সিভি রাইটিং:
এই সিভি রাইটিং নিয়ে আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের মধ্যে কিন্তু অনেক প্রশ্ন থাকে। তাই অনেকে এসব ঝামেলাই না গিয়ে লোকাল দোকান থেকে একটা কমন সিভি অথবা রিজিওমি প্রিন্ট করে নেই। যা একটা কমন ফরম্যাট সবাই একই ইউজ করে। তাহলে একজন স্টুডেন্ট কখন তার সিভি বানাবে? আজকের টিউনে আমরা জানব এর বিস্তারিত।
সিভি কখন লিখবেন?
সিভিটা কিভাবে লিখতে হয়? কেন লিখতে হয়? কখনই বা লিখতে হয়? এটা কি অনার্স ফোর্থ ইয়ারের শেষে লিখতে হয় নাকি ফার্স্ট ইয়ার থেকেই লিখতে হয়। এবং সিভির ফরম্যাটই বা কেমন হবে? ফরম্যাটটা কোত্থেকে পাওয়া যাবে? কাকে knock করবো নাকি গুগলের হেল্প নিব কি করবো? অনেক প্রশ্ন থাকে, রাইট- সো আজকে সিভিরাইটিং নিয়ে যত ধরনের প্রশ্ন আছে সবগুলা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
সো প্রথম প্রশ্ন আসে সিভিটা আমাদের কখন দরকার? এই কথার উত্তর হবে সিভিটি তোমার আজকে এবং এখনই দরকার। কেন জানো? তুমি চিন্তা করে দেখো। তোমার ড্রিম জব আর তুমি। এই দুটোর মাঝখানে কিন্তু দুটো জিনিস থাকে। একটা হল তোমার সিভি। একটা হল তোমার ইন্টারভিউ। তার মানে প্রথম স্টেপটাই কিন্তু সিভি। তোমার সিভি যদি ভালো না হয়। তুমি কিন্তু ইন্টারভিউতে যেতে পারবা না। ইন্টারভিউতে না যেতে পারলে তুমি চাকরিটা পাবা না। সো তোমার ড্রীম জবে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো সিবি। তুমি এমন অনেক জায়গায় যেতেও পারবা না যে জায়গাগুলোতে তোমার সিভি যাবে। এবং সিভি কিন্তু তোমাকে রিপ্রেজেন্ট করে। তো তোমাকে রিপ্রেজেন্ট করে এমন একটা ডকুমেন্ট সেটাকে কিন্তু তোমার খুবই খুবই ভালোভাবে তৈরি করা দরকার।
দ্বিতীয় রিজন রিমাইন্ডার।
তোমরা কিন্তু অনেকেই ভাবো অনার্স ফোর্থ ইয়ারের শেষে CV তৈরী করতে হয়। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা। আমি আরো বলব তোমরা যারা University তে পরছো প্রথম বর্ষেই প্রথম সেমিস্টারে তুমি তোমার সিভিটা এডিট করে ফেলো। কেন জানো? এরপরে প্রতি সেমিস্টারের পর সিভিটা একবার এডিট করার চেষ্টা করো। তুমি দেখবে যে তুমি সিভিতে এডিট করার কিছু খুঁজে পাচ্ছ না। খালি সিজিপিএ থ্রি পয়েন্ট ফাইভ ওয়ান থেকে থ্রি পয়েন্ট ফাইভ টু হয়েছে। এটা আমাদের সিভিতে লিড করার কিছুই নেই তার মানে কি জানো তুমি গত সেমিস্টারে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করোনি। অফকোর্স তুমি যদি কোনো কাজ করতে তুমি সিভিতে ওটা লিখতে পারতে সো প্রতি সেমিস্টার পর তুমি যখন সিভিটা এডিট করতে যাবে আর তুমি দেখবে সিভিতে এডিট করার কিছু নাই এটা তোমাকে একটা চুস্ক একটা মাঠ দিবে এবং তোমাকে রিমাইন্ড করে দেবে যে তুমি পুরো গত সেমিস্টারে কিছুই করোনি যে খুব ভালো একটা রিমাইন্ডারের জন্য তোমার সিপিটা আজকেই তৈরি করা দরকার এবং প্রতি সেমিস্টার পর সিভিটা এডিট করা দরকার।
তৃতীয়ত ফাইন টিউনিং।
তুমি যদি আজকে নিজে বাসায় বসে একটা সিভি তৈরী করে ফেলো এবং তুমি যদি ইউনিভার্সিটির লাইফের প্রতি সেমিস্টার পর একবার করে এডিট করো। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখো। ফাইনালি তুমি যখন তোমার সিভিটা কোন অফিসে সাবমিট করতে যাবে। ওই সিভিতে কোন গ্রামেটিক্যালের মিসকট্যাকের চান্স থাকবে না, কোনো ধরনের কমন মিসট্যাক পাবেনা, ডেলি মিসট্যাক থাকবেনা অথবা যত ধরনের Mistake হতে পারে একটাও Mistake থাকবে না। তার কারণ হলো তুমি এতবার CV টাকে এডিট করেছো। এতবার প্রুফ ফিট করেছো সো এই সিভিতে কোনো রকমের কোনো প্রকার ভুল থাকার অবকাশই থাকে না। সো আজকেই যে তোমার নিজের সিভিটি লিখে ফেলো।
অবশ্যয় সিভি লেখার কৌশল সম্পর্কে আরো বেশি জানতে এবং কোথায় কোথায় সিভিতে ভুল হয় সেটা জানতে ভিজিট করুন http://www.techtunes.io তে।
আমি রায়হান বাদশাহ। Asst. Manager, Palmal Group, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।