আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আবার হাজির হলাম আপনাদের জন্য নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আলোচনা করব বিটকয়েন নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

মাত্র এক দশক আগে আবির্ভূত হয়ে অর্থনৈতিক বিশ্বের অন্যতম ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে বিটকয়েন। কম সময়ে এটি অর্জন করেছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিটকয়েনের গ্রহণযোগ্যতা, ক্রয় ক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনায় একে অর্থনৈতিক বিশ্বের সম্ভাব্য গেম চেঞ্জার হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বিটকয়েনের উচ্চতর ক্রয় ক্ষমতার কারণে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন আকার দিতে পারে এবং এমনকি মার্কিন ডলারের আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

আমরা জানি বিশ্ব অর্থনীতিতে কয়েক দশক ধরে মার্কিন ডলার আধিপত্য ধরে রেখেছে, এর মধ্যে বিটকয়েন কি তার রাজত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে?

বিটকয়েন vs মার্কিন ডলার

অর্থনীতি জগতের তুলনামূলক নতুন এক প্রতিযোগীর নাম বিটকয়েন। Seth নামের একজন ফাইনেন্স এনালিস্ট এর প্রকাশিত একটি চার্টে দেখা যায় ২০১০ সাল থেকে বিটকয়েনের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে এখন আকাশচুম্বী হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন ডলারের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।

https://twitter.com/seth_fin/status/1643351701007499266?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1643351701007499266%7Ctwgr%5E817b96d0efb4c81fc714c3b6c6d2ac5ec722c7c9%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fbitcoinist.com%2Fbitcoin-set-to-revolutionize-finance%2F

বিটকয়েনের এই ট্রেন্ড গুলো অর্থনীতি নিয়ে আমাদের বিদ্যমান ধারণা গুলো পালটে দিতে পারে। “Rich Dad, Poor Dad, ” এর মত বেস্ট সেলিং বুক এর লেখক Robert Kiyosaki ও এই পরিবর্তনকে এবং বিটকয়েনের গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করেছেন।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ Kiyosaki, মার্কিন ডলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তার অনুসারীদের বিটকয়েন, সোনা এবং রৌপ্য এর মধ্যে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি পরামর্শ দেন মানুষ যেন জরুরী ভিত্তিতে নিজেদের সম্পদ রক্ষা করে এবং মার্কিন ফিয়াট মুদ্রাকে "জাল টাকা" হিসাবেও বর্ণনা করেছেন।

ক্রয় ক্ষমতায় বিটকয়েন এগিয়ে

Seth এর প্রকাশ করা চার্ট থেকে বুঝা যায় অর্ধ শতাব্দীতে ক্রমাগত ডলারের ক্রয়ক্ষমতা কমেই যাচ্ছে। ৩০০ থেকে এটি কমে ৩৩.২ পয়েন্টে এসেছে। অন্য দিকে বিটকয়েন ২০১০ থেকে ৩৩ পয়েন্ট থেকে ২৫৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। মাত্র ১৩ বছরে এটি ৬৭২.৭৩% বেড়েছে।

ফাইনান্সিয়াল এই ট্রেন্ড গুলো এবং বিটকয়েনের ক্রয় ক্ষমতা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে, অর্থনৈতিক বিশ্বে বিটকয়েনও এখন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও সব ট্রেন্ড পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় না। তবে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে ট্রেন্ড গুলো ইঙ্গিত দেয়।

শেষ কথা

সব মিলিয়ে বলা যায় প্রযুক্তির উদ্ভাবনের এই যুগে ট্র্যাডিশনাল ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না৷ গতানুগতিক অর্থ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়বে এবং ডিজিটাল মুদ্রা গুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সুতরাং আমাদের উচিৎ এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করা এবং সম্পদ রক্ষা করার জন্য ডিজিটাল মুদ্রার দিকে মনোযোগ দেয়া।

তো আজকে এই পর্যন্তই, কেমন হল আজকের টিউন তা অবশ্যই টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।