একটা মজার বিষয় কি লক্ষ করেছেন? বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষিত ও অর্ধ শিক্ষিত তরুণ তরুণী বেকার বসে আছে। কিন্তু অনলাইনে ঢুকলেই দেখা যায় চাকরির অফার এর কোনো শেষ নেই। এমন এমন অফার দেখতে পাওয়া যায় যা দেখলে প্রত্যেকের চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। মনে হয় দেশে কাজের অভাব নেই শুধু অভাব আছে কাজ করার মানুষের।
কিন্তু এর মধ্যে কয়টা চাকরির অফার সঠিক হয়? বেশিরভাগই তো হয় ফেইক। আর এই চাকরির লোভের ফাঁদে পড়ে অনেকেই উল্টো টাকা খরচ করে অথবা গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে দিনের পর দিন। ফলাফল হিসেবে লস ছাড়া আর কিছুই কপালে জোটে না।
তবে সব অনলাইন জব যে ফেইক এমনটাও কিন্তু না। কিন্তু এতো এতো ফেইক জব অফারের ভীড়ে আসল জব গুলোর ওপরেও বিশ্বাস করতে পারে না অনেকেই। তাহলে কীভাবে বুঝবেন কোনটা ফেইক আর কোনটা আসল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি? সেজন্য আপনাকে আগে ফেইক জব অফার এর লক্ষণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা রাখতে হবে। যাতে করে প্রতারণার ফাঁদে পাড়া না দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী একটি সঠিক অনলাইন জব খুঁজে নিতে পারেন।
আজকের টিউনে আপনাদের সাথে ফেইক জব অফারের ১০ টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো। এর পর থেকে অনলাইনে জব অফার দেখলে প্রথমেই এই ১০ টি বৈশিষ্ট্য আছে কিনা তা যাচাই করে নেবেন। নিচে দেয়া যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য যদি খুঁজে পান তাহলে বুঝে নিতে হবে ঐ জব অফার টি ফেইক। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফেইক অনলাইন জব এর ১০ টি বৈশিষ্ট্য।
অনেক সময় দেখা যায় অফিসিয়াল টিউনে চাকরির জন্য অফার করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা চাইছে অষ্টম শ্রেণি অথবা এসএসসি পাশ। কিংবা আইটি সেক্টরের কোনো জব অফার দেয়া হয়েছে। কিন্তু কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা চাইছে না। এই ধরনের চাকরির অফার গুলো কখনোই সত্যি হয় না।
কেননা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেও বর্তমানে হাজার হাজার বেকার সার্টিফিকেট এর ফাইল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে অফিসিয়াল চাকরি পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। যেখানে কোম্পানি এর থেকেও ভালো কর্মী বা কর্মকর্তা পাবে সেখানে কেন একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে সুযোগ দিবে? কোম্পানি যদি কর্মীকে কাজে-ই না লাগাতে পারে তাহলে কেন আপনাকে বেতন দিয়ে রাখবে?
একটু নরমাল ভাবে চিন্তা করলেই কিন্তু বোঝা যায় এই ধরনের চাকরির অফার গুলো আসলে লোক ঠকানোর জন্য প্রচার করা হয়। তাই যোগ্যতার থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন চাকরির অফার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন। যাচাই বাছাই করে, জেনে বুঝে চাকরির আবেদন করুন।
অনেক সময় দেখবেন প্রাইভেট কোনো কোম্পানির অফিস সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাসিক বেতন ঘোষণা করা হয়েছে ত্রিশ হাজার টাকা। তা-ও আবার শুধুমাত্র এসএসসি পাশ করেই আবেদনের সুযোগ। এটা আপনার কাছে কতোটুকু বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়? একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারীর বেতন ত্রিশ হাজার টাকা হলে একজন কর্মকর্তার বেতন কতো টাকা হওয়া উচিত?
আবার দেখা যায় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটা ক্লিক করলেই এক ডলার দিবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে। কিংবা কোনো সোস্যাল মিডিয়া গ্রুপে দুইটি বা একটি ছবি আপলোড করলেই ২০০ টাকা পেমেন্ট। এরকম হাজারো কাজের অফার আমরা প্রতিনিয়ত সোস্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে দেখতে পাই। এতো কম পরিশ্রম করে যদি আসলেই এতো এতো টাকা আয় করা যেত তাহলে তো দেশে কোনো বেকারত্ব থাকতো না।
এমন আজব টাইপের জব অফার দেখলে অবশ্যই আপনার সেখান থেকে দূরে থাকা উচিত। নয়তো পরবর্তীতে প্রতারণা শিকার হবেন-ই।
একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান বা অফলাইন প্রতিষ্ঠানে হয়তো নির্দিষ্ট একটি সময়ে সীমিত পরিমানে কর্মী নেয়া হয়। কিন্তু সারা বছর ধরেই কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ চলমান থাকে না। কিন্তু আমরা প্রায়ই দেখতে পাই একই ধরনের চাকরির অফার বার বার আমাদের সামনে আসতে থাকে এবং একটা লম্বা সময় ধরে এই নিয়োগ চলমান থাকে। এরকম প্রতিষ্ঠান গুলো আসলে কখনোই কোনো চাকরি দিতে পারে না।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন জব অফার আমার সামনে আসছে। মোবাইল দিয়ে দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘন্টা কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন। কিংবা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে দৈনিক এক হাজার টাকা আয় করুন। কিন্তু এই সকল প্রতিষ্ঠান কীভাবে সারা বছর জুড়েই নিয়োগ চলমান রাখতে পারে? এই বিষয়টি কি কেউ একবার ভেবে দেখেছেন?
এরকম একই জব অফার বার বার অপনার সোস্যাল মিডিয়া ওয়ালে ঘোরাফেরা করতে দেখলে আবেদন করবেন না। কারণ বর্তমান বাজারে চাকরি এতোটা সহজলভ্য হতে পারে না।
ধরুন কাজের শর্ত, বেতন, কাজের সময় সব কিছুই আপনার ঠিকঠাক মনে হলো। অনলাইনে কাজ করতে পারবেন বলে নিজেকে খুব উত্তেজিত মনে হলো। এই তো কাল থেকেই কাজে জয়েন করা হবে আপনাকে। ঠিক এই সময় কোম্পানি থেকে বললো আপনার কাজে জয়েন হওয়ার জন্য পাঁচ কিংবা দশ হাজার টাকা এড ফি দিতে হবে। অথবা জামানত হিসেবে কিছু টাকা জমা দিতে হবে।
এমন ঘটনা কিন্তু অহরহ ঘটছে। আর অনলাইনে কাজ পাওয়ার লোভে অনেকেই এই ধরনের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এভাবে প্রথমে টাকা নিয়ে এরপর আপনাকে তাদের সকল অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ব্লক করে দেয়া হবে। এই ধরনের চাকরির ফাঁদ থেকে একেবারেই বেরিয়ে আসুন। মনে হতে পারে দশ হাজার টাকা বেতনের জন্য দুই হাজার টাকা তো জামানত দেয়া-ই যেতে পারে। আসলে আপনি যদি ৫০০ টাকা-ও খরচ করেন তাহলে ঐ ৫০০ টাকা-ই আপনার লস হবে।
মনে রাখবেন যারা সত্যিই তাদের প্রয়োজনে অর্থাৎ কাজের জন্য কর্মী খোঁজে তারা কখনও টাকা চাইবে না। তারা চাইবে যথাযথ যোগ্য কর্মী।
এখন তো আবার নতুন একটি প্রতারণার ফাঁদ তৈরি হয়েছে। পেইড কোর্স অফার করে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। অর্থাৎ টাকা দিয়ে এক মাস বা দুই মাসের কোর্স করিয়ে তারপর চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়। হ্যাঁ কোর্স শেষ হলে হয়তো চাকরি দেয়া হয় তবে তা একদমই আশানুরূপ বেতনের হয় না।
যারা সত্যিকার অর্থে অনলাইনে শিক্ষামূলক কোর্স করাবে তারা চাকরির প্রলোভন দেখাবে না। কেননা তারা এমন ভাবে শেখাবে যাতে আপনি নিজ যোগ্যতায় চাকরি খুঁজে নিতে পারেন। অথবা বিভিন্ন কোম্পানি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে যেচে কাজ দিতে আসে। তারা কখনোই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নামমাত্র কোর্স ফি নিয়ে কোর্স করাতে চাইবে না।
আর যারা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোর্স করায় তাদের কোর্স থেকে আসলে খুব ভালো কিছু শেখার থাকে না। কোর্স শেষ করে হয়তো টুকটাক কাজ আপনি তাদের কাছ থেকে পাবেন। কিন্তু ঐ উপার্জনে আপনার কিছুই হবে না।
তাই কোনো ডিজিটাল স্কিল শেখার জন্য কোর্স যদি করতেই হয় তাহলে স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে করুন। পরবর্তীতে যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি খুঁজে নিন।
আগে কোর্স করে টাকা দিয়ে পরে চাকরি পাবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা কিন্তু থাকে না। তাই এই বিষয়ের প্রতি খুব সচেতনতার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
মাঝে মাঝে হয়তো অনেকেই দেখবেন, এক ঘন্টা কাজ করে ১০ ডলার আয় করুন এমন জব টিউন। আরও আছে, প্রতিদিন ১০ মিনিট সময় দিলেই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হবে। এমন অনেক চাকরির অফার আমরা অহরহ অনলাইনে দেখতে পাই। এই সব জব অফার আসলে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
১০ মিনিট কাজ করিয়ে কে আপনাকে ১০ ডলার দেবে একবার ভাবুন তো? যদি আপনার কোনো বিশেষ স্কিল থাকে তবে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু কোনো যোগ্যতা ছাড়া এতো লোভনীয় বেতনের কাজ পাওয়া আসলেই অসম্ভব। তাই এসব ১০ মিনিট ২০ মিনিটের কাজের অফার গুলো যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
আপনি যখন কোনো কোম্পানি, কোনো ব্রান্ড অথবা কোনো ওয়েবসাইট এর হয়ে কাজ করবেন তখন অবশ্যই ঐ প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্যেশ্য সম্পর্কে জেনে নিবেন। আপনাকে কেন কাজ দেয়া হবে, আপনার দ্বারা তাদের কতোটুকু উপকার হবে এই সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বুঝে আবেদন করা উচিত। আবেদনের আগে যদি মনে হয় কোম্পানি তাদের মূল উদ্যেশ্য আপনার কাছ থেকে লুকাচ্ছে তাহলে সেখানে আবেদন না করাই ভালো। কেননা একটি ভালো প্রতিষ্ঠান যে কোনো কর্মী নিয়োগ করার আগে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবে যে কেন তারা একজন কর্মীকে নিয়োগ দিচ্ছে।
