১৬ টি বিষয় যা আপনাকে কোন কিছু শুরু করতে বাধা দেয়

টিউন বিভাগ টিপস এন্ড ট্রিকস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন। বরাবরেই মত আজকেও চলে এসেছি নতুন টিউন নিয়ে। বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। মানুষের কর্ম মানুষকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখে। পৃথিবী যত মহান মানুষকে মনে রেখেছে তার পেছনে একটাই কারণ, কর্ম। আপনাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে, জীবনে সফল হতে, সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হবে, যদি বাধা অতিক্রম করতে পারেন তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন, না হয় কালের স্রোতে হারিয়ে যাবেন। সবাই নিজের লক্ষ্যে ঠিক থাকতে পারে না এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের ভাল কাজে বাধা দেয়। তো আজকে আমরা তেমনি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর জন্য আপনি নির্দিষ্ট কাজ শুরু করতে পারছেন না।

১. নিজের উপর বিশ্বাস না রাখা

জীবনে সফলতা পেতে হলে নিজের উপর বিশ্বাসটা জরুরী। আপনার চারপাশের মানুষ সব সময় আপনাকে সাপোর্ট করবে না, সব সময় আপনাকে যোগ্য ভাববে না। আপনার উদ্দেশ্য হতে হবে তাদের নিকট নিজেকে যোগ্য করে তুলা। আপনি ট্র্যাডিশনাল ওয়েতে ব্যর্থ হতে পারেন, সমাজে আপনি ব্যর্থদের একজন হতে পারেন কিন্তু মনে রাখতে হবে সব সময় ট্র্যাডিশনাল ওয়েতে সফল হতে হবে এমনটি নয়। আপনি আপনার মত সফল হোন, নিজের উপর বিশ্বাস তৈরি করুন।

নিজেকে জিজ্ঞাস করুন আপনি কি ভাল পারেন, কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি টানে। এবং প্রথম পদক্ষেপ ফেলুন, আপনাকে কে কি ভাবছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাফল্যের চুড়ায় আরোহন করা কষ্টসাধ্য হতে পারে কিন্তু আপনার প্রথম পদক্ষেপে কোন বাধা আসবে না, এটা সহজ। এবং একই সাথে এটি সাফল্যের দ্বার উন্মোচন করে দিতে পারে। আপনার লক্ষ্য যদি হয় ম্যারাথন দৌড় তাহলে আজকেই পাঁচ মিনিট হাঁটুন আর এভাবে নিজের মধ্যে বিশ্বাস অর্জন করুন। মনে রাখবেন প্রতিটা দীর্ঘ জার্নির একটা প্রথম ধাপ আছে।

২. এটা কাজের সঠিক সময় না

মানুষ বলবে এটা সঠিক সময় না। কিন্তু সত্যটা হল সময় কখনোই সঠিক থাকে না আপনাকে সেটা সঠিক করে নিতে হবে। অধিকাংশ মানুষ গড়পড়তা জীবনযাপন করে কারণ তারা সঠিক সময়ের খোঁজে পায় না। আপনাকে মনে রাখতে হবে সঠিক সময়ের আশায় বসে থাকা যাবে না। নিজের লক্ষ্য ঠিক করে তখন থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনার রাস্তা কেউ তৈরি করে দেবে না সেটা আপনাকেই করে নিতে হবে।

এখন সঠিক সময় নয়, এটা ভেবে অনেকে আপনাকে কাজ শুরু করায় বাধা নিতে পারে। কিন্তু এসব কানে নেয়া যাবে না। যখন আপনার সিদ্ধান্ত হয় তখনই কাজ শুরু করুন। আপনার হাতে সময় থাকা মানেই এটা উপযুক্ত সময়।

৩. লোকে কী বলবে, লোকে কী ভাবছে

আমাদের মনে আরেকটা প্রশ্ন আসে, আমি যদি এই কাজটা করি বা শুরু করি তাহলে মানুষ কী ভাববে? তারা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে না তো? পৃথিবীর মানুষকে দুইটি দলে ভাগ করা যায়। একদল আছে যারা অন্য মানুষকে নিয়ে ভাবে, অন্য মানুষের বিচারকে গুরুত্ব দেয় তারা সবসময়ই অসুখী হয়। আরেকটা দল আছে যারা অন্য কারো জাজমেন্টকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজে যে কাজ উপভোগ করে সেটাই করে, আর তারাই সুখী মানুষ।

আপনি কোন কাজ করার আগে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব সময় নিজের সুখকে গুরুত্ব দিন। যে কাজ আপনার ভাল লাগে যেখানে আপনি শান্তি খুঁজে পান সেটাই করুন। মানুষ তাদের ইচ্ছে মত আপনাকে জাজ করুক আপনি একাগ্র চিত্তে এগিয়ে যান। সফল হলে দেখবেন সেই মানুষ গুলোই আপনাকে বাহাবা দেবে। এমন কাজ করুন যেটা আপনিই প্রথম করছেন, যেন আপনার সফলতা দেখে অন্যরা এতে উদ্বুদ্ধ হয়।

৪. বিভিন্ন বাধা

কাজ শুরুর আগে বিভিন্ন বাধার ফলে আমরা কোন কিছু শুরু করতে পারি না। এই বাধা গুলো কখনো বাহ্যিক পরিবেশ থেকে আসে আবার কখনো নিজেরা তৈরি করি। যেমন আপনি ঠিক করলেন কালকে ভোরে হাটতে বের হবেন কিন্তু যদি সঠিক সময়ে না ঘুমান তাহলে সেটা আপনি কখনোই পারবেন না, ঘুমিয়েই ভোর কেটে যাবে। আবার ঘুম থেকে উঠে জুতা খুঁজে পাচ্ছেন না, এর জন্য আপনিই দায়ী, কারণ আগের রাতে আপনি জুতা গুলো সঠিক জায়গায় রাখতে পারেন নি।

তো প্রতিটা কাজের আগে বা প্রতিটা শুরুতে এমন বাধা থাকতেই পারে। আপনার কাজ হবে আগে থেকে এই বাধা গুলোকে আন্দাজ করা এবং এমনটা যাতে না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া।

৫. বড় মাপের লক্ষ্য

স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ বড় লক্ষ্যকে ভয় পায়। তারা ভাবে এত বড় লক্ষ্য কখনোই অর্জন করা সম্ভব না। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে লক্ষ্য যেমনই হোক স্ট্রেটেজিক ভাবে আগালে সবই সম্ভব। কোন মানুষই আপনাকে বলবে না কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয় সেটা আপনার নিজেকেই করতে হবে। সফল ব্যক্তিরা গড়পড়তা মানুষ থেকে ভিন্ন ভাবে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তাদের ইউনিক স্ট্রেটেজি তাদের কে সহজেই তাদেরকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেয়।

আপনি বড় লক্ষ্য একবারে না নিয়ে সেটাকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করে নিন এবং সেগুলো মিট করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এভাবেই বড় লক্ষ্যটিও একদিন ফুলফিল হয়ে যাবে।

৬. পারফেকশনিজম

সব কিছু পারফেক্টই হতে হবে এই ধরনের চিন্তা ভাবনা আপনাকে যেকোনো কাজ শুরু করতে বাধা দিতে পারে। আপনি কাজটি নিখুঁত হবে না বলে ছেড়ে দিতে পারেন। কিন্তু এমনটি করা যাবে না, এই ধরনের চিন্তা ভাবনা আপনার অগ্রগতির পথে বাধা হবে উঠবে। অগ্রগতি বা প্রগ্রেস বিষয়টি হটাৎ করে আসে না, কাজ করতে করতে কাজে অগ্রগতি আসে। আমরা কাজ করতে করতে এক্সপার্ট হই। আপনার অভিজ্ঞতা, আপনার শ্রম, ডেডিকেশন এক সময় আপনার কাজকে পারফেক্ট করে তুলবে। আর এটা হবার আগ পর্যন্ত কাজে লেগে থাকুন।

পারফেকশনের কথা চিন্তা করে বসে থাকা যাবে না নিজের গতিতে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে এমনিতেই পারফেকশন ধরা দেবে।

৭. ব্যর্থতার ভয়

ব্যর্থতার ভয়ে আমরা অনেকে কাজ শুরু করতে চাই না। আমরা ভাবী যদি ব্যর্থ হই? নিজেকে প্রশ্ন করুন ব্যর্থ হলে আপনার কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে? আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্যর্থতায় ক্ষতি সামান্য কিন্তু অর্জন হতে পারে অসামান্য। আর এটা একটা টেকনিক, ধনী ব্যক্তিরা এক টেকনিক অবলম্বন করেই অনেক অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হয়। বিজনেস ক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর, যার যত ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা আছে তার সফল হাবার সম্ভাবনা তত বেশি।

ঝুঁকি নিলেই বড় কিছুর আশা করা যায়। ঝুঁকি নিয়ে আপনার লসের পরিমাণ তেমন হবে না কিন্তু যদি সফল হয়ে যান তাহলে অর্জনটা কিন্তু বিশাল হতে পারে। আপনি আপনার চেষ্টা চালিয়ে যান প্রয়োজনে বার বার ব্যর্থ হোন, চিন্তা নেই সফল হলে কেউই এগুলো মনে রাখবে না।

৮. কোথা থেকে শুরু করা উচিৎ জানা নেই

কোন কাজ শুরু করার আগে আমাদের মধ্যে না করার অনেক অজুহাত দেখা দেয়। যেমন আমরা জানি না কোথা থেকে শুরু করা উচিৎ, কি করা উচিৎ বা কি করা উচিৎ নয়। এবং এসব চিন্তা ভাবনা আমাদের নির্দিষ্ট কাজ করতে বাধা দেয়। এসব ক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন, ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন।

আর সবচেয়ে বড় কথা, আপনি শুরু করে দিন। ভুল হলে হোক এই ভুল থেকেই আপনি শিক্ষা নেবেন। সময়ই বলে দেবে আপনাকে কি করা উচিত এবং কি করা উচিৎ নয়।

৯. প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভয়

পৃথিবীতে সফলতার প্রতিটি ধাপে রয়েছে প্রতিযোগিতা। আপনাকে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে। প্রতিযোগিতায় ভয় করে আমরা কোন কাজ শুরু করি না, এটা ভুল। এই পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছে তারা সবাই অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করেই সফল হয়েছে এবং তারা অনেক ব্যর্থতারও সাক্ষী হয়েছে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া একদম সহজ। যেমন আপনি যদি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর দুর্বলতা গুলো ধরতে পারেন তাহলে নিজে সেই জায়গা গুলোতে উন্নতি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকতে পারবেন। আপনি জানুন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কখনোই কোন কাজ গুলো পারবে না, আপনি সেই কাজ গুলো করার চেষ্টা করুন। যদি আপনি ইউনিক বা জেনুইন কিছু নিয়ে আসতে পারেন তাহলে সহজেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারবেন।

১০. আপনার অলসতা বা শৃঙ্খলার অভাব

কোন কাজ শুরু আগে অলসতা আপনাকে বাধা প্রয়োগ করতে আবার লাইফে কোন শৃঙ্খলা না থাকলেও আমরা চাইলেও কোন ভাল কাজ শুরু করতে পারি না আজকে করব কাল করব বলে বলে আর কাজ করা হয়ে উঠে না। আর এই অলসতার অন্যতম কারণ হতে পারে এলোমেলো জীবন যাপন।

জীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একবারে অনেক কিছু করার দরকার নাই প্রতিদিন অল্প অল্প করে কোন কাজ করুন নিজের মধ্যে সেটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন, পড়তে ভাল না লাগলে ভিডিও দেখে শিখুন সেটাও ভাল না লাগলে অডিও শুনুন। নিজে যা করতে চান সেটা অর্জনের আগে সেই কাজ গুলো সম্পর্কে আগে জ্ঞান অর্জন করুন এবং কাজ গুলো করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১১. মানুষের সাথে যোগাযোগের অভাব

আমরা অনেক সময় কাজ শুরু করার আগে অন্য মানুষের সান্নিধ্য কামনা করি। ভাবী সে না হলে বা নির্দিষ্ট কিছু লোক না হলে হয়তো এটা অর্জন সম্ভব হবে না। ভাল মানুষজনের সাথে যোগাযোগ না থাকলে হয়তো কোন কাজ করতে পারব না, এমনটি ভাবা ভুল, আপনাকে মনে রাখতে হবে কেউই আপনার সমস্যা সমাধান করবে না সেটা আপনাকে নিজে থেকেই করতে হবে। আপনি আগে সফল হোন এমনিতেই তারা আপনার কাছে আসবে আপনার কানেকশন তৈরি হবে।

সুতরাং অন্যের সাথে ভাল কমিউনিকেশন না থাকলেও আপনি কাজের প্রতি মনস্থির করুন, আস্তে আস্তে কমিউনিকেশন তৈরি করার চেষ্টা করুন।

১২. সঠিক সরঞ্জাম না থাকা

কোন কাজ করার শুরুতেই অনেক অনেক টুল বা সরঞ্জাম লাগবে এই ধরনের চিন্তা ভাবনার জন্য আমরা অনেক সময়ই কাজ শুরু করতে পারি না। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে শুরুতেই ব্যয়বহুল জিনিসপত্রের কথা না চিন্তা করে, কাজ শুরু করে দেয়া উচিৎ। যখন যে জিনিস গুলো না হলেই নয় সে জিনিস পত্র গুলো নিশ্চিত করলেই হয়।

বিজনেসের শুরুতে অনেক টাকার সরঞ্জাম না কিনে অল্প অল্প করে প্রয়োজন অনুযায়ী কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

১৩. অভিজ্ঞতার অভাব

অভিজ্ঞতা নেই বলে কোন কাজ শুরুই করবেন না, এটা ঠিক না। এই পৃথিবীতে কেউই অভিজ্ঞতা নিয়ে জন্মায় না। সময়ের সাথে সাথে কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। সুতরাং অভিজ্ঞতা থাক বা না থাক কাজ শুরু করে দিন। কাজের মাধ্যমেই আপনার মধ্যে সেটা অর্জিত হবে। আর কাজ শুরু না করলে আপনি সারা জীবন অনভিজ্ঞই থেকে যাবেন।

১৪. একা ভয়

কোন কাজ একা শুরু করতে ভয় পেতে পারেন, অন্য কারো সহযোগিতা কামনা করতে পারেন। তবে এই মানসিকতা সব সময় আপনাকে কাজ থেকে দূরে রাখবে কারণ কেউই আপনাকে সাহায্য করবে না যদি নিজেকে আপনি সাহায্য না করেন। আপনাকে একাই এগিয়ে যেতে হবে।

তাছাড়া আপনি একা একটা কাজ করে যতটা শিখবেন অন্য কারো সাথে করে কখনোই ততটা শিখবেন না। তাই একা ভয় না পেয়ে, সাহস নিয়ে এগিয়ে চলুন।

১৫. হেরে যাবার ভয়

হার জিত সব সময় থাকবে তবে হার কে ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে হবে না। আপনাকে হারার ঝুঁকি নিয়ে কোন কাজ বিজনেসে এগিয়ে যেতে হবে। আজকে যে আপনাকে হারিয়েছে কালকে তাকে আপনি হারাতে পারেন সুতরাং লেগে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি হারতে পারেন তবে এতে আপনার মধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে আপনি ভুল থেকে শিক্ষা নিতে নিতে একসময় সফল হবেন। সুতরাং হারকে ভয় পাওয়া যাবে না। ব্যর্থতাই একদিন আপনাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।

১৬. কাজ নিয়ে অতিরিক্ত দুঃচিন্তা

অনেকে আছে যারা কাজ নিয়ে অতিরিক্ত দুঃচিন্তা করে এবং নিজেকে সব সময় প্রেশারের মধ্যে রাখে। এই ধরনের দুঃচিন্তা আপনাকে সব সময় মানসিক সমস্যার মধ্যে রাখতে পারে এবং আপনি বেস্ট আউটকাম দিতে ব্যর্থ হতে পারেন।

একজন বেস্ট সেলার লেখক একটা ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন যখনই তিনি বই লিখতেন তখন মাঝে মাঝে তার পেনিক এটাক হতো এর কারণ ছিল তিনি লিখা নিয়ে অনেক দুঃচিন্তা করতেন। কিন্তু হটাৎ করে একটা উপলব্ধি তার এই এটাক বন্ধ করে দিন। তিনি ভাবলেন, তিনি তো বই না, তিনি যা লিখবেন তাই বই। এর পর আর তার এমন সমস্যা হয় নি। মুল কথা হচ্ছে আপনি নিজে কাজ না আপনি যাই করবেন সেটা কাজ। সুতরাং পারফেকশনের জন্য দুঃচিন্তা করার দরকার নেই সময়ের সাথে সাথে সেটা এমনিতেই অর্জিত হবে।

শেষ কথা

মোট কথা জীবনে আপনাকে সব সময় পজিটিভ থাকতে হবে। কে কি বলল সেদিকে নজর না দিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর মনে রাখতে হবে কোন কাজেরই সঠিক কোন সময় নেই, সহজ কোন রাস্তা নেই। নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে।

তো আজকে এই পর্যন্তই কেমন লাগল এই টিউনটি জানাতে ভুলবেন না পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস