ফ্রি ফ্রি ভ্রমণ কী সেই গোপন উপায়?

ফ্রি ভ্রমণ আসলে তখনই বলা যাবে, যখন দেখা গেল আপনি দশটি টাকা পকেটে নিয়ে সারাদিন ঘুরে, দুই বেলা খেয়েও বাসায় ফিরে দেখলেন পকেটে দশটি টাকাই থেকে গেছে। পথের খরচ পথেই জুটে গেছে আপনার, খাবারও জুটে গেছে কেমন করে যেন! কাজটি মজার, এডভেঞ্চারে ভরপুর, বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা হবে আপনার। নিজের গল্পের ঝুলি ভরতেই থাকবে ক্রমাগত, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

ছবি তোলা: আপনি যদি হন একজন শখের ফটোগ্রাফার, তাহলে আপনার নিজের ছবি তোলার দক্ষতা আর একটু বাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন পথে। বিচিত্র সব মানুষ আর ভিন্ন সব পরিস্থিতি আর নানা রকম অদ্ভুত জিনিসের দেখা পাবেন আপনি। সেগুলো দক্ষতার সাথে ছবি তুলতে থাকুন। এর পরে সেগুলো আপলোড করে দিন বিভিন্ন স্টক ফটো সাইটে, যেখানে মানুষ তাদের প্রয়োজনে ছবি খোঁজে, এবং পছন্দসই ছবি পেয়ে গেলে কিনেও নেয় চড়া দাম দিয়ে। একটা দুটা ছবি দিয়ে হবে না, হাজার হাজার বৈচিত্র্যময় ছবি থাকলে এটা থেকে নিয়মিত অর্থোপার্জন সম্ভব।

তবে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হল,

এক. এটা দিয়ে সাথে সাথে আয় আসবে না। সময় লাগবে, আপনাকেও ধৈর্য ধরতে হবে।

দুই. একটা দুটা ছবি দিয়ে হবে না, হাজার হাজার ছবি লাগবে।

তিন. মানুষের প্রয়োজন বুঝে ছবি তুলতে হবে। সেটা নিয়ে একটু পড়াশোনাও করতে হবে।

অনেকগুলো ওয়েবসাইটই আছে এই ক্ষেত্রে, তবে বিখ্যাত এবং বেশি আয় হয় এরকম সাইটগুলো হল, Shutterstock. iStock. Fotolia. Fotosearch. Crestock. Alamy. BigStock. Photofolio.co.uk. এই সাইটগুলোতে আপনি ছবি আপলোড করে ছবি বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আপনি আপনার ফটোগ্রাফি দক্ষতা দিয়ে সরাসরি অর্থ অর্জন করতেও পারবেন। ছবি: সংগৃহীত।

ব্লগিং করা: ভ্রমণ করে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারেন। যদি সেটা চমৎকার করে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে সেটায় প্রচুর ভিজিটর আসবে এবং এক সময় আপনি সেখান থেকে আয় করতে পারবেন বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রাভেল ব্লগ গেস্ট রাইটারদেরকে বেশ ভাল পরিমাণে টাকা দিয়ে থাকে কোন বিশেষ এলাকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লেখার জন্য কিংবা সেই সব এলাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে লেখার জন্য। তবে এজন্য ভাল ইংরেজি লিখতে পারা জরুরী।

ব্লগিং করতে গেলে যে কেবল ভ্রমণ নিয়েই ব্লগিং করতে হবে তা নয়। যে বিষয়ে আপনার ভাল দক্ষতা আছে, যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন সেই বিষয়ে তথ্যমূলক সহজে মজা করে পড়া যায় এরকম লেখা নিয়মিত লিখতে পারলেও আপনি সেটা থেকে আয় করতে পারেন এবং সে জন্য আপনাকে দশটা পাঁচটা অফিস করতে হবে না, একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে সেটা করা সম্ভব। আপনি বীচে বসে হ্যামকে দুলে দুলে ব্লগিং করছেন, কল্পনা করুন তো!

প্লেনের চাকায় কিংবা ডানা ধরে ঝুলে পড়ার ইচ্ছাটা মনেই থাকুক আপনার! খরচ করেই বিমানে যাওয়া নিরাপদ। ছবি: সংগৃহীত।

স্পন্সরশীপ: বিভিন্ন কোম্পানি আছে, তারা আপনার ভ্রমণের খরচ সামলাবে, বিনিময়ে আপনি তাদের হয়ে কোন না কোন বিজ্ঞাপনমূলক বা প্রচারণামূলক কাজ করে দেবেন। এই স্পন্সরশীপ পাওয়া সহজ নয়, তবে আপনি যদি নিজেকে সঠিক ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন, এগুলো পাওয়া সম্ভব। আবার বিশেষ কোন জায়গায় যাবার জন্যও আপনি পেতে পারেন খরচ।

ভিনদেশে ইংরেজি শেখানোও হতে পারে একটা উপায়! তারা আপনাকে থাকার আর খাবার ব্যবস্থা করবে, কিছু হাতখরচও দেবে!

ছবি: সংগৃহীত।

ব্র্যান্ড এম্বাসেডর: আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। এই সময়ে আপনি বিভিন্ন গঠনমূলক অথবা বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন। আপনার যখন অনেক অনেক ফলোয়ার হয়ে যাবে, যখন আপনার একটা কথায় মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলতে পারবেন, তখন আপনি নিজেকেই ব্র্যান্ড হিসেবে সেল করতে পারবেন। হতে পারে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি বিজ্ঞাপণ করলেন। ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, এগুলো প্রত্যেকটাই কিছুটা ভিন্ন ভাবে আপনাকে সুযোগ করে দেয় নিজের চেষ্টায় একজন সেলেব্রিটি হতে।

ফসলের মৌসুমে ক্ষেতে-খামারে কাজ করাও াএকটা ভাল উপায় হতে পারে!

ছবি: সংগৃহীত।

শারীরিক পরিশ্রমের কাজ খুঁজে নেয়া: এটা হয়ত সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না, কিন্তু এভাবেও অনেক আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান ঘুরেছেন সারা পৃথিবী। কোন এলাকায় গিয়ে বন্ধু বানিয়ে ফেলুন এবং খোঁজ করুন আপনার জন্য স্বল্পকালীন কোন কাজ আছে কি না কারও কাছে। মনে রাখবেন, আপনি যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে আপনি বিদেশি। একজন আকর্ষণীয় মানুষ, সেটাকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে আপনি অনায়াসে কোন না কোন কাজ বাগিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এটাও ঠিক, নিজের মানসিকতাকে করতে হবে নমনীয়। দরকারে করতে হতে পারে অনেক কিছুই। যতক্ষণ না সেটা বে আইনি বলে গণ্য হচ্ছে বা আপনাকে ঝামেলায় ফেলছে, ততক্ষণ সেটা নিয়ে বেশি একটা আপত্তি না থাকাই ভাল।

আপনি নিজেও হতে পারেন ভ্রমণ গাইড! ছবি: সংগৃহীত।

এভাবে ঘুরতে গেলে আপনাকে মেনে নিতে হবে যে বেশিরভাগ সময়ই এটা আরামদায়ক হবে না, বেশ খানিকটা অনিশ্চয়তা থেকে যাবে, মানিয়ে নিতে হবে অনেক কিছুর সাথে। তবে মজা যে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি প্রতিদিনই বাড়বে। খরচ কমাবার হাজারো উপায় আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা ভবিষ্যতে কথা বলব নিশ্চয়ই! আর আপনি যদি আপনার মাথাটা খাটান, তাহলে ঘুরতে ঘুরতে নিজেও অনেক কিছুই আবিষ্কার করতে পারবেন। এক আমেরিকান মেয়ে চুল কেটে বেড়াত। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শহরে গিয়ে সে নিত্য নতুন স্টাইলে চুল কাটত আর সেটা দিয়েই সে তার খরচ উঠিয়ে ফেলত। উপায় হতে পারে অনেক কিছুই। কেবল খুঁজে নিতে হবে।

ট্রাভেল এজেন্সি
সম্ভাব্য পুঁজি: ১৫০০০০০ টাকা থেকে ৩০০০০০০ টাকা পর্যন্ত

মাসে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
টুরিস্ট অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে। এবার একটি অফিস নিতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, এমন জায়গায় অফিস নির্বাচন করা উচিত। অফিস সাজানো শেষে নিয়োগ দিতে হবে লোকবল। দেশ কিংবা বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার অনেক ঝক্কি। বাস কিংবা প্লেনের টিকিট কাটা, হোটেল রিজার্ভেশন, খাবার, বেড়ানোর যানবাহন নানা ঝামেলা। তাই মানুষ এখন এসব দায়িত্ব কোনো ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নিশ্চিন্তে বেড়াতে চায়। ভোক্তার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে।

দেশ ও বিদেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, বিভিন্ন করপোরেট হাউস এ ব্যবসার ভোক্তা। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিভিন্ন করপোরেট বিজনেস হাউসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। নানা প্যাকেজের সুবিধা ঘোষণা দিয়ে ছোট পরিসরে প্রচারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।  যেমন দেখুন - https://www.obokash.com/

দেশে বিদেশের পর্যটনব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুনামই পরবর্তী কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

Level 2

আমি Elite Hacker। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 10 টিউনারকে ফলো করি।

Howdy! I’m Creative Niloy. Thank you for visiting my Profile.I am an Internet Marketer and a Business fanatic from the core,who also provides consultancy services to businesses. I have expertise in all areas of SEO & Digital marketing including advanced SEO services, but I consider myself more of a Local...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস