কল্পনা করুন, ভূতিয়ার পদ্মবিলের উজ্জ্বল জলের উপর ঝিলমিল নৌকা, সুন্দরবনের গহ্বরে রয়েল বেঙ্গলের গর্জন, ঐতিহ্যের সাক্ষী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় সহ সমুদ্রের বুকে ভাসমান পুটনী দ্বীপের রহস্যময় সৌন্দর্য। এই সবকিছুই একত্রে মিলে রচনা করে খুলনার অপূর্ব সুর। এখানে শুধুই নদী নেই, আছে ঈষৎ লবণাক্ত বাতাসে ঝুলন্ত ঝাউ গাছের সারি, গ্রামের মাটির ঘরের ধূপের গন্ধ, আর ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল।
এইব্লগে, আমরা আপনাকে নিয়ে যাব খুলনার ১০ টি অপূর্ব দর্শনীয় স্থানের মনোরম ভ্রমণে। প্রস্তুত হোন হারিয়ে যেতে সুন্দরবনের রহস্যময় পথে, মুগ্ধ হতে কটকা সমুদ্র সৈকতের ঝলমলে সৌন্দর্যে, আর বিস্ময়ে বিস্মিত হতে খুলনার ইতিহাসের পাতায় লেখা গল্পগুলোতে। তাহলে চলুন, ব্যাগ গুছিয়ে নিন, খুলনার অপরূপ দৃশ্য আপনাকে ডাকছে!
খুলনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। খুলনা জেলার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে।
খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মত হচ্ছে, ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত 'খুলনেশ্বরী মন্দির' থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি।
খুলনা অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই জনবসতি ছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই অঞ্চল মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে এই অঞ্চল পাল, সেন, মোঘল, ও ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।
খুলনা অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে বাণিজ্যিক গুরুত্বের অধিকারী ছিল। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে এই অঞ্চল থেকে চীনে রপ্তানি হতো সুগন্ধি, কাঠ, ও অন্যান্য পণ্য।
খুলনা অঞ্চলে ইসলামের আগমন হয়েছিল ৭ম শতাব্দীতে। হযরত খানজাহান আলী (র.) ছিলেন এই অঞ্চলের একজন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক। তিনি ১৪৫৯ সালে খুলনা অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন।
ব্রিটিশ শাসনামলে খুলনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর হিসেবে গড়ে ওঠে। ১৮৮১ সালে খুলনা জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে খুলনা জেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ খুলনা শহর মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
বর্তমানে খুলনা জেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। খুলনা জেলায় রয়েছে কৃষি, মৎস্য, শিল্প, ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ।
খুলনা জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে:
১সুন্দরবন
২. ভূতিয়ার পদ্মবিল
৩. পুটনী দ্বীপ
৪. হিরণ পয়েন্ট
৫. করমজল পর্যটন কেন্দ্র
৬. কটকা সমুদ্র সৈকত
৭. বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড
৯. খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়
১০. শহীদ হাদিস পার্ক
খুলনা জেলা বরাবরই বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অধিকারী জেলা। আসুন জেনে নেই উপরে উল্লাখিত খুলনা জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্যের বিস্তারিত বিবরণ।
