উইন্ডোজের মূল সমস্যাগুলো সমাধানের উপায় নিয়ে এই পোষ্টটি লেখা হয়েছে। লিনাক্সের প্রচার - এই লেখাটির উদ্দেশ্য নয়। যদিও উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের লিনাক্স ভীতি দূর করার জন্য এই লেখাটি সহায়ক হতে পারে।
উইন্ডোজ – একটি আতঙ্কের নাম। সবসময়ই ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপর্যয়। আমি কিন্তু আমার এক ডজন পিসি নিয়ে বর্তমানে আর ভয়ের মধ্যে নাই। আমি যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করছি তার বিস্তারিত বর্ননা দেয়ার চেষ্টা করলাম। যদি কেউ উপকৃত হন তবে আমার এই পরিশ্রম সার্থক হবে। আমি আইটি এক্সপার্ট কেউ নই, তাই আমার পদ্ধতিগুলোও খুব সাধারণ।
প্রথমেই আমরা উইন্ডোজের মূল সমস্যাগুলো সনাক্ত করি -
১) ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি
২) উইন্ডোজ বুড়ো হয়ে যায়। প্রথমদিকে আপনি যে পার্ফমেন্স বা গতি পেতেন তা ক্রমেই কমতে থাকে।
৩) হঠাৎ করে উইন্ডোজ নষ্ট (ক্রাশ) হয়ে যায়।
৪) তথ্যের (Data) নিরাপত্তার অভাব।
এই সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের জন্য আপনার পিসিকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে হবে। কিভাবে পিসি সাজাবেন প্রথমে তা বর্ননা করবো। এরপর, উপরের এই ৪টি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সময় ও পরিশ্রম একটু বেশী লাগলেও আশা রাখি উইন্ডোজ নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনরকম ঝামেলায় পরবেন না। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে, বড় সমস্যাগুলো ছাড়াও ছোটখাট অনেক সমস্যার সমাধান এই লেখার মধ্যে আছে।
পার্টিশন ভেঙ্গে নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ করুন। অথ্যাৎ পুরাতন কোন কিছু কম্পিউটারে থাকবে না। যেহেতু অনেকেই উইন্ডোজ সেটাপ করতে পারেন তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখলাম না। উইন্ডোজ সেটাপ করতে না পারলে পরিচিত করো সহযোগীতা নিন। উইন্ডোজ সেটাপের সময় কমপক্ষে ২০ জিবির (বেশি হলে ভাল হয়) একটি অতিরিক্ত ড্রাইভ তৈরি করুন।
উইন্ডোজ সেটাপের পরে এই অতিরিক্ত ড্রাইভে লিনাক্স মিন্ট ইনস্টল করতে হবে। লিনাক্স মিন্ট ইনস্টল করার খুব সহজ পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছি -
লিনাক্স মিন্ট ১২ - এর লাইভ ডিভিডি সংগ্রহ করুন। (অভিজ্ঞ হলে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন বা ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫০ টাকায় এটি সংগ্রহ করতে পারেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিং ভাই (01671411437) বা সভাপতি মেহেদী ভাই-এর (1678702533) কাছে ফোন করে বা সরাসরি দেখা করে লিনাক্স মিন্টের সহযোগীতা নিতে পারেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।
ডিভিডি ঢুকিয়ে পিসি রির্স্টাট করুন। বায়োসে ঢুকে আপনার CD/DVD-কে 1st Boot Drive করে নিন। এখন আপনি নিচের মত স্ক্রিন দেখতে পারবেন।
এন্টার চাপলে এরকম স্কিন আসবে।
আবার এন্টার চাপুন। কিছুক্ষণের মধ্যে লিনাক্স মিন্ট লাইভ চালু হবে। Install Linux Mint-এ ডাবল ক্লিক করে ইনস্টল শুরু করে দিন।
Continue বাটনে ক্লিক করুন।
আবার Continue বাটনে ক্লিক করুন।
Something else সিলেক্ট করে Continue বাটনে ক্লিক করুন। এই জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন, কারন Replace Microsoft windows সিলেক্ট করে Continue করলে আপনার উইন্ডোজ মুছে যাবে।
এখন আপনি একটি লিস্ট দেখতে পাবেন যেখানে আপনার হার্ড ড্রাইভের পার্টিশনগুলোর তালিকা থাকবে। এখানে উইন্ডোজের মত C: বা D: ড্রাইভ দেখতে পাবেন না। ছবিতে দেখুন, /Dev/Sda6 -এটিই আপনার E: ড্রাইভ। ড্রাইভের সাইজ দেখে বা পর্যায়ক্রমে অবস্থান দেখে বুঝে নিতে হবে কোনটি কোন ড্রাইভ। জটিলতা এড়াতে উইন্ডোজের শেষ ড্রাইভটি লিনাক্স মিন্টের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
/Dev/Sda6 সিলেক্ট করে Delete চাপুন। একটি Free Space পাবেন। এবার Add-এ ক্লিক করুন।
নিউ পার্টিশনে লিখুন 2024 এবং নিচে swap area সিলেক্ট করে Ok করুন।
লক্ষ্য করুন, Free space কমে গিয়ে swap নামে একটি ড্রাইভ তৈরি হয়েছে। মূলত আপনার Ram-কে সাপোর্ট দেয়ার জন্যই এই ড্রাইভটি তৈরি করা হয়।
এবার Free space সিলেক্ট করে আবার Add এ ক্লিক করুন।
Ext4 সিলেক্ট করে Mount point-এ / দিন এবং OK করুন।
এবার Install Now-এ ক্লিক করুন।
ম্যাপ থেকে বাংলাদেশ ক্লিক করে করে Continue চাপুন।
English (US) সিলেক্ট করে আবার Continue চাপুন।
আপনার নাম, কম্পিউটারের নাম, ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড টাইপ করে Continue চাপুন।
Continue চাপুন।
ইনস্টল শেষ হওয়ার জন্য কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন।
ইনস্টল শেষে Restart Now-এ ক্লিক করুন।
এরকম স্কিন আসলে ডিভিডি বের করে এন্টার চাপুন। পিসি রির্ষ্টাট হবে। আপনার পিসিতে লিনাক্স মিন্ট ইনস্টল সম্পন্ন হল।
পিসি রিস্টার্ট হয়ে এরকম স্কিন আসবে।
এন্টার চেপে লিনাক্স মিন্টে প্রবেশ করুন। (লিনাক্স মিন্ট ইনস্টলের পর ১ম বার অবশ্যই লিনাক্স মিন্টে প্রবেশ করবেন)
পাসওয়ার্ড টাইপ করে এন্টার চাপুন। আমাদের এই পদ্ধতিতে উইন্ডোজ ও লিনাক্স মিন্ট পাশাপাশি (Dual Boot) থাকবে। অনেকেই ডুয়েল বুট ব্যবহার করেন এবং প্রায়ই গ্রাব নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কিন্তু আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করবো তাতে গ্রাব নষ্ট হবে না।
Shut Down-এ ক্লিক করে পিসি রিস্টার্ট করুন।
পিসি রিস্টার্ট হলে এবার লিনাক্স মিন্টে না ঢুকে এরো কি চেপে উইন্ডোজ সিলেক্ট করুন এবং উইন্ডোজে ঢুকুন।
আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন। এই সফটওয়ারগুলো ভাইরাসমুক্ত কিনা তা ভালভাবে নিশ্চিত হয়ে নিন।
এবার আমরা উইন্ডোজ (C:\ ড্রাইভ) ব্যাকআপ নিবো, যা পুরো প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অনেকেই Hiren's Boot বা Acronis -এই জাতীয় সফটওয়্যারগুলোর নাম শুনেছেন বা ব্যবহার করেছেন। উইন্ডোজ ব্যাকআপ নেয়ার জন্য এগুলো ব্যবহার না করে আমরা ব্যবহার করবো Easeus Todo Backup Free। এই সফটওয়্যারটি কেন ব্যবহার করছি তা বলতে হলে অনেককিছু লিখতে হবে, তাই ওদিকে না গিয়ে এগিয়ে যাই।
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। ইনস্টলের সময় D:\My Backups নামে একটি ফোল্ডার তৈরি হবে। ইচ্ছে করলে এই ফোন্ডারটি অন্য কোন ড্রাইভে রাখতে পারেন, কিন্তু C:\ ড্রাইভে এই ফোন্ডারটি রাখবেন না।
ইনস্টল হয়ে গেলে সফটওয়ারটি ওপেন করুন। এবার System Backup (উইন্ডোজ ব্যাকআপ) নিব আমরা।
সিস্টেম ব্যাকআপ-এ ক্লিক করুন।
ব্যাকআপ লোকেশন সিলেক্ট করে Next চাপুন।
SystemBackupTask নামে একটি ফাইল তৈরী হবে। এই ফাইলটি যত্ন সহকারে সংরক্ষন করুন। এই লেখার শেষদিকে ডাটা সংরক্ষনের পদ্ধতিগুলো আলোচনা করেছি।
এই মুহূর্ত থেকে আপনি নিশ্চিন্ত। যখনই কোন সমস্যা (ভাইরাস বা অন্য কিছু) দেখা দিবে তখনই আপনি System Recovery করে নিবেন। ৫মিনিটের মধ্যে আপনার কম্পিউটার একেবারে নতুন।
আপনার মূল কাজ শেষ।
এই লেখার প্রথমদিকে যে ৪টি সমস্যা উল্লেখ করেছিলাম তা নিয়ে এবার আলোচনা শুরু করি -
১) ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি
ক) সিস্টেম রিকভারি করলে আপনার সিস্টেমে ভাইরাস থাকবে না, কারন পিসি আগের অবস্থায় (যখন সিস্টেম ব্যাকআপ নিয়েছিলেন সেই অবস্থায়) ফেরত যায়। System Recovery-এর পূর্বে C: ড্রাইভে কোন জরুরি ফাইল থাকলে তা অন্য ড্রাইভে সরিয়ে রাখুন।
System Recovery ক্লিক করুন।
ব্যাকআপ নেয়া ফাইলটি সিলেক্ট করে Next চাপুন। এরপর পর্যাক্রমে Proceed, OK ও Reboot চাপুন।
পিসি রির্স্টাট হবে। উইন্ডোজ সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। রিকভারী শুরু হবে।
সিস্টেম রিকভারি করলেন এবং ভাইরাস মুক্ত হলেন। কিন্তু C: ড্রাইভ বাদে অন্য কোন ড্রাইভে ভাইরাস থাকলে মুহূর্তেই আপনার পিসি আবার আক্রান্ত হবে। তাই সিস্টেম রিকভারি করার পর উইন্ডোজে না ঢুকে লিনাক্স মিন্টে ঢুকুন। C: ড্রাইভ বাদে অন্যান্য ড্রাইভের শুধুমাত্র পরিচিত ও নিরাপদ ফাইলগুলো রেখে বাকি সব মুছে ফেলুন বা পিসি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এখন আপনি উইন্ডোজে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত।
খ) অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য k9 সফটওয়্যারটি আমার কাছে যেকোন এন্টিভাইরাসের চেয়ে বেশী নিরাপদ মনে হয়েছে। আপনার অফিস ও বাসাকে নিরাপদ করুন বা নিয়ন্ত্রন করুন - যেভাবে আপনি চান।
খারাপ সাইটগুলো (হ্যাকিং, পর্ণ) বন্ধ করা ছাড়াও অনেকগুলো কাজ করতে পারবেন এটি দ্বারা। যেমন- আপনার লিমিটেড ব্যন্ডউইথ বাঁচানোর জন্য ইউটিউব বা ডাউনলোড বন্ধ করে রাখলেন। আবার গভীর রাত পর্যন্ত কেউ যেন ব্রাউজ না করতে পারে তার জন্য টাইম রেস্ট্রিকশন দিয়ে দিলেন।
খ) ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল পেনড্রাইভ। আর এ কারনেই উইন্ডোজে পেনড্রাইভ না ঢুকিয়ে লিনাক্স থেকে শুধুমাত্র পরিচিত ফাইলগুলো কপি করুন। যেমনঃ .doc, .docx, .xls, .jpg, .avi, .mp3, .gif, .eps, .pdf, .txt ইত্যাদি। .exe ফাইলে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। ফাইল কপি করে উইন্ডোজের কোন ড্রাইভে পেষ্ট করুন। কারন লিনাক্সের মধ্যে ফাইল পেষ্ট করলে তা উইন্ডোজ থেকে দেখতে পারবেন না।
গ) আপনাদের যদি কয়েকটি পিসিতে ল্যান করা থাকে তবে অন্তত একটি পিসিতে সবসময় লিনাক্স ওপেন করে রাখুন। শুধুমাত্র এই পিসিতে পেনড্রাইভ বা সিডি ঢুকিয়ে ফাইল কপি করবেন। দুর্বল ও পুরানো যেকোন পিসিতেও লিনাক্স ভালভাবেই চলবে।
ঘ) অনিরাপদ সাইটে যাওয়া আপনার জন্য যদি খুবই গুরুত্বপূর্ন (!!) হয় তবে নিশ্চিন্তে লিনাক্স ব্যবহার করুন।
ঙ) আমি ব্যাক্তিগত সকল কাজেই লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করি। লিনাক্সে কোনভাবেই ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না। ধীরে ধীরে লিনাক্সে অভ্যস্ত হতে থাকুন। ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডকুমেন্ট তৈরি, গান শোনা, ভিডিও দেখা এই ধরনের সাধারণ কাজগুলো লিনাক্সে শুরু করে দিন।
ছ) এতক্ষন ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় আলোচনা করলাম। কিন্তু ভাইরাস আক্রমনের পর কিভাবে তা দূর করবেন? সবচেয়ে ভাল উপায় হল - সব ফেলে দিয়ে (উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে) নতুন করে সব লোড করা। অনেক সময়ই মূল্যবান ডাটা ফেলে দেয়া সম্ভব নয়। উইন্ডোজ আপনাকে ধোঁকা দিতে পারবে কিন্তু লিনাক্সে বসে আপনি অনায়াসেই ভাইরাস মুছে ফেলতে পারবেন। আপনার ডাটা যদি পরিচিত ফরমেটে থাকে (যেমনঃ .doc, .docx, .xls, .jpg, .avi, .mp3, .gif, .eps, .pdf, .txt ইত্যাদি) তাহলে এর মধ্যে থেকে ভাইরাস আলাদা করে ফেলে দেয়া কোন ব্যাপার না।
কিন্তু যদি আপনার ডাটার মধ্যে .exe বা অপরিচিত কোন ফাইল থাকে যা আলাদা করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয় সেক্ষেত্র কি করবেন তা দেখুন - এন্টিভাইরাস (ক্যাসপাস্কি বা নরটন হলে ভাল হয়) লোড করা অন্য একটি সুস্থ্য পিসি প্রয়োজন হবে আপনার। এই পিসিতে ডিপফ্রিজ সফটওয়্যারটি লোড করে সবগুলো ড্রাইভ ফ্রিজ করুন। এরপর আপনার ভাইরাসযুক্ত হার্ডডিক্স বা পেনড্রাইভ এই পিসিতে সংযোগ দিয়ে ভাইরাস ক্লিন করুন। কোন কারনে ভাইরাস ক্লিন না হলে পিসি রির্স্টাট করে আবার ক্লিন করুন। ভাইরাস ক্লিন শেষ হলে আপনার হার্ডিডিক্স বিচ্ছিন্ন করুন এবং এরপর ডিপফ্রিজ আন-ইনেস্টল করুন।
এত কষ্ট করে কেন ভাইরাস ক্লিন করলাম? কারন এন্টিভাইরাসের একটি উল্লেখযোগ্য গুন হল- কোন কারনে ভাইরাস ক্লিন না করতে পারলে সে নিজেই অসুস্থ্য হয়ে যায়। এই পিসি থেকেই ভাইরাস ছড়ানো শুরু করে। মূলত ভাল এন্টিভাইরাস আপনাকে শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ সুরক্ষা দিবে। অর্থাৎ পেনড্রাইভ ১০বার আপনার পিসিতে ঢুকালে অন্তত একবার আক্রান্ত হবেন। আপনাকে যদি আমি ১০বার আক্রমন করে ১বার সফল হই তাহলে আপনি কি ৯০ভাগ সুরক্ষিত না ১০০ভাগ অরক্ষিত। আর এ কারনেই ভাইরাস ক্লিন করার পূর্বে ডিপফ্রিজ লোড করতে হবে। আমার এই পদ্ধতিটি একটু কষ্টকর তবে ১০০ ভাগ কার্যকর। বিশেষ করে যাদের ডাটা খুবই মুল্যবান তারা নিশ্চয়ই এটুকু কষ্ট করতে রাজি হবেন।
২) উইন্ডোজের বুড়ো হয়ে যাওয়া
System Recovery করুন। ৫মিনিটেই উইন্ডোজ একেবারে তরুন।
৩) হঠাৎ করে উইন্ডোজ নস্ট (ক্রাশ) হয়ে যায় -
সিস্টেম রিকভারি করার জন্য আপনার উইন্ডোজ চালু থাকতে হবে। কিন্তু উইন্ডোজ ক্রাশ করলে আপনি আর রিকভারীর সুযোগ পাবেন না। এক্ষেতে অন্য কোন কম্পিউটারে Easeus Todo Backup Free সফটওয়্যারটি লোড করে পেনড্রাইভ বা সিডি বুটেবল করে নিন।
এই সিডি বা পেন ড্রাইভ দিয়ে আপনার পিসি বুট করুন। এরপর বাকি কাজ System Recovery-এর মতই।
৪) ডাটা ব্যাকআপ
ক) আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও ডাটা সংরক্ষন করুন লিনাক্সে।
ভাইরাস সহ ডাটাও সংরক্ষন করতে পারেন। উইন্ডোজের সংর্স্পশে না আশা পর্যন্ত এই ভাইরাস কোনরকম ক্ষতি করতে পারবেনা আপনার কম্পিউটারে।
খ) ডাটার সাইজ ছোট হলে Dropbox ব্যবহার করুন। হার্ডডিক্স ক্রাশ করলেও আপনার ডাটা ড্রপবক্সে নিরাপদ থাকবে।এমনকি কোন ফাইল ভুলে মুছে ফেললেও ড্রপবক্সের Trash-এ ১মাস পর্যন্ত তা সংরক্ষিত থাকবে।
গ) ডাটার পরিমান বেশী হলে কমপক্ষে দুটি পিসিতে একই ডাটা রাখুন। আশা করা যায় একই সাথে দুটি হার্ডডিক্স নষ্ট হবে না।
ঘ) যদি উইন্ডোজের কোন ড্রাইভে ডাটা রাখতে চান তাহলে 7zip ব্যবহার করে ডাটা zip করে রাখুন। zip ফাইলে ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না। উল্লেখ্য যে সিস্টেম ব্যাকআপ ফাইলটিতেও ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না। কারন এটিও একধরনের zip ফাইল।
ঙ) Easeus Todo Backup Free -এই সফটওয়্যারটি দ্বারা ডাটা ব্যাকআপ রাখার জন্য রয়েছে খুবই সুন্দর ব্যবস্থা, যা বর্ননা করতে আরো একটি বড় লেখা লিখতে হবে।একটু কষ্ট করে নেট থেকে পরে নিবেন। আশা রাখি ডাটা সংরক্ষনের সবরকম চাহিদা পুরনে সক্ষম হবে এই সফটওয়্যারটি।
এই দীর্ঘ্য লেখা পড়ে যারা বিরক্ত তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যে অংশগুলো বুঝতে পারেননি তা জানিয়ে মন্ত্যব্য লিখুন।
কেনজানি এই পোষ্টের ছবিগুলোর কোয়ালিটি ভাল আসছে না। তাই পুরো লেখার PDF দিলাম।
আমি সোহেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 34 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Graphic Designer
ভালো টিউন তবে প্রিন্স ভাইয়ের কথ্টা একটু মাথায় রাখবেন । তবে আপনার টিউনটা যেন যেনো পেন্ডিং করা না হয় সে জন্য মডারেটরদের অনুরোধ করবো !
টিউন ভালো , তবে এভাবে লিংক দেওয়া টিটির নিতীমালা বিরোধী !!
এবং টিউনটি পেন্ডিং বা মুছে ফেলার আশংকা থাকে 🙁 (কিছু মনে করবেন না )
আসলে কেউই চাইনা যে , তার টিউনটি পেন্ডিং করা হোক , তাই একটু সতর্ক করলাম আরকি !!