একটা সময় ছিল, যখন টিভি শুধুমাত্র সিনেমা এবং কিছু শো দেখার জন্য একটি মাধ্যম ছিল। কিন্তু, বর্তমানে কি এরকমটি রয়েছে?
টেলিভিশন এখন আর শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু টিভি কেনার সময় অনেকেই সঠিক ফিচারের দিকে নজর দেন না, যা পরবর্তীতে অসন্তোষের কারণ হতে পারে। তাই টিভি কেনার আগে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।
এজন্য আজকের এই টিউনে আমি এরকম ৮ টি প্রয়োজনীয় ফিচার নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো ছাড়া আপনি কখনোই টিভি কিনবেন না। চলুন তাহলে জেনে নিই, টিভি কেনার সময় কোন কোন ফিচারগুলোর দিকে নজর দিতে হবে, যা আপনার টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স কে পাল্টে দিতে পারে।
একটি টিভির ডিসপ্লে কোয়ালিটি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে OLED এবং QLED দুটি অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি। OLED বা (Organic Light Emitting Diode) ডিসপ্লে গুলো মূলত প্রতিটি পিক্সেলকে নিজস্ব আলো দেয় এবং প্রতিটি পিক্সেলে আলাদা আলাদা ভাবে আলোর মাধ্যমে একটি ইমেজ ভেসে ওঠে। এর ফলে, এসব ডিসপ্লেগুলো ডিপ ব্ল্যাক এবং অসাধারণ কনট্রাস্ট প্রদান করতে পারে। অন্যদিকে, QLED ডিসপ্লে গুলো কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা মূলত Bright এবং Vibrant Colors প্রদান করে থাকে।
OLED ডিসপ্লেগুলির আরেকটি বড় সুবিধা হলো এসব ডিসপ্লেগুলো অত্যন্ত পাতলা এবং ফ্লেক্সিবল হতে পারে, যা আপনার টিভির ডিজাইনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে, এসব ডিসপ্লে গুলোর দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। অন্যদিকে, QLED ডিসপ্লেগুলি অধিক লং লাস্টিং এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
তাই, টিভি কেনার সময় অবশ্যই আপনার ব্যবহারের ধরন এবং বাজেট অনুযায়ী OLED এবং QLED এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি Deep Black এবং Best Contrast চান, তবে OLED আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে। আর যদি আপনি একটি Bright Color এবং Long Lasting ডিসপ্লে চান, তবে QLED আপনার জন্য সেরা সমাধান হতে পারে।
High Dynamic Range বা HDR প্রযুক্তি টিভি ডিসপ্লের মানকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। HDR প্রযুক্তি টিভির ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্টকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে তোলে। যার ফলে, ছবির প্রতিটি অংশে অসাধারণ Detail পাওয়া যায়। এটি Brightest সাদা এবং Darkest কালো খুবই পারফেক্ট ভাবে দেখাতে সক্ষম এবং যা আপনাকে আরও বাস্তবসম্মত ভিডিও উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
HDR এর বিভিন্ন ফর্ম্যাট রয়েছে, যেমন HDR10, Dolby Vision, এবং HLG। HDR10 হল সর্বাধিক প্রচলিত এবং বেশিরভাগ টিভিতে Supported। এটি 10-bit Color ব্যবহার করে, যা প্রায় ১.০৭ বিলিয়ন Color প্রদর্শন করতে পারে। Dolby Vision আরও উন্নত, কারণ এটি ডায়নামিক মেটাডাটা ব্যবহার করে প্রতিটি ইমেজ এর দৃশ্য বা ফ্রেমের জন্য কনট্রাস্ট এবং ব্রাইটনেস এডজাস্ট করে। আর HLG (Hybrid Log-Gamma) মূলত ব্রডকাস্টের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে লাইভ সম্প্রচারে HDR প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হবে।
HDR প্রযুক্তি টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স কে আরও উন্নত করে তোলে। বিশেষ করে, আপনি যদি নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম, বা অন্যান্য স্ট্রিমিং সার্ভিস থেকে HDR কনটেন্ট দেখেন। তাই, টিভি কেনার সময় আপনার টিভিতে HDR Supported রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন এবং যদি সম্ভব হয়, তাহলে এই উন্নত ফর্ম্যাট সাপোর্টেড টিভি বেছে নিন।
টিভি দেখার সময় আলোর প্রতিফলন বা রিফ্লেকশন একটি বড় সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে, যদি আপনার টিভি রুমে অনেক ন্যাচারাল লাইট প্রবেশ করে। এছাড়াও, আপনার রুমে বিভিন্ন দিক থেকে লাইটিং করা থাকলে ও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আছে Anti-Glare প্রযুক্তি। Anti-Glare টিভি স্ক্রিন গুলো মূলত এমন বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে আলোর প্রতিফলন কম হয় এবং আপনি যেকোন আলোতে পরিষ্কারভাবে ছবি দেখতে পারেন।
Anti-Glare ফিচার সমৃদ্ধ টিভি গুলো প্রতিফলিত আলোকে শোষণ করে নেয়। যার ফলে, স্ক্রিনে কোনো ধরনের কোন ধরনের ঝিলিক বা আলোর এরকম প্রতিফলন দেখা যায় না এবং আপনি যেকোন ভিডিও অনেক ক্লিয়ার ভাবেই দেখতে পাবেন। টিভি দেখার সময় এই ফিচারটি আপনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন আপনি দিনের বেলাতে টিভি অন করবেন। এছাড়াও, কোন কারনে যদি আপনার টিভিটি জানালার কাছে থাকে, তাহলে বাহিরে থেকে আসা আলোর কারণে আপনি টিভিতে আলোর রিফ্লেকশন দেখতে পেতে পারেন।
এই ফিচারটি শুধু ন্যাচারাল লাইটই নয়, বরং ঘরের কৃত্রিম বা লাইটের আলো থেকেও স্ক্রিনের আলোর প্রতিফলন কমাতে কাজ করে। তাই টিভি কেনার সময় অবশ্যই আপনার টিভিতে Anti-Glare ফিচারটি আছে কিনা, তা অবশ্যই খেয়াল করবেন। বিশেষ করে, যদি আপনার ঘরে চারপাশ থেকে প্রচুর আলো এসে থাকে।
বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক ডিভাইসের সাথে টিভি মনিটরকে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়ে। এসবের মধ্যে যেমন: গেমিং কনসোল, ব্লু-রে প্লেয়ার, সাউন্ড সিস্টেম, স্ট্রিমিং ডিভাইস ইত্যাদি। এসব ডিভাইস গুলোর মধ্যে সবই আপনার টিভির সাথে কানেক্ট করার জন্য HDMI পোর্ট এর প্রয়োজন হয়। সুতরাং, একটি টিভি কেনার সময় সেটিতে যথেষ্ট HDMI পোর্ট আছে কিনা, তা যাচাই করা উচিত।
কেননা, একটি মনিটরে একাধিক HDMI পোর্ট থাকলে, আপনি একাধিক ডিভাইসের সাথে সেটি সহজেই কানেক্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বারবার প্লাগ-ইন বা আনপ্লাগ করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। এটি আপনার জন্য তখনই বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে, যখন আপনি বিভিন্ন ডিভাইস একসাথে ব্যবহার করবেন।
এছাড়াও, HDMI পোর্ট গুলোর মাধ্যমে সাধারণত হাই কোয়ালিটি ভিডিও এবং অডিও সিগন্যাল ট্রান্সফার করা যায়। যার ফলে, আপনি ডিভাইস গুলোতে সর্বোচ্চ কোয়ালিটির ইমেজ ও সাউন্ড পাবেন।
আজকাল অনেক টিভিতে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি HDMI পোর্ট থাকে, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট বলা যায়। তবে, আপনি যদি মনিটরটির সাথে বেশি ডিভাইস কানেক্ট করতে চান, তাহলে আরও বেশি পোর্ট থাকা টিভি খোঁজার চেষ্টা করুন। HDMI 2.1 পোর্ট Supported TV বেছে নেওয়া আপনার জন্য আরও ভালো হবে। কারণ, এটি হাই রেজোলিউশন এবং হাই ফ্রেম রেট সাপোর্ট করে, যা গেমিং এবং অন্যান্য হাই কোয়ালিটি ভিডিও কন্টেন্টের জন্য একটি সেরা সমাধান।
অতএব, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টিভি কেনার সময় সেটিতে একাধিক HDMI পোর্ট আছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন। যাতে করে, পরবর্তীতে আপনি আপনার চাহিদা মতো একাধিক ডিভাইসকে এটির সাথে সংযুক্ত করতে পারেন।
একটি টিভির অপারেটিং সিস্টেম তার Usability এবং Overall Experience এ একটি বিশাল প্রভাব ফেলে। তাই, আপনার বাছাই করা টিভিতে একটি ইন্টুইটিভ বা সহজে ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি টিভিতে ভালো অপারেটিং সিস্টেম থাকলে, এটি সেই টিভির বিভিন্ন ফিচার এবং অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে সহজে ব্যবহার করার সুবিধা দেয় এবং ন্যাভিগেশন কে সহজ করে তোলে।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন স্মার্ট টিভি অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যায়, যেমন Android TV, webOS, Tizen, Roku TV, এবং Amazon Fire TV। প্রতিটি OS এর নিজস্ব সুবিধা এবং ফিচার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, Android TV তে অনেক গুগল অ্যাপ এবং গেমস ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে, webOS এর স্মুথ ন্যাভিগেশন এবং মাল্টিটাস্কিং সুবিধা রয়েছে, Tizen টিভি অনেক ফাস্ট এবং রেসপন্সিভ, Roku TV তে রয়েছে অনেক বিশাল স্ট্রিমিং অপশন, এবং Amazon Fire TV তাদের ইকোসিস্টেমের সাথে অনেক বেশি ইন্টিগ্রেশন সুবিধা প্রদান করে থাকে।
আপনি যে ধরনের টিভি ই নেন না কেন, আপনার টিভির OS সহজে Navigable এবং User Friendly হওয়া উচিত। যাতে করে, আপনি খুব দ্রুত আপনার পছন্দের অ্যাপ এবং কন্টেন্ট গুলো খুঁজে পেতে পারেন। আরও ভালো হবে, যদি আপনার টিভির OS টির নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করা হয়। কারণ, এতে করে আপনি প্রতিনিয়ত নতুন সব ফিচার এবং হাই পারফরমেন্স পেতে পারেন।
অতএব, টিভি কেনার সময় অবশ্যই এর অপারেটিং সিস্টেমটির দিকে ও নজর দিন এবং নিশ্চিত করুন যে, এটি আপনার প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে। সহজে ব্যবহার করা যায় এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম আপনার টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্সকে একেবারে পাল্টে দিতে পারে।
বর্তমান সময়ে যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস কেনার সময় এনার্জি সাশ্রয় বা এনার্জি এফিসিয়েন্সি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর টিভির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। একটি এনার্জি এফিসিয়েন্ট টিভি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য উপকারী নয়, বরং এটি আপনার প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিলও কমিয়ে আনতে পারে।
এনার্জি এফিসিয়েন্ট টিভি কেনার সময় "এনার্জি স্টার" রেটিং দেখে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই রেটিংযুক্ত টিভিগুলি অন্যান্য সাধারণ টিভির তুলনায় কম শক্তি ব্যবহার করে। সাধারণত LED এবং OLED টিভিগুলি বেশি এনার্জি এফিসিয়েন্ট হয়ে থাকে। কারণ, এসব টিভি মনিটর গুলো কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে Bright এবং High Quality ভিডিও প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, কিছু টিভিতে পাওয়ার সেভিং মোড থাকে, যা টিভি ব্যবহার না করলে, এটি টিভির পাওয়ার খরচ কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, অটো পাওয়ার অফ এবং স্লীপ মোডের মতো ফিচার গুলো ও ইলেকট্রিক পাওয়ার সাশ্রয়ে সহায়ক হতে পারে।
তবে, নিজে থেকে টিভির Brightness এবং Contrast কমিয়ে রাখলেও বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়। তবে, টিভি কেনার সময় একটি হাই এনার্জি এফিসিয়েন্সি মডেল বেছে নেওয়া উচিত। এটি আপনাকে মনিটরটি ব্যবহার করার সময় দীর্ঘ মেয়াদে ইলেকট্রিক খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারেন। সুতরাং, টিভি কেনার সময় Energy Efficient ফিচার এবং রেটিংয়ের দিকে নজর দিন।
স্মার্ট টিভির এই যুগে ভয়েস কন্ট্রোল ইন্টিগ্রেশন একটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হয়ে উঠেছে। ভয়েস কন্ট্রোলের মাধ্যমে আপনি রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই সরাসরি আপনার টিভিকে কমান্ড করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে, আপনি আরো সহজে টিভি উপভোগ করতে পারবেন।
ভয়েস কন্ট্রোল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে আপনি সহজেই চ্যানেল পরিবর্তন, ভলিউম কন্ট্রোল এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করতে পারবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্ট টিভি গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যামাজন অ্যালেক্সা, বা অ্যাপল সিরি সাপোর্ট করে করে। যা আপনাকে আপনার টিভির পাশাপাশি অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস গুলোকেও কন্ট্রোল করার সুবিধা দেয়।
