স্মার্টফোন যতই পুরুনো হয়, ততই গতি কমে যায়। আর ফোন স্লো হওয়া বেশ বিরক্তিকর। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই স্মার্টফোনের গতি বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) নিয়মিত আপডেট করতে হবে ফলে ফোন থাকবে গতিময়। কারণ, ফোনের ওএসে বিভিন্ন সময় নানা রকমের বাগ ধরা পড়ে আর এই বাগ থেকে মুক্ত করতে নতুন সংস্করণ আনা হয়। নিঃসন্দেহে এটি আপনার ফোনের গতিকে বাড়িয়ে দিবে।
মোবাইলে ফেসবুকের মত কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু অ্যাপ সবসময় নিজ থেকেই ব্ল্যাকগ্রাউডে চালু থাকে, যা কিছুক্ষণ পরপরই অটোরিফ্রেশ ও আপডেট হয়। ফলে ফোনকে ধীরগতি করে তুলে। সেক্ষেত্রে ফোনের সেটিংস থেকে রানিং অ্যাপ্লিকেশন অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ বন্ধ করে দিলে আপনার ফোনের গতি আগের থেকে বেশী হবে।
অনেকে আবার মোবাইলে প্রচুর পরিমাণে অ্যাপ ইনস্টল করে রাখে। এমনকি অনেক অ্যাপ থাকে যেগুলো একবারের পর আর ব্যবহার করা হয় না। আর এমন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টল করার কারণে ফোনের ইন্টার্নাল মেমোরি কমে যায় ও র্যামের ওপর চাপ পড়ে আর ফোনের গতি কমে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোন থেকে আনইনস্টল করে দিতে হবে।
লাইভ ওয়ালপেপার ফোনের সৌন্দর্য বাড়ালেও ঠিকই ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। তাই লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ যথাসম্ভব খালি রাখার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার করণীয় অপ্রয়োজনীয় ডাউনলোড ফাইল, ব্রাউজারের হিস্ট্রি, অনেকদিন আগের ছবি ইত্যাদি সরিয়ে ফেলা। এতে আপনার ফোন আগের চেয়ে গতিশীল হবে।
আপনার ফোনের র্যাম যদি কম হয় তাহলে যথাসম্ভব চেষ্টা করুন লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহার করার। ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার এর মত অনেক জনপ্রিয় অ্যাপের লাইট ভার্সন আছে যা গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় আর সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ফলে ফোনের গড়িও বাড়বে, মোবাইল ডাটাও কম খরচ হবে।
প্রচুর পরিমাণে ওয়াইগেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন আর হোম স্ক্রিন ক্লিন রাখুন। কারণ, অনেক বেশি ওয়াইগেট হোমে থাকলে তা র্যামের ওপর চাপ ফেলে। ফলে ফোনের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়।
-
আমি মোঃ রাকিবুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।