নমস্কার! শুভ অপরাহ্ন! স্বাগত আজকের ব্লগে। আজ আমরা দেখব ফ্রিতে সোস্যাল কার্ড তৈরী কিভাবে করা যায়। সোস্যাল মিডিয়াতে যখন আমরা কোন লিংক শেয়ার করি তখন সেই লিংকের একটা প্রিভিউ জেনারেট হয়। যা দেখতে নিচের ছবির মত। আর এটাকেই সাধারণত সোস্যাল কার্ড বলা হয়।
উপরের ইমেজ টা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সোস্যাল কার্ডে সাধারণত ৪ টি প্রধান অংশ থাকে।
সোস্যাল মিডিয়াতে এই ধরনের সোস্যাল কার্ডে ক্লিক করেই আমরা নানা নিউজ, ব্লগ সহ বিভিন্ন প্রডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারি। সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ লোকই কোন সাইটের ওয়েব অ্যাড্রেস মুখস্ত করে রাখে।
বর্তমানে যেকোন ওয়েব সাইট তাদের মোট ভিজিটরের একটা বড় অংশ সোস্যাল মিডিয়া থেকে পেয়ে থাকে।
ব্যক্তি এবং প্রয়োজনের ধরন অনুযায়ী প্রচুর কারণ রয়েছে সোস্যাল কার্ড তৈরী করবার পেছনে। এখানে প্রধান কিছু কারণ উল্লেখ করছি।
JP Social Card Maker এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে এবং ফ্রিতে সোস্যাল কার্ড তৈরী করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন নেই কোন রেজিস্টেশনের। প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে সাইটিতে চলে যান। নিচের মত একটি ফর্ম দেখতে পারবেন।
প্রথমে ১ মেগাবাইটের কম সাইজের একটি ইমেজ আপলোড করুন। তারপর পর্যায়ক্রমে পুরো ফর্মটা পূরণ করুন নিচের মত করে। বুঝতে অসুবিধা হলে এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নেওয়া যেতে পারে।
এই ফর্মে Destination Url ফিল্ডটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সোস্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সেই ওয়েব এড্রেস টা এখানে দিতে হবে। যেমন, আপনার শেয়ার করা সোস্যাল কার্ডে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে কোথায় যাবে সেই লিংকটা এখানে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এখানে ফাইভারের হোমপেজের লিংক দিয়েছি।
বলে রাখা ভাল উপরের সোস্যাল কার্ডটা আমরা ফাইভারের গিগের জন্য বানাচ্ছি। যদিও সরাসরি গিগের লিংক সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ফাইভারের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু আপনার যদি সংকোচ থাকে, তাহলে আপনার গিগকে সোস্যাল মিডিয়াতে এভাবে প্রমোট করতে পারেন।
এবার Generate বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার দেওয়া ইনফরমেশন অনুযায়ী সোস্যাল কার্ড জেনারেট হয়ে যাবে এবং নিচের মত দেখতে পারবেন।
লিংক টা কপি করে রাখুন। এটায় আপনার সোস্যাল কার্ডের লিংক। এবার Facebook, Twitter, Linkedin সহ যেকোন সোস্যাল সাইটে লিংকটি শেয়ার করুন। তাহলে নিচের মত সোস্যাল কার্ড দেখতে পারবেন।
উপরের স্ক্রিনশটে যে সোস্যাল কার্ডটি দেখতে পারছেন, তা আমার টাইমলাইনে শেয়ার করার পরের অবস্থা। আর নিচের স্ক্রিনশটে যেটা দেখতে পারছেন এটা ফেসবুক ইনবক্সের প্রিভিউ। মানে লিংক টা যদি ইনবক্সে শেয়ার করেন তাহলে কেমন দেখাবে সেটায় আরকি।
এবার আশাকরি বুঝতে পেরেছেন যে JP Social Card Maker এপ্লিকেশনের কাজটা কি! 🙂 শুধু যে ফাইভারের গিগ প্রোমোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে তা কিন্তু নয়। আপনার প্রডাক্ট মার্কেটিং, বন্ধুদের সাথে মজা করা থেকে শুরু করে সোস্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক নিয়ে যাওয়া যাবে যেকোন সোর্সে। আর তার জন্য আপনার নিজের ওয়েব সাইট থাকবারও প্রয়োজন নেই।
JP Social Card Maker এপ্লিকেশনটি নানান ধরনের কাজে ব্যবহার করা যায়। যা একবার ব্যবহার করলেই বোঝা যাবে। আর আপনি যদি একজন CPA মার্কেটার হউন তাহলে এটার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার বলে দেওয়া লাগবেনা। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস
এই ওয়েব এপ্লিকেশনটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আসছে খুব শীঘ্রি। সাথেই থাকুন।
কোন লিংককে পাসওয়ার্ড দিয়ে কিভাবে লুকিয়ে রাখতে হয় জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন। প্রোগ্রামিং এবং ইলেকট্রনিক্স রিলেটেড আরো অনেক লেখা পাবেন আমার ব্লগে।
এই লেখাটি পূর্বে আমার ব্যক্তিগত ব্লগ https://skjoy.info তে প্রকাশিত। আজ এ পর্যন্ত। ভাল থাকবেন। কথা হবে পরবর্তী ব্লগে। ফেসবুকে আমাকে পাবেন এখানে।
আমি এস কে জয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 41 টি টিউন ও 494 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সেরকম দামী কেউ না। খুব সাধারণ একজন মানুষ।প্রোগ্রামিং আর ইলেকট্রনিক্স সব থেকে বেশী ভাল লাগে। তাই এই দুইটাকেই জীবনের কাজ আর শখ হিসাবে যুক্ত করে নিয়েছি।ভাল লাগে শিখতে আর শেখাতে।ব্যাস এতটুকুই!