এই ফিচারটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে, যদি আপনার হাতে রিমোট কন্ট্রোল না থাকে বা আপনি দূর থেকে টিভি কন্ট্রোল করতে চান। উদাহরণস্বরূপ, আপনি রান্নাঘরে কাজ করার সময় রান্নার রেসিপি দেখতে বা আপনার প্রিয় শো চালু করতে সেখান থেকেই শুধুমাত্র ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারেন।
ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে আপনি আপনার টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্সকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারেন। তাই, একটি টিভি কেনার সময় সেটিতে ভয়েস কন্ট্রোল ইন্টিগ্রেশন আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। যাতে করে, আপনি খুব সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যে আপনার টিভি কন্ট্রোল করতে পারেন।
আমাদের জন্য ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং সুবিধাজনক ফিচার, যা আপনার টিভির সাথে বিভিন্ন ডিভাইস কানেক্ট করার প্রক্রিয়াকে আরো সহজ এবং ওয়্যারলেস করে তোলে। ব্লুটুথের মাধ্যমে আপনি সহজেই হেডফোন, স্পিকার, গেম কন্ট্রোলার, বা অন্যান্য ব্লুটুথ ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। এর ফলে, আপনি কোন প্রকার তারের ঝামেলা ছাড়াই ক্লিয়ার এবং হাই কোয়ালিটি অডিও উপভোগ করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, রাতে টিভি দেখার সময় ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করে আপনি অন্যদের বিরক্ত না করেই খুব সহজেই আপনার টিভি দেখতে পারবেন। তাছাড়া, ব্লুটুথ স্পিকার সংযুক্ত করে আপনি টিভির অডিও আউটপুট আরো উন্নত করতে পারেন, যা আপনার টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স কে বাড়িয়ে তুলবে।
বর্তমানের অনেক স্মার্ট টিভিতে এখন বিল্ট-ইন ব্লুটুথ ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুতই বিভিন্ন ব্লুটুথ সাপোর্টেড ডিভাইসকে এটির সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। এ ধরনের ফিচারগুলো বিশেষ করে গেমারদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। কারণ, তারা গেম কন্ট্রোলার ব্লুটুথের মাধ্যমে কানেক্ট করে আরও আরামে গেম খেলতে পারেন।
তাই, টিভি কেনার সময় আপনার সিলেক্ট করা টিভিতে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ফিচারটি আছে কিনা, তা চেক করে দেখুন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার টিভি থেকে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে পারবেন।
শেষ কথা
টিভি কেনার সময় সঠিক ফিচারগুলো আছে কিনা, তা আমাদের যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে করে আপনার খরচ করা টাকা সার্থক হয়ে উঠবে। আর এজন্যই আপনি একটি টিভি মনিটর কেনার সময় OLED বা QLED ডিসপ্লে, High Dynamic Range বা HDR, Anti-Glare প্রযুক্তি, Multiple HDMI Ports, একটি সহজে ব্যবহারযোগ্য Operating System, Energy Efficiency, এবং Voice Control Integration এর মত ফিচার গুলোর প্রতি লক্ষ্য করবেন। আপনার টিভিতে যদি এসব ফিচারগুলো থাকে, তাহলে আপনি আপনার টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।
আজকের আলোচনা করা প্রতিটি ফিচার আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, একটি টিভি কেনার সময় আপনার চাহিদা ও বাজেটের সাথে এগুলো মানানসই হতে হবে। তাই, টিভি কেনার আগে এই ফিচার গুলো সম্পর্কে আরো একবার ভালোভাবে জানুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা মডেলটি সিলেক্ট করুন। এর ফলে, আপনি একটি হাই কোয়ালিটি, টেকসই এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি টিভি মনিটর পাবেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)