তাই আপনাকে নিয়োগ দেয়ার মূল উদ্যেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আগে নিতে হবে। যদি মনে হয় আপনার কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উপকার হবে তবেই জবের জন্য আবেদন করুন। কেননা শুধু শুধু একটি প্রতিষ্ঠান কোনো কর্মীর পেছনে টাকা খরচ করবে না।
মনে রাখবেন কোনো কিছুই এমনি এমনি পাওয়া যায় না। বিশেষ করে চাকরি তো না-ই। আপনাকে চাকরি দেয়ার আগে অবশ্যই কোম্পানি ইন্টারভিউ নিতে চাইবে। অথবা আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কিনা তার প্রমান চাইবে। এমন-ও হতে পারে যে তারা আপনাকে দিয়ে একটি ডেমো কাজ করিয়ে নিতে পারে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে একটি অফিশিয়াল নোটিশ বা নিয়োগপত্র দিয়ে আপনাকে কাজে জয়েন করাবে। কিন্তু এরকম কোনো বৈশিষ্ট্য যদি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে এই কাজের মধ্যে কোনো ভ্যাজাল আছে। কারণ একদম শর্ত ছাড়া এতো সহজেই কাজ পাওয়া যায় না। আর সহজলভ্য কোনো কিছুই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না।
আপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই অথবা আপনি খুব বেশি যোগ্য না হওয়া সত্বেও আপনাকে বার বার চাকুরিতে জয়েন হওয়ার জন্য তোষামোদ করছে এমন লোকজন অনলাইনে অনেক পাবেন। একবার শুধু বলবেন যে আপনি কাজ করতে চান, এরপর দেখবেন বার বার আপনাকে টেক্সট করবে অথবা কল করতে থাকবে। কাজ না জানলে শিখিয়ে নেয়া হবে এমন অফার-ও দেয়া হয়। কিন্তু কোনো স্কিল না থাকা সত্বেও কেন আপনাকে বার বার কাজ করার জন্য অফার করা হবে?
তাহলে বুঝতেই তো পারছেন যে এই ধরনের অনলাইন জব আসলে বিশ্বাসযোগ্য না। যেখানে মানুষ দিনের পর দিন চাকরি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে সেখানে কেন আপনাকে তোষামোদ করা হবে? আপনার কোনো স্কিল নেই তা জেনেও আপনাকে কেন কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হবে কিংবা বার বার আমন্ত্রণ জানানো হবে? মনে রাখবেন ভালো অনলাইন জব টিউন আসলে বেশিদিন চলমান থাকে না। খুব দ্রুত অনলাইনে কাজ করার জন্য যোগ্য লোক পাওয়া যায় বিধায় এই সেক্টরে তোষামোদ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
ফেইক অনলাইন জব গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় কাজের কোনো নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকে না। বলা হয় আপনার সময় মতো যেভাবে খুশি কাজ করে দিলেই হবে। আসলে সত্যিই যদি কোনো ওয়েবসাই বা কোম্পানি আপনাকে বেতন দিয়ে কাজ করায় তাহলে আপনার ইচ্ছে মতো আপনি কাজ করতে পারবেন না। অবশ্যই তাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন বা নিয়ম থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করার নির্দেশনা থাকবে।
অবশ্য বেশিরভাগ অনলাইন জব কর্মীর সুবিধা মতো টাইমে করার সুযোগ থাকে। কিন্তু কাজের নির্দিষ্ট গাইডলাইন তো থাকতেই হবে। এমন নিয়ম বহির্ভূত কোনো কাজের অফার পেলে মনে করতে হবে এটা ফেইক জব সার্কুলার।
আশাকরি এরপর থেকে কোনো অনলাইন জব অফার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আগে যাচাই বাছাই করে দেখবেন ঐ জব সার্কুলার এর মধ্যে উপরে উল্লিখিত যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য আছে কিনা। যদি সকল দিক বিবেচনা করে জব অফারটি সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে সেখানে আবেদন না করাই ভালো।
আশাকরি আজকের টিউনটি আপনাদের জন্য উপকারী ছিল। অনলাইন আয় সম্পর্কিত এমন নতুন নতুন টিউন পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।