লেখাটি http://www.cnhnews24.com/?p=8307 থেকে কপি করা।
বাংলাদেশে একের পর এক হামলা আসছে ডিপ্লোমাইঞ্জিনিয়ারদের উপর। কেন? শারীরিকভাবে হত্যা নয় মানসিক ভাবে খুন করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের. কাজের ক্ষেত্রে না নিচে না উপরে , কার্য ক্ষেত্রে সকল চাপ একজনের উপর ,নিচে থেকে প্রশ্ন ,উপরে দিতে হয় উত্তর ,তার উপর পদবি কেড়ে নেয়া .এ কি মেনে নেয়া যায়?আমি আমর সন্তান কে কোন দিন ও ডিপ্লোমা পড়াবো না ,একাত্তরে যেমন করে মা বনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিলো পাকিস্তানীরা ,মদদ করেছিলো রাজাকার আল বদর এখন দেশীয় দালাল রা সে রকম পিছু লেগেছে ,কি করে নিঃশেষ করা যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের.এতই যখন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কতিপয় লোকের চক্ষু শূল ,তাহলে কেন চালু রাখা এই কারিগরী প্রতিষ্ঠান ?কেন প্রতারনার জন্য বেঙ্গের ছাতার মত সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান? কেনো ধোকা দেয়া হচ্ছে কারিগরী শিক্ষার নামে ? সরকার কেনো ব্যস্ত এখন সুপারভাইজার পদবী দেয়ার জন্য? বিরুধী কিংবা ডান -বাম দল কোন কথা বলছে না ? তাদের ছেলে মেয়েরা, সন্তানরা কি কেউ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে না? নাকি বড় বড় নেতাদের সন্তানরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন বলে। দেশের শিক্ষাবিদ,দার্শনিক,টক শো তারকারা চুপ করে আছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দুর্দিনে। নিউজ বা মিডিয়ার আয়োজকরা শুধু রাজনৈতিক চুল টানা টানি ,চুদুর বুদুর নিয়ে ব্যস্ত .এই সমস্যা কি তাদের দৃষ্টিগোচরে আসছে না ?ঠিক আছে চার বছর কোর্স করলে যদি সুপারভাইজার হয়, তাহলে ছয় বছর যারা পড়াশোনা করে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন তাদের পদবী সিনিয়র সুপার ভাইজার করা হউক .দেখি তাদের কলিজায় লাগে কিনা?ইসলামের গায়ে হাত দিলে রক্ষা নাই,দেশের মানচিত্রে ,শহীদ মিনারে হাত দিলে রক্ষা নাই ,শিখ জাতির পাগড়িতে হাত দিলে রক্ষা নাই,তেমনি ডিপ্লোমার সাথে ইঞ্জিনিয়ার পদবীতে কাট ছাট করলে রক্ষা নাই .এ যে আমাদের মান ইজ্জত,বেইজ্জতি , অস্তিত্বের প্রশ্ন .যখনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্ররা কোন ন্যায্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কতিপয় মধ্যস্তা কারী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ,পরীক্ষার অজুহাতে লন্ড ভন্ড করেছে .দমিয়ে দিয়েছে আন্দোলন।পরীক্ষা দিবে না আন্দোলন করবে। হায়ার ডিপ্লোমা আন্দোলনে ১৯৯২ সালে আমদের সাথে চেলেছিল এই রকম কুট চাল কিন্তু আমরা পিছ পা হই নি .আমরা তিন বছরে শেষ করেছিলাম কোর্স।আমরা বুঝেছিলাম তিন বছর আর চার বছর ডিগ্রির পদ মর্যাদা কোন দিন ই আমরা পাবো না।এখন হায়ার ডিপ্লোমা শেষ,ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শেষ, করতে চাইছে সুপারভাইজার।
যারা নিজেদের সন্মান দিতে জানে না তারা অন্যের কাছে কি ভাবে সন্মান আশা করবে?বিশ্বে বিভিন্ন দেশে জাতীয়পরিচয় পত্র ও এডুকেশনাল সার্টিফিকেট এর পাশা পাশি শিক্ষা গত যোগ্যতার সরকারী ভাবে আই ডি কার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে যদি পূর্ব পাকিস্থান এর পর থেকে অর্থাত ১৯৭২ সাল থেকে সুপার ভাইজার ডিপ্লোমা খোলা হতো তা হলে হয়তো এত ডিপ্লোমা বেকার থাকতো না .কারন এই টাইটেল এর জন্য লক্ষ ছাত্র এই লাইনে পরা শোনা করতো না আমদের সময়ের তিন আর বর্তমানের চার বছরের কোর্সে কত লক্ষ টাকা সরকার সাবসিডি দিচ্ছে আর প্রত্যেক ছাত্রের কত লক্ষ্য টাকা খরচ হচ্ছে .আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে সব ছাত্র ছাত্রী মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং ,বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগ পায় না তারা অন্তত বিকল্প পথে ডিগ্রী করার স্বপ্ন দেখে।কেউ অল্প সময়ে একটা সন্মান জনক সার্টিফিকেট নিয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ধরতে চায় পরিবারের হাল।স্বল্প সংখ্যক বিত্তবান ঘরের দুলাল দুলারী রা এই ডিপ্লোমা পরলেও মধ্য বিত্ত আর নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা নামের সাথে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি জুড়তে চায় .আজকের সাহিত্যিক,সাংবাদিক,লেখক,কলামিষ্ট ,দেশে দেশের বাইরে অনেক ডিপ্লোমা ধারী ব্যক্তি বর্গ রয়েছেন সন্মানীয় পর্যায়ে .আমি আজ ও বুঝতে পারিনা কেনো যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এই চক্রান্ত .ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যাটা কোথায়?তাদের প্লেটের খাবারট কেউ কেড়ে নিচ্ছে না .চাকুরী স্থলে পদবীর রয়েছে আনুপাতিক হার।তবে তারা বার বার কেন সর যন্ত্র করছেন? সন্মান গেলে চার বছর পরা শোনা কি দরকার , নাইট কলেজে ট্রেড করলেইতো হয় ৬ মাস কিংবা ১ বছরের।কেন বাবা মায়ের লক্ষ টাকার ক্ষতি .রাত জেগে সেশনাল খাতা তৈরী করা।জব রিপোর্ট তৈরী করা।ভোর হতেই খালি পেটে বিশাল ড্রইং বোর্ড কাঁধে দৌড় .যেখানে সরকারের উচিত ডিগ্রির মর্যাদা দেয়া এডুকেশনাল ইয়ার বিবেচনা করে সেখানে উল্টো বানানো হচ্ছে সুপারভাইজার ডিপ্লোমা।আমার পরামর্শ এ বছর থেকে পলিটেকনিক গুলিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করা হউক .যাদের কোর্স চলমান তাদের টা চলুক .তারা তাদের যোগ্য সন্মান নিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সার্টিফিকেট অর্জন করুক।সরকার ঘোষনা দিক বাংলাদেশে কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নাই আছে শুধু ট্রেড বা সুপারভাইজার কোর্স। তা হতে হবে এক বছর বা ছয় মাস মেয়াদী . দেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে .বাংলাদেশে ছেলে মেয়েরা ব্যক্তি উদ্যোগে উন্নতি করছে, বয়ে আনছে বহিঃ বিশ্ব থেকে অর্থ সন্মান কিন্তু দেশের কিছু কুট চালের পন্ডিত সব সময় সর যন্ত্র করছে কিভাবে দমিয়ে রাখা যায় জাতিকে .হাতে কলমে শিক্ষিত একজন ডিপ্লোমা কাজের ক্ষেত্রে যখন দুই বছরের অভিজ্ঞ তখন একজন ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার চাকুরিতে আসে তখনি সমস্যার সৃষ্টি .কাগুজে জ্ঞান আর হাতে কলমে শিক্ষার সামঞ্জস্যতা আনতে যে সময় টুকু ব্যায় তাই তারা সয্য করতে পারেন না .আর যদি কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান প্রমোশন দেয় কোন ডিপ্লোমা কে তা হলে তো মনে হয় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা .আমি বর্তমানে ডি যে বিল্ডার্স নামে র কোম্পানিতে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আমার যদি এই ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট না থাকত তা হলে আমি কিভাবে এই পদোন্নতি পেতাম .আমার যতই যোগ্যতা থাক। আমার পাশ ও এস পাশ ,যাকে বলা হয় ওয়ার্ক পারমিটের একটু উপরে। মধ্য প্রাচ্যের সৌদি, ওমান ,দুবাই ,কাতার ও এখানে সিঙ্গাপুর কত ডিপ্লোমা ভালো পজিশনে কাজ করছেন তাদের সার্টিফিকেট এর জন্যে , আমি যখন দেশে যাই কষ্ট পাই বিমান বন্দরে তাদের ব্যবহার।কষ্ট পাই রাস্তা ঘাটে বাজারে কারন আমরা সন্মান দেয়া শিখিনি .আমার দেশের সরকার যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সন্মান না দেয় তা হলে প্রবাসে ডিপ্লোমাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেবে না .তাই এদের এই সব হীন ইচ্ছা ত্যাগে বাধ্য করা উচিত .বন্ধ করা উচিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নামের প্রহসনের কোর্স।কোর্স না থাকলে অন্য সাবজেক্টে পড়াশোনা করবে আমার বংশধর।তাহলে হলে আমার উত্তর সূরিদের সইতে হবে না অপমান- লাঞ্চনা . সে দিন ফেস বুক কমেন্টসে দেখলাম এক ভাই লিখেছে “আমি সুপারভাইজার নই ,ইঞ্জিনিয়ার”.
সিঙ্গাপুর থেকে -মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু-প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ,ডি জে বিল্ডার্স ,সিঙ্গাপুর।
আমি fcilincon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 54 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vai Ami Apnar sate 1mot