আমরা অনেকেই আমাজনের নাম শুনেছি, আবার অনেকে শুনি নাই, আমাজন হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ একটি ইকমার্স সাইট, যেখানে পাওয়া যায়না এমন পন্য খুব কমই আছে। সুচ থেকে শুরু করে গাড়ি বাড়ি পর্যন্ত এখানে বিক্রয় হয়, আমাজন পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাবসা করে, তার মধ্যে USA এর মার্কেট সবচাইতে বড়, USA এর মানুষের কাছে আমাজন একটি পারিবারিক ডাক্তার, আসলে ডাক্তার বললাম এই জন্য যে, আমাজন তাদের মনের মধ্যে এত বড় জায়গা করে নিয়েছে যে সেখানকার মানুষ ইকমার্স সাইট বলতে আমাজনকেই বোঝে, যেমনটি পারিবারিক ডাক্তারের প্রতি মানুষ ভরসা পায়। USA তে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৮০ জন মানুষের এই আমাজনে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এছাড়াও ইবে রয়েছে, কিন্তু আমাজনের মত এত জনপ্রিয়তা আজ পর্যন্ত কেউই অর্জন করতে সক্ষম হয়নি, আমাজনের জন্ম হয়েছিল ১৯৯৪ সালে জেফ বেজস এর নিজের বাড়ির গ্যারেজে, এবং সর্বপ্রথম এই আমাজনের মার্কেটিং এর দায়িত্ব নিয়েছিল YAHOO, তাই সেই সময় আমাজনের পণ্য বিক্রয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বর্তমান সময় ২০১৮ তে আমাজনের কোম্পানির মালিক জেফ বেজস বিশ্বের সেরা ধনি ঘোষিত হয়েছে, জেফ বেজোসের জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, তার এখন সম্পদের পরিমান এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার, যাইহোক আমাজন থেকে আপনি কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন সেই প্রসঙ্গে আসি, এখানে টাকা আয় করার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে, তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা খুব একটা সহজ কাজ নয় সবার জন্য, এখান থেকে বড় হতে হলে নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে যেতে হবে আপনাকে অর্থও ব্যায় করতে হবে, তা নাহলে এই এ্যফিলিয়েট আপনার জন্য নয়, ভয় ধরিয়ে দিলামনা তো? আসলে এটা অলসদের কেন্দ্র করে কথাটা বললাম, নিশ্চই আপনি অলস নন,
আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টের মাধ্যমে যদি কোনো পন্য কেউ কেনে তাহলেই আপনি একটা কমিশন পাবেন আমাজনের কাছে থেকে, এবং আপনার লিঙ্কে ঢুকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেউ যদি অন্য কোনো পন্যও কিনে ফেলে তাহলেও এটার কমিশন আপনার associate account এ জমা হবে, আর ওই টাকা আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা payoneer master card এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন। payoneer account and master card ফ্রিতে পেতে সাথে $25 পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনার কাজ হবে, আমাজনে একটা অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট খোলা এবং কি ধরনের পন্য আপনি বিক্রয় করতে চান সেটা নিশ্চিত করা, তার জন্য আপনাকে পন্য নিয়ে রিসার্চ করতে হবে, কোন পন্যটি বেশি বিক্রয় হয়, এবং এর কম্পিটিশন তুলনামূলক কম, এসব রিসার্চ করতে হবে, ধরেন আপনি একটা পন্য বেছে নিলেন আমাজনের পেজে গিয়ে দেখলেন এর রিভিউ অনেক বেশি, তাহলে যেটা করতে হবে, ওই পন্যের কিওয়ার্ড(কিওয়ার্ড হল আপনার পন্যের নাম) নিয়ে সেটার কম্পিটিশন, মাসিক সার্চ কত হয়, এসব জানতে হবে, এটা জানার জন্য আপনার একটা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করতে হবে, লং টেইল প্রো খুবই ভালো আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন, এর ফ্রী ভার্সন এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন, এর সাহায্যে আপনি ওই কিওয়ার্ডের অবস্থা জানতে পারবেন, যেমন আপনার মত একই পন্য/কিওয়ার্ড নিয়ে কতজন কাজ করছে এবং তারা কেমন শক্তিশালি, তাদের সাথে আপনি পাল্লা দিয়ে এগোতে পারবেন কিনা, keyword research কিভাবে করবেন এবং competition analysis কিভাবে করবেন তার ভিডিও এখানে দেখুন। click here অথবা নিচে আরেকটা ভিডিও দেয়া আছে ওটা দেখুন মাহবুব ওসমান ভাইয়ের click here
আপনার competition analysis করে যদি দেখেন এই পন্য নিয়ে কাজ করার মত তাহলে দেরি না করে একটা website বানিয়ে ফেলুন আপনার ওই পন্য অনুযায়ী, যেমন ধরেন আপনার পন্যের নাম football যদি হয় তাহলে, হবে এমন bestfootball, com এটা আমি আপনাকে বোঝানোর জন্য লিখলাম মাত্র, মোটকথা আপনার ডোমেইনের ভিতর যেন এই football লেখাটা থাকে, এর সাথে হোস্টিং কিনে যোগ করুন, এবং সাইট টাকে সাজান, এটা নিজে না পারলে কোন ডেভলপারের কাছ থেকে সাজিয়ে নিন, তাহলে এটা একটা নিশ সাইট হয়ে গেলো। এরপর ওই পন্য অনুযায়ী কন্টেন্ট লিখুন এবং পাবলিশ করুন, মনে রাখবেন আপনার টার্গেট থাকবে USA আর তাই তাদের মত করেই মার্কেটিং করতে হবে, সাইটে বেশি দামি থিমের দরকার নেই, দরকার শুধু ভালোমানের কন্টেন্ট। আর কোয়ালিটি কন্টেন্ট মানেই তাড়াতাড়ি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের নজরে পরা, তার মানেই তাড়াতাড়ি র্যাংক পাওয়া। আরোও ভালোভাবে জানতে দেখুন, এখানে ক্লিক করুন
পন্য নির্বাচন এবং ওয়েবসাইট বানানো হয়ে গেল, এখন কাজ হবে আপনার এই সাইট টাকে প্রচার প্রচারনা করার কাজ, এর নাম হল SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, লিঙ্ক বিল্ডিং করতে হবে, ভালোমানের ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার জন্য SEO খুব জরুরী। এগুলোও আপনাকে ধাপে ধাপে শিখতে হবে, নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করলে এবং সঠিকভাবে SEO করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ফলাফল পাবেন আশা করা যায়,
আমাজন প্রত্যেকটি পন্যের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন দেয়, সর্বচ্চ ১০% পর্যন্ত
আমাজন অ্যাফিলিয়েট করতে হলে আপনাকে কয়েকটা বিষয় মাথায় নিয়ে নামতে হবে
যেমন প্রথমত, আপনাকে ইংলিশে পারদর্শী হতে হবে
একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে যেখানে আপনার আমাজন থেকে নেয়া অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এর মার্কেটিং করবেন
ভালোমানের ইউনিক আরটিক্যাল তৈরি করতে হবে প্রত্যেকটি পন্যের জন্য, যদি আপনি নিজে আরটিক্যাল লিখতে না পারেন তবে রাইটার হায়ার করতে হবে, রাইটার দিয়ে আরটিক্যাল লেখানো বেশ ব্যায় সাপেক্ষ ব্যাপার, তবুও নিজে কোয়ালিটিফুল আরটিক্যাল লিখতে না পারলে খরচ করতেই হবে আপনাকে।
সোস্যাল সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলুন, এবং সেখানে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটার মার্কেটিং করুন/ প্রচার করুন।
কিভাবে করবেন এসব? এখনি পরিস্কার করে দিচ্ছি ব্যাপারটা, ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং আপনার পন্য অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করুন এবং নিচে সেই অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটা দিয়ে দিন, এমন ভাবে ভিডিও বানাবেন যাতে মানুষের সেটা উপকারে আসে, তাহলেই আপনার ভিডিও সবাই বেশি বেশি দেখবে, আর বেশি পরিমানে ভিডিও গুলি দেখা মানেই সেখান থেকে আপনি বেশ কিছু ট্রাফিক পাবেন। facebook, twetter, pinterest, সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে এই অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করুন তাহলে সেখান থেকে কিছু ট্রাফিক পাবেন, এসব সাইট থেকে আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে কেঊ কোনো পন্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। এটা একটা ভালো উপায় অ্যাফিলিয়েটের জন্য। মোটকথা আপনার প্রোমটকৃত পন্যটাকে আপনাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে আপনার প্রচারের জন্য আকৃষ্ট হয়ে কেউ এই পন্য কিনে ফেলে,
আমাজন এফিলিয়েট করে অনেকে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন, আবার কেউ কেউ হাল ছেড়ে দিয়েছেন, আজকে যারাই বেশি বড় হয়েছে তাদের একটা জিনিস সবার চেয়ে বেশি ছিল আর তা হল ধৈর্য,
আমি এইচ এম লিয়াকত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে নিয়ে বেশি কিছু লেখার নেই আমার, আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। মোবাইল ফোন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা আছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এর সাথে জরিত ছিলাম, বর্তমানে এ্যাফিলিয়েট নিয়ে একটু কাজ করছি অ্যামাজনের সাথে।