হ্যালো বন্ধুরা, আমি হিমু,
প্রায় ৪-৫ বছর পর আপনাদের জন্য হাজির হলাম। এর মধ্যে পরিচিত অনেকেই হয় তো এখানে আর নেই। আবার অনেকেই নতুন এসেছেন।
যাই হউক এবার কাজের কথায় আসি- দাত থাকতে দাতের মর্ম না বুঝা মানুষ গুলো সব সময় নানা ভাবে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হয়। কেন হ্যাক হলাম এটার আগে ভাবা দরকার ছিল আমাদের চ্যানেল টাও তো হ্যাক হতে পারে! কারন আপনি যত উপরে উঠবেন ততই সকলের দৃষ্টি কোণে থাকবেন। এর মধ্যে কিছু লোক যারা আপনার ভালো চাইবে আবার কিছু লোক যারা আপনার পতন চাইবে।
যেখান অনেক দিন প্রচেস্টের পর এতো ইনকাম করছেন। সেটার সিকুরিটি নিয়ে কতটুকু পদক্ষেপ নিয়েছেন?
আপনি হয় তো অনেক নামি দামি ফোন বা গাজেট ব্যবহার করে নিজেকে স্মার্ট ভাবছেন। কিন্তু আপনি তখন পর্যন্ত স্মার্ট না যতখন পর্যন্ত আপনার এই ডিভাইস গুলো আপনার পরিপূর্ণ কন্ট্রলে রাখতে পারছেন। টেকনোলোজি আপডেট হচ্ছে। অথচ প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সাইবার আক্রমণে পরছে। আবার অনেকেই স্বল্প জ্ঞানে নিজেকে খুব চালাক মনে করে বিপদে পরে থাকে।
বর্তমানে অনেকেই অনলাইন ইনকাম তথা, ব্লগিং / ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের প্রফেশন বেছে নিচ্ছেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই নতুন। তো কাজ করার জন্য আমরা সব কিছুই ফ্রিতে ব্যবহার করার চেষ্টা করি। Winddows থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রফেশনাল সফটওয়্যার - Adobe Photoshop, adobe premiere pro, edius video editing software, এই জাতীয় অনেক প্রিমিয়াম সফটওয়ার এর ক্রাক ভার্সন ব্যবহার করে নিজেদের খুব বুদ্ধিমান মনে করি। যেমন-
"মানুষ কেন যে টাকা দিয়ে কিনে সফটওয়ার চালায়? আমি তো জিনিয়াস তাই মাগনাই সব চালাই"
একই ভাবে কি ভেবে দেখেছেন মানুষ কেন এই সকল প্রিমিয়াম সফটওয়ার গুলো আপনাদের ফ্রিতে দিচ্ছে?
কারন এ সকল সফটওয়্যার এ রয়েছে Backdoor Api call system. যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার / ডিজিটাল ডিভাসের বিভিন্ন ডেটা গুলোর এক্টিভিটি ও বিভিন্ন পার্সোনাল তথ্য তাদের হাতে চলে যাচ্ছে। তারা কিন্তু শুরুতেই আপনার ক্ষতি করবে না। তারা অপেক্ষায় থাকবে আপনি কত দিনে বিখ্যাত হবেন। বা আপনার তথ্য গুলোর মার্কেট ভেলু কখন কি রকম হয় সেটার উপর ডিপেন্ড করেই তারা আপনার ডেটা গুলো কাজে লাগাবে।
এটা ঠিক যে এত দামি সফটওয়ার সবার পক্ষে কিনে ব্যবহার করা সম্ভভ নয়। তাই দীর্ঘ দিন একই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন না। মাঝে মাঝে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে সেটাপ করুন। সফটওয়ার এর ক্যাশ ফাইল ক্লিয়ার রাখুন। অপারেটিং সিস্টেম এর লগ ফাইল মাঝে মাঝে পরিস্কার করুন।
এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ব্রাউজার এ নানা কাজে বিভিন্ন থার্ডপার্টি এক্সট্রেনশন ব্যবহার করি। যেগুলো চাইলে আপনার ব্রাউজার এর কুকিজ এ এক্সাস নিতে পারে। ব্রাউজার এর কুকিজ এ আপনার অনেক কিছুই ইন্সক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে যে গুলো হ্যাকার রা খুব সহজেই ডিস্ক্রিপ্ট করে আপনার সকল তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এমন কি আপনার পাসওয়ার্ড ও ক্রাক হতে পারে।
সাধারণত প্রতিটি YouTube চ্যানেল গুলো একটি সাধারণ জিমেইল এর উপর ডিপেন্ড করে থাকে। তাই একটি প্রফেশনাল Gmail কেবল মাত্র নির্দিষ্ট কাজেই ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে ওয়েব মেইল ব্যবহার করুন। জিমেইল লগ-ইন এ ২ স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখুন। এতে করে জিমেইল এর এক্সাস অনেকটা শক্তিশালী হবে। যে একাউন্ট দিয়ে গেইম খেলেন বা বিভিন্ন অ্যাপস এক্সাস দেন সেই ইমেইল প্রফেশনাল কাজে না ব্যবহার করাই ভালো।
আসলে হ্যাকিং নিয়ে এক আর্টিকেলে সমস্ত কিছু বুঝানোটা অনেক সময় সাপেক্ষ। তাই আজ এ পর্যন্তই। আশাকরি টিউন টির মাধ্যমে কিছুটা হলেও আপনাদের উপকার হবে। আগামীতে হাজির হবে আরও কিছু এক্সপ্লেনেশন নিয়ে। আশাকরি সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন। সেই সাথে টিউন এ আপনার মতামত প্রকাশ করবেন।
আমি হিম্মত আলী হিমু। CEO, MSNCLOUD, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 128 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Web Designer And Developer . Computer System Engineer @ SARK Computer & Solution Center (2011-2016). iT engineer - UK Computer & Service Center (2016-2017). Owner Of www.msncloud.net Computer specialist - RAFA Mobile and Computer (2020-2021)