অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জগতে HTC প্রথমে বাজারে আসে, বর্তমান সময়েও এই HTC PHONE বাজারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, কারন;তারা তাদের কোয়ালিটি এখনো ধরে রেখেছে। এর চাহিদা তুলনামূলক কম নয়, বাজারে আরোও অনেক নামী দামী ব্র্যান্ডের ফোন বিক্রয় হচ্ছে, অনেক নতুন নতুন অফার এবং নতুন অপারেটিং সিস্টেম সম্মিলিত, কিন্তু এর মধ্যে অনেকে কিছুদিন পর তাদের অবস্থা বজায় রাখতে পারছে না, খুব গুঞ্জন এবং বাহারি ফিচার, ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় দেশ সয়লাব করে ফেলে এরা, এর পরে কিছুদিন পরে আর এদের প্রচারনা আগের মত লক্ষ করা যায় না। কিন্তু যারা রেপুটেট ব্র্যান্ড তারা তাদের অবস্থাতেই এখনো বিচরণ করছে। তাদের এত মন মাতানো বিজ্ঞাপণ আর নতুন নতুন অফারের প্রয়োজন হয়না। যেমন, Iphone, Blackberry, HTC, এদের অবস্থা ঠিক আগে যেমন ছিলো আজও তেমনই রয়েছে, এদের ফর্মুলা অনেক আলাদা, এদের ব্যাবসায়ীক পদ্ধতিও ব্যাতিক্রম, এরা সবাই এদের নিজ নিজ অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। এদের সাথে কারো তুলনা হয়না। হ্যা শুধু এই তিনটি মোবাইল কোম্পানিই নয় বাজারে বর্তমানে অনেক ভালোমানের মোবাইল ফোন রয়েছে যারাও তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, এটা যারা প্রকিত স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারি তারা ভালো বলতে পারবে, যারা সবসময় নেট ব্যবহার করে, এবং অধিক সময় ধরে কথা বলে তারাও এটা আন্দাজ করতে পারবে।
দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না, একটা কথা বলি, আমাকে কেউ কোনো টাকা পয়সা দেয়নি যে কারো পক্ষে কথা বলব, ফোন কেনার বিষয়ে সামান্য একটু সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই মূলত এই লেখা।
নাম্বার ১ঃ ব্র্যান্ড নির্বাচন করা, কেননা সনামধন্য কোম্পানি কখনো তাদের সুনাম নষ্ট করতে চায় না, এর মধ্যেও অনেক সময় দেখা যায় কিছু মডেল ফোন হার্ডওয়্যারে অথবা সফটওয়্যারে কোনো সমস্যা থেকে যায়, তৈরির সময় থেকেই, এটা খোঁজ নিতে হবে, দরকার হলে মডেল পরিবর্তন করতে হবে।
নাম্বার ২ঃএর আঁকার খুব একটা বড় হলে ভালো হবে না, কারণ, বড় সাইজের ফোনে অনেক অসুবিধা হয়, প্রথমত বড় সাইজের ফোন পকেটে আটে না, পরে গেলে টাচ/ডিস্প্লে সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেটা একটু ছোট সাইজের ফোনের ক্ষেত্রে খুব কমই হয়। তাই বলে বড় ফোন কেনা যাবেনা তা কিন্তু নয়, আপনি আমি না কিনলে কারা কিনবে?
নাম্বার ৩ঃ একেবারে পাতলা ফোন কেনা থেকে বিরত থাকুন, কারন এসব ফোনের হার্ডওয়্যার সাইট খুব একটা শক্তিশালি হয়না, মনে রাখবেন, বেশি সুবিধা মানে সেখানে কিছু অসুবিধাও থাকে।
নাম্বার ৪ঃ ফোনের কেচিং শক্ত দেখে কিনুন, কেননা শক্ত কেচিং মানেই বেশি ধকল সহ্য করতে পারবে, বেশিরভাগ মোবাইল ফোন অকালে নষ্ট হয় একমাত্র কেচিং দুর্বল হওয়ার জন্য, ভিতরের যন্ত্রাংশ যদি একটু হালকাও হয় তাতেও তেমন অসুবিধা হয় না যদি কেচিং শক্ত হয়।
বাজারে অনেক কমদামি বাটন ফোন পাওয়া যায়, এগুলোর বেশিরভাগ ফোন ভিতরে এবং বাইরে দুটোই হালকা, যার কারনে এসব মোবাইল ফোন বেশিদিন টেকেনা, যদি শুধুমাত্র কেচিংটা শক্ত হত তবে ভিতরে যত দুর্বল যন্ত্রাংশই থাকুকনা কেন অন্তত ৬মাস হলেও বেশি লাস্টিং করত।
খুব বেশি ওজন হলেই যে তারমধ্যে যন্ত্রাংশ শক্তিশালি হবে তা কিন্তু না, বর্তমানে অনেক ফোনেই দেখা যায় কেচিং এর ভিতরে অতিরিক্ত শীশা বা লোহার বার দেয়া থাকে, কারণ একটাই আর তা হল ওজন বাড়ানো, কারণ আমরা অনেকেই মনে করি ওজন বেশি হলেই বুঝি ভালমানের ফোন, আসলে তা নয়। এটা অনেক স্মার্ট ফোনেও দেখা গেছে।
আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনটা যদি খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে খুব কষ্ট লাগে। তাই চোখ কান খোলা রেখে মোবাইল কিনুন। ভালোকরে খোঁজ নিন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাং হলে, অথবা বন্ধ হয়ে গেলে করনিও এখানে দেখুন ক্লিক করুন
ANDROID PHONE FIRMWARE (FLASH FILE) DOWNLOAD HERE
ভালো কোম্পানি দেখে এবং আশে পাশে নিজের কেঊ ব্যবহার করছে এদের কাছে থেকে পরামর্শ নিন।
আমার জানামতে বর্তমানে মোটামুটি মাঝারি দামের মধ্যে যেসব ফোন আপনি নিলে সুবিধা পাবেন তার একটা তালিকা নিচে দিলাম, আপনি দেখতে পারেন,
একসময় সিমেন্স মোবাইল ফোন খুব শক্ত ছিল, কিন্তু এর চার্জ কম থাকায় এটা বেশিদিন চলেনি।
*VIVO* *HUAWEI* *LG* *MI* *HTC* *MOTOROLA*
আর blackberry- Iphone, এসব হলে তো কথাই নেই,
এসবের মধ্যেও কিন্তু আবার কপি ফোন আছে, দেখতে হুবহু একই রকম, তাই অবশ্যই কোম্পানির সোরুম থেকে কিনবেন। ধন্যবাদ
আমি এইচ এম লিয়াকত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে নিয়ে বেশি কিছু লেখার নেই আমার, আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। মোবাইল ফোন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা আছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এর সাথে জরিত ছিলাম, বর্তমানে এ্যাফিলিয়েট নিয়ে একটু কাজ করছি অ্যামাজনের সাথে।