খুলনার দর্শনীয় স্থান যখন কল্পনা করা হয়, মনের পটে প্রথমেই জেগে ওঠে সুন্দরবনের বীক্ষণ দৃশ্য। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে সুন্দরবন বাংলার ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যের অপূর্ব নিদর্শন। জোয়ার-ভাটার ছন্দে তালে তালে ঢেউ খেলানো এই সবুজ রাজ্যে লুকিয়ে আছে রহস্য, রোমাঞ্চ আর অপার সৌন্দর্য।
পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রের নিঃস্বাসের সাথে জন্ম নেওয়া সুন্দরবন অসংখ্য প্রাণীর নিবাস। রাজকীয় বাঘের গর্জন, চিত্রা হরিণের লাফঝাঁপ, নীল জলে গভীর সমাহিত ঘড়িয়াল আর আকাশ ছেঁকা গড়ানো পাখির দল - প্রতিটি দৃশ্যই মুগ্ধ করে ভ্রমন পিপাসুদের হৃদয়। সূর্যোদয়ের আভা যখন এসে পড়ে ঝড়া গাছের পাতায়, তৈরি হয় এক জাদুকরী আলোকখেলা। মধুমাসের সন্ধ্যায় হাজারো জোনাকির ঝিলমিল আলোয় সজ্জিত হয় বনজঙ্গল, যেন কোনো রূপকথার দেশে ভ্রমণ।
তাই যদি খুলনার দর্শনীয় স্থানের সন্ধানে থাকেন, তবে সুন্দরবনকে কখনয় এড়িয়ে যাবেন না। আসুন এবং হারিয়ে যান এই ম্যানগ্রোভের রাজ্যে, অনুভব করুন প্রকৃতির অপার ক্ষমতা সাথে মুগ্ধ হয়ে যান এই সুন্দরবনের স্বপ্নময় জগতে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, সুন্দরবন কেবল দর্শনীয় স্থানই নয়, এটি বাংলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষাকবচ। একটু দায়িত্বশীল ভ্রমণের মধ্য দিয়েই আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য এটি রক্ষা করে রাখতে পারি এই অপূর্ব সম্পদ, যাতে বাংলার গর্ব, খুলনার দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন, চিরকাল ঝলমলে থাকে।
খুলনার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় ভূতিয়ার পদ্মবিলের নাম উজ্জ্বল একটি তারা। তেরখাদা উপজেলার বুকে অবস্থিত এই বিল আবহমান বাংলার নির্মল প্রকৃতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। তবে এখানে সবেচে আকর্ষণীয় দৃশ্য এঁকে দেয় এখানেকার পদ্মফুলের অপরাজনীয় সমাহার। বিস্তীর্ণ জলরাশির বুকে লাল, সাদা, গোলাপী রঙের পদ্মফুল দলবেধে ফুটে থাকে, যেন নিরব কবির এক নিখুঁত ছবি এঁকে দিয়েছেন। সূর্যের প্রথম রশ্মির স্পর্শে এই ফুলের সমাহার এমন এক জ্যোতির্ময় দৃশ্য সৃষ্টি করে, যা চোখে ধরে রাখার মতো।
ভূতিয়ার পদ্মবিল শুধু পদ্মফুলের স্বর্গরাজ্যই নয়, এখানে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য রয়েছে আরও অগণিত আকর্ষণ। ঝাঁ চকচকে মাছরাঙার ঝাঁক, দূরের আকাশে লালচে ঢালু, জলকুঁজির মৃদু কলকাকলি - সব মিলে রচনা করে এক অপূর্ব সুর। পাখির ডাক, ঝিঁঝির শব্দ, পানির ঢেউয়ের তালে এই বিল আপনাকে মুগ্ধ করে ফেলবেই। নৌকা ভ্রমণে আপনি নিবিড়ভাবে উপভোগ করতে পারবেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। নৌকা চালকদের গল্প শুনতে শুনতে মনে হবে, যেন আপনি ঢুকে পড়েছেন গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী কাহিনিতে।
খুলনার দর্শনীয় স্থানের মানচিত্রে ভূতিয়ার পদ্মবিল যোগ করে এক অনন্য রঙ। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, নিরিবি প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে চাইলে এই বিল আপনাকে স্বাগত জানাবে এক উষ্ণ আলিঙ্গনে। তাই একবার সময় বের করে আসুন ভূতিয়ার পদ্মবিলে, উপভোগ করুন প্রকৃতির অপূর্ব শিল্পকর্মের।
বাংলাদেশের খুলনার দর্শনীয় স্থান গুলির প্রত্যেকটি যেন প্রকৃতির অপার সৃষ্টিশৈলের নিদর্শন। এরই মাঝে এক ঝলমলে রত্ন হলো পুটনী দ্বীপ। স্থানীয়দের কাছে দ্বীপচর নামেও পরিচিত এই অপূর্ব স্থানটি সুন্দরবনের বুকে নিবিড়ে আশ্রিত, আর আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর সাথে বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থলে নিজের মনোমুগ্ধকর রূপ বিকশিত করেছে।
পুটনীর আয়তন ছোট, মাত্র ৩.৩ বর্গ কিমিটার। কিন্তু এই ক্ষুদ্রতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে অপার বিস্ময়। এক প্রান্তে ঘন সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের প্রাচীনতার নিশ্বাস, অন্য প্রান্তে বিস্তীর্ণ সৈকতের সুপ্রশস্ত বালুকাচুম্বক। জোয়ার-ভাটার ছন্দে দ্বীপটির রূপ বদলিয়ে যায় কৌশলে। জোয়ারে সমুদ্রের বুকে ভাসমান এক সবুজ দ্বীপ, ভাটে সোনালি বালুকার সমাহার।
পুটনীর প্রকৃতির সৌন্দর্যের বর্ণনায় শব্দ হিমসিম খায়। ঘন কাশবনের পথ দিয়ে লাল কাকড়ার ঝাঁক ঝলমল করে, হরিনের ডাক বাতাসে ভাসে। সূর্যোদয়ের রঙিন আলোয় সৈকত ঝলমল করে, সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রের বুকে সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। এখানে প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পারেন এক ঘণ্টার নৌকা ভ্রমণে, অথবা পা চালিয়ে সৈকতের বালুকে ছবি আঁকতে পারেন।
পুটনী দ্বীপ শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই সমৃদ্ধ নয়, ইতিহাসের সাক্ষীও। স্থানীয় পৌরাণিক কাহিনী ও লোকগীতি এখানকার বাতাসে মিশে আছে। পুরনো দিনের বাংলা চলচিত্রে দাখানো সেই ঐতিহ্যবাহী মাছ শিকারের নৌকাগুলো দেখা মেলে এখানে, যা আপনাকে দেশের গভীরতম ঐতিহ্যের ছোঁয়া লাগাবে।
খুলনার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় পুটনী দ্বীপ অবশ্যই অন্যতম। প্রকৃতির কোলাহলে নিজেকে হারিয়ে ফেলার, ইতিহাসের স্পর্শে মন ভোলানোর, অথবা শুধু নিরিবতা উপভোগের জন্যই নয়, পুটনী আপনাকে দেবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা, মনে রাখার মতো এক স্মৃতি।
খুলনার বুকে, সুন্দরবনের কোমল স্পর্শে, অবস্থান করছে হিরণ পয়েন্ট। নামটি যেমন মৃদু, স্থানটিও তেমনি মনোমোহন। একদিকে রয়েছে ঝলমলে পানির বিশাল বিস্তার, অন্যদিকে সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের ঘন অবকাশ। এখানে আসলে মনে হয়, প্রকৃতি নিজ হাতে রচনা করেছে এক মনোরম চিত্রকলা।
হিরণ পয়েন্টে পৌঁছানোর পথটিও এক দৃষ্টিনন্দন অভিজ্ঞতা। নদীর দুই পাশে সারিবদ্ধ কেওড়া গাছের সবুজ দেয়াল, মাঝে মাঝে ঝিলমিলিয়ে উঠছে লাল গৈয়া গাছের ফুল। নৌকা ভাসিয়ে এগিয়ে গেলে মনে হয়, এক সবুজ সুড়ঙ্গ পেরিয়ে আসছেন আপনি।
পৌঁছেই চোখ জুড়িয়ে যায় বিশাল নদীর ঝলমলে পানির বিস্তৃতি। সুদূর দিগন্তপটে মিশে গেছে নদী আর আকাশ। সূর্যাস্তের আলোয় পানি রাঙা হয়ে ওঠে, যেন কোনো অপূর্ব রত্নের জমকালো প্রদর্শন। ঠান্ডা বাতাস, পাখির কলকাকলি, নদীর জলের ছক ছক শব্দ - সব মিলে রচনা করে এক অপূর্ব রঙের মিলন।
হিরণ পয়েন্টে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই উপভোগ করা যায় না, এখানে রয়েছে নানা রকম মনোরঞ্জনের সুযোগ। মাছ ধরে আনন্দ করা, নৌকা ভ্রমণ করা, সুন্দরবনের পাখি দেখা - এসব কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে পারেন আপনি। সন্ধ্যায় নদীর কিনারে বসে চা খেয়ে, সূর্যাস্তের মায়ামাধুর্য উপভোগ করার মতো অপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
খুলনা ঘুরতে এলে, অবশ্যই একবার হিরণ পয়েন্টে আসবেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ কাটিয়ে, মনকে ছেড়ে দিন প্রকৃতির মাঝে, দিনশেষে ফিরে যাবেন নতুন উজ্জীবিত এবং এক নতুন স্মৃতি নিয়ে।
খুলনার বুকে, সুন্দরবনের কোমল কোলে লেপটে রয়েছে করমজল পর্যটন কেন্দ্র, যা খুলনার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এক মায়াবী প্রকৃতির লীলাভূমি। ঝিমঝিম বাতাসে সবুজ গাছের ঝাঁপছাড়ি আর ঘোলা পানির ঝিলমিল আলোয় ঋদ্ধ এই স্থানটি প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয় মুহূর্তেই।
এখানে মাতলা নদীর বুকে নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অপূর্ব। নদীর দুই তীরে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়া আর গর্জন গাছের পর্দা আপনাকে এক স্বপ্নলোকে নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় লালচে আকাশের নিচে নদীপথে চলা আর পাখির কলকাকলি শুনতে পেয়ে মনে হয় যেন কবির লেখা কোনো কবিতার অংশ হয়ে গেছেন।
পাখিরাজদের কলকাকলি আর সবুজ বনের ঘন ছায়ায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য করমজল এক আদর্শ জায়গা। এখানে আপনি আরও দেখতে পাবেন নানান রকমের পাখি, যেমন টিয়া, শালিক, মাছরাঙা, আরও কত! পাখি দেখার শখ অনুরাগীদের জন্য এ সত্যিই এক স্বর্গ।
খুলনার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় করমজল পর্যটন কেন্দ্র অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতির মনোমোহী সৌন্দর্য এবং পাখিরাজদের কলকাকলির মিলিত সুরে করমজল আপনাকে কাছে টানবে বারবার। তাই একবার সময় বের করে চলে আসুন করমজলে, হারিয়ে যান প্রকৃতির কোলে, উপভোগ করুন মনের শান্তি।
খুলনার দর্শনীয় স্থান এর তালিকা করতে গিয়েই মনে পড়ে গেল সুন্দরবনের গভীর সবুজ অরণ্য প্রান্তরে অবস্তিত কটকা সমুদ্র সৈকতের কথা। সুন্দরবনের একেবারে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে লুকিয়ে আছে এই মোহনীয় মৃদু বালুকার রাজ্য - কটকা সমুদ্র সৈকত।
জামতলা নামেও পরিচিত এই সৈকত পৌঁছানোর পথেই চোখ ধাঁধিয়ে দেয় বনভূমির অপূর্ব শোভা। প্রায় তিন কিলোমিটার ঘন সুন্দরী, গেওয়া, গরান ও কেওড়ার বন পেরিয়ে সৈকতে পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা এক দুর্লভ মায়াবি কবিতা।
সমুদ্রের বুকে বিস্তৃত হয়ে থাকা কটকা সৈকতের মসৃণ বালুগুলো ভ্রমন পিপাসুদের জন্য এক অন্যতম আকর্ষণ। ঢেউয়ের ছন্দে শব্দ তৈরি করে তীরে ভেসে আসা সমুদ্রের নিঃশ্বাস আপনাকে মুগ্ধ করে ফেলবে হরহামেসাই। অবশ্য, ঢেউয়ের আকার অত্যন্ত পরিবর্তনশীল, তাই সাবধানতা অবলম্বন করেই সমুদ্রের সান্নিধ্য উপভোগ করাটাই শ্রেয়।
কিন্তু কটকা শুধু সমুদ্রই নয়। সুন্দরবনের সৌন্দর্যের এক ঝলক পেয়েছে এই সৈকতও। মনে হয় অরন্ন তার পিপাসা মেটাতে নেমেগেছে এখানে। জোয়ারের ঢেউয়ে ধুয়ে যাওয়া গাছের শেকড়, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলি, দূরের অরণ্য থেকে আসা বন্য প্রাণীর ডাক - প্রকৃতির এই সুরের সমাহার আপনাকে আরও গভীরভাবে মুগ্ধ করবে। হয়তো কোনো সৌভাগ্যবান মুহুর্তে দূরের জঙ্গলে রাজার মতো বিচরণকারী রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও দর্শন পেতে পারেন!
খুলনার দর্শনীয় স্থান গুলিতেই কটকা সমুদ্র সৈকত এখন অনন্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। অপরিসীম সমুদ্রের বিস্তৃতি, বনভূমির রহস্য আর প্রকৃতির নির্মল সুরের মিলনে কটকা আপনাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে - দূরত্বের ক্লান্তি ভুলিয়ে, মনের গভীর কোণে লাগিয়ে দেবে স্মৃতির অম্লান রঙ।
খুলনার দর্শনীয় স্থান-এর তালিকায় আরও একটি নক্ষত্র যোগ হয়েছে। জার নাম বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড। এই দ্বীপটি শুধু একটি ভূখণ্ডই নয়, প্রকৃতির এক অপূর্ব শিল্পকর্ম। পাসান নদীর বুকে সবুজের কার্পেটে বিছানো এ স্থানে রয়েছে নিবিড় বনাঞ্চলের রহস্য, পাখির কলকাকলীর বর্ণমেলা, এবং সূর্যাস্তের লালচে আভা।
এখানে পা রাখলেই মনে হয়, সময় থেমে গেছে। নির্মল বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে মন প্রশান্ত হয়ে যায়, আর চোখ জুড়িয়ে যায় সবুজের অপার সমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড ঘুরে দেখা যায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কিছু অংশ, পাখির অভয়ারণ্য, এবং নান্দনিক লেক। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এ এক স্বপ্নের ভুবন।
এদানিং, পাখিদেরমেলা হয়ে উঠেছে এই দ্বীপের আরেক আকর্ষণ। এখানে বসে দুরের বনাঞ্চলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো দেখা এবং তাদের মিষ্টি কলকাকলী শোনা, এযেন এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। আর সন্ধ্যায় যখন সূর্য ডুবইতে আকাশ যেন লালচে রঙে রাঙা হয়ে যায়। মনেহয় যেন এক বিশাল ক্যানভাসে রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে কোন মহান শিল্পী।
খুলনার পর্যটন শিল্পে বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড নিয়ে এসেছে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিতে, ঝিমঝিম বাতাসে চুল উড়িয়ে দিতে, আর মনের গভীর শান্তি খুঁজতে, আপনার অপেক্ষায় রয়েছে এই মনোরম দ্বীপ।
দক্ষিণের হৃদপিণ্ড খুলনাকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আঁচলে বুঝতে চাইলে অবশ্যই যেতে হবে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘরটি আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম, যা শুধু প্রত্ন নিদর্শন প্রদর্শনই করে না, বরং খুলনার দর্শনীয় স্থান গুলোর গল্প বলে।
প্রাচীন গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল ও ব্রিটিশ আমলের মূর্তি, পোড়ামাটির ফলকচিত্র, অলংকৃত ইট, ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ ও খানজাহান আলী সমাধিসৌধের আলোকচিত্র ঘুরেফিরে দেখতে দেখতে মনে হয় যেন কালপাতার উঠিয়ে দিয়ে অতীতে পাড়ি দিচ্ছি। জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্য-সংশ্লিস্ট নিদর্শন, যা অঞ্চলটির আবহমানবাসীদের জীবনযাত্রার কথা ফুটফুট করে বলে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছাড়াও, এখানে রয়েছে লোকশিল্পের অপূর্ব নিদর্শন, যা এক ঝলকেই মুগ্ধতা ছড়ায়।
খুলনার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এক ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর। খুলনার দর্শনীয় স্থান সম্পূর্ণ না হবে না, যদি না একবার পা রাখেন এই জাদুঘরে।
খুলনার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়। ফুলতলার দক্ষিণডিহি গ্রামে অবস্থিত এ বাড়িটি কবির শ্বশুর দ্বারকানাথ চৌধুরীর বাসভবন ছিল।
একতলা বিশিষ্ট এ বাড়ির মরিচা লেপা টালি, লালচে ইটের দেয়াল ও খোদাই করা কাঠের খিল খেল দেখলেই মনে পড়ে যায় কবির কবিতায় বর্ণিত গ্রামীণ বাংলার ছবি। উঠোনে প্রাচীন আমগাছটির ছায়ায় বসে শুনতে পারেন যেন চৈত্রের বায়ুতে পাতার কচকচানি আর পাখির কলকাকলি। এখানেই কবিগুরু তার শ্বশুরবাড়ির জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে রচনা করেছিলেন "শশুরবাড়ি" কাব্যখানি।
ইতিহাসের সাক্ষী এ বাড়িতে পা রাখলে মনে হয় যেন কবির পদধ্বনি এখনও লেগে রয়েছে উঠোনে। এখানে ঘুরে বেড়িয়ে আপনিও অনুভব করবেন ঐতিহ্যের স্পর্শ, সাহিত্যের সুর আর কবির স্মৃতির গন্ধ। খুলনার দর্শনীয় স্থান সম্পূর্ণ হবে না যদি না একবার পা রাখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়ে।
খুলনার দর্শনীয় স্থান গুলোর তালিকায় আমার ঝুলিতে ১০ম তম স্থান হল শহীদ হাদিস পার্ক। খুলনার হৃদয়ে, পুরনো শহরের কোলাহলে, এক টুকরো সবুজ নভোদীঘির মতো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে খুলনার এই দর্শনীয় স্থান, শহীদ হাদিস পার্ক। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি শুধু শহরের অলঙ্কার নয়, ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী। মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্যের মঞ্চ, দেশভাগের স্মৃতিবিজড়িত পথ, শহীদ হাদিসের নামে উজ্জ্বল স্মৃতিস্তম্ভ – প্রতিটি ইটেই গল্প বলে এই পার্ক।
আজকের আধুনিক চেহারায়ও ঐতিহ্যের সুর ঝংকৃত করে শহীদ হাদিস পার্ক। ঝর্ণার জলের ঝিলমিল, শিশুদের হাসি, বৃদ্ধদের আড্ডা – সব মিলে এক সুন্দর সমাহার তৈরি করেছে এই পার্ক।
যুগ পাল্টালে পার্কের নাম পাল্টালেও, শহীদ হাদিসের স্মৃতি অটুট রয়েছে এখানে। সন্ধ্যায় লালচে রোদে লাগে পার্কের নতুন রূপ। আলোকিত পথ, ঝর্ণার জলের ঝলকানি, সব মিলে এক মায়াবী দৃশ্যপট তৈরি করে।
খুলনার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় শহীদ হাদিস পার্ক এক অনন্য নাম। ইতিহাসের সাক্ষী, প্রকৃতির আশ্রয়, শহরের ফুসফুস – বহু গুণে শোভা পায় এই পার্ক। একদিন সময় বের করে এসে, নিজের চোখে দেখে নিন এই সবুজ স্মৃতিচিত্রকে।
খুলনা জেলা আপনাকে ডাকছে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার পসারে। প্রস্তুত হন ঝাঁপিয়ে পড়তে এই দক্ষিণাঞ্চলের মোহনীয়, এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। কিন্ত কিভাবে যাবেন এই অপরুপ সৌন্দর্যের লিলাভুমিতে। আসুন জানি কোন পথ এবং কোন গাড়িতে চড়ে পৌঁছাতে পারবেন খুলনার দুয়ারে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী - যেখানেই থাকুন না কেন, খুলনা পৌঁছানো সহজেই সম্ভব। রেলপথের ঝিক ঝিক শব্দ পছন্দ করলে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে পাড়ি দিন খুলনার দিকে। রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরু করতে পারেন খুলনা এক্সপ্রেসের আরামদায়ক কামরায়। আর দক্ষিণের হাওয়ায় মুখ ভাসাতে চাইলে চট্টগ্রাম বা সিলেট থেকে লঞ্চে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন খুলনার উদ্দেশে। কুমিল্লা থেকে নৌকাযোগ এবং রাজশাহী থেকে বাসও রয়েছে আপনার জন্য।
খুলনা পৌঁছানোর পর প্রথমেই দরদাম ঠিক করে রিক্সায় খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে ঢুঁ মারুন। এর পরেই লালদীঘি জামে মসজিদের নিরবতা অনুভব করুন। ঐতিহাসিক খান জাহান আলী সেতু পার হয়ে রূপসার তীরে এসে মন ভাসিয়ে দিন।
খুলনার বিশেষ দর্শনীয় স্থান একটু দূরে গেলেই অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। সুন্দরবনের রহস্যময় জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সন্ধানে অ্যাডভেঞ্চার সহ রোমাঞ্চকর নৌকা সফর। কটকা, শাতজঙ্গল এবং হিরণ পয়েন্ট - প্রতিটি নামেই এক অপূর্ব দৃশ্য। গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে শত শহীদের সাহসে নতুন মাত্রায় ঢাকবে দেশপ্রেম। রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি ঘুরে পান কবি কবি ছোঁয়া।
জীববৈচিত্র্য অনুভব করতে চাইলে বনবিলাস চিড়িয়াখানায় যান। শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সেরা জায়গা। আর প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে চাইলে ভূতিয়ার পদ্মবিলের লাল শাপলা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। যদিও উপরে খুলনার ১০ টি দর্শনীয় স্থানের তালিকায় অনেক স্থানেরই জাইগা দিতে পারিনি। কারন খুলনা এমন একটি শহর যার প্রীতিটি জাইগাই ঐতিহ্যে এক নিঃশব্দ দর্শন লুকিয়ে আছে।
খুলনা যাত্রা শুধু দর্শনীয় স্থানেই সীমাবদ্ধ নয়। রসনা তৃপ্ত করতে খান জাহান আলী সেতুর নিচে রয়েছে নানান রকম খাবারের দোকান। জিলাপি, লুচি, চমচম - প্রতিটি গ্রাসেই মুখে পান স্থানীয় স্বাদ।
তো প্রিয় বন্ধুরা টেকটিউনসে আমার লেখা ভ্রমণ গাইড-এর আজকের আর্টিকেল এই পর্যন্তই। আশাকরি পুরো আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুলনার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনাকে কিছুটা ধারনা দিতে পেরেছি। আগামীতে কোন জেলার দর্শনীয় স্থান বা ভ্রমণ গাইড নিয়ে লিখব তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন।
আমি এম আর শাকিল। ৩য় সেমিস্টার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাভার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তির নতুন নতুন বিষয়াদি জানতে ও শিখতে আমার ভালো লাগে। যেটুকু শিখতে পারি তা অন্যদের সাথে শেয়ার করতেও ভালো লাগে। তাই আমি নিয়মিত প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ টেকটিউনসে লেখালেখি করি। আমার লেখালেখির উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ ও জ্ঞান বৃদ্ধি করা। আশা করি আমার লেখাগুলো আপনাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন কিছু...
