি ‘লিভার বিস্কুট’ নামে বিস্কুট তৈরি করে বাজারে বের করল । তা কিন্তু মার্কেট পেতে বেশি দিন লাগবে না ।
কারণ, তাদের আগের প্রোডাক্টগুলোর গুনগত মানের জন্য কম্পানির একটা ব্র্যান্ডিং বা রেপুটেশন তৈরি হয়ে আছে......।।
মানে যাই দিবেন তাই পাবলিক খাইব !! বুঝছেন বিষয়টা ।।
এছাড়া, আপনি আপনার ভিডিও এবং চ্যানেল প্রমোট করার জন্য গুগলপ্লাস ও ফেসবুকে গ্রুপ এবং পেইজ তৈরি করতে পারেন বা গুগল হাংআউট ব্যবহার করে আপনার ফ্রেন্ড ও ফ্যান নিয়মিত যোগাযোগ এবং একটা ভাল সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন । এতে আপনি তাদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে পারেন ।
আপনার চ্যানেলের ৬ মাস বা ১ বছর হলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারদের নিয়ে একটা মিটআপ বা চায়ের আড্ডা দিন । সবার আলোচনার মাধ্যমে আপনি ডে বাই ডে সুন্দর সুন্দর তৈরির অ প্রচারের আইডিয়া পাবেন এবং দেখা যাবে, যাদের নিয়ে মিটআপ বা চায়ের আড্ডা দিবেন, তারাও আপনার ভিডিও সবসময় শেয়ার বা আপনার ভিডিও চ্যানেলের প্রচার করবে । এছাড়া, আপনি আপনার ভিডিও চ্যানেলের জন্য একটা ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং তা শেয়ার করে আপনার ভিডিও চ্যানেলকে জনপ্রিয় করতে পারেন ।
কোন ব্লগসাইট, ফোরাম বা অ্যানসার সাইটে যদি আপনার ভিডিও চ্যানেল সম্পর্কিত কোন বিষয় থাকে, সেখানে একটি সুন্দর কমেন্ট করে আপনার ভিডিও চ্যানেলের লিঙ্ক দিতে পারেন । এতে আপনার ভিডিও ভিউ এবং ভিডিও চ্যানেল দিন দিন পপুলার হতে থাকবে ।
মনে রাখবেন, একেকটা ভিডিও আপনার একেকটা সম্পদ । আজ চারাগাছ হলেও কাল কিন্তু ফল দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারে । শুধু দরকার সঠিক পরিচর্যা । তাই আর দেরি না করে আজ থেকে শুরু করে দিন.........।।
আর গড়ে তুলুন আপনার লাইফ ইনস্যুরেন্স । মানে ভিডিও চ্যানেল !!
কথায় আছে, হাত থাকলে ভাতের অভাব হয় না । আবার অনেকে বলে ভালভাবে কাজ জানলে কাজের অভাব হয় না । তাহলে বুঝতেই পারছেন, আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করে ভালভাবে কাজটা শুরু করেন এবং যথার্থ পরিশ্রম করেন তাহলে আয়ের উৎসের অভাব হবে না ।
ð আপনি আপনার ভিডিওকে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাড ব্যবহার করে আয় করতে পারেবেন । সেই অর্থ চেকের মাধ্যমে ওঠাতে পাবেন ।
ð আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির (অ্যামাজন, ক্লিকবাঙ্ক, কমিশন জংশন ইত্যাদি) প্রোডাক্টের ভিডিও তৈরি ও তার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রছারের মাধ্যমে মানে ঐ প্রোডাক্ট বিক্রির কমিশন অর্জন করে আয় করতে পারেবেন । সেই অর্থ চেক বা পেয়েনিওর কার্ড দিয়ে ওঠাতে পাবেন ।
ð আপনি আপনার নিজের প্রোডাক্টের প্রচার ও তা বিক্রি করে আয় করতে পারেবেন ।
ð আপনার ভিডিও চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বেশি করে লোকাল বা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির প্রচার করে আয় করতে পারবেন ।
ð এছাড়া যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তারাও ভিডিও কনটেন্ট এবং ভিডিও মার্কেটিং এর অনেক কাজ করতে পারবেন ।
মোট কথা, টাকার পিছনে না ছুটে, কাজের পিছনে ছুটুন......।। টাকা আপনার পিছনে ছুটবে । এছাড়া ডে বাই ডে নতুন নতুন তথ্য বা টিউটোরিয়েল প্রদান, শুধু এই বিষয়ে ভাল করা জন্য, আপনাদের ভিডিও কনটেন্ট এবং ভিডিও মার্কেটিং করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রবলেমের সমাধান বা উত্তর দেওয়ার জন্য একটা ক্লোস গ্রুপ তৈরি করছে ।
যার নাম “ভিডিও মার্কেটারস বিডি” । এই গ্রুপে জয়েন করে আপনার প্রবলেমগুলো শেয়ার করেন । আমি সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব এবং এই বিষয়ে আপডেট টিউটোরিয়েল দেব ।
সবার আগে একটা কথা বলতে চাই......আপনি কারো ভিডিও চুরি করে আপনার ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করবেন না । কারণ, কথা আছে, চোরের দশদিন আর সাধুর একদিন......।।
একটা কথা মনে পড়ে গেল, বেশ কিছু দিন আগে আমার এক ফ্রেন্ড বলল, সে ভিডিও চুরি করে তার ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করছিল । কিন্তু হঠাৎ করে (চুরির কারণে) তার গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাকাউন্ট ব্যান্ করে দিছে......।
তখন আমি তাকে বললাম ইসসসসস...।। (আর মনে মনে বলছি, খুব ভাল হইছে শা...টুট টুট...টুট.... চোর)
সে বলল, তোর কথা শুনে যদি ভালভাবে নিজের ভিডিও বানাতাম তাহলে আর এমন হত না ...।।
আমি বললাম, তাহলে এবার থেকে চুরি না করে নিজে নিজে ভিডিও তৈরি করেন এবং আপনি আপনার লাইফ ইনস্যুরেন্স নিশ্চিত করুন । একবার ভেবে দেখেছেন কি, আপনার প্রিয়জনকে যদি কেও চোর বলে তাহলে আপনার শুনতে কেমন লাগবে !!!!
তাই আজ থেকেই আপনি আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করুন । আরেকটা কথা, আপনারা আপনাদের ভিডিও প্রচার করবেন ঠিকই ...।। কিন্তু তা যেন স্পেমিং বা মানুষের বিরক্তির কারণ না হয় ।
মানে, আমরা অনেক সময় দেখি ফুল বিক্রির ফেসবুক গ্রুপে অনেকে কম্পিউটার বা মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে আছে ...।। মানে প্রচারের নামে কাওকে বিরক্ত করা যাবে না ......।। আর কোন কিছুই অতিরিক্ত করা ভাল না ......।।
যেটা মানুষ স্বাদরে গ্রহন করবে টা শেয়ারও করবে...... ঠিক আছে ।।
পরামর্শ হিসাবে আরেকটা কথা, পরের আন্ডারে কাজ করার চেয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করা ভাল । তাহলে আপনিও আমার মত বলতে পারবেন, আমি কোন মার্কেটপ্লেসের ওয়ার্কার নই...... আমি একজন অনলাইন বিজনেসম্যান ...।। ঠিক আছে ।।
কাজ করতে গেলে প্রবলেমে পড়লে আমাদের অনলাইন আরনিং বিডিগ্রুপে প্রশ্ন করেন, আমি আপনাদের সবার প্রশ্নের উত্তর দেব ইনশাল্লাহ । আর আরেকটা কথা এই পোস্ট ও ভিডিও টিউটোরিয়েলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
বাঙালিদের একটি বদ অভ্যাস ...... তা হল তারা শেয়ার করতে ভুলে যায়...... তাই এই বদ অভ্যাস দূর করুন............ মোঃ হাবিবুর রাহমান দিপু
সবাই ভাল থাকবেন । আল্লাহ্ হাফেজ ।।
আমি Habibur Rahman Dipu। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোঃ হাবিবুর রহমান দিপু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চাকরীর পাশাপাশি প্রফেশন হিসেবে বেছে নিয়েছি আইটি ক্ষেত্রটিকে। এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগিং ইত্যাদি জানতে ও জানাতে ভালোবাসি । তাই যখনই সুযোগ পাই তখনই লিখতে বসে যাই। ফেইসবুকে আমি https://www.facebook.com/habibur.tutordipu
খুব ভালো লাগলো কথা গুলো, সাথে টিউনটাও।