BTC To BDT করার অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন বিপাকে পড়তে হয়। তার কারন আজও আমাদের দেশে এটি সাপোর্ট করা হয় না। আমাদের দেশে এই ভার্চুয়াল কারেন্সী লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।
কিন্তু কেন? কি এই বিটকয়েন? কোথায় এর উৎপত্তি? যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে এটি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে কারা নিয়ন্ত্রন করে এই বিটকয়েন কে?
সত্যি কথা বলতে, কোনো রকম সরকারীভাবে বৈধতা প্রাপ্ত কোনো ব্যাংক অথবা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই ভার্চুয়াল কারেন্সীর কোনো রকম লেনদেন করা যাবে না।
কিন্তু তাই বলে এই না যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটির লেনদেন করা অবৈধ। অর্থাৎ ধরুন আপনার কোনো একজন পরিচিত ভদ্রলোক তার একাউন্টে আপনার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনাকে টাকা দিয়ে দিল। সে কিন্তু এই টাকাটি ক্যাশ আউট করে পরে আর তার হাতে নিতে পারবে না।
কিন্তু ধরুন পরে তার কাছেই আবার অন্য কোনো লোক এসে যদি বলে যে এই ভার্চুয়াল কারেন্সীর মাধ্যমে তাকে অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে কোনো প্রোডাক্ট কিনে দেওয়ার জন্য, সে তখন আপনার ওই টাকা খাটিয়ে ওই পন্যটা কিনে দিবে।
মাঝখান থেকে হয়ত তার কিছুটা লাভ হবে।
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। আপনি যার মাধ্যমে টাকার লেনদেন করছেন তিনি যদি পরে আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে কিন্তু আপনি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন না। কারন তিনি কোনো সরকার অনুমোদিক ব্যাংক নয়।
তাই আপনি তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো জোরালো ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। তাই এখানে শুধুমাত্র বিশ্বাস কাজ করবে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বিশ্বাস জিনিসটার বড্ড অভাব। তাই সঠিক কোন জায়গা থেকে এই কাজটি করা যেতে তার সন্ধান দেওয়ার জন্যই মূলত এই টিউন। কিন্তু আপনারাই বা আমার এই টিউন দেখে বিশ্বাস করবেন কিভাবে?
এই টিউনের শেষে আমি আমার জানা মতে একটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেখান থেকে আপনারা যদি ডলার লেনদেন করেন, তাহলে আশা করি ইনশাল্লাহ কোনো রকম সমস্যা হবে না। তবে যদি কোনো রকম সমস্যা পরবর্তীতে হয়েও থাকে তার জন্য আমি দায়ী না।
কারন এই ওয়েবসাইট আমার নিজের না। আমি এর আগে বেশ কয়েকবার এখান থেকে ডলার এর লেনদেন করেছি তাই বলছি। তবে লেনদেন করার আগে অবশ্যই লাইভ চ্যাটে বা পারলে ফোনে কথা বলে নিবেন। এটা সবচেয়ে ভালো।
তো যাই হোক, হয়ত এখানে এখনও অনেকেই থাকতে পারবেন যারা হয়ত এই ভার্চুয়াল কারেন্সী বা বিটকয়েন এর নাম শুনেন নি বা এর ইতিহাস সম্পর্কে হয়ত তেমন কোনো ধারনা নেই। তাদের জন্য চলুন এবার আমরা একবার এই ভার্চুয়াল কারেন্সী বা বিটকয়েন এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিই।
সত্যি কথা বলতে এই বিটকয়েন এর ইতিহাস কি বা এটি কে বা কারা প্রথম তৈরি করেছে সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট করে এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে জানা যায় সাতোশী নাকামোতো নামক কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা তৈরি করেছিল এই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারটি ২০০৯ সালে। এখানে তারা মাইনিং করার মাধ্যমে এই বিটকয়েন আয় করত।
সিস্টেমটা ছিল অনেকটা এমন যে আপনি মাইনিং করে যত বিটকয়েন আয় করতে পারবেন সেগুলো এক্সচেঞ্জ করার মাধ্যমে আপনি কোনো কারেন্সী বা প্রোডাক্ট বা কোনো সাভির্স ক্রয় করতে পারবেন।
তবে এটা বিক্রি করা যায় না, এক্সচেঞ্জ করা যায়। যার সাথে এক্সচেঞ্জ করবেন তিনি আপনাকে এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু দিবেন। হতে পারে সেটি অন্য কোনো কারেন্সী বা কোনো প্রোডাক্ট বা কোনো সাভির্স।
তবে মনে রাখবেন, এটি কিন্তু কোনো সরকারী ভাবে অনুমোদিত কোনো কারেন্সী নয়। তবে বর্তমানে এর রেট হচ্ছে ১ বিটকয়েন = ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ১ বিটকয়েন = ৮.৫০ লাখ টাকা।
তাই আপনি যদি মাইনিং করার মাধ্যমে ১ বিটকয়েন এর মালিক হতে পারেন তাহলে তো বুঝতেই পারছেন আপনি একজন লাখপতি হয়ে যাবেন।
মূলত এই হচ্ছে বিটকয়েন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে WIKIPEDIA ভিজিট করুন।
বিটকয়েন এর ইতিহাস সম্পর্কে তো কিছুটা ধারনা পেলাম, এবার বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে সেই বিষযটি সম্পর্কে না জানলেই নয়; তাই না!
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটকয়েনের এই কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে
বিটকয়েন মূলত কাজ করে ”পিয়ার টু পিয়ার” কানেকশনের মাধ্যমে। বিষয়টি হয়ত অনেকে বুঝেন নি। ধরুন আপনি আপনার একজন বন্ধুকে কোনো একটি গান বা ভিডিও শেয়ার করতে চান বা তার সাথে আপনি ইমো বা ভাইবার এর মাধ্যমে লাইভ ফোনে ভিডিও কলে কথা বলতে চান।
তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের দুইজনেরই কিন্তু একই অ্যাপ ইমো বা ভাইবার থাকতে হবে। সাথে ইন্টারনেট কানেকশন তো অবশ্যই থাকতে হবে। ঠিক একই রকম ভাবে আপনি যদি কারো সাথে বিটকয়েন শেয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ওয়ালেট নাম্বার এর জন্য প্রয়োজন পড়বে।
এটি ছাড়া আপনি কোনোক্রমেই বিটকয়েন এর আদান প্রদান করতে পারবেন না। কিন্তু এই যে গান বা ভিডিও তো চাইলে আমরা নকল তৈরি করতে পারি; একই রকমভাবে কি আমরা বিটকয়েনও নকল করতে পারব?
না।
এটা কখনই সম্ভব নয়। কারন বিটকয়েন এর এই এতো এতো ওয়ালেট নাম্বার এবং এর অর্থের লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয় একটি ব্লকচেইন পদ্ধতি। বর্তমানে যার ডাটার পরিমান প্রায় ১৪৮, ৯৪৫ মেগাবাইট।
এখন তাহলে এই ব্লকচেইনগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে কারা? সত্যি কথা বলতে এই ব্লকচেইনগুলোকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠান নেই। এটি মূলত আপনার আমার মতোই যারা বিটকয়েন এর মাধ্যমে লেনদেন করে তাদের একটি দল এই কাজটি করে থাকেন। এদের সাধারনত মাইনার বলা হয়ে থাকে।
এরা যেকোনো ধরনের বিটকয়েন এর লেনদেন এর জন্য তিনটি জিনিস তারা ব্লকচেইনে নোট করে রাখে।
যেহেতু এই কাজটি কেউ একা একা করে না, বরং সবাই মিলে একটি ট্রান্সজেশনই দেখা যায় কয়েকবার পরীক্ষা করা হচ্ছে তাই কেউ চাইলেও চুরি করতে পারে না। আর করতে চাইলেও ধরা পড়ে যায়।
কিন্তু এখানেও একটা সমস্যা আছে। তা হলো, এতো মানুষ যখন নজরদারীতে কাজ করে তাহলে তাদের কাছে তো প্রেরক ও প্রাপকের ওয়ালেট নাম্বার (একাউন্ট নাম্বার) আছেই। তাহলে তারা চাইলে তো তাদের নিজেদের একাউন্টেও বিটকয়েন ট্রান্সফার করে ফেলতে পারে!
কিন্তু না। এমনটি হওয়ার কোনো চান্সই নেই।
এটিকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য কাজ করে ক্রিপ্টোগ্রাফি নামক এক বিশেষ ধরনের চাট। মূলত এর কারনে বিটকয়েনকে ক্রিপোটকারেন্সী বলা হয়ে থাকে। বিটকয়েন ওয়ালেটের ক্ষেত্রে দুইটা কী থাকে। একটি হচ্ছে প্রাইভৈট কী আরেকটি পাবলিক কী।
যখন প্রেরক কোনো বিটকয়েন পাঠায় তখন তিনি প্রাইভেট কী এর দ্বারা সেটি চিহ্নিত করে দেন। পরে যখন প্রাপক তা গ্রহন করবেন, তখন এই প্রাইভৈট কী এর চিহ্ন ও পাবলিক কী এর চিহ্ন মিলানো হয়। যদি মিলে যায় তাহলে বুঝতে পারা যায় যে বিটকয়েনটি সত্যিই প্রেরক পাঠিয়েছেন।
আর এ দু’টি কী এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার বা স্বাক্ষরের মতো নকল করা যায় না।
বিটকয়েন কিভাবে তৈরি হয় বা এটি সম্পর্কে অন্যান্য বিষয়াবলী আমরা এই পর্বে আর না বলি। কেননা এটি মূলত এই টিউনের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। তাই পরবর্তীতে বিটকয়েন এর জন্য আমাদের অন্য কোনো টিউনে আমরা বিটকয়েন এর সম্পূর্ণ ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
বিটকয়েন কিভাবে করে আয় করতে হয় সেটি সম্পর্কে আর এই টিউনে কোনো রকম আলোচনা করব না। আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় হচ্ছে কিভাবে আমরা বিটকয়েন থেকে টাকায় কনভার্ট করে তা আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্যাংকিং মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারব।
তবে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সরাসরি আমার ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারেন। সেখানে এ সম্পর্কিত আমার একটি টিউন আছে। তাহলে ইনশাল্লাহ্ আপনি অনলাইন আয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পাবেন।
আমার জানামতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে EWORLD.LTD। আপনারা চাইলে এখানে থেকে ডলার এর লেনদেন করতে পারেন। তারা বিটকয়েন এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে পেমেন্ট করে থাকে। আপনারা চাইলে সেগুলোতেও করে দেখতে পারেন। তবে আমি শুধু বিটকয়েন এ করেছিলাম, তাই শুধু এটির কথাই বললাম।
PAYMENT PROOF:
আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ্ হাফেজ।
আমি সোয়েব শান্ত। CEO & Founder, TECH BAYA, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজের সম্পর্কে বলার মতো আসলে কিছুই নাই। খুবই সাধারন একটি ছেলে। ভালোবাসি প্রযুক্তিকে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করি ওয়েব ডিজাইনিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন বিষয়াবলি শিখতে ও জানতে ভালো লাগে। ভালোবাসি নিজের জানা ও শেখা বিষয়কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে। আপনাদের ভালো লাগা ও ভালোবাসা পেলেই...