ফেসবুক কিভাবে হ্যাক করা যায়? এমন প্রশ্ন আপনার মনে অবশ্যই এসে থাকবে। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ৯৯% মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। আমরা আমাদের পছন্দ, অপছন্দ ফেসবুকে শেয়ার করি। টিউন করি আমাদের আনন্দের মুহূর্ত গুলো।
ফেসবুক কতৃক প্রতিষ্ঠিত ম্যাসেঞ্জার এপের মাধ্যমে আমরা বিনামূল্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। অনেক সময় আমরা আমাদের নানা ব্যক্তিগত জিনিস ফেসবুকে শেয়ার করে থাকি। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, যদি কখনো আমাদের একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায় তাহলে তথ্য গুলোর কি হবে?
এখন অনেকেই বলতে পারেন, ফেসবুক যদি হ্যাক করাই যায় তাহলে কেন মার্ক জাকারবার্গ কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার রেখেছেন? মূলত ফেসবুক তাদের ইউজারদের সুরক্ষা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করে। কেউ চাইলেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের ফেসবুক একাউন্ট গুলো হ্যাক হয় মূলত আমাদের অসাবধানতার কারনেই।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ৩ টি উপায় যার মাধ্যমে হ্যাকার সহজেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে পারবে।
ফিশিং কি? এই প্রশ্নটা ৯০% মানুষেরই অজানা। ফিশিং হলো মূলত একধরনের হ্যাকিং পদ্ধতি। Phishing এবং Fishing শব্দ দুটির উচ্চারণ শুধু শুনতেই এক না, এদের কাজের ধরনও প্রায় একই। আমরা যেমন বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় প্রথমে খাবার দিয়ে মাছকে লোভীভুত করি তারপর টোপ দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করি তেমনি Phishing এও লভনীয় বিজ্ঞাপণ বা এইধরনের প্রচারের মাধ্যমে প্রথমে মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়, পরে লিংক পাঠিয়ে তাকে এমন একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে ফেসবুকের ইমেইল/ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে বলা হয়। সাধারন মানুষ হ্যাকারের এই প্রতারণা বুঝতে পারেনা এবং সেইসব সাইটে লগিন করে বসে। ফলে হ্যাকার অতি সহজেই ভিক্টিমের ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড পেয়ে যায়। এভাবে বিনা পরিশ্রমেই যেকারো ফেসবুক একাউন্ট খুব সহজেই হ্যাক করা যায়।
আপনার মনে এখন এই প্রশ্নটা আশাকরি শব্দের অর্থ জানতে। তাহলে ডিকশনারি দিয়ে কিভাবে হ্যাকার আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করবে? ডিকশনারি অ্যাটাক হলো এমন একটি হ্যাকিং পদ্ধতি যেখানে ডিকশনারিতে বিদ্যমান সকল শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। একটা ডিকশিনারির মধ্যে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ শব্দ থাকতে পারে। হ্যাকার ডিকশিনারি অ্যাটাকের জন্য কালি লিনাক্স ব্যবহার করে থাকে। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার ডিকশিনারির প্রতিটা শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে দেখে কোনটা দিয়ে আপনার একাউন্টে লগিন করা যায়।
ডিকশনারি অ্যাটাকে কম্পিউটার মূলত A, B - Z এভাবে সকল সম্ভাব্য পাসওয়ার্ড গুলো একের পর এক দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে। ডিকশনারি অ্যাটাক অনেক সময় সাপেক্ষ। ওয়াইফাই হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে ডিকশনারি অ্যাটাকের ব্যবহার বেশি দেখা যায়
Key Logger (কি লগার) হলো মূলত একটি উন্নত হ্যাকিং পদ্ধতি। এখানে হ্যাকার প্রথমে ইন্টারনেট বা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে টার্গেটেড ভিক্টিমের কম্পিউটারে এক ধরনের ম্যালওয়্যার সেন্ড করে। এই ম্যালওয়্যার গুলো অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে থাকে। আপনি যখন ফেসবুক এর URL ওপেন করেন, তখন সাথে সাথে এই ম্যালওয়্যার অ্যাক্টিভ হয়ে যায়। আপনি যখন ফেসবুকের লগিন পেজে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দেন তখন কি লগার (Key Logger) আপনার প্রতিটা কি স্ট্রোক সংরক্ষন করে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে হ্যাকারের নিকট সেন্ড করে। এভাবে আপনি কি বুঝে ওঠার আগেই আপনার একাউন্টের দখল পেয়ে যায় হ্যাকার।
টিউন ভালো লাগলে অবশ্যই টিউমেন্টে জানাবেন। আর এমন ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইটে আপনার ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
আমি সাকিবুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Sakibur Rahman is a technology freak.He loves to learn and share technology related stuff