কোন সফটওয়ার ছাড়াই ড্রাইভ ফরমেট করা শিখুন – নতুনদের জন্য

হার্ডড্রাইভ, পেনড্রাইভ, মেমরি কার্ড ড্রাইভ ইত্যাদি কাজের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজন হয় ফরমেট করার। কারণ যেকোন ড্রাইভ তৈরি করার পরপরই সেটি ব্যবহার করা যায় না। ফরমেটিং না করা পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম ড্রাইভটি চিনতে পারে না। তাই যেকোন ড্রাইভকে কর্মউপযোগী করার জন্য Format করা অপরিহার্য। তাছাড়া ইউজার নিজের প্রয়োজনেও অনেক সময় ড্রাইভ ফরমেট করে থাকেন। উইন্ডোজে কয়েকভাবে ড্রাইভ ফরমেট করা যায়। আজকে ফরমেট করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।

উইন্ডোজ সাধারণত FAT, FAT32, NTFS এ তিন ধরনের ফাইল ফরমেট সাপোর্ট করে। তাই উইন্ডোজে ফরমেট করতে হলেও এ তিন টাইপের ফরমেটই করতে হবে। তম্মধ্যে সময়ের ব্যবধানে FAT সেকেলে হয়ে গেছে যা এখন আর ব্যবহৃত হয় না। চলুন আমরা ফরমেটের বিভিন্ন পদ্ধতি দেখি।
১। My Computer থেকে ফরমেটঃ
এটি খুব সহজ পদ্ধতি এবং যে কেউ সহজে পারবে। এ জন্য প্রথমে My Computer খুলে যে ড্রাইভটি ফরমেট করবেন তার উপর রাইট ক্লিক করে Format অপশনে ক্লিক করুন।
নিচের মত আসবে। ওখানে আপনি ড্রাইভের নাম, ফাইল সিস্টেম (FAT32, NTFS), Quick/Normal এ অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
File System এর নিচে আপনি পছন্দমত FAT32 বা NTFS সিলেক্ট করে দিন। Volume label এর নিচে আপনি যে নামটি দেবেন তা ড্রাইভের নাম হিসেবে দেখা যাবে।  Quick Format এ ঠিক চিহ্ন দিলে ফরমেট তাড়াতাড়ি হবে অন্যথায় নরমাল ফরমেট হবে। নরমাল ফরমেটে সময় লাগবে বেশি। তাছাড়া এটি সাধারণত ব্যবহার করার দরকার হয় না। অপশনগুলো পছন্দমত দিয়ে নিচের Start বাটনে ক্লিক করুন।
Start বাটনে ক্লিক করার পর সতর্কতা মেসেজ আসবে। মেসেজ দিয়ে জানানো হচ্ছে যে -ঐ ড্রাইভে যত ডাটা আছে সব মুছে যাবে। আপনি কি বুঝে-শুনেই ফরমেট করছেন। ফরমেট করতে চায়লে OK দিতে হবে। আর না চায়লে No দিতে হবে। আমরা যেহেতু প্রয়োজনেই ফরমেট করছি তাই OK দেব। তবে ড্রাইভে কোন ডাটা থাকলে তা অবশ্যই আগে সরিয়ে নেবেন।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর Format Complete মেসেজ আসবে। OK দেব।
আমাদের কাজটি সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে।
২। Disk Management থেকে ফরমেটঃ
আপনি উপরের নিয়মে ফরমেট করতে পারলে এটিও পারবেন। কারণ দুটো পদ্ধতিই একই। এজন্য প্রথমে My Computer এ রাইট ক্লিক করে Manage এ ক্লিক করুন। তারপর নিচের চিত্রের মত বাম পাশের Disk Management এ ক্লিক করুন।
আপনার হার্ডডিস্ককে যত ড্রাইভ আছে সব ড্রাইভ দেখাবে। যে ড্রাইভটি ফরমেট করার দরকার তাতে রাইট ক্লিক Format অপশনে ক্লিক করুন।
নিচের মত আসবে। ওখানে আপনি ড্রাইভের নাম, ফাইল সিস্টেম (FAT32, NTFS), Quick/Normal এ অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
Volume label এর পাশের ঘরে আপনি যে নামটি দেবেন তা ড্রাইভের নাম হিসেবে দেখা যাবে। File System হিসেবে পছন্দমত FAT32 বা NTFS সিলেক্ট করে দিন।  Quick Format এ ঠিক চিহ্ন দিলে ফরমেট তাড়াতাড়ি হবে অন্যথায় নরমাল ফরমেট হবে। নরমাল ফরমেটে সময় লাগবে বেশি। তাছাড়া এটি সাধারণত ব্যবহার করার দরকার হয় না। Enable File and Folder Compression এ টিক মার্ক দিলে ড্রাইভে থাকা ফাইলগুলো কম্প্রেস হয়ে কিছু জায়গা বাড়বে। তাই এ অপশনটি দিতে পারেন। যদিও এটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। অপশনগুলো পছন্দমত দিয়ে নিচের OK বাটনে ক্লিক করুন।
OK দেয়ার পর সতর্কতা মেসেজ আসবে। মেসেজ দিয়ে জানানো হচ্ছে যে -ঐ ড্রাইভে যত ডাটা আছে সব মুছে যাবে। আপনি কি বুঝে-শুনেই ফরমেট করছেন? ফরমেট করতে চায়লে OK দিতে হবে। আর না চায়লে No দিতে হবে। আমরা যেহেতু প্রয়োজনেই ফরমেট করছি তাই OK দেব। তবে ড্রাইভে কোন ডাটা থাকলে তা অবশ্যই আগে সরিয়ে নেবেন।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আপনার ফরমেটিং শেষ হবে।
৩। ডসের মাধ্যমে ফরমেটঃ
ডস কমান্ডের নাম নিশ্চয় শুনেছেন। উইন্ডোজে ডস একটি শক্তিশালি ইউটিলিটি। এর মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। তেমনি ডস দিয়ে ফরমেটিং এর কাজও করা যায়। আমরা এখন ডসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন একটি ড্রাইভ (যা আগে ফরমেট করা হয় নি) ফরমেট করবো । এ জন্য Start Menu থেকে রানে (Windows Key+R) গিয়ে cmd লেখে এন্টার চাপুন। আর উইন্ডোজ সেভেনে হলে Start Menu>Programs Ac>Accessories এ গিয়ে Command Prompt এর উপর রাইট ক্লিক করে Run as Administrator এ ক্লিক করে ডস রান করুন।
ডস চালু হবে নিচের মত। ওখানে নিচের কমান্ডটি লিখে এন্টার চাপুন।
 Format /q /fs:FAT32 e:
/q দেয়ার কারণে Quick Format এনাবল করে দিলাম। এটি না দিলে নরমাল ফরমেট হবে। /fs: এর মানে হল আমরা কোন ফাইল সিস্টেম ব্যবহার করবো। তাই /fs: দেয়ার পরপরই আমরা FAT32 দিলাম। আপনি চায়লে ntfs দিতে পারেন। আর শেষের e: হল আমরা e ড্রাইভ ফরমেট করবো। যেকোন ড্রাইভের পরই : দিতে হয়।
উপরের কমান্ডটি দেয়ার ফলে নিচের মত মেসেজ এসেছে। মেসেজ দিয়ে জানানো হচ্ছে যে -ঐ ড্রাইভে যত ডাটা আছে সব মুছে যাবে। আপনি কি বুঝে-শুনেই ফরমেট করছেন? ফরমেট করতে চায়লে y দিতে হবে। আর না চায়লে n দিতে হবে।
আমরা y দিয়ে এন্টার চাপবো।
এখন নিচের মত মেসেজ আসবে। মেসেজ বুঝাতে চাচ্ছে আপনি চায়লে ড্রাইভের নাম দিতে পারেন যার অক্ষর হবে সর্বোচ্ছ 11 টি। নামটি লেখে এন্টার চাপতে হবে। নাম না দিতে চায়লে শুধু এন্টার চাপলেই হবে।
আমরা ড্রাইভের নাম দিলাম Software এবং নাম লেখার পর এন্টাপর চাপলাম।
কিছুক্ষণ পর Format Complete. সহ অনেক তথ্য দিয়ে আমাদের অপারেশন শেষ করে পুণরায় নতুন কমান্ডের জায়গায় ফিরে গেল ডস।
পুরাতন ড্রাইভে Format কমান্ডঃ আমরা উপরে যে কমান্ডটি প্রয়োগ করেছি তা হলো নতুন ড্রাইভের জন্য। ঐ কমান্ডটি নতুন-পুরাতন যে কোন ড্রাইভে কাজ করবে। তবে পুরাতন হলে আপনি  /fs: সুইচটি ব্যবহার নাও করতে পারেন। এতে ড্রাইভটি আগে যে ফাইল সিস্টেমে ছিল তাতেই থাকবে।
 
উপরের নিয়মে ডস চালু করে নিচের কমান্ডটি লেখে এন্টার চাপুন।
 Format d:
আমরা এখানে /q সুইচটি ব্যবহার করি নি। এই সুইচটি ছাড়া একবার ট্রাই করে দেখি। এর ফলে ড্রাইভটি নরমাল ফরমেট হবে। তাছাড়া আমরা এখানে  /fs: সুইচটিও ব্যবহার করি নি। কারণ ড্রাইভটি বর্তমানে ntfs এ আছে। যদি নতুন ড্রাইভ হতো (আগে ফরমেট করা হয় নি) তাহলে  /fs: সুইচটিও অবশ্যই ব্যবহার করতে হতো। তাই /fs: সুইচ ব্যবহার না করার ফলে ড্রাইভটি ফরমেট হয়ে ntfs  এই থেকে যাবে। আর শেষের d: হল আমরা d ড্রাইভ ফরমেট করবো। যেকোন ড্রাইভের পরই : দিতে হয়।
নিচের মত মেসেজ আসবে। ওখানে বলা হচ্ছে ড্রাইভটিVolume label দেয়ার জন্য। বর্তমানে ড্রাইভটিVolume label আছে Media । চিত্রে লক্ষ করুন। লক্ষ্য করুন। উপরের পদ্ধতিতে এ মেসেজটি আসে নি। কারণ হলো ড্রাইভটি নতুন। তাই আগে ড্রাইভটিতে কোন নাম ছিল না। যদি ড্রাইভে নাম দেয়া থাকে তাহলে এ মেসেজটি আসবে।
আমরা Volume label লেখে (Media) এন্টার চাপলাম।
আবার মেসেজ এসেছে। মেসেজ দিয়ে জানানো হচ্ছে যে -ঐ ড্রাইভে যত ডাটা আছে সব মুছে যাবে। আপনি কি বুঝে-শুনেই ফরমেট করছেন? ফরমেট করতে চায়লে y দিতে হবে। আর না চায়লে n দিতে হবে।
আমরা y দিয়ে এন্টার চাপবো।
এতে ড্রাইভটি Verify করা হবে নিচের মত।
Verify শেষে নিচের মত মেসেজ আসবে। মেসেজ বুঝাতে চাচ্ছে আপনি ড্রাইভের নাম দিতে পারেন। নামটি লেখে এন্টার চাপতে হবে। নাম না দিতে চায়লে শুধু এন্টার চাপলেই হবে।
আমরা ড্রাইভের নাম দিলাম Song এবং নাম লেখার পর এন্টাপর চাপলাম।

কিছুক্ষণ পর Format Complete. করে পুণরায় নতুন কমান্ডের জায়গায় ফিরে যাবে ডস।

সতর্কতাঃ ড্রাইভ ফরমেট করা অবস্থায় কোন কারণে কম্পিউটার বন্ধ হলে আপনার ড্রাইভটি বা পুরো সব ড্রাইভ ডিলিট হয়ে যেতে পারে। তাই অপারেশন চলা অবস্থায় অপারেশন Cancel করবেন না কিংবা পিসি বন্ধ করে দেবেন না। 

ড্রাইভ ডিলিট হলে দেখুন  হার্ডডিস্কের সকল পার্টিশান/ড্রাইভ ডিলিট হয়ে গেছে, কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফিরিয়ে আনুন পূর্বের অবস্থায়!!!

Level 2

আমি Kamrul Cox। , Chittagong। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 70 টি টিউন ও 645 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

DRIVE formet paltanur pore memori cart mobile sapurt korbe ki
mobile er memori card ea alada 2i ti DRIVE kora jabe ki( 2gb card)
please janale upkritho hotam

my email : [email protected]

good &
go on bro…….

Level 0

ami mobile memori card/pendrive ke “ntfs” formet korte hole amake ki korte hobe
PDF fille vaniye
emil a janale upokkrito hotam

    Level 2

    @ripobn: আপনার লেখাগুলো পুরো বুঝতে পারি নি। মোবাইলের মেমরি কার্ড সাধারণত ntfs ব্যবহার করে তেমন উপকারিতা নেই। তাই আপনি Fat ই ব্যবহার করুন। তারপরও Fat থেকে ntfs এ নিয়ে যেতে চায়লে মেমরি কার্ড পিসিতে লাগান আর ডসে গিয়ে নিচের কমান্ডটি প্রয়োগ করুন।
    convert h: /fs:ntfs
    উপরের h এর জায়গায় আপনার মেমরি কার্ডের ড্রাইভ নেম দেবেন।

কামরুল ভাই যে কেমন আছেন? টিটিতে আপনার টিউন আরো বেশী বেশী দেখতে চাই।

    Level 2

    @মোহাম্মদ খালিদ হোসাইন: সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খালিদ ভাই শিঘ্রী সেভেনের উপর একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হবো। পোষ্টটি আশাকরি সবার উপকারেই আসবে। কাজের ব্যস্থতায় পারছি না।

কামরুল ভাই জটিল হইছে

ভাল টিউন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।