টেকটিউনস থেকে আর্ন শুরু করতে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার একটি পেশা। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার পেশায় অনেকে নিয়োজিত আছেন এবং নিয়মিত টেকটিউনস থেকে আর্ন করেন।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে, টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের জন্য করা ১০ টি টিউন নির্দিষ্ট গাইডলাইনে প্রকাশ থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হতে আপনার বেসিক SEO কন্টেন্ট রাইটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়। এবং বেসিক কন্টেন্ট ফরমেটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়। সেই সাথে অবশ্যই SEO টেকনিকাল ব্লগ রাইটিং এর পারদর্শীতা প্রয়োজন হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হওয়া নির্ভর করে আপনার IQ ও Skill এর উপর।
টেকটিউনসে রিচ, হাই কোয়ালিটি, ইউনিক এবং টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন ফলো করে টিউন করা পারদর্শীতা সম্পন্ন যে কেউ টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে পারে।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় স্কিল থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে এই সকল টিউন টপিকের উপরে টিউটোরিয়াল বেইজড টিউন লিখতে হয়।
এখানে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার টিউন টপিক এর আংশিক রয়েছে। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার টিউন টপিক এর বিস্তারিত দেখুন টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার গাইডলাইনে।
লক্ষ করুন: টিউন ক্যাটাগরি ও টিউন টপিক এক বিষয় নয়। দুটো আলাদা বিষয়। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হিসেবে কাজ করতে আপনাকে অবশ্যই বেসিক কন্টেন্ট রাইটিং এর পারদর্শীতা থাকতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের আগে এ বিষয় গুলো সঠিক ভাবে নিশ্চিত হয়ে, টেকটিউনস ডেস্কে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদন করতে হয়।
লক্ষ করুন
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে প্রকাশিত ১০ টি টিউন, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের রিভিউ এর জন্য কাউন্ট হয় অর্থাৎ আপনার সর্বশেষ প্রকাশিত ১০ম থেকে ১ম টিউন, টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার আবেদনের রিভিউ এর জন্য কাউন্ট হয়। টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদনের তারিখ থেকে সর্বশেষ, ৩০ দিন এর মধ্যে প্রকাশিত ১০ টি টিউনের যে কোন ১ টি টিউন টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন পূরণ না হলে পুরো ১০ টি টিউনই বাতিল হয়। এই ১০ টি বাতিল হয়ে যাওয়া টিউন আর পরবর্তি কোন আবেদনের জন্য কাউন্ট হয় না।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন বাতিল হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আর নতুন করে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন করা যায় না।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন বাতিল হলে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হলে পুনরায় আবার টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার গাইডলাইন পূরণ করে, নতুন করে, সর্বশেষ ৩০ দিন এর মধ্যে নতুন ১০ টি টিউন প্রকাশ করে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার আবেদন করা যায়।
আপনি যদি কনফিডেন্ট থাকেন যে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হবার সকল স্কিল আপনার রয়েছে তবে আপনি টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার হতে পারবেন।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে আপনাকে সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় এরপর আলাদা ভাবে আবেদন করতে হয়। আরও জানতে দেখুন টেকটিউনসে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন।
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হওয়ার জন্য প্রথমত টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ গাইডলাইন অনুযায়ী টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ অর্জন করতে হয়।
এরপর টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার কীভাবে? গাইডলাইনে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয়। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এরপর আলাদা ভাবে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার আবেদন করতে হয়।
টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার দুটি আলাদা বিষয়। টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ ও টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার ব্যাজ দুইটি আলাদা আলাদা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।
টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ ব্যাজ অর্জন ব্যতিত ও টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনার কীভাবে? গাইডলাইনে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন ব্যতিত টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হবার আবেদন করা যায় না।
আরও দেখুন টেকটিউনসে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন