আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় সবার কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এই স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্মার্টফোন হলো অ্যান্ড্রয়েড। হ্যা বন্ধুরা আমরা এখন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর পার্সোনাল তথ্য কিভাবে হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবো সে সম্পর্কে জানতে চলেছি। আশা করছি নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করলে তোমরা তোমাদের ফোনের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে।
প্রথমেই যে টিপসের কথা বলতে হবে তা হলো স্ক্রিন লক। প্রত্যেককে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য মোবাইলে স্ক্রিন লক দিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া কেউ যাতে তোমাদের অনুমতি ব্যতীত কোনো অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রত্যেকটি অ্যাপে অ্যাপ লক চালু করে রাখতে হবে। এমন পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে যা ইউনিক হবে।
দ্বিতীয়ত যেই টিপটি নিয়ে কথা বলব তা হলো 2 স্টেপ ভেরিফিকেশন। নিজেদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট, জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। মনে কর কোনো হ্যাকার তোমার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য তোমার মেইল অ্যাড্রেস এবং পাসওয়ার্ড জানে। এক্ষেত্রে তুমি যদি 2 স্টেপ ভেরিফিকেশন মোড চালু করে রাখ তাহলে সে লগইন করলেও তোমার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না। কারণ সে যখন তোমার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে যাবে তখন তোমার নম্বরে একটি সিকিউরিটি কোড আসবে যা কেবল ঐ অ্যাকাউন্টের আসল মালিক ব্যতীত আর কেউ জানতে পারে না।
যেহেতু সিকিউরিটি কোডটি স্বল্প সময়ের জন্য বৈধ থাকে এবং মাত্র একবার ব্যবহার করা যায় তাই হ্যাকার যদি পরবর্তীতে কোডটি জানতে পারে তাহলেও সে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না। ফলে তোমার অ্যাকাউন্টটি থাকবে ৯৯ ভাগ সুরক্ষিত। ৯৯ ভাগ বলার কারণ যদি ঐ হ্যাকার তোমার মোবাইলের কাছাকাছি থাকে তাহলে সে লগইন করার পর তাৎক্ষণিক ভাবে তোমার মোবাইলের নোটিফিকেশনে আসা সিকিউরিটি কোডটি দেখে তোমার অ্যাকাউন্ট সহজে হ্যাক করে ফেলবে।
তবে এই সমস্যা সমাধান করা যায় স্ক্রিন লকের মাধ্যমে। এই লক সেট করে রেখে নোটিফিকেশন লক স্ক্রিনের জন্য অফ করে রাখলে সে আর নোটিফিকেশনে আসা সিকিউরিটি কোডটি দেখতে পাবে না। এই নোটিফিকেশন তখনই দেখা সম্ভব হবে যখন মোবাইলটি আনলক অবস্থায় থাকবে। এভাবে তোমার ইন্টারনেটের সকল অ্যাকাউন্ট ১০০ ভাগ সুরক্ষিত হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত যেই টিপসটি শেয়ার করব তা হলো অ্যাপস ইন্সটল নিয়ে। তোমাদের যদি কোনো দরকারি কিংবা প্রয়োজনীয় অ্যাপ ইন্সটল করার প্রয়োজন পরে তাহলে তোমরা তা গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করতে পারো। কোনো থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভালো। হতে পারে সেই অ্যাপ ভাইরাস বহনকারী। ফলে এই ধরনের অ্যাপ তোমার মোবাইলে ইনস্টল করে চালু করার সাথে সাথে তোমার মোবাইলের সকল ডাটা হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে।
তবে গুগল প্লে স্টোর থেকে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময় অবশ্যই রেটিং এবং রিভিউ চেক ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপের নিচে এই রেটিং এবং রিভিউ দেখে বুঝা যায় যে অ্যাপটা আসলে কতটা ভালো। প্লে স্টোরে অনেকগুলো অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ভালো মানের একটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে চালু করে রাখতে হবে। এতে তোমাদের মোবাইলের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আমরা যখন কোনো অ্যাপ ইনস্টল করি তখন অ্যাপগুলো আমাদের কাছে বিভিন্ন পারমিশন চায়। এসব পারমিশন গুলো সঠিকভাবে পড়ে যাচাই করে দিলে মোবাইলের নিরাপত্তা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন রকম পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত করা যায়। আমি তোমাদের পরামর্শ দিব অজানা কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করার জন্য। অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে অপরিচিত যা কিছু রয়েছে সবকিছুকে এড়িয়ে চলতে হবে। বিনা কারণে ব্লুটুথ কিংবা ওয়াইফাই চালু করে রাখা যাবে না। পাবলিক ওয়াইফাই এড়িয়ে চলতে হবে। সবকিছু সঠিকভাবে পালন করলে যে কারণে তোমরা টিউনটিতে প্রবেশ করেছ তা পূরণ হবে ইনশাল্লাহ। তো বন্ধুরা সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের টিউন এখানেই শেষ করছি। সকলে সুস্থ থেকো।
আমি মো সাকিবুল হোসেন মজুমদার। SSC Candidate, Moulvibazar Govt. High School, Moulvibazar। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রতিটি কাজ যদি কঠোর শ্রম ও অধ্যাবসায় এর সাথে করা হয় তবে সফলতা ধরা দিতে বাধ্য।