আসসালামু আলাইকুম। আমার আজকের নতুন টিউনে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আশাকরি সকলে আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমার আজকের টিউনে আমি আপনাদেরকে ৪ টি এমন উপায় সম্পর্কে জানাবো যার মাধ্যমে আপনি মোবাইল ব্যবহারের সময় নিজের চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪ টি উপায় সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনি মোবাইল ব্যবহার করলেও আপনার চোখের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।
অর্থাৎ আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন একটানা বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার না করার জন্য। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, মানব চক্ষু কাছের জিনিস দেখা থেকে দূরের জিনিস দেখায় বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। যেহেতু আমরা মোবাইল চোখের অত্যন্ত কাছে রেখে ব্যবহার করি, তাই এটি একটানা বেশি সময় ব্যবহার করলে আমাদের চোখের প্রচন্ড ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ২০ মিনিট পর আপনার মোবাইল ফোনটিকে কমপক্ষে ২০ সেন্টিমিটার দূরে রেখে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করার পর আবার ২০ মিনিট ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে মোবাইল আপনার চোখের সামনে একটানা বেশি সময় ধরে থাকে না এবং ২০ মিনিট পর পর ব্যবহার করার কারণে মোবাইলের রেডিয়েশন আপনার দেহের এবং চোখের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে না।
আপনারা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই জানেন যে মোবাইল ফোন থেকে রেডিয়েশনের পাশাপাশি আরো একটি ক্ষতিকর আলো নির্গত হয় তা হচ্ছে ব্লু লাইট। এই ব্লু লাইট মানব চক্ষুর প্রচণ্ড ক্ষতি করে। বর্তমানে ফোনের সেটিংস এর মধ্যে কিছু কিছু ব্লু লাইট ফিল্টার অপশন যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি এ ধরনের সেটিংস এর ব্যবহার নিয়মিত করতে পারেন তবে, যদি এসব ফিল্টার ব্যবহার করেও আপনার চোখের ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে আপনি মনে করে থাকেন তাহলে আপনি ব্লু কার্ট লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করতে পারেন। এই চশমা গুলো ব্লু লাইট প্রতিরোধী হয় এজন্য এগুলো মোবাইলে থাকা ব্লু লাইটকে আপনার চোখের কোন ক্ষতি সাধন করতে দেয় না।
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস চোখের ক্ষতি করে আবার অতি অল্প ব্রাইটনেসও চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে আপনি মোবাইলের ব্রাইটনেসের সামঞ্জসতা রক্ষা করার জন্য ব্রাইটনেস মোবাইলের সেটিংস থেকে মাঝামাঝি পর্যায়ে সেট করে রাখতে পারেন। এছাড়াও যেসব স্থানে আলো কম সেসব স্থানে ব্রাইটনেস কম তবে, অতিরিক্ত কম নয় এবং যেসব স্থানে আলো বেশি সেসব স্থানে ব্রাইটনেস বেশি তবে, অতিরিক্ত বেশি নয় এভাবে ব্রাইটনেস এর সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে মোবাইলের বিল্ট ইন ব্রাইটনেস সেটিংস অন করে রাখতে পারেন, এতে আপনার মোবাইলের ওপর কতটুকু আলো পড়ছে তার উপর নির্ভর করে মোবাইল নিজে থেকে একটি নির্দিষ্ট ব্রাইটনেস সেট করে রাখে। এতে আপনার চোখের ক্ষতির আশঙ্কা কমে যাবে।
আপনি যদি আপনার চোখের নিরাপত্তার কথা ভেবে মোবাইল ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার মোবাইল ডিভাইসটি আপনার চোখ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব অর্থাৎ ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি দূরে অবস্থান করতে হবে। এছাড়াও কিছুক্ষণ পরপর চোখের পলক ফেলতে হবে এতে আপনার চোখের উপর চাপ কম পড়বে। যেহেতু আপনার মোবাইলের ব্লু লাইট আপনার চোখের ক্ষতি নিয়মিত করে তাই, যদি আপনি শেষ এই দুটি নিয়ম অর্থাৎ মোবাইল চোখ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা এবং চোখের পলক ফেলায় এই দুটি নিয়ম না মেনে চলেন তাহলে আপনার চোখের ক্ষতি রোধ করা খুবই কষ্টকর।
আমার আজকের টিউনটি এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আমার আজকে টিউন থেকে আপনারা নতুন কিছু জ্ঞান লাভ করেছেন এবং নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমি আশা করছি যে আমার আজকের এই টিউনে থাকা মোবাইল এর ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করার চারটি উপায় সম্পর্কে আপনি অবশ্যই অবগত থাকবেন এবং নিজেকে সতর্ক রাখবেন। ভালো থাকবেন। খোদা হাফেজ।
আমি সাদিক মাহমুদ। নবম শ্রেণী, নওগাঁ কে.ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ, নওগাঁ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।
Whether you're a tech wiz or just starting out, I'm here to help you navigate the exciting world of technology. Feel free to ask me anything - no question is too basic! Let's explore the coolest tech together!